Tuesday, October 15, 2024

আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।  


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আচরণবিধি ১৯৮৯ অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হয়। তবে এই বছরেরটা জমা দিতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে  সিলগালা খামে করে।//


সচিব বলেন, আগে পাঁচ বছর পর পর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ছিল। এখন প্রতি বছর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর সবাইকেই সম্পদের হিসাব জানাতে হবে।


সম্পদের তথ্য জমা না দিলে অথবা ভুল বা মিথ্যা হিসাব জমা দিলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এরকম এক প্রশ্নের জবাবে  এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, লঘুদণ্ডের মধ্যে প্রথমে রয়েছে তিরষ্কার করা। এছাড়া চাকরির ক্ষেত্রে পদোন্নতি হবে না, আর্থিক ক্ষতি আদায় করা হবে। গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে পদ থেকে নিচে নামিয়ে দেয়া, চাকরি থেকে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর ও অপসারণের মতো পদক্ষেপ।//


তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রশাসনে ব্যাপক  আকারে দুর্নীতি করেছে তারা এখন সতর্ক হবে এবং দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।



সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সম্পদের ভুল হিসাব জমা দিলে যেমন চাকরিচুত্যি হতে পারেন সেরকম আরও কিছু কারণে চাকরি যেতে পারে তা হলো :


১) ব্যাপক দুর্নীতির সাথে জড়িত হওয়া। 

২) প্রকাশ্য বা গোপনে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করা। 

৩) রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করা। 

৪) বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা বা তাদের এজেণ্টের পক্ষে কাজ করা। 

৫) বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করা যা

যা দেশের উপরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খারাপ প্রভাব পরে। //


যারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়ে দেশের স্বার্থের বিরোধী  কাজ করেন এবং অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে  দেশের গোপনীয়  তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেন তারা আসলে দেশ ও জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের প্রতি অর্পিত আমানতের খেয়ানত করেন। আমানতের খেয়ানত করা মুনাফিকের আলামত, মুনাফিকের আলামত তিনটা, মিথ্যা কথা বলা, আমানতের খেয়ানত করা, ওয়াদা ভঙ করা।  এই তিন দোষই ঐ সমস্থ বিশ্বাসঘাতক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে থাকে, এরা দুনিয়াতেও বিভিন্নভাবে অপদস্ত হয়,  পরিবার, সমাজ ও পরিবেশ থেকে মানসিকভাবে কখনো শান্তি পায় না, হতাশাগ্রস্থ থাকে আর আখেরাতে জাহান্নামের আগুন ছাড়া  তাদের জন্য কিছুই অপেক্ষা করে না। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


Saturday, October 12, 2024

জিসিসি কি?

গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা  জিসিসি হল উপসাগরীয় ছয়টি আরব দেশ যাদেরকে জিসিসি দেশসমূহ  বা GCC countries বলা হয়। সেই ৬ টি দেশ হলো সৌদি আরব, বাহরাইন,আরব আমিরাত, ওমান ,কাতার ও কুয়েত। 



এই ছয়টি আরব দেশ তাদের নিজেদের মধ্যে একটি সমন্বিত পর্যটক ভিসা পদ্ধতি চালু করেছে তাদের নিজেদের  মধ্যে। যাতে এই ছয়টি দেশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতের উন্নতি হয়,  পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয় সেইসাথে  জিডিপি বৃদ্ধি পায়।এই ৬ টি দেশের নাগরিকরা একে অন্যের দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অন এরাইভাল ভিসা পাবেন আর যারা ঐসব দেশে কাজ করেন অর্থাৎ  বিদেশী নাগরিক তারা অন লাইনের মাধ্যমে  ভিসার জন্য দরখাস্ত করে  এই ছয়টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন । 


জিসিসির মহাসচিব জসিম আল বোদাই বলেন   ইউনিফাইড টুরিস্ট ভিসা স্কিম বা সমন্বিত পর্যটক ভিসা  স্কিমের মাধ্যমে উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আগের চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যটক এর আগমনের মাধ্যমে তাদের দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। তিনি বলেন, ভিশন ২০৩০ এর মাধ্যমে এই দেশগুলির নিজেদের মধ্যে  পর্যটকের সংখ্যা ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২৪ সালে এই  জিসিসির দেশগুলোতে  সাড়ে চার কোটি লোক ভ্রমণ করবে। 


জিসির মহাসচিব বলেন,  এই দেশ গুলিতে পর্যটক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ শতাংশ  ধরা হয়েছে সেই অনুযায়ী  ২০২৪ সালে এই ৬ টি দেশের পর্যটন থেকে আয়ের  লক্ষ্যমাত্রা ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ধরা হয়েছে। এবং বছরে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটন থেকে আয়ের  লক্ষ্যমাত্রা ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ধরা হয়েছে। এইসব দেশের জিডিপিতে  পর্যটন খাতের অবদান ৭ শতাংশর বেশি হবে বলে আশা করা যায় । 


