Friday, August 14, 2020

Why wine is forbidden in earthly life? - --জান্নাতে মদ জায়েজ হলেও দুনিয়াতে কেন হারাম?

 প্রশ্নটি জানার জন্য করে থাকলে ঠিক আছে কিন্তু আল্লাহর হুকুমকে চ্যালেঞ্জ করে প্রশ্ন করলে তা হবে দৃষ্টতা। আল্লাহ যেকোন জবাবদিহি থেকে পবিত্র। তিনি কাউকে হিসাব দেন না হিসেব নেন।


দুনিয়াতে 'মদ্যপান' কেন হারাম?


মদ হল সমস্থ খারাপের মা। এর দ্বারাই সমস্থ খারাপ জন্ম নেয়। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে তৈরি করেছেন এবং তিনি জানেন কোন জিনিসের মধ্যে মানুষের কল্যাণ আর কিসের মধ্যে মানুষের অকল্যান? এইজন্য তিনি পৃথিবীতে মানুষের জন্য মদ পান নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন, কারন মানুষের এই ক্ষমতা নেই,মদের মধ্যে যে অসংখ্য খারাপ দোষ আছে তা পরিশুদ্ধ করে মদ তৈরি করা, এজন্য এই মদ খেলে মানুষ পশুর চেয়ে নিম্নস্তরে চলে যায় যখন মনুষ্যত্ব শেষ হয়ে যায় তখন তাকে দিয়ে যেকোন অপকর্ম করানো যায় আর শয়তান সেই সুযোগটা (ব্যভিচার, জুয়া, খুন, অশ্লীলতা) নেয়।


আর জান্নাতের মদকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে তার নেক বান্দাদের জন্য তৈরি করেছেন যাতে কোন দোষ নেই যার মধ্যে আছে শুধু উপকারই উপকার। যা পৃথিবীর মদের সমস্থ দোষ থেকে পাক। আল্লাহ মানুষের জন্য জান্নাত রেখেছেন পবিত্র উপকারী মদ আর আমরা মানুষেরা পছন্দ করি নাপাক দোষ যুক্ত মদ যার মাধ্যমে আমরা তাড়াতাড়ি মৃত্যুকে ডেকে আনার চেষ্টা করি।


চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন শুধু মদ পানের কারনেই মানুষ যে সমস্থ রোগে আক্রান্ত হয় তার কিছু নিচে উল্লেখ করা হলঃ


১. যকৃৎ বা কলিজা শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া। যা লিভার সিরোসিস নামে পরিচিত।


২. অম্লনালীর ক্যান্সার এবং মাথা, গলা, কলিজা ও মল নালীর ক্যান্সার।


৩. অগ্ন্যাশয় ও যকৃতের প্রদাহ।


৪. হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বা হৃদয় স্পন্দন সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ, হাইপার টেনশান।


৫. হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালেন নালী সমূহের যাবতীয় রোগ, গলনালী প্রদাহ এবং হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া।


৬. পক্ষাঘাত, সন্যাস রোগ এরকম আরো অন্যান্য প্যারালাইসিস।


৭. স্নায়ু ও মস্তিষ্কের যাবতীয় রোগ।


আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন,


"শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতাও ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে ও সালাতে (নামাজে) বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?" (সূরা মায়িদাহ, আয়াত : ৯০-৯১)


আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন,


"তারা আপনাকে মদ, জুয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করে আপনি বলুন উভয়টিতে রয়েছে মহাপাপ "।


(সূরা বাকারা, আয়াত ২১৯)


আল্লাহপাক আরও বলেন,


" হে ঈমানদারগণ নিশ্চয় মদ, জুয়া, পূজার বেদি, লটারি ইত্যাদি ঘৃণিত ও শয়তানের কাজ, তোমরা এ থেকে বিরত থাকলে সফল হবে"। (সূরা মায়িদা, আয়াত ৯০)


মদ মদিনায় নিষিদ্ধ করা হয় এর আগে নিষিদ্ধ ছিল না, যখন মদ নিষিদ্ধের আয়াত নাযিল হয় তখন মদিনার লোকজন মদের পাত্রগুলো ভেঙে ফেলে, ঘরের বাহিরে নিক্ষেপ করে এবং শরাবখানাগুলো ধ্বংস করে দেয়। তখন মদিনার অবস্থা এমন হয় যে, অলিগলি সর্বত্র পানির মতো মদ প্রবাহিত হয়।মনে হয় যেন ছোট খাট বন্যা। এর দ্বারা সমগ্র আরব এই দুর্গন্ধ যুক্ত বস্তু হতে মুক্ত হয়ে যায়।


কিয়ামতের পূর্বে মদ/মাদকতা এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যে মদ পানকারীরা তা পান করাকে অপরাধ মনে করবে না।


হাদিসে এসেছে, আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের আলামতসমূহের মধ্যে রয়েছে, ইলম উঠে যাবে, মূর্খতা, ব্যভিচার ও মদ্যপান বেড়ে যাবে। পুরুষের সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, শেষ জামানায় মানুষ মদকে বিভিন্ন নামের ছদ্মাবরণে পান করবে বলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। (এখানে একটা কথা বলি আমাদের দেশে যে এনার্জি ড্রিংক পাওয়া যায় তার মধ্যে  এলকোহল আছে কি?)


মাদকদ্রব্যের ব্যবসাও হারাম,


মুসলিমদের জন্য মদ, হেরোইন ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ মদপান, তা ক্রয়-বিক্রয় ও এর বিনিময় হারাম করেছেন"।


মাদক ও মাদকাসক্তির সাথে সম্পর্ক রাখে এমন ১০ শ্রেণির লোকের প্রতি রাসূল (সাঃ) অভিশাপ করেছেন। হযরত আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,


১. যে লোক মদের নির্যাস বের করে। ২. প্রস্তুতকারক। ৩. মদপানকারী। ৪. যে পান করায়। ৫. মদের আমদানিকারক। ৬. যার জন্য আমদানি করা হয়। ৭. বিক্রেতা। ৮. ক্রেতা। ৯. সরবরাহকারী এবং ১০. মাদক ব্যবসায় লভ্যাংশ ভোগকারী।


(মুসনাদে আবি হানিফা, হাসকাফির বর্ণনা, হাদিস : ৩৫)


মাদক বিষয়ে নবী (সাঃ)-এর অসংখ্য বাণী রয়েছে। তিনি বলেছেন, মাদক গ্রহণকারী জান্নাতে যাবে না (ইবনে মাজাহ)


" আমার উম্মতের একদল লোক মদ পান করবে তারা মদকে অন্য পানীয়ের নামে নাম পরিবর্তন করে পান করবে। নেতাদের গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সম্মান দেখানো হবে। যখন এ দিন আসবে তখন ভূমিধস, বানর, শূকরের মতো আকৃতি বিকৃতি হবে"। (বুখারি-ইবনে মাজাহ)।


হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আরো বলেন,


“ আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি মদ পান করবে আল্লাহ তায়ালা তার থেকে চল্লিশ দিন পর্যন্ত কোন নামায ক্ববুল করবেন না”। (সিলসিলাতুস সহিহা) অর্থাৎ মাদক ও ইসলামের ইবাদত একসাথে চলতে পারেনা।


তিনি (সঃ) আরো বলেন,


“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন এমন খাবারের বৈঠকে না বসে যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়”।


( আহমদ)


নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: আমার উম্মতের মাঝে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে যারা ব্যাভিচার, রেশমী কাপড়, মদ ও বাদ্য যন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে।


(বুখারী ৫১৭৬)


এমন সকল বস্ত, যা নেশাগ্রস্ত করে অনেক পরিমাণে তা নিষেধ (হারাম)।এমনকি তা অল্প পরিমাণ গ্রহণ করা হলেও। তাই এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। তা এক ঢোক অথবা এক ড্রাম।


