Wednesday, May 1, 2024

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লিভার বা যকৃত থেকে তৈরি হয়। কোলেস্টেরল  পানিতে দ্রবীভূত না হওয়ার কারণে শরীরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত নিজে নিজে চলাচল করতে পারে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। যেমন : হরমোন তৈরিতে, চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিনগুলোর পরিপাকে, কোষের মেমব্রেন এবং ভিটামিন ডি তৈরিতে। 



ভালো কোলেস্টেরল রক্তনালির পুষ্টি জোগায়, রক্তনালির দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা দেয়। আর খারাপ কোলেস্টেরল  বাড়লে তা রক্তনালীর দেয়ালে জমতে থাকে। কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে  রক্ত চলাচলের রাস্তা  বন্ধ করে দেয়,শরীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।। যার ফলে  হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। 



যেই ১০ টা লক্ষণ দেখলে আপনি নিজে বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বেধেছে 


১) জিভের ওপর ছোট ছোট দানার মতো আস্তরণ যখন সারা জিভে ছড়িয়ে পড়ে ও রং পরিবর্তন করে বিবর্ন করে তখন  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


২) উচ্চ কোলেস্টেরলের প্রভাব সবার আগে চোখেই পড়ে। চোখের কর্নিয়ার পাশে ধুসর দাগ দেখা দিলে বা সাদা বা হলুদ রঙের ছোট ছোট আচিলের মত দানা চোখের চারপাশে ভরে গেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে বলে ধরে নিতে হবে। 



৩) খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে  ঘাড় ও মাথার পেছনে ভীষণ ব্যথা হয় যা অস্বস্তিকর। 



৪) নিয়মিত হাত–পায়ের আঙুলে ঝিঁঝিঁ ধরলে বা অল্প হাঁটলেই পা যন্ত্রণা করলে,অবশ লাগলে, রাতে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হলে, এই উপসর্গ খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। 

দীর্ঘ দিন ধরে কোলেস্টেরল জমার ফলে হৃদযন্ত্রের ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। ফলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বিশেষ করে দেহের নীচের অংশে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে পায়ে ঝিঁঝি ধরার মতো লক্ষণ দেখা যায়।



৫) কোলেস্টেরল বাড়লে তার প্রভাব নখেও পড়ে।নখের উজ্জ্বলতা হারিয়ে হলুদ হয়ে যায়। কখনো কখনো নখের নীচের দিকে কালো ও বাদামি রঙের রেখাও চোখে পড়ে।


৬) শরীরে তলপেটে মেদ জমতে শুরু করলে   উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। 


 ৭) খারাপ কোলেস্টেরল বেশি থাকা মানেই বুকে চাপ অনুভব করা, শ্বাসের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়া। অর্থাৎ অনেক সময় স্বাস নিতে কষ্ট হবে। 


 ৮) এছাড়াও শিরা ধমনীর ক্ষতি করে দেয় এই রোগ যা আপনার চোখে, মুখে ছাপ ফেলে দেয়।মাড়িতে ব্যথা হওয়া, হাতের অসারতা এবং  হাতে ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি।


৯) শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল  বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হবে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীর high blood pressure নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।


১০) বুকের বাম দিকে ব্যথা ও হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি। রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমে তৈরি হয় ব্লক। এ ব্লকের জন্য রক্তচাপ বাড়ে, দিনের পর দিন রক্তে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের শ্বাসকষ্ট হয় এবং  হৃৎস্পন্দনের অস্বাভাবিক গতি তৈরি হয়।



আপনার শরীরে কোলেস্টেরল খুব বেশি কিনা তা জানার একমাত্র উপায় হল রক্ত ​​পরীক্ষা। এবং রক্তে যদি কোলেস্টেরল এর মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসিলিটার এর বেশি থাকে তাহলে আপনাকে  সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন আপনার বয়স ২০ বছর হওয়ার পরে একজন ডাক্তারকে দিয়ে  আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান। তারপর প্রতি ৪ থেকে ৬ বছর পর পর আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান।



  কারো যদি  পারিবারিকভাবে  উচ্চ কোলেস্টেরলের ইতিহাস থাকে এবং আপনি  ৩ টি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন তাহলে বছরে ১-২ বার করে আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের পরীক্ষা করা উচিত। ঝুঁকি ৩ টি হলো :


১) উচ্চ রক্তচাপ বা high blood pressure 

২) অতিরিক্ত ওজন। 

৩) ধুমপানের অভ্যাস। 



এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।




Tuesday, April 30, 2024

আমাদের দেহে স্বাভাবিক কোলেস্টেরলের এর মাত্রা কেমন হওয়া উচিত?

শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা।সামান্য একটু হেঁটেই যদি পা ব্যথা হয় তাহলেও কিন্তু সাবধান। কোলেস্টেরলের সমস্যার কারণে এটা হতে পারে।এজন্য মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে আমাদের দেহের  কোলেস্টেরলের মাত্রা জানা দরকার। কোলেস্টেরল  বাড়লে তা রক্তনালীর দেয়ালে জমতে থাকে। কোলেস্টেরল বাড়লেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। 




কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করলে তা রক্তনালীর দেওয়ালে জমতে শুরু করে। 

তাই আমাদের সবারই কোলেস্টেরল এর ব্যাপারে  সচেতন থাকা উচিত । কোলেস্টেরল অনেক রোগ সৃষ্টির কারণ হলেও  আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা কতটুকু থাকা উচিত তার সম্পর্কে আমরা জানিনা। আজ আমরা সেই আলোচনায় আসছি। কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও যেরকম ক্ষতি আমার কম থাকাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।//



আমাদের শরীরে  ৪(চার) ধরনের লিপিড বা চর্বি বিদ্যমান  আছে। এই চার ধরনের লিপিড উপর  নির্ভর করে আমাদের  শরীরের প্রয়োজনীয় স্বাভাবিক  কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং সর্বনিম্ন মাত্রা হিসেব করা হয়। 


১) Low density Lipoprotein- কম ঘনত্বযুক্ত লিপোপ্রোটিন। 

২) High density Lipoprotein- বেশি ঘনত্ব যুক্ত লিপোপ্রোটিন। এই HDL আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। 

৩) Triglyceride -ট্রাইগ্লিসারাইড

৪) Total cholesterol in our body 



Low density Lipoprotein- কম ঘনত্বযুক্ত লিপোপ্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর একে  খারাপ বা 'bad cholesterol'  বলা হয় । এর মাত্রা সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ কত হওয়া উচিত? 


প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার জন্য রক্তে LDL এর স্বাভাবিক পরিমাণ ১০০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার ১০০mg/dl বা তার কম । রক্তে এর পরিমাণ ১৩০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এর উপরে গেলে শারীরিক সমস্যা শুরু হয় এবং তা যদি ১৯০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এর উপরে যায় তখন হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। 


High density Lipoprotein- বেশি ঘনত্ব যুক্ত লিপোপ্রোটিন এই কোলেস্টেরল হলো আমাদের শরীরের জন্য  উপকারী। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার জন্য রক্তে High density Lipoprotein-HDL এর স্বাভাবিক পরিমাণ ৫০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার ৫০mg/dl বা তার বেশি। 



Triglyceride -ট্রাইগ্লিসারাইড। ট্রাইগ্লিসারাইড আমাদের শরীরে মেদ আকারে  জমতে থাকে। খাবার খাওয়ার পরে আমাদের শরীরে যে শক্তি যে উৎপন্ন হয় তা কোথাও ব্যবহৃত না হলে ট্রাইগ্লিসারাইড হিসেবে আমাদের দেহে জমতে থাকে। 

আমাদের দেহে ট্রাইগ্লিসারাইড এর স্বাভাবিক মাত্রা ১৫০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার বা তার কম। ট্রাইগ্লিসারাইড এর সর্বোচ্চ মাত্রা  

২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার । 



Total cholesterol in our body:


LDL,HDL, Triglyceride এবং অন্যান্য সমস্ত 

কোলেস্টেরলের সর্বমোট  পরিমান হল টোটাল কোলেস্টেরল।টোটাল কোলেস্টেরলের হিসাব দ্বারা একজন মানুষের দেহের  কোলেস্টেরলের প্রকৃত অবস্থা  ভালো না খারাপ তা অনুধাবন করা যায় না। কারণ  LDL বা HDL যে কোনটিই বেশি হতে পারে। এই জন্য LDL ও HDL আলাদা আলাদা করে পরীক্ষা করতে হবে। 


প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে টোটাল কোলেস্টেরলের সর্বোচ্চ  মাত্রা ২৪০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার । শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ১৭০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এবং শিশুদের ক্ষেত্রে টোটাল কোলেস্টেরলের সর্বোচ্চ মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার। 


 কোলেস্টেরল মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য একটি লিপিড প্যানেল নামক রক্ত ​​​​পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা খুব সহজ।  একজন ডাক্তার রক্তের নমুনা নেবেন এবং বিশ্লেষণের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠাবেন। ডাক্তার আপনাকে নির্দেশ দিবেন  যে আপনি পরীক্ষার কমপক্ষে ১২ ঘন্টা আগে কিছু খাবেন না বা পান করবেন না।



এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।


Saturday, April 27, 2024

আই স্ট্রোক বা চোখের স্ট্রোক কি? কি তার লক্ষণ? (আই স্ট্রোক যার ক্ষতি আমরা খুব কম জানি)

 পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন স্ট্রোকে। এতে মৃত্যুহারও সর্বোচ্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে দ্বিতীয় প্রধান মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক। অসংক্রামক ব্যাধির মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে হৃদরোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান এবং শারীরিক অক্ষমতার জন্য স্ট্রোক সবচেয়ে বেশি দায়ী।

আমরা ইদানিং হিট স্ট্রোক সম্পর্কে খুব শুনছি, পত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন   স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণায় আর  হার্ট ও ব্রেন স্ট্রোক তো আমরা আগে থেকেই জানি। ডাক্তাররা নতুন আরেকটা স্ট্রোকের কথা বলছেন তা  হল  আই স্ট্রোক,যার ক্ষতি এবং লক্ষণ সমূহের  ব্যাপারে আমরা খুব কম জানি। //



চোখের গুরুত্ব কতখানি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কিছু ভুলের কারণে আপনার চোখেও স্ট্রোক হতে পারে। কিভাবে  জানেন কি? চোখের স্ট্রোকের প্রধান  ভিলেন হলো  আমাদের অতি পরিচিত কোলেস্টেরল। চোখের পিছন দিকে একটা সরু টিস্যু থাকে যাকে রেটিনা বলা হয় যাতে রক্ত পৌঁছয় রেটিনা ধমনী এবং শিরার মাধ্যমে । চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এই রেটিনা। কিন্তু যখন এই রেটিনার শিরাগুলো ব্লক হয়ে যায়  রক্ত তখন রেটিনা পর্যন্ত  পৌঁছতে পারে না। রেটিনার শিরাগুলি যখন  ব্লক হয়ে যায় তখনই হয়ে থাকে আই স্ট্রোক। এই সকল রক্তনালীগুলিতে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ না হলে সেগুলিতে  ব্লকেজ দেখা দেয়। আসলে চোখের রেটিনার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মস্তিষ্কের। তাই রেটিনার মধ্যে হঠাৎ করে যদি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তখনই  ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে একেবারেই দৃষ্টি শক্তি চলে যেতে পারে।
এই রোগটি সাধারণত যাঁদের বয়স  ৫০ বছরের বেশি  মূলত তাঁদের মধ্যেই বেশি  দেখা যায়।

যাদের আই স্ট্রোক হবার  সম্ভাবনা  বেশি তারা হলো :

১) যাদের উচ্চ রক্তচাপ ভুগছেন ।
২) যাদের বয়স ৫০ অতিক্রম করেছে।
৩) এবং যাদের ডায়াবেটিস আছে।

আই স্ট্রোক হবার লক্ষনগুলো হল :

১) চোখে অসম্ভব যন্ত্রণা হবে।

২) চোখে সব কিছু  ঝাপসা দেখবেন ।

৩) চোখের সামনে লম্বা লম্বা লাইন দেখতে পাবেন।

৪) একটা চোখের দৃষ্টি  খারাপ হয়ে যাবে।

৫) এরকম মনে হতে পারে যে  আপনার দেখার সময় চোখের সামনে কিছু একটা ভাসছে।

এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।


Friday, April 26, 2024

সরিষার তেল এতো ভালো হলে আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডা এসব দেশে সরিষার তেল খাওয়া নিষিদ্ধ কেন?

আমাদের এই উপমহাদেশের  শত শত বছর যাবৎ রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং আমাদের দেশের মানুষ সরিষার  তেল দিয়ে রান্না করতে  অভ্যস্ত। আমরা এটাকে ক্ষতিকর কিছু  মনে করি না। 


ভারত, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো এশিয়ান দেশগুলি রান্না এবং ভর্তা ভাজির জন্য প্রধানত সরিষার তেলের উপর নির্ভর করে।  তবে,অন্যান্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের দেশগুলো তাদের দেশে মানুষের ব্যবহারের জন্য এই তেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ইউরোপ, আমেরিকায় সরিষার তেলের  বোতলের উপর  লেখা থাকে "External use only" অর্থাৎ আপনি  বাহিরে প্রয়োগ করতে পারবেন কিন্তু খেতে পারবেন না। //



আমেরিকা , কানাডা এবং ইউরোপের দেশগুলো গবেষণায় পেয়েছে সরিষার তেলে প্রায় ২০-৪০ শতাংশ ইরুসিক অ্যাসিড আছে যা শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে। ট্রাইগ্লিসারাইড এর কারণে হৃদপিণ্ডে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়াও ফুসফুসের ক্যানসার ও অ্যানিমিয়া জন্যও এটি দায়ী।দীর্ঘস্থায়ী অ্যানিমিয়া হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর এবং অঙ্গের ক্ষতির মতো গুরুতর চিকিৎসা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।  



আমেরিকার  ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসনের  গবেষণার তথ্য মতে, সরিষার তেলে ইরুসিক অ্যাসিডের পরিমাণ খুব বেশি। এটি এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি সঠিকভাবে হজম হয় না এবং মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করে। ইরুসিক অ্যাসিড স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা সৃষ্টি করে এবং  অনেক মানসিক রোগের কারণ। 


সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ইরুসিক অ্যাসিড থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বাতের ব্যাথা এবং কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। ইরুসিক অ্যাসিড  ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।


ত্বকে সরিষার তেলের অতিরিক্ত প্রয়োগের কারণে চুলকানি হতে পারে।  অ্যালাইল আইসোথাওসায়ানেট নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান সরিষার তেলে উপস্থিত থাকে যা ফুসফুসের প্রদাহ এবং গুরুতর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের কারণ হতে পারে।



এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘকাল ধরে শরীরে ইরুসিক অ্যাসিড প্রবেশ করলে সেটি হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে এক ধরনের রোগের সৃষ্টি করে, যার নাম মায়োকার্ডিয়াল লিপিডোসিস। শরীরে অল্প মাত্রায় ইরুসিক অ্যাসিড প্রবেশ করলে সেটা নিরাপদ। কিন্তু এর মাত্রা অধিক হলেই  বিপজ্জনক হতে পারে মানব শরীরের জন্য।

সরিষার তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার  বিশেষ করে ছোট শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য ক্ষতিকর। 


আমেরিকা,কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাই নিষিদ্ধ সরষের তেল। এসব জায়গায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রান্নার কাজে সয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়। 

 

সরিষার তেলেরও  অনেক উপকার আছে কিন্তু এটা অতিরিক্ত  ব্যবহার করা যাবে না, বেশি খাওয়া যাবে না। যেটুকু ব্যবহার করব  সেটুকু  বিশুদ্ধ হওয়া উচিত।   



এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।


Wednesday, April 24, 2024

বজ্রপাতের সময় কি পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়? । What is lightning strikes।

আমরা ছোটবেলা থেকেই আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো দেখতে অভ্যস্ত এবং তার সাথে  বজ্রপাতের শব্দের সাথে পরিচিত। 


সব বজ্রপাত মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয় যেগুলো আকাশেই থেকে যায়  সেগুলো দ্বারা মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না কিন্তু যেগুলো মাটিতে নেমে আসে তা মানুষের জন্য অনেক সময়  ক্ষতির কারণ হয়। 



একটা বিদ্যুৎ চমকানো বজ্রপাতের স্থায়িত্ব সময় কাল হলো ৩০ মাইক্রো সেকেন্ড। এক মাইক্রো সেকেন্ড হলো  এক সেকেন্ডের ১০ লক্ষ ভাগের একভাগ। এক সেকেন্ড কে ৩৩ হাজার ৩৩৩  দিয়ে ভাগ করলে যা হয় তাই ৩০ মাইক্রো সেকেন্ড। এবং বজ্রপাত একটি বুলেটের চেয়ে প্রায় ৩০,০০০ গুণ দ্রুত চলে।এজন্য কোন চলমান প্রাণীর উপর  যদি বজ্রপাত হয়  তার দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার  যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। 


সারা বিশ্বে  প্রতি বছর বজ্রপাতে  প্রায় ২৫,০০০ মানুষ বজ্রপাতে মারা যায় এবং ২,৫০,০০০ আহত হয়।শুধু আমেরিকাতেই প্রতিবছর দুই কোটির বেশি বজ্রপাত হয়। পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে  লক্ষ লক্ষ  বজ্রপাত সৃষ্টি হয়।


 একটি বজ্রপাতের দ্বারা  যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় তা সূর্যপৃষ্টের উৎপন্ন তাপমাত্রার পাঁচ গুন। 


এক একটি বজ্রপাতের ফলে  বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। মেঘ থেকে ভূমিতে হওয়া একটি সাধারণ বজ্রপাতে প্রায় ১ এক বিলিয়ন ওয়াট বা ১ বিলিয়ন জুল  বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ হল ডিসি কারেন্ট। আমরা  বাসাবাড়িতে  ২২০ ভোল্ট এর বিদ্যুৎ ব্যাবহার করি। সাধারণ  হিসাবে  বজ্রপাতের দ্বারা সৃষ্ট এই বিদ্যুৎ একটি ছোট শহরের পুরো দিনের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। আমেরিকাতেই প্রতিবছর এরকম  দুই কোটির বেশি বজ্রপাত হয়। আর বাংলাদেশে প্রতিবছর  সাত আট লক্ষ বজ্রপাত হয়। এর মধ্যে যে বজ্রপাত গুলো  সরাসরি মাটিতে নেমে  আসার পরে মানুষের উপর পতিত হয়  তাতেই আমাদের দেশে  প্রতি বছর গড়ে ৩২০ থেকে  ৩৫০ জন মানুষের  মৃত্যু হয়। যেটা পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি।

ইনশাআল্লাহ বজ্রপাত নিয়ে আরো কিছু ভিডিও দিব। 


এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।



Tuesday, April 23, 2024

ট্রেনের ভাড়া বাড়বে যা ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে, কত ভাড়া বাড়বে?

বাংলাদেশ রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (২২/৪/২৪)  বলা হয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়। 


সম্প্রতি বাংলাদেশে রেলওয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে নতুন করে ভাড়া না বাড়িয়ে দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।



বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।



হ্যাঁ ট্রেনের ভাড়া বাড়বে যা কাছের যাত্রীদের জন্য না। যারা দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ  করবেন তাদের জন্য ভাড়া বাড়বে। অর্থাৎ দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেয়াত বা ডিসকাউন্ট প্রত্যাহারের কারণে ভাড়া বাড়বে অর্থাৎ যারা ১০০ কিলোমিটার উপরে ভ্রমণ করবেন তাদেরকেই বেশি ভাড়া দিতে হবে। ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের যাত্রীদের ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়বে না।  


রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে, তাহলে তাকে  বেশি ভাড়া দিতে হবে।




রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে,

 ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত বা ডিসকাউন্ট ছিল ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেয়াত বা ডিসকাউন্ট ছিল ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের ওপরে রেয়াত বা ডিসকাউন্ট ছিল ৩০ শতাংশ। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।





 

Sunday, April 21, 2024

Saturday, April 20, 2024

প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের কোন জেলাগুলো সবচেয়ে বেশি এগিয়ে? এবং তারা কত হাজার কোটি আয় করে?

বাংলাদেশ থেকে  বিদেশে শ্রমিক যাওয়া  শুরু করে ১৯৭৬ সাল থেকে। বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত’ বাংলাদেশী প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। বাংলাদেশ থেকে বেশি কর্মি যায়  চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে। 


২০২৩ সালে বিশ্বে  বাংলাদেশ প্রবাসী আয়ে ছিল ৭ম। বাংলাদেশের আয় ছিল  ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


তার আগের বছরে, অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রবাসী আয় ছিল  ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। 



 এর আগে ২০২১ সালে প্রবাসী আয় ছিল   ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার।


 ২০২০ সালে প্রবাসী আয় ছিল ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার। 


এবং ২০১৯ সালে প্রবাসী আয় ছিল  ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার।



বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের যে জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা জেলা। এরপরে হলো  চট্টগ্রাম তারপর যথাক্রমে সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদী। 



বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি মাসে,

 ঢাকা জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ৫২৩ কোটি ডলার। বাংলা টাকার সাথে ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা করে ধরলে যা দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। 


দ্বিতীয় স্থানে থাকা চট্টগ্রাম জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ১৪২ কোটি ডলার যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায়  প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। 


সিলেট জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ৮৭ কোটি ডলার,যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায়  প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। 


কুমিল্লা জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ৮১ কোটি ডলার,যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায়  প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। 


নোয়াখালী জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ৪৬ কোটি ডলার,যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায়  ৫ হাজার কোটি টাকা। 


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ৩৮ কোটি ডলার,যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায়  প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। 


ফেনী জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ৩৭ কোটি ডলার,যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায়  ৪ হাজার  কোটি টাকা। 



মৌলভীবাজার জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ৩৬ কোটি ডলার,যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায়  প্রায় ৪ হাজার  কোটি টাকা। 


চাঁদপুর জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ৩৫ কোটি ডলার,যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায় ৩ হাজার  ৮০০ কোটি টাকা। 


নরসিংদী জেলার প্রবাসীরা আয় করে  বাংলাদেশে পাঠায়  ২৫ কোটি ডলার, যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায় ৩ হাজার  কোটি টাকা। 


অন্যান্য  জেলাগুলোর প্রবাসী  আয় কম হাওয়ায় তাদের কথা উল্লেখ করা হলো না। আমাদের দেশের  দক্ষ জনশক্তি কম হওয়ার কারণে আমরা ভারত ও পাকিস্তান থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। 



এই ভিডিওটিতে  আপনার মূল্যবান  মন্তব্য share করবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।


Thursday, April 18, 2024

যাত্রীবাহী বিমানগুলি সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ হাজার ফুট এর মাঝখান দিয়ে কেন কেন চলাচল করে?

আমরা যে পৃথিবীতে থাকি  এই পৃথিবী পাঁচটি বায়ুমণ্ডলের স্তর দ্বারা গঠিত। এই পাঁচটি স্তরকে সম্মিলিতভাবে বায়ুমণ্ডল বলে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের  প্রধান ভূমিকা পালন করে ট্রপোমণ্ডল ও স্ট্রাটোমণ্ডল। এই   পাঁচ স্তর বিশিষ্ট বায়ুমন্ডল এর নাম হলো    যথা - ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, তাপমণ্ডল ও এক্সোমণ্ডল।


আমাদের ঠিক মাথার উপরের স্তরটার নাম হলো ট্রপো মন্ডল। এই স্তরে আমরা বাতাস থেকে শ্বাস প্রশ্বাস নেই এবং আকাশে মেঘ ভেসে বেড়ায় ।পৃথিবীর ৫ স্তরের বায়ুমণ্ডলের মধ্যে  এই সর্বনিম্ন স্তরের বায়ু সবচেয়ে ঘন।  প্রকৃতপক্ষে, ট্রপোস্ফিয়ার সমগ্র বায়ুমণ্ডলের ওজনের  তিন-চতুর্থাংশ ধারণ করে।  এখানের বায়ুতে ৭৮% পার্সেন্ট নাইট্রোজেন এবং  ২১% পার্সেন্ট অক্সিজেন বিদ্যমান। বায়ুমণ্ডলের এই স্তরের মধ্যে  ঝড়ো হাওয়া,  ঝড় বৃষ্টি, ঘুর্নিঝড়, উচ্চচাপ, নিম্নচাপ ইত্যাদি বিদ্যমান থাকে। এজন্য যাত্রীবাহী বিমানগুলি চলার  সময় এই স্তর এড়িয়ে চলে  কিন্তু বিমান  ওঠা নামার  সময় এই স্তরে তাকে ফিরে আসতে হয়। 




বিমানগুলি স্ট্রাটোমণ্ডল বা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার দিয়ে চলাচল করে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৫০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা এই স্ট্র্যাটোমন্ডল বলে।স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ২০ - ৩৫ কিমি. উচ্চতার মধ্যে ওজোন গ্যাসের আধিক্য দেখা যায় বলে এই স্তরটিকে ওজোন স্তর বলে ।

এই মন্ডলের কোন কোন জায়গায় বায়ুর ঘনত্ব সমুদ্র বৃষ্টির বায়ুর তুলনায়  ১০০০ গুণ কম। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের বায়ু  শুষ্ক থাকে এবং সামান্য জলীয় বাষ্প ধারণ করে। এই স্তরে সামান্য কিছু  মেঘ দেখা  যায়। জলীয় বাষ্পহীন এই স্তরে ঝড়-বৃষ্টি হয় না বলে একে শান্তমন্ডলও বলে। আবহাওয়া শুষ্ক ও শান্ত থাকায় এ অঞ্চল দিয়ে জেট বিমান চলাচল করে থাকে ।//



একটা বিমান যাতে সর্বোচ্চ কার্যকরীভাবে চলাচল করে  সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে সেভাবেই বিমানের নকশা করা হয়। এজন্য বাতাসের  ঘনত্ব এবং ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতার সাথে  জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহারের দিকে খেয়াল রাখা হয়।  এজন্য বাণিজ্যিক জেটগুলো  ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০  ফুটের মধ্যে চলাচল করে। বায়ুমণ্ডলের এই স্তরের নাম হল স্ট্রাটোমণ্ডল বা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার যেখান দিয়ে বাণিজ্যিক বিমান  চলাচল করে। এই স্তর দিয়ে চলার আরও সুবিধা হলো এখানে জ্বালানি খরচ কম হয় প্লেন দ্রুত পথ অতিক্রম করতে পারে এবং যেহেতু বাতাস কম থাকে তাই বাতাসের সাথে বিমানের ঘর্ষণ কম হওয়ার কারণে  বিমান দ্রুত যেতে পারে এবং জ্বালানি খরচ কম হয় এবং এই স্তরে কোন ঝড় আবহাওয়া নাই, ঝড় বৃষ্টি, ঘুর্নিঝড় নাই এসব না থাকার কারণে বিমানগুলো  মসৃণ ভাবে চলাচল করতে পারে এবং এবং যাত্রীরা খুব আরাম অনুভব করে কারণ বিমান  বেশি নড়াচড়ার কারণে যে শারীরিক অসুবিধা হয় সে অসুবিধা এখানে অনুভব করে না । যেমন, বোয়িং 747 এবং এয়ারবাস Airbus A380 এর মতো বাণিজ্যিক বিমানগুলো  ৩৫,০০০ ফুট থেকে ৪০,০০০ ফুট এর মধ্যে দিয়ে   চলাচল  করতে পারে। আবার কনকর্ড বিমান গুলো ৬০,০০০ হাজার ফুটেরও বেশি উপর দিয়ে চলাচল করে এজন্য ঐ সমস্ত বিমানের ইঞ্জিন এবং আকৃতি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। 


এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন মন্তব্য এবং কোন প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ

Tuesday, April 16, 2024

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি স্বর্ন মজুদকারি দেশ কারা?