এইসব দেশের ভিসা দেশে কিভাবে পাওয়া যাবে এই নিয়ে পরে একটা ভিডিও বানাবো ইনশাল্লাহ। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন, share করুন এবং এইরকম  ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Monday, October 7, 2024

শেখ হাসিনা ভারত থেকে আরব আমিরাত গেছে, কিন্তু কবে কখন তা এখনো জানা যায়

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলের দূর্ণীতি, অনিয়ম, দুঃশাসন আর অসংখ্য বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যাকান্ড এবং ছাত্র জনতার  আন্দোলনে গুলি চালানোর জন্য  এই সাবেক সরকার প্রধানকে দেশে ফেরত এনে বিচারের দাবীতে  ছাত্র-জনতা এখন একজোট। 



ছাত্র-জনতার প্রবল গন আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি।শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়  কিছুদিন আগেই। 


 দুই মাস ভারতে অবস্থান করার পর শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।


যদিও নিশ্চিতভাবে কোন সূত্রই বিস্তারিত জানায়নি যে, তিনি কখন কিভাবে ভারত ছেড়েছেন।  তিনি আরব আমিরাতের আজমান শহরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরব আমিরাতের আজমানে শামীম ওসমানকে দেখা গেছে এবং সেখানে  তার একটি বাড়ি আছে বলে শোনা গেছে।সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও আছেন বলে খবরে দাবি করা হচ্ছে। তবে সেখানেও সম্ভবত  দীর্ঘস্থায়ীভাবে থাকবেন  না তারা।


এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে দেশটি রাজি হয়নি। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে  মানা করে দেয়।


একাধিক সূত্রের খবর সম্প্রতি  যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত বলেছিল, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন।


 আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে মোদি সরকারকে দেশের ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট চাপের মুখে পরতে হয়েছে। মোদি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে বেশকিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়।


আরব আমিরাতের আজমাইনে শেখ হাসিনা ঠিক কত দিন অবস্থান করবেন এবং তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, সে বিষয়েও এখনো জানা যায়নি। তবে সম্ভবত শিগগিরই পাড়ি জমাতে পারেন অন্য কোনো দেশে। হতে পারে তা ইউরোপ, মধ্য এশিয়া বা আফ্রিকার কোন দেশে। 


কোন প্রেক্ষাপটে এবং কি শর্তে  আরব আমিরাত শেখ হাসিনাকে আশ্রয়ের অনুমতি দিয়েছে সে সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আশাকরি খুব শীঘ্রই সব কিছু জানা যাবে। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Saturday, October 5, 2024

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে ইমরান খানের দলের ব্যাপক সংঘর্ষ, এবং সেখানে বাংলাদেশ কায়দায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে ইমরান খানের দলের ব্যাপক সংঘর্ষ, এবং সেখানে বাংলাদেশ কায়দায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। 


গত শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়  সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই এর সমর্থকদের সাথে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর  মধ্যে,  এরপর সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। গতকাল শনিবার পাঞ্জাবের লাহোরেও উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সেখানেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়,

ইসলামাবাদেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপিন্ডিও উত্তপ্ত হয়ে আছে। এর মধ্যেই সেখানকার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বড় বড় সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে যাতে আন্দলোন ব্যাহত হয়। 



ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে,

গতশুক্রবার ইসলামাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থকরা জড়ো হন। যদিও সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এটি ভঙ্গ করে তারা সমবেত হন। তাদের লক্ষ্য ছিল ডি-চকে বিক্ষোভ করবেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।


গতকাল  শনিবার ছিল লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে জড়ো হওয়ার দিন ইমরানের সমর্থকদের জন্য  এজন্য  মিনার-ই-পাকিস্তানের দিকে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। তারা জড়ো হলে লাহোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে পাঞ্জাব প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করে। সেনাদের বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে মোতায়েন করা হয়। মিনার-ই-পাকিস্তানে ইমরানের পিটিআই সমর্থকেরা জড়ো হয় এবং ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এর আগে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কর্মী সমর্থকদের লাহোরের সমাবেশ সফল করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন , যদি পুলিশি বাধায় লাহোরে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে যেন সবাই যার যার শহরেই অবস্থান নেন।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


Friday, October 4, 2024

পিনাকি ভট্টাচার্য এর প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা

পিনাকি ভট্টাচার্য এর প্রতি ফ্রান্স এ বাংলাদেশিরা যে সন্মান দেখায় , একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক যখন দেশের মানুষের জন্য কাজ করে 