মদ পান করা অবস্থায় মদ পানকারী কোন মুসলিমের ঈমান থাকেনা। অতএব যদি এ অবস্থায় মৃত্যু এসে যায় তাহলে তাকে বে-ঈমান হয়ে মরতে হবে।


কেননা হাদীসে এসেছে: আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন: নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: ব্যভিচারী ব্যাভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্হায় ঈমানদার থাকেনা, মদ পানকারী মদ পান করার সময় ঈমানদার থাকেনা এবং চোর চুরি করার সময় ঈমানদার থাকেনা।


(হাদীসটি বুখারী (২৪৭৫,৫৫৭৮,৬৭৭২), মুসলিম (৫৭), তিরমিযী (২৬২৫), নাসাঈ (৪৮৭০,৪৮৭১), আবূ দাঊদ (৪৬৮৯), ইবনে মাযাহ (৩৯৩৬), আহমদ (৭২৭৬) ও দারেমী (২১০৬)


আখেরাতে মদ পানকারীর শাস্তি


জাবের (রাঃ) হতে বর্নিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "সকল প্রকার মাতালকারী বস্তু হারাম। আর আল্লাহ এ অঙ্গীকার করেছেন যে, যে ব্যক্তি মাতালকারী বস্তু পান করবে তিনি তাকে তীনাতুল খাবাল ভক্ষন করাবেন। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল! ত্বীনাতুল খাবাল কি? তিনি বললেন: জাহান্নামীদের ঘাম অথবা জাহান্নামীদের থেকে নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত নিকৃষ্ট রস।


(হাদীসটি ইমাম মুসলিম (২০০২) ও নাসাঈ (৫৭০৯) বর্ননা করেছেন)


Thursday, August 13, 2020

ভারতকে আগে ইষ্ট ইন্ডিয়া" কোম্পানি কেন বলত? Why INDIA is called East India company?

 

আগে বলা হত এখন নয়।


ষোড়শ শতাব্দী থেকে সমগ্র ইউরোপীয় দেশসমুহের কাছে দক্ষিণ এশিয়া এবং সমগ্র দক্ষিণ পুর্ব এশিয়া "ইষ্ট ইন্ডিয়া" ( East India) নামে পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলের মসলা, কাপড় এবং বিভিন্ন ধরনের সৌখিন বিলাস সামগ্রী ইউরোপ বাসীদের কাছে খুব প্রিয় ছিল। যার ফলশ্রুতিতে ধুর্ত ইংরেজদেরকে এখানে টেনে আনে এবং তারা পর্তুগাল, ফ্রেঞ্চ, ডাচ ইত্যাদি বিদেশি বনিকদের হটিয়ে নিজেরা একচেটিয়া ব্যবসা শুরু করে এবং ২০০ বছরের শোষণ ও নিস্পেষনের শিকার হতে হয়।


১৯৪৭ এর পরে "ইষ্ট ইন্ডিয়া" বলতে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত অঞ্চল। ভৌগলিকভাবে যা উত্তর ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারত অঞ্চল দুইটির মাঝে অবস্থিত। এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে যার সাথে উল্লিখিত অঞ্চলের ভাষাগত ও সংস্কৃতিগতভাবে সম্পর্ক বিদ্যমান।

https://www.nationalgeographic.com/culture/topics/reference/british-east-india-trading-company-most-powerful-business/


Wednesday, August 12, 2020

ইনকা সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার কারন কি?

 প্রশ্নকারীকে ধন্যবাদ। আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম সারা পৃথিবীতে যেখানেই মুসলমানরা গিয়েছে সেখানে স্থানীয় মানুষদের উন্নতি আর অগ্রগতির চিন্তা করেছে তাদের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করেছে। স্পেনে মুসলিমরা যাওয়ার আগে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থ কেমন ছিল আর তাদের শাসনামলে কত উন্নতি ঘটেছিল আমার এই ব্যাপারে একটা লেখা নিচে দেয়া হল। যাহোক এত কথা বলার উদ্দেশ্য হল একটা সমৃদ্ধ জাতিকে স্পেনিয়রা কিভাবে পৈশাচিকভাবে শেষ করে দিয়েছে তার কাহিনী নিচে আসতেছে।


নিষ্ঠুর স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা বারবার আঘাত হেনেছিল ইনকাদের স্বর্নভুমিতে, পৃথিবীর অন্যতম একটা সভ্যতাকে যারা মিশরীয়দের মত অনেক উন্নত কলাকৌশল জানত তাদের দেশে লুটপাট, হত্যাসহ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল ইনকা সভ্যতার সমৃদ্ধ শহরগুলো। মূলত সেই ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ইনকা সম্পর্কে খুব অল্পই তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।


ইনকা সভ্যতা ধ্বংসের জন্য দায়ী করা হয় স্প্যানিশ ফ্রানসিসকো পিজারোকে। পিজারো স্পেন থেকে ১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে হিসপানিওয়ালা (বর্তমানকালে হাইতি ও ডোমেনিকান রিপাবলিক) দ্বীপে আসেন। ১৫০৯ খ্রিষ্টাব্দে কলোম্বিয়া অভিযানে অংশ নেন। এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি পানামা পৌঁছান। এখানে এসে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার স্বর্ণসমৃদ্ধ ভূখণ্ডের কথা জানতে পারে। ১৫২০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে পরপর দুটো অভিযান চালান। এই সময় তিনি ইনকাদের সাম্রাজ্যের প্রবেশ করেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে কিছু ইনকা জাতির লোককে বন্দী করেন এবং সেই সাথে প্রচুর সোনাদানা নিয়ে স্পেনে ফিরে আসেন।


১৫২৭ সালে ইনকা সাম্রাজ্যে এক মহামারী দেখা দেয়। সেই মহামারিতে ইনকা রাজা ও তার উত্তরসূরি ছেলে মারা যান। রাজার অন্য দুই ছেলের মধ্যে সিংহাসনের লড়াইয়ে দেশজুড়ে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এদের একজন অ্যাটাহুয়ালপা জিতে গেলেও খুব বেশি দিন টিকতে পারেননি। স্প্যানিশ ফ্রানসিসকো পিজারো কুট কলাকৌশল এর মাধ্যমে দুই দলকে সমর্থন দিয়ে যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী রুপ দিয়ে তাদের শক্তি নিঃশেষ করে দেয়।


এরপর পিজারো স্পেনের তৎকালীন রাজা পঞ্চম চার্লস-এর কাছে পেরু দখল এবং সেখানকার শাসক হওয়ার অনুমতি চান। রাজা পঞ্চম চার্লস পিজারোকে এই অভিযানে অনুমতি দেন । ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বর্তমান পেরুতে পৌঁছান। ১৭৭ জন সৈন্য ও ৬২টি ঘোড়া নিয়ে কাজামারকা শহরে যাত্রা করেন। সে সময়ের ইনকা সম্রাট তখন আটাহুয়ালপা কাজামারকা শহরে অবস্থান করছিলেন। পিজারো কাজামারকা শহরের কাছে এসে ইনকা সম্রাটের কাছে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা অনুমতি প্রার্থনা করেন। সম্রাট তাঁকে ঘোরাফেরার অনুমতি দিলে, ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর তিনি শহরে প্রবেশ করেন। ১৬ই নভেম্বর তিনি শহরের একটি খোলা জায়গায় আটাহুয়ালপা ও ইনকা অভিজাতদের ভোজে নিমন্ত্রণ করেন। ইনকা সম্রাট এবং অভিজাত শ্রেণির লোকেরা সরল বিশ্বাসে প্রায় নিরস্ত্র অবস্থায় নিমন্ত্রণ রক্ষা করার জন্য আসেন।পরে স্প্যানিশ সৈন্যরা তাঁদের ঘিরে ফেলেন এবং সম্রাট ছাড়া সকল অতিথিদেরকে হত্যা করে। কতবড় বিশ্বাসঘাতকতা?