সোনা পৃথিবীতে বহুলব্যবহৃত ধাতুসমুহের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো যা হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

স্বর্ণ  সংকটকালের বন্ধু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তা ব্যক্তিগতভাবে হতে পারে বা পারিবারিকভাবে হতে পারে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে হতে পারে। যেমন  আপনি একজন ব্যক্তি, ব্যক্তি হিসেবে আপনার কাছে স্বর্ণ জমা আছে সংকটের সময় সেই স্বর্ণকে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। ঠিক সেরকম ভাবে পরিবারের কাছেও যদি এরকম স্বর্ণ জমা থাকে  প্রয়োজনে, সংকটে, বিপদে সেই পরিবার তার জমানো স্বর্ণকে খরচ করতে পারে। ঠিক একইভাবে যুগ যুগ ধরে যে কোনো রাষ্ট্রও তার সংকটের  কথা চিন্তা ভাবনা করে, তার দেশের অর্থনীতি যাতে ভালো চলে  এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধ বিগ্রহ,  বিপদ  ইত্যাদির  কথা চিন্তা করে স্বর্ণ জমা করে। যে দেশের কাছে যত স্বর্ণ তারা সেই স্বর্ণকে বিপদের সময় বিক্রি করে, বন্ধক রেখে তার অর্থনীতিকে সচল রাখে মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যস্ফীতি  নিয়ন্ত্রণ করে। 



এইজন্য বলা হয়  মন্দা বা অর্থনৈতিক সংকটের সময় সোনায় বিনিয়োগ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে একটা প্রতিবন্ধক  হিসাবে কাজ করে। 



মার্কিন ডলারের সাথে সোনার বিপরীত সম্পর্ক দ্বারা সোনার গুরত্ব বুঝা যায়। যখন ডলারের মূল্য হ্রাস পায়, তখন সোনার মূল্য বৃদ্ধি পায়। 


রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে মূল্যবান সোনার মজুদ রয়েছে ৩৫ হাজার টনেরও বেশি। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত খনি থেকে যত  স্বর্ণ উত্তেলিত হয়েছে তার পাঁচ ভাগের  একভাগের  বেশি সোনা  বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুলির কাছে জমা আছে। । 


বর্তমানের ও ভবিষ্যতের বিভিন্ন  সংকটময় পরিস্থিতিতে মুদ্রাবাজারের  গতিনির্ধারক হয়ে উঠবে স্বর্ণ।  এইজন্য রিজার্ভে স্বর্ণের মজুদ ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 



ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য  অনুযায়ী ,  ২০২৩ সালে  বিশ্বে বেশি স্বর্ন মজুদকারি দেশ  হিসেবে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্য থেকে র‍্যাংকিং এ প্রথম ২০ টি দেশের কাছে কি পরিমান স্বর্ণ মজুত আছে তার একটা হিসাব বলবো। এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কি পরিমাণ সোনা   মজুদ আছে এবং তার প্রতিবেশীদের থেকে বাংলাদেশের পার্থক্য কতটুকু তাও বলবো। 


স্বর্ণ মজুদে  সারা পৃথিবীতে যে  দেশটি এক নম্বর বা বিশ্বে প্রথম সে দেশটি হলো   আমেরিকা, আমেরিকার কাছে ৮১৩৩ টন স্বর্ণ মজুদ আছে। বিশাল মজুদ। 


দ্বিতীয় স্থানে আছে জার্মানি। জার্মানির কাছে ৩৩৫২ টন স্বর্ণ মজুদ আছে। এখানে দেখা যায় যে জার্মানি আর আমেরিকার মধ্যে  ব্যবধান অনেক। 

তৃতীয় স্থানে আছে  ইতালি যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ২৪৫১ টন। 


চতুর্থ স্থানে আছে ফ্রান্স যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ২৪৩৬ টন। 


পঞ্চম স্থানে আছে রাশিয়া, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ২৩৩২ টন। 

ষষ্ঠ স্থানে আছে চীন যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ২২৩৫ টন। 


সপ্তম স্থানে আছে সুইজারল্যান্ড, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ১০৪০ টন। 


অষ্টম স্থানে আছে জাপান, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৮৪৫ টন। 

নবম স্থানে আছে ভারত, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৮১৫ টন। 


দশম স্থানে আছে নেদারল্যান্ড, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৬১২ টন। 


১১ তম  স্থানে আছে তুরস্ক, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৫৪০ টন। 


দ্বাদশ তম স্থানে আছে তাইওয়ান, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৪২৩ টন। 


১৩ তম স্থানে আছে পর্তুগাল, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৩৮২ টন। 


১৪ তম স্থানে আছে উজবেকিস্তান, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৩৭১ টন। 


১৫ তম স্থানে আছে পোল্যান্ড, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৩৫৮ টন। 


১৬ তম স্থানে সৌদি আরব,যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৩২৩ টন। 


১৭ তম স্থানে আছে ইংল্যান্ড, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৩১০ টন। 


১৮ তম স্থানে আছে কাজাখস্তান, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ২৯৪ টন। 


১৯ তম  স্থানে আছে লেবানন, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ২৮৬ টন। 


২০ তম  স্থানে আছে স্পেন, যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ২৮১ টন। 



স্বর্ণ মজুদের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ, যার স্থান র‍্যানকিং এ ৬০ এর পরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে স্বর্ণের পরিমাণ ১৪ টন। 


দক্ষিণ এশিয়া দেশ গুলির মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় হল ভারতের ৮১৫ টন তুলনামূলকভাবে খারাপ অবস্থান বাংলাদেশের ১৪ টন।  বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ২২ টন। এবং পাকিস্তানের যার স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৬৬ টন।

নেপালের স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৮ টন। 


আর শ্রীলংকার  স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ ৭ টন। 


বিশাল জনসংখ্যার দেশ এবং তার ব্যয় হিসেবে বাংলাদেশের  অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায়  সবচেয়ে খারাপ। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ

Saturday, April 13, 2024

কোন দেশের ১০ হাজারের উপরে এয়ারপোর্ট আছে? এত এয়ারপোর্ট কেন? ভারত,চীন এবং বাংলাদেশের কত এয়ারপোর্ট আছে?

দেশটি হলো আমেরিকা। যাদের ১৪ হাজারের উপর এয়ারপোর্ট আছে। 


কি কারনে এত এয়ারপোর্ট? 


আমেরিকা দেশ বড় এটা প্রকৃত উত্তর না।   রাশিয়া, চীন,ভারত এরাও অনেক বড় দেশ কিন্তু তাদের আমেরিকার মতো এতো এয়ারপোর্ট নেই। হ্যাঁ  জিওগ্রাফি একটা বড় ফ্যাক্টর তার সাথে যদি থাকে আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং প্রযুক্তি তাহলে অনেক কিছুই সহজ হয়। 



পৃথিবীর সবচেয়ে যাত্রীবাহী বিমান কোম্পানিগুলি আমেরিকাতে যার মালিক আমেরিকা এবং  শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমানো তারাই তৈরি করেন এবং ভালো হেলিকপ্টার ও তারাই তৈরি করে। আমেরিকার আড়াই লক্ষ(২,৫০,০০০) এর বেশি যাত্রীবাহী বিমান আছে এবং প্রায় আট হাজার (৮,০০০)চার্টার বিমান আছে ।  এই হিসাব তাদের কমার্শিয়াল প্লেন এবং সামরিক বিমান  ছাড়াই। এই কারণেই আমেরিকাতে বুলেট ট্রেন নেই, দরকার পড়ে না। 


আমেরিকার বড় বড় শহর গুলি একটা থেকে  আর একটার দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি। এ কারণে দ্রুত ভ্রমণ জন্য, ব্যবসার জন্য, এবং ছুটি কাটানোর জন্য তাদের দেশে এত বিমান, এয়ারপোর্ট,এবং এয়ারলাইন্স কোম্পানি গুলো  গড়ে উঠেছে। আমেরিকায় বছরে অভ্যন্তরীণভাবে প্রায় 2 কোটি ফ্লাইট চলাচল করে। হ্যাঁ ভাই এলাহী কাণ্ড। 


আমেরিকার পরে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল যাদের ৪০০০ এর উপর এয়ারপোর্ট আছে। তৃতীয় হলো মেক্সিকো যাদের ১৮০০ এর কাছাকাছি এয়ারপোর্ট আছে । কানাডার আছে ১৫০০ রাশিয়ার প্রায় ১৩০০। চীনের আছে ৫১০ এয়ারপোর্ট, ভারতের প্রায় ৩৫০ সাড়ে তিনশ। পাকিস্তানের ১৫১ টা। নেপালের ৪৮ টা । নেপাল আর্থিকভাবে অত উন্নত দেশ না হওয়ার পরেও তাদের এয়ারপোর্টে  বেশি হওয়ার কারণ হলো নেপালের ভৌগোলিক অবস্থান নেপালের বেশি এলাকাই পার্বত্য এবং দুর্গম। আর এয়ারপোর্ট গুলির অধিকাংশই অত বড় বিশাল কোন এয়ারপোর্ট না ছোটখাটো এয়ারপোর্ট। বাংলাদেশের ১৯ টা এয়ারপোর্ট।  শ্রীলংকার ১৮ টা। মালদ্বীপের ৯ টা এবং ভুটানের ২ টা। 


বিমানের রং সাদা হয় কেন? অন্য রং দিলে কি ক্ষতি?

সেই শিশু  বয়স থেকেই দেখছি যে বিমানকে  সাদা রং দিয়ে রাঙানো  হয়। এখনো ঠিক সেই একই নিয়মে চলছে শুধুমাত্র কিছু সামরিক পরিবহন বিমান ছাড়া। কিছু সামরিক পরিবহন বিমানকে হালকা জলপাই বা  হালকা ছাই রং দিয়ে রাঙানো হয়।

বিমানের রং সাদা হয় কেন?

যেহেতু সাদা রং ছাড়া অন্য সব রং কম বেশি আলো শোষণ করে তাই প্রচন্ড রোদে  সাদা রং ছাড়া অন্য কোন রং থাকলে তা আস্তে আস্তে  ফ্যাকাসে হয়ে যাবে, সে তুলনায় সাদা রঙের স্থায়িত্ব এবং উজ্জ্বলতা অনেকদিন পর্যন্ত  বজায় থাকে। /



আমরা প্রায়ই বার্ড স্ট্রাইক নামে একটা কথা শুনি, অর্থাৎ আকাশে চলন্ত অবস্থায় বিমানের সাথে পাখির সংঘর্ষ, এরুপ ঘটনাকে বার্ড স্ট্রাইক বলে। নীল আকাশে পাখি সাদা বিমানকে  খুব সহজেই দেখতে পারে  তারপরও বার্ড স্ট্রাইক এর ঘটনা ঘটে। আর যখন বিমান অন্য রংয়ের  হবে  তখন বার্ড স্ট্রাইক এর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। /

বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে যখন একটি পাখি বা পাখির দল উইন্ডস্ক্রিনের সাথে সংঘর্ষ হয় বা জেট বিমানের ইঞ্জিনে ঢুকে  যায় । এগুলোর কারণে শুধুমাত্র মার্কন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক ক্ষয়ক্ষতি হয় যা আনুমানিক $৪০০ মিলিয়ন এবং বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক বিমানের ক্ষতি  $১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার  পর্যন্ত।

আমরা জানি যে সাদা রং সূর্যের আলোক রশ্মিকে  প্রতিফলিত করে যার ফলে প্লেনগুলো খুব সহজে গরম হয় না এবং ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে আর যদি সাদা ছাড়া  অন্য কালারের হতো তখন ভিতরে তাপমাত্রা কে আরামদায়ক রাখার  জন্য বেশি জ্বালানি খরচ হত। /

বিমানের কালার সাদা হওয়ার কারণে রাতের অন্ধকারেও বিমানকে স্পষ্টভাবে  সনাক্ত করা যায়  যায়।

বিমান দুর্ঘটনা হলে বিমানটি কোন জঙ্গল সমুদ্র  বা মরুভূমির মধ্যে পতিত হলে সাদা রং এর হওয়ার কারণে তাকে খুব সহজেই দূর থেকে দেখে খুঁজে বের করা যায়। /

বিমান খুব সংবেদনশীল হওয়ার কারণে সামান্য ত্রুটিও প্রকট আকারে দেখা দেয়। তাই চলন্ত অবস্থায় বিমানে কোনো ত্রুটি যেমন বিমানে যদি কোন ছিদ্র দেখা যায় বা ছিদ্র সৃষ্টি হয়,  সাদা রং এর কারণে  তা সহজেই আইডেন্টিফাই করা যায় এবং মেরামত করা যায়। কিন্তু অন্য রঙের ক্ষেত্রে ছিদ্র সহজেই চোখে পড়ত না।/

সাদা রঙ তুলনামূলকভাবে অন্য রং থেকে  বেশি হালকা, এ কারণে সাদা রং দিয়ে  যদি আপনি একটা বোয়িং  বিমান রং করেন তাহলে  কমপক্ষে ৮ জন মানুষের যে ওজন সেই পরিমাণ  ওজন বিমান থেকে হ্রাস করলেন। /

যেহেতু সাদা রঙ তুলনামূলকভাবে অন্য রং থেকে  বেশি হালকা  আর যেহেতু রং ওজন করে কিনা হয় তাই বিমানকে সাদায় রং করতে  যে খরচ হবে অন্য রং করতে তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ হবে। তাই বিশাল বিমানকে সাদা কালারে  রাঙানো অনেক বেশি লাভজনক এবং সাশ্রয়ী।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ। /


Friday, April 12, 2024

Is Bahrain cheap or expensive for tourists?

It is said Bahrain is one of the more affordable Gulf States where food and shopping is quite reasonable  compared to Dubai. There are some nice buffet restaurants in the Seef Mall and in the Marina Mall - where you can have an "eat all you like" meal in reasonable price.




One month trip to Bahrain may costs about $5,000 per person on average, based on the previous expenses of other travelers. This includes accommodation, sightseeting activities, transportation, food, and nightlife. For two people, a one month trip costs $10,000.

For example, renting an average studio apartment in Bahrain can cost anywhere from 300 to 500 Bahraini dinars per month .The rental cost for a one-bedroom apartment can range from 380 to 550 Bahraini dinars per month.

In Seef and other central districts, a one-bedroom apartment may cost between  300 to 600 Bahraini dinars per month, while a three-bedroom apartment can range from  600 to 1,200 Bahraini dinars per month.

Guys Have a good journey to Bahrain.
Thanks for watching. Please Like & subscribe the channel.

Thursday, April 11, 2024

বিমানের ও গাড়ির চাকার রং কালো হয় কেন? কেন সাদা হয় না?