Wednesday, October 2, 2024

পাকিস্তানের সব পণ্য ১৫ বছর পরে "লাল তালিকা" থেকে মুক্ত হলো।

গত ৫ আগস্ট  হাসিনা সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের  সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটি থেকে আনা পণ্যগুলোকে ‘লাল তালিকামুক্ত’ করার পদক্ষেপ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।



গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করার আহ্বান জানান। ওই সময় সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান এখন আবার বাণিজ্য শুরু করতে আগ্রহী।


২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্যকে ‘লাল তালিকাযুক্ত’ করে যার ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে। 


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর দীর্ঘদিন পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পাকিস্তানের  পণ্যগুলো ‘লাল তালিকামুক্ত’ করা হয়েছে।


দেশে উৎপাদনমুখী পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে পাকিস্তানি তুলা, সুতা ও কাপড়ের চাহিদা রয়েছে।  


এছাড়া পাকিস্তানের  শিশুখাদ্য, জুস, কাটলারি ও অস্ত্রোপচার সরঞ্জামেরও বড় বাজার রয়েছে বাংলাদেশে।


পাকিস্তান সরকারের তথ্য মতে, ২০২৩ সালেও বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ডলারের বেশি পণ্য। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে ৬৫ কোটি ৫ লাখ ডলারের পণ্য।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন, share করুন এবং এইরকম  ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


Sunday, September 29, 2024

জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন কি? এই ডিভিশন কারা পাবেন?

জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন কি? এই ডিভিশন কারা পাবেন? 


আসসালামু আলাইকুম, আজ আমরা আলোচনা করব জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন এর ব্যাপারে। 


সারা পৃথিবীর এবং সব অপরাধীদের কাছেই জেলখানা একটা ভয়ংকর জায়গা। যেখানে কেউই কোন সুখের কিছু আশা করে না, অনেক বাধ্য বাধকতার মধ্যে যেখানে আবদ্ধ থাকতে হয়। এই কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যেই কিছু অপরাধী অন্যদের তুলনায় ভালো সুযোগ পান যা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জেলখানার সেই সৌভাগ্যবান অপরাধী কারা? এবং তারা কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পান? 



বিবিসি বাংলাকে , সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুল হায়দার সিদ্দিকী

বলেন, জেল কোড অনুসারে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কারাগারে ডিভিশন প্রদান করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশেও কাউকে কাউকে ডিভিশন দেওয়া হয়। 


তিনি বলেন, তিন শ্রেণীর ডিভিশন দেয়া হয়ে থাকে। ডিভিশন-১, ডিভিশন-২ এবং ডিভিশন-৩।


এ ধরনের ডিভিশনপ্রাপ্তরা কি ধরনের সুবিধা পাবেন জানতে চাইলে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মি: হায়দার বলেন, " বিধি অনুসারে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন-প্রাপ্তদের প্রত্যেক বন্দির জন্য আলাদা রুম থাকে। খাট, টেবিল,চেয়ার,তোষক,বালিশ, তেল, চিরুনী, আয়না সবকিছুই থাকে। আর তার কাজকর্ম করে দেয়ার জন্য আরেকজন বন্দীও দেয়া হয়। ছেলে বন্দীর ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হিসেবে ছেলে আর মেয়ে বন্দীর জন্য একজন মেয়ে থাকবেন।"


এছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে কারাগারের ভেতরে পাঠিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বন্দির চাহিদার প্রেক্ষিতে বইপত্র এবং দু-তিনটি দৈনিক পত্রিকাও থাকবে। 


সাধারণ বন্দিদের চেয়ে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির খাবারের মানও যথেষ্ট ভালো থাকে। সাধারণ বন্দিরা যেখানে ফ্লোরে শুয়ে থাকেন সেখানে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা খাটের উপরে শুয়ে থাকেন। 


সাধারণত সামাজিক মান- মর্যাদা অবস্থান বিবেচনায় ডিভিশন প্রদান করা হয় বলে জানান সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক শামসুল হায়দার।


কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পান সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সিআইপি ও সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া ডিভিশন সুবিধার জন্য যে কোনো বন্দি নিজের সামাজিক অবস্থান তুলে ধরে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন।


কারা কর্তৃপক্ষ সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসবে তিনি ডিভিশন পাবেন কি-না?


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালত যদি কোনো বন্দিকে ডিভিশন সুবিধার আবেদন মঞ্জুর করে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়- তাহলে সেই বন্দি ডিভিশন সুবিধা পেয়ে থাকেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ে...