এরপর পিজারো সম্রাটের মুক্তি পণ হিসেবে এক ঘর ভর্তি সোনা আর দুটি ঘর ভর্তি রূপা দাবী করেন। রাজ্যের অভিজাতরা পিজারোর সেই দাবী মেনে নেওয়ার পরও সম্রাটকে হত্যা করেন। সম্রাটের মৃত্যুর পর ইনকাদের প্রতিরোধ করার মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, পিজারো ইনকার রাজধানী কুজকো দখল করে নেয়। ইনকা সাম্রাজ্যে স্প্যানিশদের দখলে আসার পর, এরা সমগ্র অঞ্চল জুড়ে হত্যা, লুণ্ঠনের তাণ্ডব চালায়। ইনকাদেরকে দাস হিসেবে বিক্রয়ের কার্যক্রম চালায়। পুরো পেরু অঞ্চল দখলে আসার পর, ১৫৩৫ খ্রিষ্টাব্দে পিজারো লিমা নামে একটি নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করে এবং এই শহরে রাজধানী স্থাপন করে, পেরু শাসন করা শুরু করে।


এই সময় কৌশলী পিজারো, সম্রাট আটাহুয়ালপা-কে হত্যা করলেও, তার আরেক ভাই মানকো কাপাককে সিংহাসনে বসায়। ইতিমধ্যে লুটেরা স্প্যানিশদের মধ্যে স্বর্ণরৌপ্যের ভাগাভাগি নিয়ে হাঙ্গামা বাধে। মানকো তাদের এই হানাহানির সুযোগ নিয়ে পালিয়ে গিয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ভিলকা বাম্বায় আশ্রয় নেয় এবং নতুন রাজধানী পত্তন করে।


মানকো কাপাক ভিলকা বাম্বায় থেকে স্প্যানিশদের বিরুদ্ধে গুপ্ত যুদ্ধ পরিচালনা করা শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে এই যুদ্ধ চলার পরও স্প্যানিশরা ভিলকা বাম্বার অবস্থানই জানতে পারে নি। ১৫৭২ খ্রিষ্টাব্দে স্প্যানীয়রা ভিলকা বাম্বার অবস্থান খুজেঁ পায় এবং মানকো-কে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। মূলত এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সর্বশেষ ইনকা সম্রাট ও তার সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হয়ে যায়। এবং ইনকারা দাস দাসী হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে অনেককে দাস-দাসী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয় ইউরোপে।


১৫৪১ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রানসিসকো পিজারো ৬৬ বছর বয়সে লিমায় নিজ প্রাসাদে খুন হন। তার খারাপ পরিনতি হয় কিন্তু তার লোভ আর নিষ্ঠুরতার বলি হয় একটা প্রাচীন সাম্রাজ্য।


ছবিসুত্র এবংং তথ্যসূত্রঃইন্টারনেট (গুগল)














টাইম মেশিন আবিষ্কার করা হলে কি , ভবিষ্যতে থাকা লোকজন আমাদের সময় আসতে পারবে?

 আইনস্টাইনের সূত্রমতে, কোনো বস্তু যত দ্রুত গতিতে চলবে, তার সাপেক্ষে সময় তত স্থির থাকবে।তিনি আরো বলেন কোনো কিছুই আলোর চেয়ে অধিকতর গতিশীল হতে পারবে না অর্থাৎ আলোর গতি ধ্রুব। তার মানে মানুষ সেকেন্ডে ১ লক্ষ আলোকবর্ষ অতিক্রম করতেও পারবেনা আর স্বপ্ন সাধও পরিবর্তন হবে না। টাইম মেশিন বানাতে পারবে না। তারপরও বিজ্ঞানীরা আশায় বুক বাধে মানুষকে স্বপ্ন দেখান।

এখন তার আবার আলোর গতিতে ছুটতে না পারার বিকল্প হিসেবে ওয়ার্মহোল বা সময় সুড়ঙ্গের ধারণাটি নিয়ে এসেছেন।

আসলে আমিতো অত জ্ঞানী না তাই বিজ্ঞানীদের কথার ধার ধারি না। হাদিস কোরানের ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বলছি মানুষ কোটি বছর চেষ্টা করে আলোর গতিতে ছুটতেও পারবে না আর ওয়ারর্মহোলের আগা মাথা কিছুই মিলাতে পারবে না। আর ব্ল্যাকহোলের পাশে গিয়ে চক্কর খাওয়ার সাধও পুরা হবে না। আর না কোনদিন ভবিষ্যতে যেতে পারবে আর না অতীতে। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম গতিতে ছুটেছেন শুধু একজন মানুষ যিনি হলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তার স্পেসস্যুটও লাগেনি আর অক্সিজেন মাক্স আর টাইম মেশিনও লাগেনি। আর যেখানে ( উচ্চতা এবং যার সাথে দেখা করেছেন). তিনি পৌছেছিলেন কোন ফেরেশতাও সেখানে যেতে পারে না।

https://www.kalerkantho.com/amp/online/info-tech/2020/05/10/909823

Saturday, August 1, 2020

আজ ঈদুল আযহাহ

আজ বাংলাদেশে ঈদুল আযহাহ উৎযাপিত হতে যাচ্ছে।



Sunday, July 12, 2020

https://drive.google.com/file/d/1-aldWgCfjNTRj0dsM983oQ9R73_pz9CM/view?usp=drivesdk

ট্রাম্প অবশেষে মাস্ক পরিধান করলেন, যদিও পুর্বে বিরোধিতা করতেন

ট্রাম্প অবশেষে মাস্ক পরিধান করলেন, যদিও তিনি পুর্বে বিরোধিতা করতেন। এবং তার পরিচিত সঙ্গীদের উপহাস করতেন।   



The president resisted wearing a mask for months, mocked some people who did, and only wore a mask in public for the first time on Saturday during a visit to Walter Reed National Military Medical Center.
photo source: Internet 

Wednesday, July 8, 2020

Tuesday, July 7, 2020

Tuesday, June 30, 2020

What is silver? What is sterling silver or '925' silver?

Silver is a chemical element, it has symbol Ag.Most silver is produced as a byproduct of copper, gold, lead, and zinc refining.Silver is a shiny, lustrous metal that has been used by humans for over 5,000 years.The uses of silver first began in Anatolia of Turkey and Greece.There are many types of silver available in the market but the quality and value of silver varies depending on the amount of alloy.Silver is a valuable metal that comes in various purity levels.




Silver mines are available in Mexico,UoS, China, Peru, Chile, Australia, Poland and Bolivia.//

Sterling silver is an alloy composed by weight of 92.5% silver and 7.5% other metals, usually copper,nickel or zinc.

If we see the number “925” on any silver jewelry, it is an indication that it is made of sterling silver. The number 925 represents the purity level of the silver used in the jewelry, which is 92.5%

925 silver means that it contains 92.5 percent silver and 7.5 percent alloy.  Copper, nickel or zinc are usually mixed as two or more alloys.This alloy silver is also called sterling silver. //

Sterling silver begins to tarnish over time when exposed to moisture and a number of common chemicals, including sulfur found in air around cities, chlorine present in swimming pools or spas, and the natural acids on our skin.

925 sterling silver jewellery is generally hypoallergenic due to its composition and high silver purity.

What is sauna? why and how to use?What is infrared sauna?

A Finnish steam bath in which the steam is provided by water thrown on hot stones.A sauna is a small room or building that is made hot.
a room or small building, often with wooden walls, that is heated to a high temperature and in which people sit for their health.
In short word sauna’ describes any heating system intended to create profuse sweating.
Saunas are thought to have originated in Finland around 7000bc. 

Today, modern saunas are typically timber-framed rooms heated with hot stones, wood stoves, hot embers, or electricity. They can be indoors or outdoors.

This is believed to help people be more healthy though it causes stress on the body by overheating. Today many countries and groups of people have different ways of heating and using a sauna. The temperature is often 80°C in Finnish saunas. The heat can be more than 100°C. Finnish and Swedish saunas have lower humidity (the air is less wet) to make this high heat comfortable.

