Wednesday, May 1, 2024

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লিভার বা যকৃত থেকে তৈরি হয়। কোলেস্টেরল  পানিতে দ্রবীভূত না হওয়ার কারণে শরীরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত নিজে নিজে চলাচল করতে পারে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। যেমন : হরমোন তৈরিতে, চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিনগুলোর পরিপাকে, কোষের মেমব্রেন এবং ভিটামিন ডি তৈরিতে। 



ভালো কোলেস্টেরল রক্তনালির পুষ্টি জোগায়, রক্তনালির দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা দেয়। আর খারাপ কোলেস্টেরল  বাড়লে তা রক্তনালীর দেয়ালে জমতে থাকে। কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে  রক্ত চলাচলের রাস্তা  বন্ধ করে দেয়,শরীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।। যার ফলে  হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। 



যেই ১০ টা লক্ষণ দেখলে আপনি নিজে বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বেধেছে 


১) জিভের ওপর ছোট ছোট দানার মতো আস্তরণ যখন সারা জিভে ছড়িয়ে পড়ে ও রং পরিবর্তন করে বিবর্ন করে তখন  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


২) উচ্চ কোলেস্টেরলের প্রভাব সবার আগে চোখেই পড়ে। চোখের কর্নিয়ার পাশে ধুসর দাগ দেখা দিলে বা সাদা বা হলুদ রঙের ছোট ছোট আচিলের মত দানা চোখের চারপাশে ভরে গেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে বলে ধরে নিতে হবে। 



৩) খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে  ঘাড় ও মাথার পেছনে ভীষণ ব্যথা হয় যা অস্বস্তিকর। 



৪) নিয়মিত হাত–পায়ের আঙুলে ঝিঁঝিঁ ধরলে বা অল্প হাঁটলেই পা যন্ত্রণা করলে,অবশ লাগলে, রাতে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হলে, এই উপসর্গ খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। 

দীর্ঘ দিন ধরে কোলেস্টেরল জমার ফলে হৃদযন্ত্রের ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। ফলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বিশেষ করে দেহের নীচের অংশে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে পায়ে ঝিঁঝি ধরার মতো লক্ষণ দেখা যায়।



৫) কোলেস্টেরল বাড়লে তার প্রভাব নখেও পড়ে।নখের উজ্জ্বলতা হারিয়ে হলুদ হয়ে যায়। কখনো কখনো নখের নীচের দিকে কালো ও বাদামি রঙের রেখাও চোখে পড়ে।


৬) শরীরে তলপেটে মেদ জমতে শুরু করলে   উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। 


 ৭) খারাপ কোলেস্টেরল বেশি থাকা মানেই বুকে চাপ অনুভব করা, শ্বাসের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়া। অর্থাৎ অনেক সময় স্বাস নিতে কষ্ট হবে। 


 ৮) এছাড়াও শিরা ধমনীর ক্ষতি করে দেয় এই রোগ যা আপনার চোখে, মুখে ছাপ ফেলে দেয়।মাড়িতে ব্যথা হওয়া, হাতের অসারতা এবং  হাতে ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি।


৯) শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল  বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হবে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীর high blood pressure নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।


১০) বুকের বাম দিকে ব্যথা ও হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি। রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমে তৈরি হয় ব্লক। এ ব্লকের জন্য রক্তচাপ বাড়ে, দিনের পর দিন রক্তে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের শ্বাসকষ্ট হয় এবং  হৃৎস্পন্দনের অস্বাভাবিক গতি তৈরি হয়।



আপনার শরীরে কোলেস্টেরল খুব বেশি কিনা তা জানার একমাত্র উপায় হল রক্ত ​​পরীক্ষা। এবং রক্তে যদি কোলেস্টেরল এর মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসিলিটার এর বেশি থাকে তাহলে আপনাকে  সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন আপনার বয়স ২০ বছর হওয়ার পরে একজন ডাক্তারকে দিয়ে  আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান। তারপর প্রতি ৪ থেকে ৬ বছর পর পর আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান।



  কারো যদি  পারিবারিকভাবে  উচ্চ কোলেস্টেরলের ইতিহাস থাকে এবং আপনি  ৩ টি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন তাহলে বছরে ১-২ বার করে আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের পরীক্ষা করা উচিত। ঝুঁকি ৩ টি হলো :


১) উচ্চ রক্তচাপ বা high blood pressure 

২) অতিরিক্ত ওজন। 

৩) ধুমপানের অভ্যাস। 



এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।




Tuesday, April 30, 2024

আমাদের দেহে স্বাভাবিক কোলেস্টেরলের এর মাত্রা কেমন হওয়া উচিত?

শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা।সামান্য একটু হেঁটেই যদি পা ব্যথা হয় তাহলেও কিন্তু সাবধান। কোলেস্টেরলের সমস্যার কারণে এটা হতে পারে।এজন্য মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে আমাদের দেহের  কোলেস্টেরলের মাত্রা জানা দরকার। কোলেস্টেরল  বাড়লে তা রক্তনালীর দেয়ালে জমতে থাকে। কোলেস্টেরল বাড়লেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। 




কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করলে তা রক্তনালীর দেওয়ালে জমতে শুরু করে। 

তাই আমাদের সবারই কোলেস্টেরল এর ব্যাপারে  সচেতন থাকা উচিত । কোলেস্টেরল অনেক রোগ সৃষ্টির কারণ হলেও  আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা কতটুকু থাকা উচিত তার সম্পর্কে আমরা জানিনা। আজ আমরা সেই আলোচনায় আসছি। কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও যেরকম ক্ষতি আমার কম থাকাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।//



আমাদের শরীরে  ৪(চার) ধরনের লিপিড বা চর্বি বিদ্যমান  আছে। এই চার ধরনের লিপিড উপর  নির্ভর করে আমাদের  শরীরের প্রয়োজনীয় স্বাভাবিক  কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং সর্বনিম্ন মাত্রা হিসেব করা হয়। 


১) Low density Lipoprotein- কম ঘনত্বযুক্ত লিপোপ্রোটিন। 

২) High density Lipoprotein- বেশি ঘনত্ব যুক্ত লিপোপ্রোটিন। এই HDL আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। 

৩) Triglyceride -ট্রাইগ্লিসারাইড

৪) Total cholesterol in our body 



Low density Lipoprotein- কম ঘনত্বযুক্ত লিপোপ্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর একে  খারাপ বা 'bad cholesterol'  বলা হয় । এর মাত্রা সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ কত হওয়া উচিত? 


প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার জন্য রক্তে LDL এর স্বাভাবিক পরিমাণ ১০০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার ১০০mg/dl বা তার কম । রক্তে এর পরিমাণ ১৩০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এর উপরে গেলে শারীরিক সমস্যা শুরু হয় এবং তা যদি ১৯০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এর উপরে যায় তখন হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। 


High density Lipoprotein- বেশি ঘনত্ব যুক্ত লিপোপ্রোটিন এই কোলেস্টেরল হলো আমাদের শরীরের জন্য  উপকারী। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার জন্য রক্তে High density Lipoprotein-HDL এর স্বাভাবিক পরিমাণ ৫০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার ৫০mg/dl বা তার বেশি। 



Triglyceride -ট্রাইগ্লিসারাইড। ট্রাইগ্লিসারাইড আমাদের শরীরে মেদ আকারে  জমতে থাকে। খাবার খাওয়ার পরে আমাদের শরীরে যে শক্তি যে উৎপন্ন হয় তা কোথাও ব্যবহৃত না হলে ট্রাইগ্লিসারাইড হিসেবে আমাদের দেহে জমতে থাকে। 

আমাদের দেহে ট্রাইগ্লিসারাইড এর স্বাভাবিক মাত্রা ১৫০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার বা তার কম। ট্রাইগ্লিসারাইড এর সর্বোচ্চ মাত্রা  

২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার । 



Total cholesterol in our body:


