Friday, August 14, 2020

Why wine is forbidden in earthly life? - --জান্নাতে মদ জায়েজ হলেও দুনিয়াতে কেন হারাম?

 প্রশ্নটি জানার জন্য করে থাকলে ঠিক আছে কিন্তু আল্লাহর হুকুমকে চ্যালেঞ্জ করে প্রশ্ন করলে তা হবে দৃষ্টতা। আল্লাহ যেকোন জবাবদিহি থেকে পবিত্র। তিনি কাউকে হিসাব দেন না হিসেব নেন।


দুনিয়াতে 'মদ্যপান' কেন হারাম?


মদ হল সমস্থ খারাপের মা। এর দ্বারাই সমস্থ খারাপ জন্ম নেয়। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে তৈরি করেছেন এবং তিনি জানেন কোন জিনিসের মধ্যে মানুষের কল্যাণ আর কিসের মধ্যে মানুষের অকল্যান? এইজন্য তিনি পৃথিবীতে মানুষের জন্য মদ পান নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন, কারন মানুষের এই ক্ষমতা নেই,মদের মধ্যে যে অসংখ্য খারাপ দোষ আছে তা পরিশুদ্ধ করে মদ তৈরি করা, এজন্য এই মদ খেলে মানুষ পশুর চেয়ে নিম্নস্তরে চলে যায় যখন মনুষ্যত্ব শেষ হয়ে যায় তখন তাকে দিয়ে যেকোন অপকর্ম করানো যায় আর শয়তান সেই সুযোগটা (ব্যভিচার, জুয়া, খুন, অশ্লীলতা) নেয়।


আর জান্নাতের মদকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে তার নেক বান্দাদের জন্য তৈরি করেছেন যাতে কোন দোষ নেই যার মধ্যে আছে শুধু উপকারই উপকার। যা পৃথিবীর মদের সমস্থ দোষ থেকে পাক। আল্লাহ মানুষের জন্য জান্নাত রেখেছেন পবিত্র উপকারী মদ আর আমরা মানুষেরা পছন্দ করি নাপাক দোষ যুক্ত মদ যার মাধ্যমে আমরা তাড়াতাড়ি মৃত্যুকে ডেকে আনার চেষ্টা করি।


চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন শুধু মদ পানের কারনেই মানুষ যে সমস্থ রোগে আক্রান্ত হয় তার কিছু নিচে উল্লেখ করা হলঃ


১. যকৃৎ বা কলিজা শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া। যা লিভার সিরোসিস নামে পরিচিত।


২. অম্লনালীর ক্যান্সার এবং মাথা, গলা, কলিজা ও মল নালীর ক্যান্সার।


৩. অগ্ন্যাশয় ও যকৃতের প্রদাহ।


৪. হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বা হৃদয় স্পন্দন সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ, হাইপার টেনশান।


৫. হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালেন নালী সমূহের যাবতীয় রোগ, গলনালী প্রদাহ এবং হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া।


৬. পক্ষাঘাত, সন্যাস রোগ এরকম আরো অন্যান্য প্যারালাইসিস।


৭. স্নায়ু ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগ।


আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন,


"শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতাও ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে ও সালাতে (নামাজে) বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?" (সূরা মায়িদাহ, আয়াত : ৯০-৯১)


আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন,


"তারা আপনাকে মদ, জুয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করে আপনি বলুন উভয়টিতে রয়েছে মহাপাপ "।


(সূরা বাকারা, আয়াত ২১৯)


আল্লাহপাক আরও বলেন,


" হে ঈমানদারগণ নিশ্চয় মদ, জুয়া, পূজার বেদি, লটারি ইত্যাদি ঘৃণিত ও শয়তানের কাজ, তোমরা এ থেকে বিরত থাকলে সফল হবে"। (সূরা মায়িদা, আয়াত ৯০)


মদ মদিনায় নিষিদ্ধ করা হয় এর আগে নিষিদ্ধ ছিল না, যখন মদ নিষিদ্ধের আয়াত নাযিল হয় তখন মদিনার লোকজন মদের পাত্রগুলো ভেঙে ফেলে, ঘরের বাহিরে নিক্ষেপ করে এবং শরাবখানাগুলো ধ্বংস করে দেয়। তখন মদিনার অবস্থা এমন হয় যে, অলিগলি সর্বত্র পানির মতো মদ প্রবাহিত হয়।মনে হয় যেন ছোট খাট বন্যা। এর দ্বারা সমগ্র আরব এই দুর্গন্ধ যুক্ত বস্তু হতে মুক্ত হয়ে যায়।