In almost every house in Finland they have a sauna.

Saunas have long been used for therapeutic and relaxation purposes and have been a part of traditional medicine for many centuries.

Instead of steam or flame-stoked heat, infrared saunas use infrared lamps and electromagnetic magic to create warmth.As our skin absorbs the infrared light, the light turns into infrared energy and penetrates  muscles and joints.The lamps in infrared saunas focus a penetrating warmth directly on our skin to bring heat-therapy benefits. Infrared saunas take about 10–15 minutes to heat up  than traditional saunas. This type of sauna is generally less expensive than traditional saunas.

Dr. Young says,
"Infrared saunas can definitely be much more comfortable for people while delivering the same sort of benefits,”

Many studies have looked at using infrared saunas in the treatment of long-lasting health problems and found some proof that saunas may help. Conditions studied include high blood pressure, heart failure, dementia and Alzheimer's disease, headache, diabetes, and arthritis. But larger and more-exact studies are needed to prove these results.

On the other hand, no harmful effects have been reported with infrared saunas. So if you're thinking of trying a sauna to relax, an infrared sauna might be an option.


Source: From Google search

ভারতে পঙ্গপালের আক্রমণ

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে পঙ্গপালের আক্রমণ তীব্রতর হচ্ছে, এই করোনাভাইরাস এর প্রকোপের মধ্যে পঙ্গপাল ভারতের জন্য আরেক মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।



আফ্রিকা,ইরান, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের পরে ভারতে এই আক্রমণ শুরু হয়েছে। ৫৫ জেলার মধ্যে প্রায়  ৬০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করে ফেলেছে।  তাদের মোকাবিলায় ভারত ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যার মাধ্যমে তারা কীটনাশক ছিটাচ্ছে।     


photo source             

Monday, June 29, 2020

Russian S-400 বনাম US F-35 কে এগিয়ে?

S-400 কে রাশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক এব্বগ নিখুঁত বিমান বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মনে করে আর আমেরিকা F-35 কে সবচেয়ে আধুনিক ৫ম প্রজন্মের রাডার ফাকি দেওয়া বিমান মনে করে। প্রশ্ন হল কে তাদের মধ্যে এগিয়ে?         

Tuesday, June 23, 2020

চীনা বিদু (BeiDou) কি? আমেরিকার জিপিস (GPS) ভবিষ্যতে চীনা BDS এর কাছে মার খাবে?

আজ চীন তারা শেষ উপগ্রহ উৎক্ষেপনের মাধ্যমে BeiDou বা BDS এর  তৃতীয় প্রজন্মের Global nabigation, positioning  এবং timing প্রযুক্তিতে প্রবেশ করল। চীনের দাবি তাদের এই প্রযুক্তি আমেরিকার জিপিএস (  GPS - global positioning system) এর সমকক্ষ।

 photo : globaltimes.cn





source :

Saturday, June 20, 2020

Who is Allah?

This is a clear statement by Allah describing Himself to humanity without any room for confusion.Allah is One and is exalted above everything He creates.

Wednesday, June 17, 2020

ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষ কেন?

১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে  যুদ্ধ হয়েছিল এবং ভারতকে বিশাল পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। চীন আকসাই এলাকা দখল করে নেয় এবং অরুনাচল প্রদেশকে নিজের বলে দাবী করে।




 সম্প্রতি ভারত তার  চীনা  সীমান্তবর্তী এলাকায় দ্রুত চলাচলের জন্য  যোগাযোগ ব্যবহার প্রভুত উন্নতি করে যার মাধ্যমে ভারতের জন্য সীমান্ত এলাকায় দ্রুত সামরিক অভিযান সহজ হবে যা চীনের জন্য  উদ্বেগের বিষয় ।


 মঙ্গলবার (১৬ জুন ২০ ) বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলের লাদাখে দুটি সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় যার ফলে  কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে বলা হয় যাদের মধ্যে একজন অফিসারও রয়েছে।

গালওয়ান নদীর উপত্যকায় চীনাদের বানানো  একটি তাঁবু সরিয়ে না নেয়ার ঘটনা দিয়ে সংঘর্ষের শুরু হয়। চীনা সেনারা ভারতীয়  কর্নেল বি এল সন্তোষকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে। প্রচন্ড ঠাণ্ডার মধ্যে নদীতে পড়েও কিছু সৈন্য মারা যায়।

ভারত অভিযোগ  গালওয়ান উপত্যকায় চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)  ভেঙে ফেললে এই সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। তাদের আরও অভিযোগ চীন তাদের সৈন্যদের পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

ছবিঃবিবিসি

Monday, June 1, 2020

ভারত নেপাল বিরোধ কি নিয়ে?

লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ নিয়ে ভারত-নেপাল বিবাদ দীর্ঘদিনের। ভারতের দাবি, এই তিনটিই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং উত্তরখণ্ড রাজ্যের পিথোরাগড় জেলার অন্তর্ভূক্ত। উল্টোদিকে নেপালেরও দাবি এগুলো তাদের ভূখণ্ড।

বিতর্কিত ভূখণ্ড কালাপানি আর লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও সেই বিল পেশ করা হয়েছে নেপালের সংসদে। এবং  তা পাশও হয়ে যাবে, কারন এই ব্যাপারে  সরকার  আর বিরোধী দল একমত।


খবর সুত্রঃ

Sunday, May 31, 2020

আমার শরীরের জন্য প্রতিদিন কত ক্যালরি দরকার?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক কর্মক্ষম পুরুষ মানুষ যার বয়স সীমা ( ৩১-৫৩ ) প্রতিদিন ২৮০০-৩০০০ ক্যালােরি খাবার দরকার।  আর একজন প্রাপ্ত বয়স্কা কর্মক্ষম মহিলার যার বয়সের সীমা ( ৩১-৫০ ) , তার প্রতিদিন ২২০০ ক্যালরি খাবার দরকার।

এখন কোন খাবারে কি ধরনের ক্যালরি থাকে?

প্রতি বড় আকারের একটা মুরগির ডিমে ৭০-৮০ ক্যালরি থাকে।

প্রতি ১০০ গ্রাম সাদা সিদ্ধ আলুর মধ্যে ৮৭-৯২ ক্যালরি থাকে।

যে কলার সাইজ ৬ ইঞ্চির কম (৮০ গ্রাম) এইরকম প্রতি কলার মধ্যে থাকে ৭০-৭২ ক্যালরি ।

যে কলার সাইজ ৭ ইঞ্চি বা তার বেশি  এইরকম প্রতি কলার মধ্যে থাকে ১০০ ক্যালরি।

একটা  মাঝারি ধরনের আপেলে থাকে ৯৫ ক্যালরি।





বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কি হতে পারে?

আজ ৩১/০৫/১৯ অর্থাৎ মে মাসের শেষে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৪৭,১৫৩, মৃত ৬৫০ আর আজই একদিনে সবচেয়ে  বেশি মৃত্যুর রেকর্ড ৪০ জন।       
 আমার এক ভাইয়ের আশা হল করোনাভাইরাস বাংলাদেশ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে বিদায় হয়ে যাব।কিন্তু আমি তা মনে করি না,  কারন এই ভাইরাসকে চালাইতেছেন আল্লাহ আর আল্লাহ কখনো মানুষের বানানো গানিতিক সমীকরণ এর ধার ধারেন না, তিনি নিজেকে মানুষের বানানো পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন না বরঞ্চ মানুষকে বা সবাইকে তার পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে দেন, তা তার ভালো লাগুক আর না লাগুক  যা ভেদ করে বের হয়ে যাওয়ার সাধ্য কারো নেই।

 আর আল্লাহর  সাথে কারো আত্নীয়তার সম্পর্ক নেই যে তিনি কাউকে বা কারো মন জুগিয়ে চলবেন। আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক হল ঈবাদতের। যে বা যারা ঈবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করতে পারবে আল্লাহ তাদের কথা শুনেন। করোনাভাইরাস এ বাংলাদেশের কয়জন মারা যাবে আর কতজন আক্রান্ত হবে এবং কতজন আক্রান্ত হওয়ার পরে ভালো হয়ে যাবে তা নির্ধারিত যার এক চুল পরিমান নড়চড় হবে ন। মানুষের কাজ হল আল্লাহর সাহায্য চাইতে থাকা আর সতর্ক থাকা উনি চাইলে বাচবেন অন্যথায় মারা যাবে।           

প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা আর জ্ঞান দিয়ে সবকিছু মোকাবেলা করা গেলে আমেরিকার এই দশা হয় না, সে এখনো রেংকিংয়ে ১ নম্বরে আছে।   


Quora তে আমার একটা লেখা যা নিচে দেয়া হলঃ

       

Thursday, May 28, 2020

মুরসি উপজাতি এত বিপজ্জনক কেন?

