নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন , জমজমের পানি যেই নিয়তে পান করা হয় সেই নিয়ত হাছেল হয়। অন্য হাদীছে আছে, জমজমের পানি পেট ভরার জন্য খেলে পেট ভরে আর তৃষ্ণা নিবারণের জন্য খেলে পিপাসা মিটে। উহা জিব্রাঈলের খেদমত, ইছমাঈলের রাস্তা। খেদমত অর্থ জিব্রাঈলের চেষ্টায় উহা বাহির হয়েছে। নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন আর সাধারণ পানি বসে পান করতেন।
বিখ্যাত হাদিছ সম্রাট ছুফিয়ান বিন্ উয়াইনার খেদমতে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হুজুর! জমজমের পানি যে নিয়তে খাওয়া হয় সেই নিয়ত পুরা হয়- এই হাদীছ কি সত্য? তিনি বলেন, হাঁ সত্য। লোকটি বলল, আমি
এই নিয়তে পান করেছি যে, আপনি আমাকে ২০০ শত হাদীছ শুনাবেন। তিনি বললেন, আচ্ছা বস। এই বলে তিনি দুই শত হাদীছ শুনিয়ে দিলেন।
হজরত ওমর (রাঃ) জমজমের পানি পান করতে করতে বলেন, ইয়া আল্লাহ! আমি কেয়ামতের দিন পিপাসা নিবারণের জন্য পান করতেছি।//
হাদীছে আছে, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের দিন জমজমের পানি খুব বেশী বেশী পান করেছেন এবং বলেছেন, আমার দেখাদেখি সকলেই শুরু করবে, নচেৎ আমি বালতি ভরে পান করতাম।
অন্য হাদিসে আছে, তিনি জমজমের পানি
চোখে দেন এবং মাথায় ঢালেন। নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, আমাদের এবং মোনাফেকদের মধ্যে পার্থক্য হল, আমরা জমজমের পানি পেট ভরিয়া পান করি আর তারা সাধারণভাবে পান করে।
হজরত মা আয়েশা (রাঃ) জমজমের পানি তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতেন এবং বলতেন, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও জমজমের পানি সঙ্গে নিয়া যেতেন এবং রুগীদের উপর ছিটিয়ে দিতেন। তাহনীকের সময় অর্থাৎ বাচ্চার মুখের প্রথম খাদ্য খাওয়ানোর সময় হজরত হাছান হোসেনের মুখে জমজমের পানি দেয়া হয়।
মে'রাজের রাত্রে হজতর জিব্রাইল (আঃ) হুজুরের ছিনা চাক করে অর্থাৎ ছিনা ফেড়ে কলব জমজমের পানি দ্বারা ধুইয়েছিলেন। অথচ জিব্রাঈল (আঃ) বেহেশত হতে বোরাক, তশতরী আরও কতকিছু এনেছিলেন। ইচ্ছা করলে পানিও আনতে পারতেন। কিন্তু আনেননি। ইহা হতে বড় ফজীলত আর কি হতে পারে?
হজরত ইবনে আব্বাছ (রাঃ) বলেন, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জমজমের পানি পান করে এই দোয়া পড়তেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَزِرْنَا وَاسْعًا وَشِفَاء مِنْ
আল্লাহম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিজকান ওয়াসিয়ান ওয়া শিফাআন মিন কুল্লি দাঈ
كُلِّ دَاءٍ - "
অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট উপকারী এলেম, প্রশস্ত রিজিক ও যাবতীয় রোগ হতে শেফা চাইতেছি। //
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন।
তারা আরও বলেছে, এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে। এছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়
পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।