আমরা রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলতে দেখি যেমন সাদা,কাল, লাল, নীল, চকলেট, ক্রিম,সিলভার  বা কারো কোন বিশেষ  পছন্দের রং থাকলে  গাড়িকে সেই রঙে পরিবর্তন করা যায় কিন্তু আমরা হয়তো  চোখের এক পলকের জন্য এই কথা কখনো চিন্তা করি না যে বিমান বা গাড়ির  চাকা তাহলে  কেন সব সময় কালো হয়? এমনকি একটা সাইকেলের চাকাও  সাদা হয় না যেহেতু সাইকেলের চাকা কে  সামান্য  ওজন বহন করতে হয়। /


আমরা কি জানি গাড়ির প্রথম রাবারের  চাকা কখন আবিষ্কার হয়? সময়টা ছিল ১৮৯৫ সাল এবং  পৃথিবীর প্রথম রাবারের চাকা  সাদাই ছিল যেহেতু রাবারের প্রাকৃতিক কালার হল ধূসর সাদা বা হালকা ক্রিম সাদা।এবং রাবারের ভলকানাইজিং করার পরও রাবারের কালার প্রায় সাদাই থাকে। যেহেতু পৃথিবীর প্রথম রাবার চাকা সাদা  ছিল  কিন্তু সেই চাকা বেশি টেকসই ছিল না।সেই সময়  টায়ারের সাদা রংকে আভিজাত্যের প্রতীক ভাবা হতো। 




প্রথম দিকে রাবারের চাকা  তৈরির সময় তার স্থায়িত্বকে ধরে রাখার জন্য তার সাথে জিংক অক্সাইড  যোগ করা হতো।  কিন্তু তারপরও এই জিংক অক্সাইড যুক্ত চাকা  রাস্তায় চলার সময় ক্ষয় হয়ে খুব দ্রুত ফেটে যেত এবং বেশি টেকসই ছিল না। এবং এই সাদা চাকার ব্যবহার নিরাপদ ছিল না। /


এরপরে গবেষকরা এরকম একটা চাকা তৈরির জন্য সন্ধান করতে থাকলো  যেই চাকা খুব দ্রুত গরম হয়ে  দ্রুত ক্ষয় হবেনা টেকসই হবে এবং   নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে। 

রাবার খুবই নমনীয়, ক্ষয়প্রবণ এবং তাপের প্রতি অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়াশীল। নমনীয় এবং তাপের প্রতি সংবেদনশীল  হওয়ার কারণে অধিক ভারে এবং তাপমাত্রায় রাবারের বিকৃতি ঘট উল্লেখযোগ্যভাবে।/


গবেষকদের গবেষণা সফল হওয়ার পরে ১৯১৭ সাল থেকে টায়ার তৈরিতে কার্বন ব্ল্যাক এর ব্যবহার শুরু হয়। কার্বন-ভিত্তিক পণ্য যেমন কয়লা আলকাতরা ইত্যাদির অসম্পূর্ণ দহনের দ্বারা সৃষ্টি হয় কার্বন ব্ল্যাক।


 টায়ার তৈরির সময় রাবারের সঙ্গে  কার্বন ব্ল্যাক যোগ করা হয় যা রাবারের তাপ সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, ভার বহনে সক্ষম করে এবং ক্ষয়রোধী করে চাকার জীবনকাল বৃদ্ধি করে। চাকা তৈরিতে ৭০ থেকে ৮০%  কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার করা হয় সাথে পলিমারও ব্যবহৃত হয়। যার ফলে টায়ারের রং কালো হওয়ায় পাশাপাশি চাকার সাথে রাস্তার ঘর্ষণ কম হয় ফলে কম তাপ উৎপন্ন হয় এবং স্থায়ীত্ব বাড়ে। যার ফলে টায়ারের আয়ু বাড়ে এবং সাদা রং এর টায়ারকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর  ক্রিয়ায় টায়ারকে শক্ত করে যার ফলে টায়ার দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  কিন্তু কার্বন ব্ল্যাক টায়ারকে অতিবেগুনি রশ্মির থেকে রক্ষা করে, যার দ্বারা টায়ারের গুণগত মান অক্ষুণ্ন থাকে।  চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকার যে অংশ বেশি উত্তপ্ত হয় কার্বন ব্লাক সেখানকার তাপমাত্রা কে প্রশমিত  করে। /



চাকা উৎপাদনকারী সংস্থা গুলোর দাবি  আগে যেসব টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার করা হতো না, সেগুলো ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ভালো অবস্থায় চলত। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করার পর টায়ারগুলো এখন প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটার চলে।অর্থাৎ কার্বন ব্লাক ব্যবহারের পর থেকে চাকার স্থায়িত্ব ১০ গুন বেড়ে যায় যা অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত লাভজনক। এভাবে সাদা রাবারের সাথে কার্বন  ব্ল্যাক ব্যবহারের কারণে টায়ারের রং কালো হয়ে যায়।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি please subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ। /


When did the practice of giving Eidi or Eid money to children first start?

The thing that multiplies the Eid joy of children and teenagers after getting new clothes is Eidi or Eid money.  Especially for teenagers  if they don't have eid money they feel like orphans.

The word Eidiyah is a mixture of the words “Eid” and “hadiyah,” essentially translating as Eid gifts. However, Muslims around the world know this tradition by different names, including Eid salami and green envelopes.

The two main religious festivals of Muslims are Eid-ul-Fitr and Eid-ul-Azha. Eid' or 'Eidiyya' is an Arab tradition of givig money and gifts to children, teenagers and family members by older relatives or family friends as part of the worldwide celebration of these two religious festivals.




This 'Idiyah' practice is believed to have originated during determined
Caliphate of Arabia in the 10th century.  At that time, the Caliphs used to give food, clothes, money
or other gifts to the elderly and younger members of the society on the first day of Eid.
Later, during the  Mamluk Empire, it became a custom to pay a certain amount of cash during Eid to purchase clothing.The amount of this financial allocation varied from person to person, and was determined according to a person's social status and importance. In continuation of this, the custom was extended to the family level by the end of the Ottoman Empire.  Since then the practice of children receiving cash gifts from parents and senior members of the family spreaded everywhere.

That means this practice has been going on for  hundred of years. Gradually this culture  has evolved among Muslims all over the world.

We may refer here to a hadith of the Prophet nabi karim সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , in which it is said,
Hazrat Abu Huraira (R.A.) narrated that the Prophet, nabi karim সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম said, "Giving gifts to each other love will increase through this."

Thanks for watching

If you like the video, please like  and  subscribe  the channel.

Wednesday, April 10, 2024

ছোটদের ঈদ সালামি বা ঈদে টাকা দেয়ার প্রচলন কবে থেকে শুরু হয়?

 শিশু কিশোর ও কিশোরীদের নতুন জামা কাপড় পাওয়ার পর যে জিনিসটা তাদের ঈদ আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় তা হলো ঈদী বা ঈদ সালামি। বিশেষ করে কিশোর ও কিশোরীদের নতুন জামা কাপড়ের সাথে টাকা না থাকলে তারা নিজেদেরকে অনেকটা এতিম এতিম মনে করে।

'ঈদ 'একটি আরবি শব্দ।  এই ঈদ শব্দটা পরবর্তীতে পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে 'ঈদি' বা 'ঈদিয়াহ'(Eidiyya)। ঈদিয়াহ(Eidiyya) শব্দটি "ঈদ" এবং "হাদিয়াহ" শব্দের মিশ্রণ (ঈদ+হাদিয়াহ=ঈদিয়াহ), অর্থাৎ ঈদ এর  'ঈ 'এর সাথে 'হাদিয়াহ' এর হা বিলুপ্ত হয়ে 'ঈদিয়াহ' হয়েছে যা মূলত 'ঈদ উপহার' বা 'Eid gift' হিসেবে রুপান্তর  করা হয়।সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই ঐতিহ্যকে সালামি এবং সবুজ খাম সহ বিভিন্ন নামে চিনেন ।



মুসলিমদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসব  হলো  ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। ঈদি' বা 'ঈদিয়াহ'(Eidiyya) হলো সারা বিশ্বব্যাপী এই দুটি  ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের অংশ হিসাবে বয়স্ক আত্মীয় স্বজন  বা পরিবারের বন্ধু বান্দবদের দ্বারা শিশু,কিশোরদের এবং পরিবারের সদস্যদের নগদ উপহার দেওয়ার একটি  আরব ঐতিহ্য।

১০ম শতাব্দীতে আরবের ফাতেমীয় খিলাফত দ্বারা এই  'ঈদিয়াহ'  প্রথা উদ্ভূত হয়েছে  বলে মনে করা হয়।  সেই সময়ে খলিফারা সমাজের বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ সদস্যদেরকে ঈদের প্রথম দিন  খাবার, কাপড়,নগদ টাকা বা অন্যান্য উপহার দিতেন।অর্থাৎ এই প্রথা ১০০০ হাজার বছর ধরে আজ পর্যন্ত  চলে আসছে। এবং সময়ের পরিবর্তনে তা সারা বিশ্বের মুসলিমদের মধ্যে বিকশিত হয়েছে।

আমরা এখানে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটা হাদিস উল্লেখ করতে পারি যেখানে বলা হয়েছে,
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "পরস্পর হাদিয়া দাও, এর দ্বারা মহব্বত বৃদ্ধি পাবে।’" এই হাদিসটা  আদাবুল মুফরাদ কিতাবে আছে।

যাহোক কিশোর ও কিশোরীরা ঈদের  দিনে টাকা পয়সা হাদিয়া পেয়ে তারা অনৈতিক জায়গায় খরচ করে কিনা সেই খবর আমাদের রাখা উচিত। ঈদের আনন্দ মানে এই না যে এইদিন আমরা যা খুশি তাই করতে পারব। ইসলামে খুশীর দিনে নেক আমালকে বৃদ্ধি করা হয়েছে যেমন অন্য সবদিন নামাজ ৫ ওয়াক্ত কিন্তু ঈদের দিন নামাজ ৬ ওয়াক্ত এবং সাথে অতিরিক্ত দান সদকা আছে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।

Tuesday, April 9, 2024

চন্দ্রগ্রহণ কি? চন্দ্রগ্রহণ কতপ্রকার? সুপারমুন কি?

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ এবং সূর্য পৃথিবীর দুই পাশে ঠিক সরলরেখায় অবস্থান করে, চন্দ্রগ্রহণের সময় আমরা  চাঁদের পিঠে পৃথিবীর ছায়া দেখি।পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাটিকে চন্দ্রগ্রহণ বলে।



সূর্যগ্রহণ আদৌ  দেখা যাবে কি যাবে না  সেটা নির্ভর করে আমার আপনার ভৌগলিক অবস্থানের ওপর। কিন্তু চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে তা হয় না । পৃথিবীর অধিকাংশ  জায়গা থেকেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে যদি গ্রহণের সময় চাঁদ আমাদের  মাথার উপর  উঠে আসে। চাঁদ দিগন্তের উপর  না আসলে এবং রাত না থাকলে চন্দ্রগ্রহণ বুঝা যাবে না। 


পূর্ণিমার সময়ে সাধারণত  চন্দ্রগ্রহণ ঘটে ।

চাঁদে পৌঁছনর জন্য ওই সূর্যরশ্মিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এই যাবার পথে সূর্যের নীল রশ্মির অধিকাংশই পৃথিবীর  বায়ুমণ্ডল দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। যার ফলে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদকে লাল দেখায়  এবং এই রক্তিম চাঁদকে অনেকসময়  "ব্লাড মুন" (blood moon) বলে ডাকা হয়। কেউ কেউ আবার এই রংকে কমলা বলে থাকেন। 



জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, "চাঁদের ব্যাসের চেয়ে পৃথিবীর ব্যাস চারগুণ বড়, ফলে পৃথিবীর ছায়ার পরিধিও অনেক বেশি। তাই পুরো চন্দ্রগ্রহণের প্রক্রিয়া অনেক লম্বা সময় ধরে চলে - ১০৪ মিনিট পর্যন্ত এটা চলতে পারে।"কখনও কখনও এই ঘটনা কয়েক ঘন্টা ধরে চলতে থাকে। 


চন্দ্রগ্রহণ তিন প্রকার হয়। 

পূর্ণ গ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ,খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ এবং পেনাম্ব্রা চন্দ্রগ্রহণ।


নাসা এর মতে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বিরল, কিন্তু খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ  বছরে  অন্তত দুইবার ঘটে।



পৃথিবী যদি সূর্যকে আংশিক ঢেকে রাখে অর্থাৎ পৃথিবী থেকে চাঁদের  অর্ধ অংশে ছায়া পড়ে  তখন পৃথিবী থেকে চাঁদের অর্ধাংশ বা আংশিক দেখা যায় না একে খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে। আর পৃথিবী যদি সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নেয়  তখন পৃথিবীর সম্পূর্ণ  ছায়া চাঁদের উপরে পড়ার কারণে  পৃথিবী থেকে   চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না একে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে।


পেনাম্ব্রা চন্দ্রগ্রহণ ( penumbral) তখন ঘটে 

যখন পৃথিবীর হালকা ছায়াচ্ছন্ন অংশের ছায়া চাঁদের উপর পড়ে যার ফলে চাঁদকে ম্লান  দেখায় এর ফলে এই গ্রহণ সাধারণ মানুষের চোখে সেভাবে ধরা পড়ে না। ল্যাটিন  ভাষায় যাকে পেনাম্ব্রা চন্দ্রগ্রহণ বলে। 


সুপারমুন কি?


যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার তথ্যমতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের এক পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখায়। এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের স্বাভাবিকের চাইতে বড় হওয়া  ও উজ্জল হয়ে যাওয়াকেই সুপারমুন বলে।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 


 


Monday, April 8, 2024

What kind of sudden changes occur in the natural environment and biodiversity during total solar eclipse?

Today on April 8, 2024, a total solar eclipse is going to happen in the world and since this eclipse is happening after 54 years, NASA astronomers saying  it a special and rare solar eclipse.  During this solar eclipse, Mexico, the United States and Canada will be as dark as night during the day.  Before this, exactly 54 years ago, such a solar eclipse occurred in 1970, and after 54 years, there is a possibility of such a solar eclipse in 2078.//

As soon as the moon covers the sun,  darkness of the night falls during the day and the temperature of the surrounding environment decreases.  How much the temperature will drop depends on the position of the sun, the season of the year and the type of eclipse.




Most times, the temperature drops by 5 to 10 degrees Fahrenheit or 2.8 to 6 degrees Celsius during a total solar eclipse.Sometimes it can decrease even more.

As the temperature drops, the wind direction can suddenly change in the regions where the eclipse occurs . //

  Animals and insects also start behaving strangely during a solar eclipse.The bees will stop buzzing because they thinks night has come.  The birds will start to return to their nests. Insects will start chirping to return to their home.

Some domestic animals like cows, goats, pigeons will start behaving abnormally.Their behavior may be confusing.

Wild animals of the forest those come out in search of prey at night can start preparing for the hunt. //

The effect of solar eclipse can also be observed on plants. Plants reduce the rate of photosynthesis and the release of water into the atmosphere.

Microorganisms can also become more sensitive during solar eclipses.  This was proved during the total solar eclipse in India in 2011.

Certain radio wave frequencies may be disrupted during total solar eclipses.But scientists still are not sure why this happens.//

In fact, when  darkness cover  the day during a total solar eclipse, it certainly changes the behavior of all living things, whether in water or on land, and even human beings normal movements are disrupted.

Thanks for watching

If you like the video, please like  and  subscribe  the channel.

Sunday, April 7, 2024

সূর্যগ্রহনের সময়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের মধ্যে হঠাৎ কি ধরনের পরিবর্তন হয়?

 আজ ২০২৪ সালের   ৮ ই এপ্রিল বিশ্বে একটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে  এবং এই সূর্যগ্রহণটি ৫৪ বছর পর হওয়ার কারনে নাসার জ্যোতিবিজ্ঞানিরা একে বিশেষ এবং বিরল  সূর্য গ্রহণ  বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই সূর্যগ্রহনে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় দিনের বেলায় রাতের মত অন্ধকার নেমে আসবে।  এর আগে ঠিক ৫৪ বছর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার ৫৪ বছর পর ২০৭৮ সালে এরকম সূর্য গ্রহন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। 



যাহোক আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় যে সূর্য গ্রহণের সময় প্রাকৃতিক পরিবেশে কি ধরনের পরিবর্তন ঘটে? 