আফ্রিকা এক বৈচিত্র্যময় মহাদেশ। বিচিত্র তার প্রাণী, পরিবেশ, ভুবৈচিত্র‍্য এবং মানুষের জীবনধারা। মুরসি উপজাতিরা দক্ষিণ ইথিওপিয়া এবং দক্ষিণ সুদান সীমান্তের ওমো উপত্যকায় বসবাস করে। এদের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৯-১০ হাজার।

মুরসি উপজাতির লোকেরা বিশ্বাস করে, "কাউকে হত্যা না করে বেঁচে থাকার কোনও অর্থ নেই " তাদের এই চিন্তা ভাবনাই তাদেরকে আফ্রিকার এক ভয়ংকর উপজাতি হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। বিনা অনুমতিতে কেউ তাদের এলাকায় ঢুকে পড়লে তাদেরকে মেরে ফেলতে তারা কুন্ঠাবোধ করে না। তাদের অনুমতি ছাড়াই তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে আসা শত শত মানুষকে তারা এ পর্যন্ত হত্যা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাথে ৮-১০ বছর আগে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় এইজন্য যে গাইডরা কাজ করেছিল তাদেরকে তারা মেরে ফেলে।

মুরসি উপজাতির মেয়েরা তাদের চেহারার সৌন্দর্যহানি করার উদ্দেশ্য হল যাতে তারা দাস ব্যবসায়ীদের হাতে পড়ে বিক্রি হয়ে না যায়। এই প্রচলন তাদের শত শত বছর যাবৎ চলে আসছে।

মুরসি উপজাতিরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য এ কে -৪৭ এর মত বন্দুক তারা ব্যবহার করে। এক একটা রাইফেল ক্রয় করার জন্য তারা বিনিময়ে ২৫-৩০ টি ষাড় গরু দেয়।

মুরসি উপজাতির মেয়েরা তাদের অনন্য ঠোঁটের জন্যও বিখ্যাত। তাদের মেয়েরা ও মহিলারা মানুষের মন্দ দৃষ্টি এড়াতে দেহ পরিবর্তন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে তাদের নীচের ঠোঁটে কাঠ বা কাদামাটি দিয়ে তৈরি একটি ডিস্ক পরেন। এই ডিস্ক বা প্লেট পড়ার কাজটি তারা তাদের ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে শুরু করে। মুরসি মহিলারা পরিবারের ভারী কাজগুলো করার ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে থাকে ।


বিঃদ্রঃ কোরা থেকে আমি এই প্রশ্নের উত্তরটি দেয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই লুকিয়ে ফেল।। আমাকে জানানো হয়নি কি আমার অপরাধ ছিল।     




বিমান ধ্বংসের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় সফল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করে আকাশে থাকা যেকোনো বিমান ও ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব।

মার্কিন নৌ বাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ থেকে শুক্রবার (২২ মে) নতুন অস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে মার্কিন নৌ বাহিনী জানায়, ইউএসএস পোর্টল্যান্ড যুদ্ধজাহাজ থেকে শক্তিশালী এই অস্ত্রটির সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে।


সুত্র-১ঃ

Monday, May 25, 2020

আজ ঈদ ছিল, কিন্ত এক অন্যরকম ঈদ, এই অভিজ্ঞতা বারবার না আসুক

আজ ছিল ঈদ উল ফিতর। এই ঈদ নিয়ে ডেইলি ষ্টারে এক ভাই খুব সুন্দর করে লিখেছেন যার কিছু নিচে উল্লেখ করলাম 

 হ্যাঁ  ঠিকই ঈদ এসেছে, খুশি আসেনি
ঈদ আমাদের জীবন, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে এতটাই প্রভাব ফেলে যে, এই দিনটার উপলক্ষে সব কিছুই বদলে যায়। দুই ঈদ আর পহেলা বৈশাখে যে ব্যবসা হয় তা দিয়েই দেশের ব্যবসায়ীরা সারা বছর চলার রসদ পেয়ে থাকেন। দুঃখের বিষয়, এই মহামারির মধ্যে পড়ে গেছে পহেলা বৈশাখ এবং ঈদুল ফিতর। ব্যবসায়ীরা পড়েছেন দুরবস্থায়, আমরা জনগণও। ঈদ এসেছে, তবুও আমাদের সবার ভেতরেই এক বিরাট শূন্যতা বিরাজ করছে।
আজ ঈদ, তাই না?



অথচ ঈদগাহে কোনো জামাত নেই। অল্প কিছু মানুষ মসজিদে গেছেন ঈদের নামাজ পড়তে। তারাও নামাজ শেষে ঈদের সেই চিরচেনা কোলাকুলি আর হাত মেলাননি। একত্রিত হয়েও যেন আমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন। সারা দিন বাসায় কোনো অতিথি নেই, কেউ কাওকে দেখতে কারও বাসায় যাচ্ছেন না। উদযাপনের পরিসর ছোট হতে হতে নিজের ঘর আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।

বাচ্চারা ঈদের চাঁদ দেখতে দৌড়ে বাসার ছাদে যায়নি। কোনো হইহুল্লোড় নেই, আতশবাজি নেই,  ভিতরে, করোনায় ঘরবন্দি মানবের কাটানো আরও একটা দিন।

(ইউরোপের এক দেশে প্রবাসীদের ঈদের নামাজ পড়ার ছব)  

রোমে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত হয় যেখানে, সেখানে এবার জামাত হচ্ছে না। বাঙালি–অধ্যুষিত ভিক্টোরিয়া এবং বড় মসজিদে জামায়াত না হওয়ায় অনেকেই নিজের বাসায় নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সুত্র-১ঃ
সুত্র-২ঃ

বিজ্ঞানীরা বের করলেন কোন দেশ কবে করোনামুক্ত হবে?

ব্যাপারটা খুব হাস্যকর। বিজ্ঞানীরা কিভাবে জানেন কবে বিদায় নিবে করোনাভাইরাস। তারা শুধু অনুমান করতে পার। এইপর্যন্তই ক্ষমতা।       

সারা বিশ্বে মানুষ ঠিক কবে নাগাদ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হবে তা জানিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তিদের তথ্য দিয়ে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের গবেষকরা একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছে যা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশ কবে করোনামুক্ত হবে তার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সুত্র-১ঃ

রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারেও কি ভবিষ্যতে দেখা সম্ভব হবে?

বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সেরকম আশার বানী শোনা যাচ্ছে।   
চোখে আলো পড়লে মানুষ যত দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় এই চোখটি তার চেয়েও দ্রুত সাড়া দেবে। বায়োনিক রেটিনাটি প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ৪৬০ মিলিয়ন ন্যানোসাইজের সেন্সর ধারণ করতে পারে। সেখানে মানুষের রেটিনার প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে থাকে প্রায় ১০ মিলিয়ন ফটোরেসেপ্টর সেল।

চোখটি দিয়ে ছোট বস্তু যেমন বেশি পরিষ্কার দেখা যাবে, তেমনি দূরেও দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার থাকবে।


সুত্র-১ঃ

ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম বঙ্গোপসাগরে হয় কেন?