LDL,HDL, Triglyceride এবং অন্যান্য সমস্ত 

কোলেস্টেরলের সর্বমোট  পরিমান হল টোটাল কোলেস্টেরল।টোটাল কোলেস্টেরলের হিসাব দ্বারা একজন মানুষের দেহের  কোলেস্টেরলের প্রকৃত অবস্থা  ভালো না খারাপ তা অনুধাবন করা যায় না। কারণ  LDL বা HDL যে কোনটিই বেশি হতে পারে। এই জন্য LDL ও HDL আলাদা আলাদা করে পরীক্ষা করতে হবে। 


প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে টোটাল কোলেস্টেরলের সর্বোচ্চ  মাত্রা ২৪০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার । শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ১৭০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এবং শিশুদের ক্ষেত্রে টোটাল কোলেস্টেরলের সর্বোচ্চ মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার। 


 কোলেস্টেরল মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য একটি লিপিড প্যানেল নামক রক্ত ​​​​পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা খুব সহজ।  একজন ডাক্তার রক্তের নমুনা নেবেন এবং বিশ্লেষণের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠাবেন। ডাক্তার আপনাকে নির্দেশ দিবেন  যে আপনি পরীক্ষার কমপক্ষে ১২ ঘন্টা আগে কিছু খাবেন না বা পান করবেন না।



এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।


Saturday, April 27, 2024

আই স্ট্রোক বা চোখের স্ট্রোক কি? কি তার লক্ষণ? (আই স্ট্রোক যার ক্ষতি আমরা খুব কম জানি)

 পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন স্ট্রোকে। এতে মৃত্যুহারও সর্বোচ্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে দ্বিতীয় প্রধান মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক। অসংক্রামক ব্যাধির মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে হৃদরোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান এবং শারীরিক অক্ষমতার জন্য স্ট্রোক সবচেয়ে বেশি দায়ী।

আমরা ইদানিং হিট স্ট্রোক সম্পর্কে খুব শুনছি, পত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন   স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণায় আর  হার্ট ও ব্রেন স্ট্রোক তো আমরা আগে থেকেই জানি। ডাক্তাররা নতুন আরেকটা স্ট্রোকের কথা বলছেন তা  হল  আই স্ট্রোক,যার ক্ষতি এবং লক্ষণ সমূহের  ব্যাপারে আমরা খুব কম জানি। //



চোখের গুরুত্ব কতখানি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কিছু ভুলের কারণে আপনার চোখেও স্ট্রোক হতে পারে। কিভাবে  জানেন কি? চোখের স্ট্রোকের প্রধান  ভিলেন হলো  আমাদের অতি পরিচিত কোলেস্টেরল। চোখের পিছন দিকে একটা সরু টিস্যু থাকে যাকে রেটিনা বলা হয় যাতে রক্ত পৌঁছয় রেটিনা ধমনী এবং শিরার মাধ্যমে । চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এই রেটিনা। কিন্তু যখন এই রেটিনার শিরাগুলো ব্লক হয়ে যায়  রক্ত তখন রেটিনা পর্যন্ত  পৌঁছতে পারে না। রেটিনার শিরাগুলি যখন  ব্লক হয়ে যায় তখনই হয়ে থাকে আই স্ট্রোক। এই সকল রক্তনালীগুলিতে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ না হলে সেগুলিতে  ব্লকেজ দেখা দেয়। আসলে চোখের রেটিনার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মস্তিষ্কের। তাই রেটিনার মধ্যে হঠাৎ করে যদি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তখনই  ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে একেবারেই দৃষ্টি শক্তি চলে যেতে পারে।
এই রোগটি সাধারণত যাঁদের বয়স  ৫০ বছরের বেশি  মূলত তাঁদের মধ্যেই বেশি  দেখা যায়।

যাদের আই স্ট্রোক হবার  সম্ভাবনা  বেশি তারা হলো :

১) যাদের উচ্চ রক্তচাপ ভুগছেন ।
২) যাদের বয়স ৫০ অতিক্রম করেছে।
৩) এবং যাদের ডায়াবেটিস আছে।

আই স্ট্রোক হবার লক্ষনগুলো হল :

১) চোখে অসম্ভব যন্ত্রণা হবে।

২) চোখে সব কিছু  ঝাপসা দেখবেন ।

৩) চোখের সামনে লম্বা লম্বা লাইন দেখতে পাবেন।

৪) একটা চোখের দৃষ্টি  খারাপ হয়ে যাবে।

৫) এরকম মনে হতে পারে যে  আপনার দেখার সময় চোখের সামনে কিছু একটা ভাসছে।

এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।


Friday, April 26, 2024

সরিষার তেল এতো ভালো হলে আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডা এসব দেশে সরিষার তেল খাওয়া নিষিদ্ধ কেন?