চাঁদ সূর্যকে ঢেকে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তৎক্ষণাৎ যে ঘটনাটা ঘটে তাহলো  দিনের বেলায় রাতের অন্ধকার নেমে আসে এবং চারপাশের  পরিবেশের  তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে । তাপমাত্রা কতটা কমে যাবে সেটা নির্ভর করে সূর্যের অবস্থান, বছরের ঋতু  এবং গ্রহণের ধরনের ওপর।


বেশিরভাগ ক্ষেত্রে  পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় তাপমাত্রা ৫ থেকে ১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা  ২.৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। কখনো কখনো  আরও বেশি কমে যেতে পারে।//


তাপমাত্রা হ্রাসের সাথে সাথে যে অঞ্চলগুলিতে সূর্যগ্রহণ হয় সেখানকার বাতাসের গতিপথের আকস্মিক  পরিবর্তন ঘটতে পারে।২০১৬ সালের একটি সমীক্ষায় পাওয়া যায়, চাঁদ যখন সূর্যের সম্পূর্ণ সামনে চলে আসে তখন বাতাস  উপরে উঠতে শুরু করে এবং বাতাসের গতিপথ  ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়। //


 সূর্যগ্রহণে পশুপাখি ও কীটপতঙ্গরাও অদ্ভুত আচরণ শুরু করে । মৌমাছিরা গুঞ্জন বন্ধ করে দেবে কারণ সে মনে করবে রাত এসে গেছে । পাখিরা শিস বাজাবে না তারা তাদের নীড়ে ফিরতে শুরু করবে । পোকামাকড় কিচিরমিচির শুরু করবে তাদের  ঘরে ফেরার জন্য ।


কিছু গৃহপালিত প্রাণী যেমন   গরু, ছাগল, কবুতর অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করবে। আচরণে বুঝা যাবে, তারা বিভ্রান্তিতে আছে। 


বনের হিংস্র প্রাণী যারা রাতের বেলা শিকারের সন্ধানে বের হয় তারা শিকারের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে পারে। //


গাছপালার ওপরও সূর্যগ্রহণের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। গাছেরা সালোকসংশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডলে  পানি নিঃসরণের  হার কমিয়ে দেয়।


বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের  সময়  সর্বত্র আলোর ছোট ছোট বলয় দেখতে পাবেন। এই ধরনের ছায়া আংশিক সূর্যগ্রহণের সময়ও দেখা যায় এবং এগুলো দেখতে বেশ চমৎকার হয়।



অতি ক্ষুদ্র অণুজীবগুলিও সূর্যগ্রহণের সময় বেশি  সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। ২০১১ সালে ভারতে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় তা প্রমাণিত হয়েছে। 


পূর্ণগ্রাস এবং বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় কিছু নির্দিষ্ট রেডিও তরঙ্গ ফ্রিকোয়েন্সি বিঘ্নিত হতে পারে। কিন্তু কেন এমনটা ঘটে তা নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।


আসলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় যখন দিনের বেলা অন্ধকার নেমে আসে তখন  এর দ্বারা অবশ্যই সমস্ত জীববৈচিত্রের মধ্যে জলে হোক স্থলে হোক তাদের ক্রিয়াকৌশল এর মধ্যে পরিবর্তন আসে এমনকি  মানুষেরও স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি  বাধাগ্রস্ত হয়। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 


Saturday, April 6, 2024

সূর্যগ্রহণ কি এবং কেন হয়? সূর্যগ্রহনের কুসংস্কার কি? সূর্যগ্রহণ এর সময়ে নবী করিম (সা:) এর আমল কি ছিল?

প্রাচীনকালথেকেই সূর্যগ্রহণ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি ছিল না এবং সূর্যগ্রহণ নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল বলেই বিভিন্ন ধরনের  কুসংস্কার সৃষ্টি হয় যা হাজার বছর ধরে  চলতে থাকে। বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ কুসংস্কার এবং অলিক কল্পনা থেকে মুক্তি পেয়েছে। ইসলামে সূর্যগ্রহণ নিয়ে কোন কুসংস্কার নেই নবী করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণ হলে কি আমল করতে হয় তা নিজে করে আমাদের শিখিয়ে গেছেন।

২০২৪ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ হবে ৮ এপ্রিল। ৮ এপ্রিল যে গ্রহণটি হতে চলেছে তা হবে  পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।




হঠাৎ সূর্যের আলো নিভে যাওয়া বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া বা দিনের বেলা রাতের মত   অন্ধকার হয়ে যাওয়া ও কিছু সময়ের জন্য  পৃথিবী সূর্যের আলো হারানোর মাধ্যমে যে অবস্থা সৃষ্টি হয় তাকেই সূর্য গ্রহণ বলে । //

সূর্য গ্রহণ কেন হয়?

পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদ সব সময় পরিভ্রমণরত। পৃথিবীতে কেন্দ্র করে চাঁদ ঘুরতে থাকা অবস্থায় কোন সময় চাঁদ যদি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে অবস্থান করে   তখন সূর্য থেকে আলো আসা পৃথিবীতে বাধাগ্রস্ত হয় আর চাঁদের ছায়া গিয়ে  পৃথিবীর উপর পরে। চাঁদ পৃথিবী থেকে অনেক  ছোট হওয়ার কারণে  সে পৃথিবীর সব জায়গাকে ঢেকে ফেলতে পারে না এবং আলো আসাকে সম্পূর্ণরূপে  বাধা দিতে পারে না যার কারনে একই সাথে  সমস্ত পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় না। আবার অন্যভাবেও বলা যায় যে চাঁদ সূর্য থেকেও অনেক ছোট হওয়ার কারণে সে সম্পূর্ণভাবে সূর্যকে ঢেকে ফেলতে পারে না বা আলোকে বাধা দিতে পারে না  যার ফলে সূর্যকে আলো বিচ্ছুরিত অবস্থায় দেখা যায়।
আর যখন পৃথিবী এবং চাঁদ একটি সমান্তরাল রেখার মধ্যে অবস্থান করে এবং চাঁদ সম্পূর্ণভাবে সূর্যকে ঢেকে ফেলে এই ঘটনাকে বলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।২০২৪ সালের  ৮ এপ্রিল যে সূর্যগ্রহণ হবে তা হবে   পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে যাওয়াও কখনো সেকেন্ডের জন্য আবার কখনও  কয়েক মিনিটের জন্য আকাশ এতই অন্ধকার হয়ে যায় যে মনে হয় যেন সেটা রাতের আকাশ।//

চিলের  জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলেন তত্ত্বগতভাবে, পূর্ণগ্রাস সূর্য গ্রহণ সর্বোচ্চ ৭ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

  চাঁদ সূর্যকে  কতটুকু অন্ধকার করবে এর উপরে নির্ভর করেই সূর্যগ্রহণকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় ।

সূর্যগ্রহণ সাধারণত  তিন রকম হতে পারে। আংশিক বা খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ, বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ এবং পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

২০২৪ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ হবে ৮ এপ্রিল যা দেখা যাবে  উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম এশিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু এবং আফ্রিকায় থেকে।

৮ এপ্রিলের এই সূর্যগ্রহণ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অন্ধকার নেমে আসবে।  ৫৪ বছর পর এমন সূর্যগ্রহণ হওয়ায় নাসার বিজ্ঞানীরা এইবারের সূর্যগ্রহণকে ‘বিশেষ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার হওয়ার সম্ভাবনা  ২০৭৮ সালে।

মেক্সিকোতে ২০২৪ সালের  ৮ এপ্রিলের সূর্যগ্রহণ দীর্ঘতম সময় ধরে দেখা  যাবে। এই সময় হতে পারে ৪ মিনিট এবং ৩০ সেকেন্ড। //

সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে যেই ধরনের কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত :

১) অনেকেই মনে করে সূর্যগ্রহনের সময় ভ্রমণ করলে তা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে কারণ তাদের ধারণা এই সময়   সূর্য থেকে  খারাপ রশ্মি নির্গত হয়।
বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহণের সময় সূর্য থেকে আলাদা কোনো ক্ষতিকর রশ্মি নিঃসরণ হয় না, যার ফলে  আলাদাভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

২) রান্না না করা, খাবার না খাওয়া:
এরকম একটি কুসংস্কার আমাদের সমাজে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত আছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় কোনো ধরনের খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা বা রান্না করা উভয়টিই অমঙ্গলজনক  এবং  স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

৩)এই ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরের বিশেষ ধরনের ক্ষতি হতে পারে যেমন বিকলঙ্গতা, শরীরে জন্মদাগ সৃষ্টি  এবং হৃদপিণ্ড ছিদ্র হওয়া । বিজ্ঞানীরা এমন ধারণা  ভিত্তিহীন বলেছেন।

৪) এরকম কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে সূর্য গ্রহণের পরে ত্বককে ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে  বাঁচাতে অবশ্যই গোসল করতে হবে। বিজ্ঞানীরা এমন ধারণাও  ভিত্তিহীন বলেছেন। //

হিন্দু ধর্মে যে কাহিনী প্রচলিত আছে

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে―  রাহু দানব  গোপনে অমৃতপান করতে থাকলে সূর্য ও চাঁদ তাকে চিনতে পেরে অন্যান্য দেবতাদের জানিয়ে দেয়। এই সময় বিষ্ণু এসে এঁর দুই বাহু ও মাথা কেটে দেন। কিছুটা অমৃত পান করায় এই দানব ছিন্নমস্তক হয়ে অমরত্ব লাভ করেন। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই রাহু দানব সূর্য ও চাঁদকে গ্রাস করার জন্য অগ্রসর হয়। কিছুটা গ্রাস করতে সক্ষম হলেও তার কর্তিত দেহ থেকে সূর্য ও চাঁদ বেরিয়ে আসে। রাহুর দানবেরএই গ্রাসকালীন সময়ে গ্রহণ অনুষ্ঠি হয়। বিজ্ঞানের যুগে এর কোন ভিত্তি নেই। //

সূর্যগ্রহণ দেখার সময় যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে :

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এর তথ্য মতে সূর্যগ্রহণ দেখার সময় আমাদের যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে , খালি চোখে দেখা যাবে না, সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো উচিত নয়, কারণ খালি চোখে দেখলে চোখ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা  থাকে, এমনকী অন্ধত্ব হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।   তাই, সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য টেলিস্কোপ থাকলে খুব সুবিধা এছাড়া উপযুক্ত ফিল্টার যেমন কালো পলিমার, অ্যালুমিনাইজড মাইলার বা ওয়েল্ডিং চশমা ব্যবহার করা যায়।

সূর্যগ্রহণ এর সময়ে নবী করিম (সা:) এর আমল কি ছিল?

Wednesday, April 3, 2024

স্থায়ী গহনা বা permanent jewelry কি?কিভাবে তৈরী হয়? কি উপকার? কিভাবে পরিস্কার করব?

স্থায়ী গহনা হল একটি ক্ল্যাপলেস  গয়না যাতে আঁকড়া বা হুক লাগানো থাকে না। চাইলেই একেবারে খুব সহজে খোলা যায় না,খুলতে চাইলে কেটে আলাদা করতে হবে,  এইজন্যই একে স্থায়ী গহনা বা permanent jewelry বলে। শরীরের অনেক জায়গায় এই গহনা খুব সহজে ব্যবহার করা যায় যেমন   কব্জি, ঘাড়,আঙ্গুল, পায়ের আঙ্গুল এবং গোড়ালি।

স্থায়ী গহনা বা permanent jewelry হলো বর্তমানে আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং প্রাচ্যের দেশসমূহের ফ্যাশন  এবং এটি দ্রুত  জনপ্রিয়তা অর্জন করছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন  ভিডিওতে আমরা দেখি  young celibrity  রা এই ধরনের jewelry পড়ে perform করছে।



Permanent jewelry  কে সারা পৃথিবীতে আরও কিছু ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন :
Forever Jewelry, Zapped Jewelry,Welded Jewelry,Flashed Jewelry,Fused Jewelry,Infinity Jewelry,
ও Linked Jewelry.

এই গহনা খুব পাতলা করেও তৈরি করে ব্যবহার করার কারনে কম দামে ক্রয় করা যায় এবং ব্যবহার সহজ হওয়ার কারনে পাতলা, স্মার্ট  স্থায়ী জুয়েলারিগুলো বিশ্বব্যাপী মেয়েদের কাছে খুব জনপ্রিয় হইতেছে।

স্থায়ী গহনা হল এমন গয়না যা খুব দক্ষতার সাথে শরীরে থাকা অবস্থায় ঝালাই করে জোরা দেয়া হয়।এবং যাতে কোন আঁকড়া বা হুক লাগানো থাকে না।

স্থায়ী গহনা আর্ক স্পার্ক ওয়েল্ডিং মেশিনে দিয়ে  ঝালাই  করা হয় যা এক সেকেন্ড বা কমসময়ে ধাতুকে জোরা লাগাতে সাহায্য করে।  যদিও স্পার্ক শুধুমাত্র অল্পসময়ের জন্য দৃশ্যমান, হয় কিন্তু যারা ঝালাই করবেন তাদের  Safety  চশমা ব্যবহার করা উচিত।

জনপ্রিয় বিখ্যাত ধাতুগুলি স্থায়ী গহনা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় যেমন খাটি সোনা,খাদ যোগ করা সোনা, 14 ক্যারেট হলুদ সোনা, হোয়াইট গোল্ড, রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনা , খাটি রুপা, স্টার্লিং রুপা , টাইটানিয়াম, প্ল্যাটিনাম এবং স্টেইনলেস স্টীল।

অনেক স্থায়ী ব্রেসলেট, নেকলেস, চুড়ি ইত্যাদি 14-ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি। 14-ক্যারেট সোনায় তৈরি গহনাগাঁটি সাধারণত  বেশি টেকসই হয়  এবং চামড়ার  ক্ষতি করে না। অথবা 18-ক্যারেট সোনা একটি ভালো  বিকল্প হতে পারে যাতে সাধারণত অল্প পরিমাণে নিকেল থাকে। বেশি নিকেল যুক্ত থাকলে allergy হয়। এই দুটি উজ্জ্বল  ধাতুর ব্যবহৃত অলংকার  টেকসই হয় এবং সামান্য রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।  //

খাটি রুপা, 14-ক্যারেট সোনা এবং 18-ক্যারেট সোনা একটি দুর্দান্ত allergy প্রতিরোধী বিকল্প কারণ যাদের ত্বক  সংবেদনশীল তাদের জন্য এই মিশ্রনের সোনার গহনা  আদর্শ ।

যারা অল্প খরচে স্থায়ী গহনা বা permanent jewelry  তৈরি করতে চান তারা খাদযুক্ত  সোনার  গয়না ব্যবহার করতে পারেন,যা অনেক  সাশ্রয়ী হবে এবং  বহু বছর ধরে তার দীপ্তি ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে  পারে, এই গহনাগুলো  সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে  সুন্দর চকচকে রাখা যায়।

স্থায়ী গহনা বা permanent jewelry তে তৈরি  ব্রেসলেটগুলো দৈর্ঘ্যে সাধারণত  ৬-৭ ইঞ্চি হয়, অ্যাঙ্কলেট ৮-১১ ইঞ্চি এবং নেকলেসগুলো  ১৪ ইঞ্চি বা তার বেশি হয়।

আপনি কিভাবে আপনার স্থায়ী গহনা বা permanent jewelry পরিস্কার রাখবেন?