ভূতাত্ত্বিকদের মত, বঙ্গোপসাগরের ত্রিভুজাকৃতি এবং এর অগভীর তলদেশই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার উৎসস্থল।

আরবসাগরের তুলনায় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হওয়ার হার অন্তত পাঁচগুণ বেশি। বঙ্গোপসাগরের জলতলের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাও ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতক্ষেত্র হিসেবে আদর্শ।


সুত্র-১ঃ

Sunday, May 24, 2020

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হলে কি ধরনের পরিবর্তন হতে পারে?

ইউরোপিয়ান স্পেশ এজেন্সি সাম্প্রতিককালে কিছু ছবি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে  পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আসছে যা খুব ধীরে ধীরে হবে। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ থেকে শুরু করে মহাশূন্য পর্যন্ত বিস্তৃত। এই চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকার কারনে ক্ষতিকর রশ্নি থেকে মানবজাতি রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে হাজার বছর ধরে। এ নিঃসন্দেহে আল্লাহর দান।

যদি চৌম্বকক্ষেত্র দুর্বল হয়ে যায় এর দ্বারা যে ক্ষতিকর প্রভাব  হবে তার মধ্যে  প্রধানত স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবার উপরে প্রভাব পড়বে।


সুত্রঃ
সুত্র-১ঃ

Friday, May 22, 2020

এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্সে (এডিসি) কি?

এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্সে (এডিসি) হল কোন দেশের স্থল ভাগ ও জলভাগের আকাশপথ ব্যবহারের একটা প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত বেসরকারি বিমান কোন দেশে ঢুকে পড়লে সনাক্ত করা যায়। সংশ্লিষ্ট দেশের আকাশপথে কোন বেসামরিক বিমান প্রবেশ করার আগে বা সেদেশে প্লেন অবতরণ করানোর প্রয়োজন হলে তাকে ADC নাম্বার সংগ্রহ করতে হয়। এডিসি নম্বর হচ্ছে একটি সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নম্বর।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ তার আকাশসীমা নির্ধারণের বিষয়ে একটি সার্কুলারে বেবিচক নির্দেশনা দেয় যে, কোনো এয়ারক্রাফট যদি বাংলাদেশের এডিসি জোনে ঢুকতে চায় তাহলে তাকে আগে থেকেই এডিসি নম্বর নিতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ আকাশ প্রতিরক্ষা সনাক্তকরণ অঞ্চল (AIDZ) ঘোষণা করে। পৃথিবীতে প্রায় ২০ টি দেশের আকাশপথ ব্যবহার করার জন্য আগে থেকেই এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্সের (এডিসি) এর নাম্বার নিতে হয়। সেই দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, কানাডা, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, জাপান, যুক্তরাজ্য, চীন, দক্ষিন কোরিয়া, সুইডেন উল্লেখযোগ্য। এই পদ্ধতি প্রথম প্রবর্তন করে আমেরিকা।


সুত্রঃ
সুত্র-১ঃ

new post2

new post2

new post

new post1

Thursday, May 21, 2020

ভারতের করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতির শেষ পর্যন্ত কি হবে?

আমার ধারণা ভারতের করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতি খুব ভালো হবে না। অনেক মানুষ মারা যাবে এবং অনেকে আক্রান্ত হবে। মৃত্যুর সংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পর্যন্ত।           

অসাবধানতাবশত অনেক সময় মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের বিকাশ, রকেট ও নগদ টাকা অন্যের নাম্বারে চলে গেলে কি করবেন?

অসাবধানতাবশত অনেক সময় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক লেনদেনের টাকা ভুল নাম্বারে চলে যায়। বেশির ভাগ ভুক্তভোগীরা ফেরত পান না সে টাকা। এ সমস্যায় কী কী করণীয় তার একটি নির্দেশনা দিয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের বিকাশ, রকেট ও নগদ।


তিন কর্তৃপক্ষ প্রথমেই যে পরামর্শ দিচ্ছে তা হলো, টাকা ভুল নম্বরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন দেবেন না। কারণ ভুলবশত অন্য নম্বরে টাকা চলে গেলে, তা ফেরত দেয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে। তাই তিনি টাকা উঠিয়ে ফেললে ভুক্তভোগীর করার কিছুই থাকবে না।

ভুলবশত কোনো নম্বরে টাকা গেলে প্রথমে কাছের থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেখানে ট্রানজেকশন নম্বর নিয়ে জিডি করে যত দ্রুত সম্ভব সেই জিডি কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

যোগাযোগের পর কর্মকর্তারা জিডি কপি ও মেসেজ খতিয়ে দেখেন। এরপর ভুলে টাকা চলে গেলে ওই ব্যক্তির বিকাশ রকেট বা নগদ অ্যাকাউন্ট টেম্পোরারি লক করে দেয়া হয়। যাতে তিনি কোনো টাকা তুলতে না পারেন।

পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিকাশ কর্মকর্তারা। প্রাপক ফোন ধরে যদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই টাকা নিজের নয় বলে জানান, তখন অফিস থেকেই ওই টাকা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করে কোম্পানিগুলো।

আর যদি ওই ব্যক্তি নিজের টাকা বলে দাবি করেন, তবে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে প্রমাণসহ অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সেই নির্দেশনা না মেনে পরবর্তী ৬ মাসে ব্যক্তি না এলে ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। এর পরবর্তী ৬ মাসেও না এলে অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে অটো ডিজেবল হয়ে যাবে।

Wednesday, May 20, 2020

ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে বাংলাদেশের চট্রগ্রামের নোঙ্গর করা জাহাজ কেন গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়?

আবহাওয়া অফিস বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত দেখালেই বন্দরের জেটিতে থাকা বড় বড় জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে ছোট ছোট জাহাজ, ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়। সাধারণ মানুষের কাছে বড় জাহাজকে বিপদের সময় গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া ‘অমানবিক আচরণ’ মনে হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ এ কাজটি করে জাহাজের নিরাপত্তা ও ক্ষতি কমানোর জন্য।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টা থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।   চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমানজ বড় জাহাজ সাগরে পাঠানো প্রসঙ্গে জানান, অনেকের মনে আছে ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর মাঝখানের একটি অংশ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল একটি বড় জাহাজ। এটি একটি অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি জেটিতে বাঁধা বড় জাহাজগুলো প্রচণ্ড ঝড়ে রশি ছিঁড়ে একটি আরেকটির ওপর আছড়ে পড়লে, ধাক্কা দিলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে। বন্দর চ্যানেলে যদি কোনো জাহাজ ডুবে যায় তবে বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়া বন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। সবচেয়ে বড় কথা মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) হচ্ছে কৃত্রিম বা প্রটেকটেড হারবার না থাকলে বড় জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে আছে ন্যাচারাল হারবার, এটি প্রকৃতির দান।



মেয়েদেরও দাড়ি, গোফ গজানোর কারন কি?