কিয়ামতের পূর্বে মদ/মাদকতা এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যে মদ পানকারীরা তা পান করাকে অপরাধ মনে করবে না।


হাদিসে এসেছে, আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের আলামতসমূহের মধ্যে রয়েছে, ইলম উঠে যাবে, মূর্খতা, ব্যভিচার ও মদ্যপান বেড়ে যাবে। পুরুষের সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, শেষ জামানায় মানুষ মদকে বিভিন্ন নামের ছদ্মাবরণে পান করবে বলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। (এখানে একটা কথা বলি আমাদের দেশে যে এনার্জি ড্রিংক পাওয়া যায় তার মধ্যে  এলকোহল আছে কি?)


মাদকদ্রব্যের ব্যবসাও হারাম,


মুসলিমদের জন্য মদ, হেরোইন ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ মদপান, তা ক্রয়-বিক্রয় ও এর বিনিময় হারাম করেছেন"।


মাদক ও মাদকাসক্তির সাথে সম্পর্ক রাখে এমন ১০ শ্রেণির লোকের প্রতি রাসূল (সাঃ) অভিশাপ করেছেন। হযরত আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,


১. যে লোক মদের নির্যাস বের করে। ২. প্রস্তুতকারক। ৩. মদপানকারী। ৪. যে পান করায়। ৫. মদের আমদানিকারক। ৬. যার জন্য আমদানি করা হয়। ৭. বিক্রেতা। ৮. ক্রেতা। ৯. সরবরাহকারী এবং ১০. মাদক ব্যবসায় লভ্যাংশ ভোগকারী।


(মুসনাদে আবি হানিফা, হাসকাফির বর্ণনা, হাদিস : ৩৫)


মাদক বিষয়ে নবী (সাঃ)-এর অসংখ্য বাণী রয়েছে। তিনি বলেছেন, মাদক গ্রহণকারী জান্নাতে যাবে না (ইবনে মাজাহ)


" আমার উম্মতের একদল লোক মদ পান করবে তারা মদকে অন্য পানীয়ের নামে নাম পরিবর্তন করে পান করবে। নেতাদের গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সম্মান দেখানো হবে। যখন এ দিন আসবে তখন ভূমিধস, বানর, শূকরের মতো আকৃতি বিকৃতি হবে"। (বুখারি-ইবনে মাজাহ)।


হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আরো বলেন,


“ আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি মদ পান করবে আল্লাহ তায়ালা তার থেকে চল্লিশ দিন পর্যন্ত কোন নামায ক্ববুল করবেন না”। (সিলসিলাতুস সহিহা) অর্থাৎ মাদক ও ইসলামের ইবাদত একসাথে চলতে পারেনা।


তিনি (সঃ) আরো বলেন,


“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন এমন খাবারের বৈঠকে না বসে যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়”।


( আহমদ)


নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: আমার উম্মতের মাঝে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে যারা ব্যাভিচার, রেশমী কাপড়, মদ ও বাদ্য যন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে।


(বুখারী ৫১৭৬)


এমন সকল বস্ত, যা নেশাগ্রস্ত করে অনেক পরিমাণে তা নিষেধ (হারাম)।এমনকি তা অল্প পরিমাণ গ্রহণ করা হলেও। তাই এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। তা এক ঢোক অথবা এক ড্রাম।


মদ পান করা অবস্থায় মদ পানকারী কোন মুসলিমের ঈমান থাকেনা। অতএব যদি এ অবস্থায় মৃত্যু এসে যায় তাহলে তাকে বে-ঈমান হয়ে মরতে হবে।


কেননা হাদীসে এসেছে: আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন: নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: ব্যভিচারী ব্যাভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্হায় ঈমানদার থাকেনা, মদ পানকারী মদ পান করার সময় ঈমানদার থাকেনা এবং চোর চুরি করার সময় ঈমানদার থাকেনা।