  আপনার স্থায়ী গহনা পরিস্কার করার জন্য গরম পানির সাথে একটি নরম টুথব্রাশ এবং হালকা  dis washer সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।  জুয়েলারী 'পলিশিং কাপড়' দিয়ে  আপনার স্থায়ী গহনা বা permanent jewelry গুলিকে পালিশ করা যায়  এবং তাদের সুপার চকচকে চেহারা ফিরিয়ে আনতেও দারুণ কাজ করে।

আমাদের দেশে স্থায়ী গহনা বা permanent jewelry এর কোন service দেয়া হয় বলে আমার জানা নেই। এই jewelry online  পাওয়া যাবে না যে আপনি online  এ order করবেন। আপনাকে spot এ যেতে হবে তারা আপনার গায়ে তা  ঝালাই করে জোরা দিয়ে দিবে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


Saturday, March 30, 2024

What is the Dasht-e-lut? Why is the Dasht-e-lut desert so hot?

 Iran's  25% land area is desert.This lands include a unique collection of

geo morphological phenomena.
Dasht-e-lut and Dasht-e-Kavir are iran's largest desert.

Dasht-e-lut or Lut desert  also known as the Loot Desert, is a large salt desert in Kerman and Sistan province of Iran and is the world’s 25th largest desert. Lut Desert is one of the world’s driest and hottest places. It was inscribed by the UNESCO as World Heritage Sites.



In Persian language “Lut” refers to bare land without water and devoid of vegetation. It lacks of vegetations and water, two vital factors for the survival of humans and animals; as a result, some indigenous people  still are afraid to go to this area. Therefore, this wonderful land has still remained  unknown and mysterious  to researchers.

The region often experiences Earth’s highest land surface temperatures: a temperature of 70.7C has been measured by NASA's Aqua satellite in 2005.

The hottest portion of Dasht-e Lut is Gandom Beryan, a large plateau covered in dark lava, approximately 480 square kilometres or 190 sq mi in area.According to local legend, this Persian  name گندم بریان, means "toasted wheat" originates from an accident where a load of wheat was left in the desert which was then scorched by the heat in a few days.

Why is the Dasht-e-lut desert so hot?

Its most extreme hot spots are covered with dark rocks, volcanic debris and sand. This makes the surface so dark that it does not reflect the light and therefore absorbs solar energy from the sun. The heat energy then radiates out and the surrounding area gets hotter.

Thanks for watching.Please do like and subscribe the channel.

Friday, March 29, 2024

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান কোনটা? What is the hottest place on earth?


ইরানের পঁচিশ শতাংশ এলাকা জুড়ে মরুভূমি। দাশত-ই লুত এবং দাশত-ই কাভির ইরানের বৃহত্তম মরুভূমি।দাশত ই লুত হল ইরানের ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত ১ম প্রাকৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান । লুত শব্দের অর্থ 'বিরান' যেখানে সবকিছুর অভাব রয়েছে  অর্থাৎ পানি ও গাছপালা না থাকার কারণে মানুষ অন্যান্য প্রাণীর সেখানে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম যেখানে স্থানীয় আদিবাসীরাও  যেতে ভয় পায়। 


এই Dasht-e Lut-এর সবচেয়ে উষ্ণতম অংশ হল গন্দম বেরিয়ান (Gandom Beryan), যা কাল  লাভায় আচ্ছাদিত একটি বৃহৎ মালভূমি, আয়তন প্রায় ৪৮০ বর্গকিলোমিটার ১৯০ বর্গমাইল। 


১)২০০৫ সালে Dasht-e Lut এ NASA তার একুয়া( Aqua) উপগ্রহ দ্বারা পৃথিবীর  সর্বোচ্চ ভূ পৃষ্ঠের তাপমাত্রা রেকর্ড করে যা ছিল ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  


২) লিবিয়ার মরুভূমিতে রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। 


৩)পৃথিবীর অন্যতম উষ্ণতম স্থান  হলো আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অবস্থিত ডেথ ভ্যালি এর ফার্নেস ক্রীকে। যেখানে ১৯১৩ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা  ১৩৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। 


৪) তিউনিসিয়ায় ১৯৩১ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩১ ডিগ্রি ফারেনহাইট।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

Tuesday, March 26, 2024

Which metals are available in permanent jewelry?

Permanent jewelry has become a latest trend and it gaining so much in popularity.On social media videos we see influencers getting forever bracelets,anklet, or necklaces. 


Permanent jewelry is jewelry that is skillfully welded to  body (typically wrist, neck, or ankle), that does not have a traditional clasp, so it cannot be easily removed.The ends of the jewelry are soldered together while you're wearing them, creating a seamless look.



Popular metals are available in permanent jewelry include solid gold, gold-filled, 14 karat Yellow Gold, White Gold, Rose Gold,solid silver, sterling silver,titanium, platinum and stainless steel. 


Many permanent bracelets are made of 14-karat gold. This material is durable, doesn't tarnish, and can be enough to avoid a skin reaction.Or 18-karat gold can be other options  which typically contains a smaller amount of nickel. This two glamorous metal is durable and needs little maintenance. 


Solid silver, 14-karat gold and 18-karat gold are great hypoallergenic option, making it ideal for people with sensitive skin.


For those who want the look of gold without the cost, gold-filled jewelry is affordable for them without losing much of the durability of solid gold. Though it may lose its luster over many years, it keeps a beautiful shine with proper maintenance.


Most finished bracelets range from 6-7 inches, anklets from 8-11 inches, and necklaces 14 inches and up.


You can clean your permanent jewelry with warm water, a soft toothbrush and mild dish soap. Jewelry polishing cloths also work great to get them polished up and back to their super shiny look.


For anyone who wants a constant reminder of their love permanent jewelry can be a great choice.


Thanks for watching.Please do like and subscribe the channel.


Tuesday, March 19, 2024

২২ ক্যারেট সোনা কি এবং ৯১৬ সোনা কি?

 সোনা পৃথিবীতে বহুলব্যবহৃত ধাতুসমুহের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো যা হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সোনা একটি ঘন,  নরম এবং নমনীয় মূল্যবান ধাতু যার উজ্জ্বল হলুদ রংঙের আভা রয়েছে। সোনা তাপ এবং বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। খাঁটি সোনা এতই  নরম এবং  নমনীয় হয় যে এক ট্রয় আউন্স বা ৩১.১ গ্রাম সোনা দিয়ে পাতলা শীট বানিয়ে  ১৫৬ বর্গফুট জায়গা সম্পুর্ন  ঢেকে দেয়া যাবে। 



সোনা  এমন একটি পণ্য যাতে ভেজাল  মিশ্রণ করা অনেক সহজ সেই সাথে মানুষের দৃষ্টির অগোচরে  সোনার বিশুদ্ধতাও সহজেই পরিবর্তিত হয়ে যায়। এজন্য আমাদের সবসময় হলমার্কিং দেখে সোনা  কিনা উচিত এছাড়া  প্রতারিত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে। হলমার্কিং কি এই নিয়ে একটা ভিডিও আমার এই চ্যানেলে দেয়া আছে সুযোগ পেলে দেখে নিবেন। ডেসক্রিপশন বক্সে দিয়ে দিলাম।



২২ ক্যারেট স্বর্ণ এবং ৯১৬ স্বর্ণ এর মধ্যে  পার্থক্য কি? এটা জেনে নেয়ার আগে আমাদের আর একটা জিনিস জানতে হবে তাহল  ক্যারেট কি। মনে করুন  আপনি একটি আংটি বানাতে চান এবং তা ২০ ক্যারেটের স্বর্ণ হোক তা আপনি চান। এখন আপনি স্বর্ণকারকে কিভাবে বলবেন যে এই আংটির সাথে কতটুকু খাদ মেশাতে হবে এই হিসাবটা যদি আপনার জানা থাকে তাহলেত ভালো হয় । হিসাব বের করার জন্য যা করতে হবে স্বর্ণ সাধারণত  ২৪ ক্যারেটের বেশি হয় না তাই ১০০ কে ২৪ দিয়ে ভাগ দিলে যে ভাগফল আসে তার সাথে আপনি যত ক্যারেট বানাতে চান তার গুন দিতে হবে। এখন আপনি আংটিটা ২০ ক্যারেটের বানাতে চান তাই ১০০ কে ২৪ দিয়ে ভাগ দিলে ভাগফল  আসে ৪.১৬ এর সাথে ২০ গুন করলে হয় ৮৩.২ শতাংশ। অর্থাৎ আপনি স্বর্ণকারকে বলবেন যে আমার ২০ ক্যারেটের আংটির মধ্যে ৮৩.২ শতাংশ সোনা থাকবে অর্থাৎ যে ওজনেরই হোক ৩ আনা হোক বা ৪ আনা  তাতে ১৬.৮% খাদ থাকবে ৮৩.২ শতাংশ সোনা থাকবে । এখন স্বর্ণকার যদি  ১৬.৮% এর চেয়ে বেশি খাদ বা ভেজাল মিশায় তখন আপনার ঐ আংটিটা আর ২০ ক্যারেটের সোনার হবে না তারচেয়ে কম হবে।


ফিরে আসা যাক আমাদের আজকের আলোচনায় যে  ২২ ক্যারেট স্বর্ণ এবং ৯১৬ স্বর্ণ এর মধ্যে  পার্থক্য কি? আগের আলোচনার কারণে এখন আপনি সহজে বুঝতে পারবেন ১০০ কে ২৪ দিয়ে ভাগ দিলে ভাগফল  আসে ৪.১৬ এর সাথে ২২ গুন করলে হয় ৯১.৫২ বা ৯১.৬ ধরি। অর্থাৎ ৯১৬ সোনা মানে হল যেই স্বর্ণের মিশ্রণের মধ্যে ৯১.৬ শতাংশ সোনা  এবং ৮.৪  শতাংশ খাদ মিশ্রিত থাকবে তাই  হলো ৯১৬  সোনা বা ২২ ক্যারেট সোনা। এখন আপনি যদি  এরকম কোন সোনার গহনা কিনে থাকেন যাতে ৯১৬ লেখা থাকে, ইউরোপ, আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে  এরকম হলমার্কিং করা বা খোদাই করে লেখা থাকে  তাহলে বুঝতে হবে এই সোনার গহনায় ৯১.৬ শতাংশ সোনা  এবং ৮.৪  শতাংশ খাদ মিশ্রিত আছে। 

সুতরাং ৯১৬  সোনা বা ২২ ক্যারেট সোনা একই। এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই শুধু নামের পার্থক্য সোনার পরিমান সোনা ও খাদের পরিমাণ একই থাকে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 


Monday, March 18, 2024

গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড কি? কিভাবে তৈরি হয়? কিভাবে চিনব গোলাপি সোনা?

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী রোমান্টিক এবং আধুনিক মেয়েদের ও মায়েদের কাছে রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনা খুব জনপ্রিয়। এই সোনার গহনা সহজে  উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেন না,  দীর্ঘ সময়ের জন্য এর দীপ্তি এবং সৌন্দর্য বজায় রাখে।


যাহোক স্বর্ণ ব্যবহারের কিছু ইতিহাস আলোচনা করা যাক :


মানুষের স্বর্ণ ব্যবহারের ইতিহাস ৭ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো । ১৯৭০ সালে বুলগেরিয়ার এক কবরস্থানে কবর খনন  করার সময় সেখানে  সোনার একটি আংটি এবং নেকলেস পাওয়া যায়। গবেষকরা গবেষণা করে দেখেন যে ওই স্বর্ণের অলংকারের বয়স খ্রিস্টপূর্ব ৪২০০ থেকে ৪৬০০ বছরের আগের যা মিশরীয় এবং রোমান  সাম্রাজ্য শুরু হওয়ার কয়েকশো বছর আগের ছিল। এ থেকে বুঝা যায় যে মানুষ কত আগে থেকে  সোনা ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল। বর্তমান জামানায়ও সোনা কিনে রাখা কে উত্তম বিনিয়োগ মনে বলে মনে করা হয় যার দাম দিন দিন বাড়তেই থাকে যাকে ইংরেজিতে বলে heaven of investment. এক সপ্তাহ আগেই  চীনের ব্যাপারে একটা খবর এরকম ছিল  যে, "  চীনের তরুণদের মধ্যে সোনার তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখে তাঁদের মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণদানা বা গোল্ড বিনস কিনে রাখার প্রবণতা বাড়ছে। মুখে খাওয়া বড়ির মতো স্বর্ণের এসব দানার ওজন এক গ্রাম করে। এগুলোর দাম স্থানীয় মুদ্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ হাজার  টাকা থেকে ৯ হাজার  টাকা"। সবাই স্বর্ণকে ভবিষ্যতের জন্য একটা নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করে।  কিন্তু আপনি যদি মুসলমান হন অবশ্যই আপনাকে এসব গহনার যাকাত দিতে হবে তা না হলে আখেরাতে  অনেক সমস্যা আছে । আর পরিপূর্ণ ভাবে  যাকাত দেয়ার দ্বারা সোনা  কমবেনা বরঞ্চ পবিত্র হবে এবং  চুরি হয়ে যাওয়া ও নষ্ট হওয়া থেকে আল্লাহতালা হেফাজত করবেন।//




সোনা একটি ঘন,  নরম এবং নমনীয় মূল্যবান ধাতু যার উজ্জ্বল হলুদ রংঙের আভা রয়েছে। সোনা তাপ এবং বিদ্যুত সুপরিবাহী। খাঁটি সোনা এতই  নরম এবং  নমনীয় হয় যে এক ট্রয় আউন্স বা ৩১.১ গ্রাম সোনা দিয়ে পাতলা শীট বানিয়ে  ১৫৬ বর্গফুট জায়গা সম্পুর্ন  ঢেকে দেয়া যাবে। 


 স্বর্ণ বিভিন্ন রঙের হতে পারে যেমন হলুদ, লাল, গোলাপী,  সাদা ইত্যাদি,সবই খাদ ধাতুর কারসাজি । সোনা, রঙ এবং উজ্জ্বলতায় আকর্ষণীয়,তুলনা মূলকভাবে বিশুদ্ধ আকারে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।কিন্তু  খাদ যোগ করার পরে  সোনার রং এবং বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পরিবর্তন আসে। //


কিভাবে গোলাপী স্বর্ণ তৈরি হয়? 


রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনার প্রথম প্রচলন হয় রাশিয়ায় ১৮০০ শতকের শেষের দিকে তখন তার নাম ছিল 'রাশিয়ান গোল্ড' এবং বিংশ শতাব্দীতে এসে এই সোনা বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে তখন তার নাম হয় রোজ গোল্ড বা  গোলাপি সোনা।


প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত হলুদ সোনাকে গোলাপের সুন্দর আভা দেয়ার জন্য তাতে খাদ হিসেবে  কপার বা তামা যোগ করা হয়।খাঁটি তামা দেখতে কিছুটা লালচে গোলাপি হয়। ৭৫% খাঁটি সোনার সাথে ২৫% তামা যোগ করে গোলাপি সোনা তৈরি করা হয়।   যদি বেশি গোলাপি হয়ে যায় তখন এর সাথে কিছু রুপা যোগ করে সামঞ্জস্য বজায় রাখা হয়। অর্থাৎ গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড হলো ৭৫%  খাঁটি সোনা এবং ২৫% তামা যোগ করা একটা মিশ্রণ। এই পার্সেন্টেজের স্বর্ণকে ১৮ ক্যারেট সোনাও বলা হয়।খাঁটি সোনার সাথে কপার বা তামার পার্সেন্টেজ যত যোগ করা হবে ততই  এর মধ্যে গোলাপি বা লাল আভা সৃষ্টি হবে । //


গোলাপি সোনার সুবিধা :


গোলাপি সোনার সুবিধা হল এটি কখনই তার আসল রঙ হারিয়ে ফেলে না, স্ক্র্যাচ পরে না এবং সহজে বিকৃতি হয় না। রোমান্টিক এবং আধুনিক মেয়েরা ও মায়েরা এই ধরনের গোলাপি  সোনা খুঁজে থাকেন।  এই সোনা বর্তমানে  মেয়েদের মাঝে বিশ্বব্যাপী খুব জনপ্রিয় হইতেছে। এই সোনার গহনা সহজে  উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেন না,  দীর্ঘ সময়ের জন্য এর দীপ্তি এবং সৌন্দর্য বজায় রাখে।//


   রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনার গহনার কিভাবে যত্ন নিব? 


গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড এর গহনার  বিশেষ কোন যত্নের প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র মাঝে মাঝে পরিষ্কার এবং পালিশ করে নিবেন। 


আরো কিছু উপায় হলো:


রোজ গোল্ড  বা গোলাপি সোনার গহনা গুলোকে দাগ পড়া থেকে অন্য গহনার সাথে একসাথে না রেখে আলাদা রাখা যেতে পারে এর দ্বারা  দাগ পড়া থেকে  বা স্ক্র্যাচ  পড়া থেকে রক্ষা পাবে। 


এ গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড এর গায়ে যদি কোন রকমের ময়লা বা দাগ লেগে থাকে সেগুলা  মসৃণ কাপড়  দিয়ে মুছে ফেলতে হবে এবং যে ধরনের রাসায়নিক উপাদান এই গহনার সাথে বিক্রিয়া  করতে পারে সেই সমস্ত রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার থেকে নিজেকে  দূরে  রাখতে হবে। 


 ক্লোরিন যুক্ত সুইমিং পুল বা খারাপ আবহাওয়ায় অর্থাৎ খুব আদ্র, অত্যন্ত গরম বা অনেক বেশি বৃষ্টিপাত এরকম অবস্থায় রোজ গোল্ড এর গহনা পরে না বের হওয়া  ভালো এছাড়া  ব্যায়াম  করার সময় বা বাগানে কাজ করার সময় এই গহনা ব্যবহার না করা ভালো।//


আমরা কিভাবে চিনব রোজ গোল্ড?


প্রথম যে পদ্ধতিটির কথা বলবো তা হলো বিশ্বস্বীকৃত হলমার্কিং পদ্ধতি, সারা বিশ্বে ১৪ এবং ১৮ ক্যারেটের সোনাই হলো rose gold.অর্থাৎ আপনি যদি এরকম স্বর্ণ পান যে স্বর্ণের গহনার গায়ে  ১৪ বা ১৮ ক্যারেট লেখা আছে সেগুলো rose gold কারণ ১৪ বা ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ তৈরি করতে যে যে অনুপাতে সোনা এবং খাদ মিশানো হয় তাই রোজ গোল্ড।  আমেরিকায় রোজ গোল্ড হিসেবে 14  ক্যারাটের স্বর্ণ ব্যবহার হয় আর ইউরোপের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণকে রোজগোল্ড বলে। এখন  আপনাকে যদি কোন  স্বর্ণকার ২৪ ক্যারেট লেখা কোন স্বর্ণকে দেখিয়ে  বলে যে এটাই রোজ গোল্ড তাহলে অবশ্যই বুঝে নিবেন যে ওই গহনাটি রোজ গোল্ডের না কেননা রোজ গোল্ড  কখনোই  ২৪ ক্যারেট এর হবে না,  রোজ গোল্ড হবে ১৪ বা  ১৮ ক্যারেটের যাতে সোনার পরিমাণ ২৪ ক্যারেটের চেয়ে  কম হবে এবং ভেজাল হিসেবে বেশি খাদ মিশ্রিত থাকবে । 


২৪ ক্যারেটের সোনা দেখতে সম্পুর্ন হলুদ হবে আর গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড দেখতে কিছুটা লালের মধ্যে গোলাপি আভা থাকবে। পাশাপাশি ধরলে বুঝতে পারবেন। একটা হলুদ আর একটা লালচে হবে যা  হলুদ বা গোলাপি আভাযুক্ত।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 



Saturday, March 16, 2024

প্লাটিনাম কি কি কাজে ব্যবহার হয়?

প্ল্যাটিনাম দেখতে ধূসর-সাদা রঙের। এটি একটি ভারী ধাতু। ধাতুটির গলনাঙ্ক ১৭৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্লাটিনামের স্ফুটনাঙ্ক ৩৮২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্লাটিনাম এর পারমাণবিক সংখ্যা ৭৮, যার প্রতীক হলো Pt.প্লাটিনাম স্বর্ণের চেয়ে অনেক মজবুত এবং অনেক স্থায়ী হয় এবং প্লাটিনাম কম ক্ষয়প্রাপ্ত ধাতু যেহেতু তারা পরিবেশের আলো, তাপ, পানি ও বাতাসের সাথে কোন বিক্রিয়া করে না যার ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।  ঠিক এই কারনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে  platinum এর  ব্যবহার দিন দিন  বিশ্বব্যাপী বাড়ছে।




প্লাটিনাম এর কিছু ব্যবহার উল্লেখ করা হলো


১) পরীক্ষাগারের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার আছে। 

২) ক্যাটালাইসড বা অনুঘটক হিসেবে প্লাটিনাম কাজ করে বিভিন্ন বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করার জন্য বা কোন কিছুর ভিতরে পরিবর্তন আনার জন্য প্লাটিনাম ব্যবহার হয়। 

যেমন বিভিন্ন ধরনের গাড়ির মধ্যে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার হিসেবে প্লাটিনাম ব্যবহার হয়,এই কনভার্টার  বিষাক্ত গ্যাসকে পরিশুদ্ধ  করে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনে। 

৩) বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারির মধ্যে প্লাটিনাম অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। 

৪) বৈদ্যুতিক যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন ধরনের  কম্পনেন্ট তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার হয় । 

৫) মানুষের শরীরের জন্য pacemaker  তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার আছে। 

৬) বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের   ইলেক্ট্রোড এর প্রয়োজন হয় এই ইলেকট্রোড তৈরিতে প্লাটিনাম এর ব্যবহার হয়। 

৭) দাঁতের চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে প্লাটিনাম এর ব্যবহার আছে। 

৮) বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং ব্যয়বহুল গহনা তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার হয়। 

৯)কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক তৈরির জন্য প্লাটিনামের ব্যবহার আছে। 

১০) প্লাটিনাম নিষ্কাশনের সময়  by product  হিসাবে Ni, এবং  তামা  পাওয়া যায়। 

১১) রাসায়নিক শিল্পে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল উৎপাদনের জন্য  যেমন নাইট্রিকে এসিড,বেনজিন,  সিলিকন উৎপাদনে  অনুঘটক হিসেবে প্লাটিনাম ব্যবহার করা হয়। 

১২) ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি  এর ওষুধ তৈরি করার জন্য প্লাটিনাম ব্যবহার করা হয়। 

১৩) এলসিডি তৈরি, টারবাইন ব্লেড, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, 

১৪) Thermo electrical thermometer তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার আছে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

Wednesday, March 13, 2024

কালো হীরা বা ব্ল্যাক ডায়মন্ড কি?ব্ল্যাক ডায়মন্ড কি কি কাজে ব্যবহার হয়?

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পাথর  হলো ডায়মন্ড বা হীরা । আর সেই  ডায়মন্ড যদি হয় কাল তাহলে সেই ডায়মন্ডের দাম আরো বেড়ে যায়। 

এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে জীবনে কয়লার ব্যবহার  দেখে নাই বা কয়লার সাথে সম্পর্ক নাই । আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন এই কয়লা ব্যবহার করছি।রান্নার সময়ে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ালে যে ছাই হয় তাই কয়লা। কাঠ কয়লা আমরা  কাঠ হতে পাই এবং খনিজ কয়লা খনিতে হতে পাওয়া যায়।



কয়লা কার্বনের একটি রূপ যা মূলত একটি দাহ্য পাললিক শিলা। কয়লা আপাতদৃষ্টিতে শক্তির সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।এটি সাধারণত কালো বা বাদামী-কালো রঙের হয় এবং ভূগর্ভে  তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর সময়  লাগে।  কয়লা মূলত ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া দ্বারা গঠিত এক ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি যা বহু বছর আগে মৃত উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ থেকে তৈরি হয়েছিল।//

  

কয়লা হীরার মতোই মূল্যবান।  

কয়লাকে কালো হীরা বলার মূল  কারণ হলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়লার বহুল  ব্যবহার। কয়লা কখনোই অবহেলার বস্তু না,কয়লা  থেকে আমরা  যে ধরনের উপকার পাই এবং তা  থেকে যত ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি হয় তা জানলে আমরা বিস্মিত হব।এটি রান্নাঘরের জ্বালানী থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্প কারখানায় কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।  কয়লা, কয়লাভিত্তিক  বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মৌলিক কাঁচামাল। // 


সিমেন্ট উৎপাদন, কার্বন ফাইবার, ফোম, ওষুধ, আলকাতরা,সার, সিন্থেটিক পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক জ্বালানি এবং গৃহস্থালির জ্বালানি  সহ কয়লার অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে।



১) কয়লা  তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, গুঁড়ো কয়লাকে পুড়িয়ে পানিকে বাষ্পে পরিণত করা হয়। এই বাষ্প দিয়ে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রে উচ্চ গতিতে টারবাইন ঘুরানো হয় যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।



২) ইস্পাত তৈরিতে  কয়লা ব্যবহার করা হয়। কয়লা থেকে  কয়লার কোক তৈরি করে লোহার আকরিকের সাথে গলিয়ে ইস্পাত তৈরি করা হয় ।  


৩) কয়লাকে গ্যাস এবং তরলে রূপান্তরিত করা যায় যা গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং জাহাজের জ্বালানিতে ব্যবহার করা যায়।


৪) কয়লাকে ভেঙ্গে কার্বন মনোক্সাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাসে পরিণত করে, হাইড্রোজেন নাইট্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে

 অ্যামোনিয়া সার  তৈরি করে, হাইড্রোজেন গ্যাস থেকে  ইউরিয়া, মিথানল পাওয়া যায় এবং প্রাপ্ত  হাইড্রোজেন গ্যাস হতে আরও অনেক কিছুতে রূপান্তর করা যায়। 


৫) কয়লা প্রক্রিয়াকরনের সময়ে byproduct  বা উপজাত থেকে অনেক রাসায়নিক পণ্য পাওয়া যায় যেমন  আলকাতরা , ন্যাপথলিন, ফেনল,  বেনজিন ইত্যাদি। কয়লার উপজাত থেকে যে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায় তা থেকে  অ্যাসপিরিন, দ্রাবক, সাবান, রং, প্লাস্টিক এবং বিভিন্ন রকম ফাইবার রয়েছে যা দিয়ে কৃত্রিম ভাবে  নাইলন এবং রেয়ন তৈরি হয়।


৬) কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সিমেন্ট কারখানা চালু রাখা যায় । এবং  কয়লা পোড়ানো থেকে উৎপন্ন উপজাতগুলিও সিমেন্ট  উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।


৭) স্যাকারিন চিনির চেয়ে ৫০০ গুন বেশি মিষ্টি যা কয়লা থেকে তৈরিই।কিন্তু  আজ অনেক দেশ স্যাকারিন এর ব্যবহার কে নিষিদ্ধ করেছে। 


৮) কয়লা থেকে রাস্তা তৈরির বিটুমিন তৈরি হয়।  


 সরাসরি কয়লা থেকে এবং কয়লার উপজাত থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর কথা বলতে থাকলে এই ভিডিও শেষ করা যাবেনা। কয়লা এবং তার উপজাতের শত শত ব্যবহার মানুষ প্রতিদিন করছে তার প্রতিদিনের কাজে কর্মে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

Tuesday, March 12, 2024

হলমার্কিং কি? কেন করা হয়?

ভেজালের এই দুনিয়া ক্রেতারা সবাই আতংকিত  তারা যেন প্রতারিত না হয় আর অসাধু  বিক্রেতারা ব্যস্ত কিভাবে ভেজাল সামগ্রী বিক্রি করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আর সেই পন্যটি যদি হয়  সোনা,রুপার মত মূল্যবান ধাতু যা বিক্রি হয় গ্রাম ওজনে অর্থাৎ বিক্রেতারা  ১ গ্রাম বা আধা গ্রাম ভেজাল করলেই  ক্রেতারা  ঠকবে হাজার হাজার টাকা । গ্রাহকরা যাতে প্রতারিত না হন তা সমাধান করার জন্যই চালু করা হয়েছে হলমার্কিং পদ্ধতি। কারণ সারা পৃথিবীর উন্নত ব্যবস্থার সরকার গুলো  তাদের জনগণ সোনা,রুপার মত মূল্যবান ধাতু কেনাকাটার সময় যাতে না ঠকে এবং  যাতে তাদের স্বার্থ রক্ষা হয় এজন্য কাজ করে।  



হলমার্ক হল বিভিন্ন গহনা এবং মুল্যবান ধাতুর উপর লেজার দিয়ে খোদাই করা

 এক ধরনের চিহ্ন,প্রতীক বা  স্ট্যাম্প যা তার  বিশুদ্ধতার পরিমাণ  এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিবরণ  নির্দেশ করে এবং এই কাজগুলো কোন স্বীকৃত  মূল্যায়নকারী সংস্থা দ্বারা   নিশ্চিত করা হয় যা ঐ দেশের সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা হতে পারে। 


হলমার্কিং কেন করা হয়?