মেয়েদের শরীরে এই  অস্বাভাবিক ঘটনাকে হারসুটিজম (Hirsutism) বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা মেয়েদের শরীরে যে হরমোনের ভারসাম্য দিয়েছেন তা ব্যাহত হলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। মানবদেহে টেসটোসটেরন( Testosteron) নামক এক ধরনের হরমোন রয়েছে যা নারী পুরুষ উভয়ের শরীরেই থাকে, কিন্ত পুরুষের শরীরে বেশি থাকে যার জন্য তার মধ্যে পুরুষালি স্বভাব বিদ্যমান থাকে, কিন্তু যখন মেয়েদের শরীরে এই হরমোনের নিঃসরণের পরিমান বেড়ে গেলে বা বেশি থেকে থাকলে মেয়েদের শরীরে লোম গজানো শুরু করতে পারে।

টেস্টোস্টেরন পুরুষদের সেক্স হরমোন। আর  মহিলাদের সেক্স হরমোন এস্ট্রোজেন। যখন মহিলাদের শরীরে এস্ট্রোজেনের নিঃসরণ কমে তখন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়।

যার ফলে পুরুষদের মতো মেয়েদেরও দাড়ি, গোফ গজানো, উপড়ের ঠোঁট ভারী হওয়া,  হাতে-পায়ে ঘন রোম দেখা দিতে শুরু করে। অনেক সময়ে কিছু মহিলার কণ্ঠস্বরও ভারী হয়ে যায় এই কারণে।

ঘুর্নিঝর আম্পান এর পরবর্তী অবস্থায় বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আজ রাত ৮টার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন। 
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

(ছবি বাংলা নিউজ)  
ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানায়, এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ রাত ৮টার মধ্যে সাগর দ্বীপের পূর্ব পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

রাজশাহী কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ২ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঝড়ের পর এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।


ঝড় আম্পানে রাজশাহীতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। চাষিরা বলছেন, বাগানের এক–তৃতীয়াংশ আম ঝরে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ১০ শতাংশ আমের ক্ষতি হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে। এদিকে ঝড়ের কারণে পড়ে যাওয়া আম কেউ কিনতে চাইছেন না। সব মিলিয়ে ক্ষতির মুখে আমচাষিরা।






https://www.windy.com/?24.504,90.882,6
















সুত্র -১
সুত্র-২

What is difference between Olympic and Paralympic?


The Olympics and Paralympics are two of the biggest sporting events that occur around the world. ... The primary difference between the Olympics and Paralympics is that while most of the participants in the Olympics are able-bodied, the participants in the Paralympics are affected by some form of physical disability.

What is parasports?


Parasports are sports played by people with a disability, including physical and intellectual disabilities.Disability exists in four categories: physical, mental, permanent and temporary. At a competitive level, disability sport classifications are applied to allow people of varying abilities to face similar opposition.

Monday, May 18, 2020

why 2

why 2

why

why 1

সম্প্রতি বাংলাদেশের চিকিৎসকরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে কি সফলতা পেয়েছেন?

যেহেতু করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগিদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন স্থায়ীভাবে কার্যকরী ওষুধ আবিস্কার না হওয়ায় সব দেশই তাদের নিজেদের মত করে কিছু চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের চিকিৎসকরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে সেরকম একটি 'Medicine combination 'বের করেছেন যা তাদের কাছে অনেক কার্যকরী মনে হয়েছে এবং তারা সফলতাও পেয়েছেন। তাদের মুখেই শুনা যাক।


বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর মহম্মদ তারেক আলম জানিয়েছেন,

 ‘‌আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি এই ওষুধ কার্যক্ষমতা দেখে। ৬০ জন করোনা আক্রান্তকে আমরা এই ওষুধ দিয়েছিলাম, তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।’‌ চিকিৎসক বলেছেন, একটি Antiprotozoal ওষুধ, ‌যেটির নাম Ivermectin, তার সঙ্গে একটি অ্যান্টিবায়োটিক, নাম Doxycycline, এগুলি প্রয়োগ করে তাঁরা নাকি অসম্ভব এক ফলাফল পেয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘‌যাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, আমার চিকিৎসকদল সেই করোনা আক্রান্তদের ওপর এই দুই ওষুধের প্রয়োগ করে। তারপর দেখা গিয়েছে, চারদিনের মধ্যে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছেন। পরে একাধিকবার টেস্ট করে দেখা গিয়েছে, করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। ফলে আমাদের মধ্যে হচ্ছে, এই ওষুধগুলির কোনও সাইড এফেক্টও নেই, এবং দ্রুত সুফল দিয়ে সমস্যা মেটাতে পারে এটি। আমরা এটির কর্মক্ষমতা নিয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী।’‌ এরপর তাঁরা সরকারি পদ্ধতিতে এগোবেন বলেও জানিয়েছেন। যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁদের ওষুধের কম্বিনেশনকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়।


লিংক -১
লিংক-২




Sunday, May 17, 2020

why YOUnot1

why YOUnot1

why YOUnot

why YOUnot

ভারত মহাসাগরে ভারতের নৌঘাঁটি সম্পর্কে কেউ কিছু জানাবেন কি?

ভারতীয় নৌবাহিনী চারটি আঞ্চলিক কমান্ডে বিভক্ত। এই চারটি আঞ্চলিক কমান্ডের অধীনে তাদের ৭০টির মত নৌবাহিনী ঘাটি আছে। যেখান থেকে তারা আরব সাগর থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরে অপারেশন পরিচালনা করতে পারে।

‌এই আঞ্চলিক কমান্ডগুলো হলঃ
 ১) পশ্চিমাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড
২) পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড
৩) দক্ষিনাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড
৪) আন্দমান এবং নিকোবর কমান্ড।


(পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড এর সদর দফতর, উৎসঃঃউউইকিপিডিয়া)
  
ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতি নিয়ে চীনের সাথে ভারতের উত্তেজনা লেগে থাকে।
চীনের তৈলবাহী বানিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তার জন্য তারা এডেন উপসাগর পর্যন্ত নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠায়। চীন যেরকম বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরে তাদের নৌবাহিনীর জাহাজ নজরদারির জন্য পাঠায় ঠিক সেরকম ভারতীয় যুদ্ধজাহাজও দক্ষিণ চীন সাগরে যাতায়াত করে। যেহেতু তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকে তাই জাহাজ চলাচলে বাধা দেওয়া আইনবিরুদ্ধ বলেই দুই নৌবাহিনীরই আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ থাকে না।


লিংক ১

'প্লাজমা থেরাপি' কী? এর মাধ্যমে কি করোনা রোগী সুস্থ হতে পারবে?

প্লাজমা থেরাপি' চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি।

 কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে যাঁরা সুস্থ  হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন  তাঁদের দেহে একটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যার মাধ্যমে তারা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়। এখন অন্য কোনো আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি সুস্থ হওয়া ব্যক্তির প্লাজমা দেওয়া হয় তবে সুরক্ষা মেলে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ  কোন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই রক্ত সঞ্চালিত করা হয় একই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের শিকার রোগীর দেহে।

সেই অ্যান্টিবডি যুক্ত প্লাজমা সংগ্রহ করে করোনা আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে ঢুকিয়ে ভাইরাসটিকে মেরে ফেলা হয়। তবে সব রোগীর অ্যান্টিবডি সমান নয়। সাধারণত নারীদের শরীর থেকে নেয়া হয় না। তাছাড়া বৃদ্ধ এবং শিশুদের শরীর থেকেও নেয়া হয় না। কারণ শিশু ও বৃদ্ধদের অ্যান্টিবডি দুর্বল থাকে। প্লাজমা নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হল ২০ থেকে ৩৫ বছরের সুস্থ যুবক। কোনো মুমূর্ষু রোগীকে এটা দিতে হলে অবশ্যই কোনো করোনা আক্রান্ত সুস্থ ব্যক্তির রক্ত নিতে হবে।

(ভারতে তাবলীগ জামাত এর মোহাম্মাদ মহসিন নামে একজন তার করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পরে অন্যের জন্য প্লাজমা তৈরির জন্য রক্ত দিচ্ছেন)         

এই পদ্ধতিতে ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুর মহামারি এবং ১৯৩০ এর দশকে হামের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছিল। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলা, সার্স এবং ‌'এইচ-ওয়ান-এন-ওয়ান' এর মতো রোগের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানুষের রক্তের জলীয় অংশকে বলা হয় প্লাজমা। রক্তে প্লাজমা থাকে ৫৫ ভাগ। করোনাজয়ীর অ্যান্টিবডি থাকে রক্তের প্লাজমায়। সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা করোনায় সংক্রমিত অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয় বলে এই চিকিৎসাপদ্ধতির নাম হয়েছে 'প্লাজমা থেরাপি'।

বাংলাদেশে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে প্লাজমা দেয়ার মতো যোগ্য মানুষের সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ জনের বেশি নয়।

লিংক-১
লিংক-২
লিংক-৩


এই কথা বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত যে ইমাম আবু হানিফার বাতানো মাসায়েলসমুহের সব কেন বুখারী আর মুসলিম শরীফ থেকে নেয়া হল না?