আমাদের এই উপমহাদেশের  শত শত বছর যাবৎ রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং আমাদের দেশের মানুষ সরিষার  তেল দিয়ে রান্না করতে  অভ্যস্ত। আমরা এটাকে ক্ষতিকর কিছু  মনে করি না। 


ভারত, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো এশিয়ান দেশগুলি রান্না এবং ভর্তা ভাজির জন্য প্রধানত সরিষার তেলের উপর নির্ভর করে।  তবে,অন্যান্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের দেশগুলো তাদের দেশে মানুষের ব্যবহারের জন্য এই তেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ইউরোপ, আমেরিকায় সরিষার তেলের  বোতলের উপর  লেখা থাকে "External use only" অর্থাৎ আপনি  বাহিরে প্রয়োগ করতে পারবেন কিন্তু খেতে পারবেন না। //



আমেরিকা , কানাডা এবং ইউরোপের দেশগুলো গবেষণায় পেয়েছে সরিষার তেলে প্রায় ২০-৪০ শতাংশ ইরুসিক অ্যাসিড আছে যা শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে। ট্রাইগ্লিসারাইড এর কারণে হৃদপিণ্ডে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়াও ফুসফুসের ক্যানসার ও অ্যানিমিয়া জন্যও এটি দায়ী।দীর্ঘস্থায়ী অ্যানিমিয়া হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর এবং অঙ্গের ক্ষতির মতো গুরুতর চিকিৎসা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।  



আমেরিকার  ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসনের  গবেষণার তথ্য মতে, সরিষার তেলে ইরুসিক অ্যাসিডের পরিমাণ খুব বেশি। এটি এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি সঠিকভাবে হজম হয় না এবং মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করে। ইরুসিক অ্যাসিড স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা সৃষ্টি করে এবং  অনেক মানসিক রোগের কারণ। 


সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ইরুসিক অ্যাসিড থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বাতের ব্যাথা এবং কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। ইরুসিক অ্যাসিড  ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।


ত্বকে সরিষার তেলের অতিরিক্ত প্রয়োগের কারণে চুলকানি হতে পারে।  অ্যালাইল আইসোথাওসায়ানেট নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান সরিষার তেলে উপস্থিত থাকে যা ফুসফুসের প্রদাহ এবং গুরুতর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের কারণ হতে পারে।



এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘকাল ধরে শরীরে ইরুসিক অ্যাসিড প্রবেশ করলে সেটি হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে এক ধরনের রোগের সৃষ্টি করে, যার নাম মায়োকার্ডিয়াল লিপিডোসিস। শরীরে অল্প মাত্রায় ইরুসিক অ্যাসিড প্রবেশ করলে সেটা নিরাপদ। কিন্তু এর মাত্রা অধিক হলেই  বিপজ্জনক হতে পারে মানব শরীরের জন্য।

সরিষার তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার  বিশেষ করে ছোট শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য ক্ষতিকর। 


আমেরিকা,কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাই নিষিদ্ধ সরষের তেল। এসব জায়গায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রান্নার কাজে সয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়। 

 

সরিষার তেলেরও  অনেক উপকার আছে কিন্তু এটা অতিরিক্ত  ব্যবহার করা যাবে না, বেশি খাওয়া যাবে না। যেটুকু ব্যবহার করব  সেটুকু  বিশুদ্ধ হওয়া উচিত।   



এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।


Wednesday, April 24, 2024

বজ্রপাতের সময় কি পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়? । What is lightning strikes।

আমরা ছোটবেলা থেকেই আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো দেখতে অভ্যস্ত এবং তার সাথে  বজ্রপাতের শব্দের সাথে পরিচিত। 