(হাদীসটি বুখারী (২৪৭৫,৫৫৭৮,৬৭৭২), মুসলিম (৫৭), তিরমিযী (২৬২৫), নাসাঈ (৪৮৭০,৪৮৭১), আবূ দাঊদ (৪৬৮৯), ইবনে মাযাহ (৩৯৩৬), আহমদ (৭২৭৬) ও দারেমী (২১০৬)


আখেরাতে মদ পানকারীর শাস্তি


জাবের (রাঃ) হতে বর্নিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "সকল প্রকার মাতালকারী বস্তু হারাম। আর আল্লাহ এ অঙ্গীকার করেছেন যে, যে ব্যক্তি মাতালকারী বস্তু পান করবে তিনি তাকে তীনাতুল খাবাল ভক্ষন করাবেন। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল! ত্বীনাতুল খাবাল কি? তিনি বললেন: জাহান্নামীদের ঘাম অথবা জাহান্নামীদের থেকে নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত নিকৃষ্ট রস।


(হাদীসটি ইমাম মুসলিম (২০০২) ও নাসাঈ (৫৭০৯) বর্ননা করেছেন)


Thursday, August 13, 2020

ভারতকে আগে ইষ্ট ইন্ডিয়া" কোম্পানি কেন বলত? Why INDIA is called East India company?

 

আগে বলা হত এখন নয়।


ষোড়শ শতাব্দী থেকে সমগ্র ইউরোপীয় দেশসমুহের কাছে দক্ষিণ এশিয়া এবং সমগ্র দক্ষিণ পুর্ব এশিয়া "ইষ্ট ইন্ডিয়া" ( East India) নামে পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলের মসলা, কাপড় এবং বিভিন্ন ধরনের সৌখিন বিলাস সামগ্রী ইউরোপ বাসীদের কাছে খুব প্রিয় ছিল। যার ফলশ্রুতিতে ধুর্ত ইংরেজদেরকে এখানে টেনে আনে এবং তারা পর্তুগাল, ফ্রেঞ্চ, ডাচ ইত্যাদি বিদেশি বনিকদের হটিয়ে নিজেরা একচেটিয়া ব্যবসা শুরু করে এবং ২০০ বছরের শোষণ ও নিস্পেষনের শিকার হতে হয়।


১৯৪৭ এর পরে "ইষ্ট ইন্ডিয়া" বলতে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত অঞ্চল। ভৌগলিকভাবে যা উত্তর ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারত অঞ্চল দুইটির মাঝে অবস্থিত। এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে যার সাথে উল্লিখিত অঞ্চলের ভাষাগত ও সংস্কৃতিগতভাবে সম্পর্ক বিদ্যমান।

https://www.nationalgeographic.com/culture/topics/reference/british-east-india-trading-company-most-powerful-business/


Wednesday, August 12, 2020

ইনকা সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার কারন কি?

 প্রশ্নকারীকে ধন্যবাদ। আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম সারা পৃথিবীতে যেখানেই মুসলমানরা গিয়েছে সেখানে স্থানীয় মানুষদের উন্নতি আর অগ্রগতির চিন্তা করেছে তাদের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করেছে। স্পেনে মুসলিমরা যাওয়ার আগে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থ কেমন ছিল আর তাদের শাসনামলে কত উন্নতি ঘটেছিল আমার এই ব্যাপারে একটা লেখা নিচে দেয়া হল। যাহোক এত কথা বলার উদ্দেশ্য হল একটা সমৃদ্ধ জাতিকে স্পেনিয়রা কিভাবে পৈশাচিকভাবে শেষ করে দিয়েছে তার কাহিনী নিচে আসতেছে।


নিষ্ঠুর স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা বারবার আঘাত হেনেছিল ইনকাদের স্বর্নভুমিতে, পৃথিবীর অন্যতম একটা সভ্যতাকে যারা মিশরীয়দের মত অনেক উন্নত কলাকৌশল জানত তাদের দেশে লুটপাট, হত্যাসহ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল ইনকা সভ্যতার সমৃদ্ধ শহরগুলো। মূলত সেই ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ইনকা সম্পর্কে খুব অল্পই তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।