প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থগুলোর রচয়িতা মুহাদ্দিসগন প্রায় সবাই ফেকাহ শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ ও অনুসরনীয় ইমামদের পরের যুগের। 


ফুকাহা কেরামের মধ্যে যারাঃ

 ইমাম আবু হানীফা (রঃ)এর জন্য ৮০ হিজরীতে , মৃত ১৫০ হিজরী
 ইমাম মালেক(রঃ)জন্ম ৯৩ হিজরীতে , 
মৃত্যু ১৭৯ হিজরী
ইমাম শাফেয়ী(রঃ)এর জন্ম ১৫০ হিজরীতে , মৃত্যু ২০৪ হিজরী
 ইমাম আহমদ (রঃ)  এর জন্ম ১৬৪ হিজরীতে , মৃত ২৪১ হিজরী

অপরপক্ষে মুহাদ্দিসীনে কেরামের মধ্যে

 ইমাম বুখারী(রঃ) এর জন্ম ১৯৪ হিজরীতে ,মৃত্যু  ২৫৬হিজরী
ইমাম আবু দাউদ (রঃ) এর জন্ম ২০২ হিজরীতে ,মৃত্যু  ২৭৫হিজরী 
ইমাম মুসলিম (রঃ) এর জন্ম ২০৪ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৬১হিজরী 
ইমাম ইবনে মাজা (রঃ) এর জন্ম ২০৭ হিজরীতে ,মৃত্যু  ২৭৩ হিজরী 
ইমাম তিরমিজি (রঃ) এর জন্ম ২০৯ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৭৯ হিজরী
 ইমাম নাসায়ী (রঃ) এর জন্ম ২১৫ হিজরীতে ,মৃত্যু  ৩০৩হিজরী , 

 
কাজেই পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিসদের কোন গ্রন্থের মন্তব্য দ্বারা ইমামদের প্রতি আপত্তি করা মােটেই সঙ্গত হবে না , বিশেষতঃ ইমাম আবু হানীফা (রঃ) যেহেতু সবার আগের যুগের ছিলেন এবং ইমাম বুখারী ও মুসলিম সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ ছিলেন প্রায় এক শতাব্দী পরের সেহেতু বুখারী ও মুসলিমের কোন সহী হাদীস দেখেই এ মন্তব্য করে দেয়া যাবে না যে , ইমাম আবু হানীফা ইচ্ছাকৃত সহী হাদীসের পরিপন্থী ফতােয়া পেশ করেছেন ।

 অনুরূপ , বুখারী মুসলিমে অথবা সিহা সিত্তায় কোন হাদীস নেই বলেই এ মন্তব্য করা যাবে না যে , হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয় অথবা দুর্বল । কেননা , নিঃসন্দেহে পূর্বযুগের ইমামগণের সংগ্রহে এদের তুলনায় হাদীস সংখ্যা অধিক ছিল এবং তাদের সূত্র ছিল এদের তুলনায় অধিক প্রবল । আল্লামা ইবনে তাইমিয়া বেশ উদারতার সাথে এ বাস্তবতা স্বীকার করে লিখেছেন , 

"বরং এসব হাদীসগ্রন্থ সংকলিত হওয়ার পূর্ববর্তী যুগের লােকেরা এদের তুলনায় সুন্নতে রাসূল সম্পর্কে অনেক বেশী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন । কেননা , এমন অনেক হাদীস তাদের কাছে পৌছেছে এবং সহী বলে প্রমাণিত হয়েছে যা আমাদের নিকট মােটেই পৌছেনি কিংবা অপরিচিত বা মুনকাতি (মধ্য সুত্র বিচ্ছিন্ন) সনদে পৌছেছে।"

(রাফউল মালাম  আনিল আইম্মাতিল আ'লাম , পৃষ্ঠা- ১২ দারুল কুতুব বইরুত কর্তৃক দ্বিতীয় সংস্করণ )

উৎস কিতাবঃমাযহাব কি ও কেন 

Saturday, May 16, 2020

শবে বরাত সম্পর্কে বিশিষ্ট উলামাদের ঐকমত্য কি?

প্রথম অভিমতঃ আল্লামা মুবারকপুরী।  একারণেই হাফিয মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনু আব্দুর রহিম আল মুবারকপুরী বলেছেন 

 اسلم انه قد ورد في فسيلة ليلة النصف من شعبان عدة أحاديت مجموعها يدل على أن لها أصلا ، فمنها حديث الباب ، ومنها حديث عائشه و منها حديث معاد ومنها حديث عبد الله بن عمرو منها حديت عمي اه اه احا د ست بمجمع منها حجة علی من زعم أنه لم يتبت می ثقيلة من شمعیال شي ( تحفة الأذی لا حافظ عبد الرحمان أمجار کبری ۱۳۵۳ )) 44۲۳ بل : در ادی ) 


অর্থাৎ জেনে রাখাে যে , শবে বরাতের ফজীলত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের হাদীস এসেছে। যার ফলে শরীয়তে তার ভিত্তি আছে বলে বুঝা যায় । তন্মধ্য থেকে  আয়শা (রাঃ) এর হাদিছ মুআয় (রাঃ) এর হাদীছ , আব্দুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ) এর হাদীছ এবং আলী (রাঃ) হাদিস। 

 সুতরাং এসব হাদীসের সমষ্টি তাদের বিরুদ্ধে  সুস্পষ্ট প্রমাণস্বরূপ যাত্রা শরীয়তের মধ্যে শবে বরাতের কোন ভিত্তি নেই বলে মনে করে।

দ্বিতীয় আতিমতঃ আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহঃ) বলেনঃ

: إن منه الليلة ليلة البراءة ومع الروايات في فضل ليلة البراءة زالو في الشتی ، شرح جاميع الترددی ۱۵۹ )* 

অর্থ এ রাতটি বরাতের রাত । রাতটির ফজিলত সম্পর্কে সহি হাদীছসমূহে এসেছে । 

তৃতীয় অভিমতঃ
নাসির উদ্দীন আলবানী নাসিরুদ্দীন আলবানী শবে বরাত সম্পর্কীয় সকল হাদীছ এক সাথ করে সেগুলাের সনদ নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছেন এবং পর্যালোচনার শেষে তার সার নির্যাস পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেছেন এভাবেঃ

 : وجملة القول إن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريبه والمساحة تثبت بأقل منها عددا مادامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشعان في هذا الحديث فما نقله القاسمي في إصلاح المساحد عن أهل التعديل و التجريح أنه یه فی فضل ليلة النصف من شعبان حيث يقدح فليس مما ينبع الاعتماد عبية ( مملسلة الأحاديث الصحيحة للشيخ ناصر الدين الألبای ۱۸۳/۳ ) 


অর্থাৎ সারকথা হলো এ সকল সুত্রের সমষ্টির কারণে (শবে বরাত সম্পকীয় ) হাদীছ নিঃসন্দেহে সহীহ । কোন হাদীছ অত্যধিক দুর্বলতা থেকে নিরাপদ হলে এর চেয়ে কম সুত্রের মাধ্যমে সহী প্রমাণিত হয় । যেমনটি আয়শা (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীছটি যা অত্যধিক দুর্বলতা থেকে নিরাপদ। 

 সুতরাং কাসেমী হাদীছ পর্যালােচক ও সমালোচকদের থেকে নকল ইসলাহুল মাসজিদ গ্রহে যা উল্লেখ করেছেন যে , শবে বরাতের  ফযীলত সম্পর্কে কোন সহীহ হাদিস নেই । তার এ বক্তব্যের উপরে আস্থা রাখা উচিত  নয়। 

future post2

future post2

future post1

About Us

In this blog we want to share and care knowledge .And a make community for Bangladeshis.

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লি...