হলমার্কিং ক্রেতাদেরকে গহনা বা মুল্যবান ধাতুটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয় এবং আসল না নকল তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।


বিভিন্ন গহনা এবং মুল্যবান ধাতুর উপর 

সাধারণত খোদাই করা দুই ধরণের চিহ্ন দেখা যায়। অর্থাৎ দুই ধরনের হলমার্কিং থাকে। 


 প্রথমটি হল গহনা বা মুল্যবান ধাতুটির ধরন অর্থাৎ ধাতুটি  কোন ধরনের স্বর্ণের,রুপার,  না প্লাটিনাম বা অন্য কোন ধাতু এবং সাথে  বিশুদ্ধতার মাত্রা লেখা থাকে অর্থাৎ কত শতাংশ খাদ এবং কত শতাংশ আসল ধাতু। 


দ্বিতীয় হলমার্কিংটি হল গহনা বা মুল্যবান ধাতুটির   নির্মাতা বা উৎসের নাম।অর্থাৎ  নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম বা  কোন দেশের তৈরি। 


 একটি সত্যিকারের হলমার্কিংর জন্য, তাতে অবশ্যই বিশুদ্ধতা উল্লেখ করা থাকতে হবে।  যদি শুধুই  নির্মাতার  নাম উল্লেখ থাকে কিন্তু বিশুদ্ধতার পরিমাণ উল্লেখ  না  থাকে সেটি 

প্রকৃত হলমার্কিং হবে না । 


যেমন, 24-ক্যারেট সোনার একটি বারে যদি  "৯৯৯"হলমার্কিং করে লেখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে  এতে ৯৯.৯% খাঁটি সোনা আছে।

একেক দেশের হলমার্কিং সিস্টেম একেক রকম। যেমন , ইংল্যান্ডের  হলমার্কিং সিস্টেমটি Goldsmith company এর  অ্যাসেড Assayed Office,অফিস এর তত্ত্বাবধানে করা হয়।তারা ১৩০০ সাল থেকে ৭০০ বছর যাবৎ বিভিন্ন মূল্যবান ধাতুর উপরে হোল মার্কিং করছে।   ইংল্যান্ডের, হলমার্কে সাধারণত চারটি তথ্য  থাকে:১) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ,২)বিশুদ্ধতার পরিমাণ, ৩)অ্যাসে অফিস এর নাম,এবং ৪) হল তারিখ।  


বাংলাদেশে হলমার্কিং আছে কিনা?


হলমার্কিং করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের  কোনো প্রতিষ্ঠান নেই এবং কোন নির্দেশনা নেই। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি তাদের নিজেদের মধ্যে হলমার্কিং করার জন্য ২০০৭ সালে ক্যাডমিয়াম পদ্ধতি চালু করে।  তবে ঢাকা, চট্টগ্রামের  নামীদামি প্রতিষ্ঠান এর জুয়েলারি ব্র্যান্ড গুলো নিয়মটি কিছু  মানলেও অন্যরা মানছে না। তাতে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতারা প্রতারিত হন।



বাংলাদেশে দুটি প্রতিষ্ঠান শুধু সোনার অলংকারে হলমার্ক করে। সেগুলো হল বাংলা গোল্ড ও ঢাকা গোল্ড। জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো  অলংকার তৈরির পর তা বাংলা গোল্ড বা ঢাকা গোল্ডে পাঠায়। তারা সেগুলো পরীক্ষা করে অলংকারে লেজার দিয়ে ২১ বা ২২ ক্যারেট খোদাই করে দেয়। তার সঙ্গে অনেক সময় অলংকারের গায়ে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের পুরো নাম বা আদ্যাক্ষরও থাকে।


হলমার্কের উদ্দেশ্য হল মূলত ভোক্তাদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করা এবং গহনা বা মুল্যবান ধাতুটির  গুণমান ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা। আশা করি তা বাংলাদেশ এক সময় বাস্তবায়িত হবে এবং ভোক্তা বা ক্রেতারা প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে পারবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 






Sunday, March 10, 2024

ফাইন সিলভার বা ৯৯৯ সিলভার (999 silver) কি?

রৌপ্য মূল্যবান ধাতুগুলির মধ্যে একটি যা সুন্দর রূপালী আভা দেয় এবং যার ক্ষয় হয় না, মরিচা ধরে না ও দামে সস্তা যার ফলে তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য ধাতুর তুলনায় গহনা তৈরিতে রুপার ব্যবহার ব্যাপক। প্রশ্ন হলো ভালো মানের রুপা কোনটা যা দিয়ে অলংকার তৈরি করলে টেকসই হবে এবং উজ্জ্বলতা ও গুনা গুন বজায় থাকবে বছরের পর বছর। বাজারে অনেক ধরনের রুপা পাওয়া যায় কিন্তু খাদের পরিমানের উপর  নির্ভর করে রুপার গুনাগুন এবং মুল্যের মধ্যে তারতম্য হয়। আমরা আজকে আলোচনা করব কোন ধরনের রূপায় আপনি  বিনিয়োগ করতে পারবেন যার ফলে  তাৎক্ষণিকভাবে বিক্রি করা যাবে এবং আবার লাভবান হওয়াও যাবে অর্থাৎ ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য  কোন গ্রেড এর রুপা ভালো হবে। 



ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড সিলভার হলো 99.9% সিলভার বা ট্রিপল ৯৯৯ সিলভার (999)।  এই ধরনের সিলভারকে সুক্ষ্ম  সিলভার বা ফাইন সিলভারও বলে।  এত বিশুদ্ধ সিলভার "বুলিয়ান বার" তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এই ধরনের রুপা তুলনামূলকভাবে নরম, নমনীয় এবং সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করা হয়। কারণ এর percentage   99.99% হওয়ার কারণে খাদ মিশ্রত না থাকার কারণে এই ধরনের রুপা দিয়ে অলংকার তৈরি করলে তা  দুর্বল হবে, ক্ষণস্থায়ী হবে এবং সহজেই ব্যবহারের সময়  দাগ পড়বে। 


সিলভার বুলিয়ন বার সাধারণত ১-আউন্স, ৫-আউন্স, ১০-আউন্স এবং ১০০-আউন্স আকারের হয। 


যেহেতু ট্রিপল ৯৯৯  রুপা দিয়ে অলংকার তৈরি করলে তা  দুর্বল হবে, টেকসই হবে  না এবং সহজেই ব্যবহারের সময়  দাগ পড়বে। তারপরও কেউ যদি 999 সিলভার দিয়ে অলংকার তৈরি করতে চায় তাহলে এই ট্রিপল ৯৯৯  সিলভারের কিছু সুবিধা অসুবিধা  আছে। সুবিধা হল :


 ১) ট্রিপল 999 সিলভার বিক্রি করা সহজ যেহেতু এর বিশুদ্ধতা  জানা আছে। 


 ২) এর  ট্রিপল 999 রুপায় স্টার্লিং রুপার চেয়ে ধীরে ধীরে রং বিবর্ণ হয়।  

৩) উচ্চমাত্রার বিশুদ্ধ হওয়ার কারণে নিনিয়োগ কারি খুব সহজেই এখানে বিনিয়োগ  করতে পারে। 


 অসুবিধা হল:


ট্রিপল ৯৯৯  রুপা দিয়ে কেউ যদি কখনো গহনা  তৈরি করে সেগুলোতে  সহজেই দাগ পড়বে  এবং গর্ত  হয়ে ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।  ট্রিপল ৯৯৯ সিলভার দিয়ে অলংকার তৈরি করলে সব সময় ব্যবহার করা যাবে না মাঝে মাঝে ব্যবহার করা যাবে।  


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 


Wednesday, March 6, 2024

Why New York is called Big Apple?

 New York City is 400 years older and one of the world's most populous megacities.As many as 800 languages are spoken in New York, making it the most linguistically diverse city in the world.New York City has many nicknames, but its most popular one is "The Big Apple."

Some other nicknames  are "The City That Never Sleeps," "Empire City," "Gotham" and "The City So Nice They Named It Twice.



Firstly In 1909, Edward Martin's book 'The Wayfarer in New York' called the city the  Big Apple. Gradually  this name became popular later.
John J. FitzGerald, (জন জে ফিটজ জেরাল্ড) was a horse-racing writer for The Morning Telegraph in the 1920's and was the first to popularize the term "The Big Apple."
While on assignment in New Orleans, FitzGerald overheard African-American stablehands refer to New York City race-courses as "The Big Apple." FitzGerald loved the term so much that he named his racing column "Around The Big Apple." The title to the column became synonymous with the New York City racing scene.

A decade later many jazz musicians began calling the City "The Big Apple" to refer to New York City . Soon the nickname became synonymous with New York City and its cultural diversity.

To boost tourism in 1971, the city initiated a campaign led by Charles Gillett, president of the New York Convention and Visitors Bureau, according to the New York Times.

The campaign, with help from Phillips, showcased red apples to attract visitors, intending to present a vibrant and cheerful image in contrast to the prevailing perception of the city as plagued by crime and poverty.

Consequently, the city enthusiastically invited tourists to "take a bite out of the Big Apple.

The corner on which John J. FitzGerald resided from 1934 to 1963, be designated "Big Apple Corner."

Today, "The Big Apple" name is used exclusively to refer to New York City, and is used with regularity by journalists and news headline writers across the English-speaking world.

Thanks for watching. To support me Please like,share & subscribe the channel.

সাদা সোনা কি? What is white gold?

সত্য কথা বলতে গেলে  সাদা সোনার কোনো  খনি হয় না।যেহেতু সাদা সোনার কোন খনি হয় না তাই সাদা সোনা কৃত্রিমভাবে তৈরি করতে হবে।  সাধারণত সোনার সাথে খাদ মিশ্রণ করে সাদা সোনা তৈরি করা হয়। সাদা সোনা তৈরি করতে গেলে  base মেটাল হিসেবে অবশ্যই স্বর্ণ ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ সাদা সোনা তৈরি করতে গেলে অবশ্যই সোনা লাগবে এবং সোনাকে সাদা রূপ দেওয়ার জন্য খাদ হিসাবে প্লাটিনাম,প্লাডিয়াম, রুপা,নিকেল,দস্তা ইত্যাদি ধাতু খাদ হিসেবে যোগ করতে হবে। 




সাদা সোনার মিশ্রনে সাধারণত ৭৫% স্বর্ণ এবং ২৫% খাদ হিসেবে মুল্যবান  প্লাটিনাম, প্লালাডিয়াম,রুপা, নিকেল ও দস্তা ব্যবহার করা হয়। 


দুটি কারণে সাদা সোনার অলংকার তৈরিতে সংকর ধাতু ব্যবহার করা হয়।  প্রথমত, সোনাকে সাদা রং দেখানোর জন্য তাকে সাদা বানাতে হবে এই সাদা বানানোর কাজ সংকর ধাতু যোগ করে করা হয়, সংকর ধাতু যোগ করার কারণে হলুদ  সোনা সাদা ধাতুতে পরিণত হয়। ।  সাধারণত, এই সংকর ধাতুগুলি "সাদা রঙের" ধাতু যেমন প্ল্যাটিনাম, প্যালাডিয়াম এবং রূপা।


দ্বিতীয়ত, খাদ ধাতু সাদা সোনার স্থায়িত্বে অবদান রাখে।  প্রকৃতপক্ষে,  সকল সোনার গহনায় সংকর ধাতু ব্যবহার করা হয়।  কারণ খাঁটি সোনা খুবই নরম ধাতু।  শংকর ধাতু গুলো যেরকম সোনাকে শক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনি স্বর্ণকে উজ্জল দীপ্তিময়, চকচকে সাদা দেখানোর জন্য রুথেনিয়াম  নামক একটা মূল্যবান ধাতু দ্বারা প্রলেপ বা পোলিশ করা হয়।  রুথেনিয়াম এর প্রলেপ দেওয়ার কারণে ধাতুটি উজ্জ্বল,দীপ্তিময়, চকচকে সাদা  দেখায়।


 তাই সবার শেষে বলতে হবে যে সাদা সোনা কোন খনিতে পাওয়া যায় না তাকে তৈরি করে নিতে হয় এবং এর প্রধান উপাদান হিসেবে সোনা ব্যবহার করা হয় এবং খাদ হিসাবে মূল্যবান কিছু ধাতু ব্যবহার করা হয়।   


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

Monday, March 4, 2024

Bab el-Mandeb Strait:An important waterway

Nowadays the place which names we hear everyday is gaza and bab el-Mandeb.Bab el-Mandeb Strait, a key waterway linking the Red Sea and the Gulf of Aden.

Bab-el-Mandeb strait between Arabia  and Africa that connects the Red Sea with the Gulf of Aden and the Indian Ocean .The strait is 20 miles /32 km) wide and is divided into two channels by Perim Island; the western channel is 16 miles /26 km) across, and the eastern is 2 miles /3 km) wide.This channel separates Africa and Asia and connects the Indian Ocean and the Red Sea.



The Bab al-Mandeb Strait also known as the "Gate of Tears"or “Gate of Grief” "Gate of lamentation". In Arabic,  “bab” meaning is “gate” and “mandeb” or “mandab” meaning “lamentation.” Its name appears to refer to the perils of navigating the narrow waterway, which is rife with crosscurrents, unpredictable winds, reefs, and shoals.

The strait has great strategic and economic importance, forming a vital link between the Mediterranean Sea and East Asia.

After beginning of Gaza war a name come with Bab el-Mandeb Strait is Houthi.The Houthis, who rule the most populated areas of Yemen.Houthis attack on usa,uk & Israeli vessels using missiles and drones when they enter in the Strait. They claim that they are attacking in support of the Palestinian people in response to Israel's attacks on Gaza.

container volumes through the Red Sea region fell by around 78 percent from expected values , affecting 15% percent of all globally shipped goods.
Major shipping companies have mostly abandoned the vital commerce route in favour of lengthier routes around Africa due to the rising unrest in the Red Sea.

Transportation   Costs have gone up as a result, adding to concerns about worldwide inflation and depriving Egypt of vital foreign exchange earnings from shippers travelling via the Suez Canal to and from the Red Sea.

Thanks for watching. To support me Please like,share & subscribe the channel.


শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লি...