ইনকা সভ্যতা ধ্বংসের জন্য দায়ী করা হয় স্প্যানিশ ফ্রানসিসকো পিজারোকে। পিজারো স্পেন থেকে ১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে হিসপানিওয়ালা (বর্তমানকালে হাইতি ও ডোমেনিকান রিপাবলিক) দ্বীপে আসেন। ১৫০৯ খ্রিষ্টাব্দে কলোম্বিয়া অভিযানে অংশ নেন। এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি পানামা পৌঁছান। এখানে এসে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার স্বর্ণসমৃদ্ধ ভূখণ্ডের কথা জানতে পারে। ১৫২০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে পরপর দুটো অভিযান চালান। এই সময় তিনি ইনকাদের সাম্রাজ্যের প্রবেশ করেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে কিছু ইনকা জাতির লোককে বন্দী করেন এবং সেই সাথে প্রচুর সোনাদানা নিয়ে স্পেনে ফিরে আসেন।


১৫২৭ সালে ইনকা সাম্রাজ্যে এক মহামারী দেখা দেয়। সেই মহামারিতে ইনকা রাজা ও তার উত্তরসূরি ছেলে মারা যান। রাজার অন্য দুই ছেলের মধ্যে সিংহাসনের লড়াইয়ে দেশজুড়ে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এদের একজন অ্যাটাহুয়ালপা জিতে গেলেও খুব বেশি দিন টিকতে পারেননি। স্প্যানিশ ফ্রানসিসকো পিজারো কুট কলাকৌশল এর মাধ্যমে দুই দলকে সমর্থন দিয়ে যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী রুপ দিয়ে তাদের শক্তি নিঃশেষ করে দেয়।


এরপর পিজারো স্পেনের তৎকালীন রাজা পঞ্চম চার্লস-এর কাছে পেরু দখল এবং সেখানকার শাসক হওয়ার অনুমতি চান। রাজা পঞ্চম চার্লস পিজারোকে এই অভিযানে অনুমতি দেন । ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বর্তমান পেরুতে পৌঁছান। ১৭৭ জন সৈন্য ও ৬২টি ঘোড়া নিয়ে কাজামারকা শহরে যাত্রা করেন। সে সময়ের ইনকা সম্রাট তখন আটাহুয়ালপা কাজামারকা শহরে অবস্থান করছিলেন। পিজারো কাজামারকা শহরের কাছে এসে ইনকা সম্রাটের কাছে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা অনুমতি প্রার্থনা করেন। সম্রাট তাঁকে ঘোরাফেরার অনুমতি দিলে, ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর তিনি শহরে প্রবেশ করেন। ১৬ই নভেম্বর তিনি শহরের একটি খোলা জায়গায় আটাহুয়ালপা ও ইনকা অভিজাতদের ভোজে নিমন্ত্রণ করেন। ইনকা সম্রাট এবং অভিজাত শ্রেণির লোকেরা সরল বিশ্বাসে প্রায় নিরস্ত্র অবস্থায় নিমন্ত্রণ রক্ষা করার জন্য আসেন।পরে স্প্যানিশ সৈন্যরা তাঁদের ঘিরে ফেলেন এবং সম্রাট ছাড়া সকল অতিথিদেরকে হত্যা করে। কতবড় বিশ্বাসঘাতকতা?


এরপর পিজারো সম্রাটের মুক্তি পণ হিসেবে এক ঘর ভর্তি সোনা আর দুটি ঘর ভর্তি রূপা দাবী করেন। রাজ্যের অভিজাতরা পিজারোর সেই দাবী মেনে নেওয়ার পরও সম্রাটকে হত্যা করেন। সম্রাটের মৃত্যুর পর ইনকাদের প্রতিরোধ করার মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, পিজারো ইনকার রাজধানী কুজকো দখল করে নেয়। ইনকা সাম্রাজ্যে স্প্যানিশদের দখলে আসার পর, এরা সমগ্র অঞ্চল জুড়ে হত্যা, লুণ্ঠনের তাণ্ডব চালায়। ইনকাদেরকে দাস হিসেবে বিক্রয়ের কার্যক্রম চালায়। পুরো পেরু অঞ্চল দখলে আসার পর, ১৫৩৫ খ্রিষ্টাব্দে পিজারো লিমা নামে একটি নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করে এবং এই শহরে রাজধানী স্থাপন করে, পেরু শাসন করা শুরু করে।