সব বজ্রপাত মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয় যেগুলো আকাশেই থেকে যায়  সেগুলো দ্বারা মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না কিন্তু যেগুলো মাটিতে নেমে আসে তা মানুষের জন্য অনেক সময়  ক্ষতির কারণ হয়। 



একটা বিদ্যুৎ চমকানো বজ্রপাতের স্থায়িত্ব সময় কাল হলো ৩০ মাইক্রো সেকেন্ড। এক মাইক্রো সেকেন্ড হলো  এক সেকেন্ডের ১০ লক্ষ ভাগের একভাগ। এক সেকেন্ড কে ৩৩ হাজার ৩৩৩  দিয়ে ভাগ করলে যা হয় তাই ৩০ মাইক্রো সেকেন্ড। এবং বজ্রপাত একটি বুলেটের চেয়ে প্রায় ৩০,০০০ গুণ দ্রুত চলে।এজন্য কোন চলমান প্রাণীর উপর  যদি বজ্রপাত হয়  তার দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার  যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। 


সারা বিশ্বে  প্রতি বছর বজ্রপাতে  প্রায় ২৫,০০০ মানুষ বজ্রপাতে মারা যায় এবং ২,৫০,০০০ আহত হয়।শুধু আমেরিকাতেই প্রতিবছর দুই কোটির বেশি বজ্রপাত হয়। পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে  লক্ষ লক্ষ  বজ্রপাত সৃষ্টি হয়।


 একটি বজ্রপাতের দ্বারা  যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় তা সূর্যপৃষ্টের উৎপন্ন তাপমাত্রার পাঁচ গুন। 


এক একটি বজ্রপাতের ফলে  বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। মেঘ থেকে ভূমিতে হওয়া একটি সাধারণ বজ্রপাতে প্রায় ১ এক বিলিয়ন ওয়াট বা ১ বিলিয়ন জুল  বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ হল ডিসি কারেন্ট। আমরা  বাসাবাড়িতে  ২২০ ভোল্ট এর বিদ্যুৎ ব্যাবহার করি। সাধারণ  হিসাবে  বজ্রপাতের দ্বারা সৃষ্ট এই বিদ্যুৎ একটি ছোট শহরের পুরো দিনের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। আমেরিকাতেই প্রতিবছর এরকম  দুই কোটির বেশি বজ্রপাত হয়। আর বাংলাদেশে প্রতিবছর  সাত আট লক্ষ বজ্রপাত হয়। এর মধ্যে যে বজ্রপাত গুলো  সরাসরি মাটিতে নেমে  আসার পরে মানুষের উপর পতিত হয়  তাতেই আমাদের দেশে  প্রতি বছর গড়ে ৩২০ থেকে  ৩৫০ জন মানুষের  মৃত্যু হয়। যেটা পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি।

ইনশাআল্লাহ বজ্রপাত নিয়ে আরো কিছু ভিডিও দিব। 


এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।



Tuesday, April 23, 2024

ট্রেনের ভাড়া বাড়বে যা ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে, কত ভাড়া বাড়বে?

বাংলাদেশ রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (২২/৪/২৪)  বলা হয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়। 


সম্প্রতি বাংলাদেশে রেলওয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে নতুন করে ভাড়া না বাড়িয়ে দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।



বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।



হ্যাঁ ট্রেনের ভাড়া বাড়বে যা কাছের যাত্রীদের জন্য না। যারা দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ  করবেন তাদের জন্য ভাড়া বাড়বে। অর্থাৎ দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেয়াত বা ডিসকাউন্ট প্রত্যাহারের কারণে ভাড়া বাড়বে অর্থাৎ যারা ১০০ কিলোমিটার উপরে ভ্রমণ করবেন তাদেরকেই বেশি ভাড়া দিতে হবে। ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের যাত্রীদের ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়বে না।  


রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে, তাহলে তাকে  বেশি ভাড়া দিতে হবে।




রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে,

 ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত বা ডিসকাউন্ট ছিল ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেয়াত বা ডিসকাউন্ট ছিল ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের ওপরে রেয়াত বা ডিসকাউন্ট ছিল ৩০ শতাংশ। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।





 

Sunday, April 21, 2024

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লি...