এই সময় কৌশলী পিজারো, সম্রাট আটাহুয়ালপা-কে হত্যা করলেও, তার আরেক ভাই মানকো কাপাককে সিংহাসনে বসায়। ইতিমধ্যে লুটেরা স্প্যানিশদের মধ্যে স্বর্ণরৌপ্যের ভাগাভাগি নিয়ে হাঙ্গামা বাধে। মানকো তাদের এই হানাহানির সুযোগ নিয়ে পালিয়ে গিয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ভিলকা বাম্বায় আশ্রয় নেয় এবং নতুন রাজধানী পত্তন করে।


মানকো কাপাক ভিলকা বাম্বায় থেকে স্প্যানিশদের বিরুদ্ধে গুপ্ত যুদ্ধ পরিচালনা করা শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে এই যুদ্ধ চলার পরও স্প্যানিশরা ভিলকা বাম্বার অবস্থানই জানতে পারে নি। ১৫৭২ খ্রিষ্টাব্দে স্প্যানীয়রা ভিলকা বাম্বার অবস্থান খুজেঁ পায় এবং মানকো-কে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। মূলত এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সর্বশেষ ইনকা সম্রাট ও তার সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হয়ে যায়। এবং ইনকারা দাস দাসী হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে অনেককে দাস-দাসী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয় ইউরোপে।


১৫৪১ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রানসিসকো পিজারো ৬৬ বছর বয়সে লিমায় নিজ প্রাসাদে খুন হন। তার খারাপ পরিনতি হয় কিন্তু তার লোভ আর নিষ্ঠুরতার বলি হয় একটা প্রাচীন সাম্রাজ্য।


ছবিসুত্র এবংং তথ্যসূত্রঃইন্টারনেট (গুগল)














টাইম মেশিন আবিষ্কার করা হলে কি , ভবিষ্যতে থাকা লোকজন আমাদের সময় আসতে পারবে?

 আইনস্টাইনের সূত্রমতে, কোনো বস্তু যত দ্রুত গতিতে চলবে, তার সাপেক্ষে সময় তত স্থির থাকবে।তিনি আরো বলেন কোনো কিছুই আলোর চেয়ে অধিকতর গতিশীল হতে পারবে না অর্থাৎ আলোর গতি ধ্রুব। তার মানে মানুষ সেকেন্ডে ১ লক্ষ আলোকবর্ষ অতিক্রম করতেও পারবেনা আর স্বপ্ন সাধও পরিবর্তন হবে না। টাইম মেশিন বানাতে পারবে না। তারপরও বিজ্ঞানীরা আশায় বুক বাধে মানুষকে স্বপ্ন দেখান।

এখন তার আবার আলোর গতিতে ছুটতে না পারার বিকল্প হিসেবে ওয়ার্মহোল বা সময় সুড়ঙ্গের ধারণাটি নিয়ে এসেছেন।

আসলে আমিতো অত জ্ঞানী না তাই বিজ্ঞানীদের কথার ধার ধারি না। হাদিস কোরানের ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বলছি মানুষ কোটি বছর চেষ্টা করে আলোর গতিতে ছুটতেও পারবে না আর ওয়ারর্মহোলের আগা মাথা কিছুই মিলাতে পারবে না। আর ব্ল্যাকহোলের পাশে গিয়ে চক্কর খাওয়ার সাধও পুরা হবে না। আর না কোনদিন ভবিষ্যতে যেতে পারবে আর না অতীতে। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম গতিতে ছুটেছেন শুধু একজন মানুষ যিনি হলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তার স্পেসস্যুটও লাগেনি আর অক্সিজেন মাক্স আর টাইম মেশিনও লাগেনি। আর যেখানে ( উচ্চতা এবং যার সাথে দেখা করেছেন). তিনি পৌছেছিলেন কোন ফেরেশতাও সেখানে যেতে পারে না।

https://www.kalerkantho.com/amp/online/info-tech/2020/05/10/909823

Saturday, August 1, 2020

আজ ঈদুল আযহাহ

আজ বাংলাদেশে ঈদুল আযহাহ উৎযাপিত হতে যাচ্ছে।



শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লি...