Saturday, March 30, 2024

What is the Dasht-e-lut? Why is the Dasht-e-lut desert so hot?

 Iran's  25% land area is desert.This lands include a unique collection of

geo morphological phenomena.
Dasht-e-lut and Dasht-e-Kavir are iran's largest desert.

Dasht-e-lut or Lut desert  also known as the Loot Desert, is a large salt desert in Kerman and Sistan province of Iran and is the world’s 25th largest desert. Lut Desert is one of the world’s driest and hottest places. It was inscribed by the UNESCO as World Heritage Sites.



In Persian language “Lut” refers to bare land without water and devoid of vegetation. It lacks of vegetations and water, two vital factors for the survival of humans and animals; as a result, some indigenous people  still are afraid to go to this area. Therefore, this wonderful land has still remained  unknown and mysterious  to researchers.

The region often experiences Earth’s highest land surface temperatures: a temperature of 70.7C has been measured by NASA's Aqua satellite in 2005.

The hottest portion of Dasht-e Lut is Gandom Beryan, a large plateau covered in dark lava, approximately 480 square kilometres or 190 sq mi in area.According to local legend, this Persian  name گندم بریان, means "toasted wheat" originates from an accident where a load of wheat was left in the desert which was then scorched by the heat in a few days.

Why is the Dasht-e-lut desert so hot?

Its most extreme hot spots are covered with dark rocks, volcanic debris and sand. This makes the surface so dark that it does not reflect the light and therefore absorbs solar energy from the sun. The heat energy then radiates out and the surrounding area gets hotter.

Thanks for watching.Please do like and subscribe the channel.

Friday, March 29, 2024

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান কোনটা? What is the hottest place on earth?


ইরানের পঁচিশ শতাংশ এলাকা জুড়ে মরুভূমি। দাশত-ই লুত এবং দাশত-ই কাভির ইরানের বৃহত্তম মরুভূমি।দাশত ই লুত হল ইরানের ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত ১ম প্রাকৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান । লুত শব্দের অর্থ 'বিরান' যেখানে সবকিছুর অভাব রয়েছে  অর্থাৎ পানি ও গাছপালা না থাকার কারণে মানুষ অন্যান্য প্রাণীর সেখানে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম যেখানে স্থানীয় আদিবাসীরাও  যেতে ভয় পায়। 


এই Dasht-e Lut-এর সবচেয়ে উষ্ণতম অংশ হল গন্দম বেরিয়ান (Gandom Beryan), যা কাল  লাভায় আচ্ছাদিত একটি বৃহৎ মালভূমি, আয়তন প্রায় ৪৮০ বর্গকিলোমিটার ১৯০ বর্গমাইল। 


১)২০০৫ সালে Dasht-e Lut এ NASA তার একুয়া( Aqua) উপগ্রহ দ্বারা পৃথিবীর  সর্বোচ্চ ভূ পৃষ্ঠের তাপমাত্রা রেকর্ড করে যা ছিল ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  


২) লিবিয়ার মরুভূমিতে রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। 


৩)পৃথিবীর অন্যতম উষ্ণতম স্থান  হলো আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অবস্থিত ডেথ ভ্যালি এর ফার্নেস ক্রীকে। যেখানে ১৯১৩ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা  ১৩৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। 


৪) তিউনিসিয়ায় ১৯৩১ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩১ ডিগ্রি ফারেনহাইট।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

Tuesday, March 26, 2024

Which metals are available in permanent jewelry?

Permanent jewelry has become a latest trend and it gaining so much in popularity.On social media videos we see influencers getting forever bracelets,anklet, or necklaces. 


Permanent jewelry is jewelry that is skillfully welded to  body (typically wrist, neck, or ankle), that does not have a traditional clasp, so it cannot be easily removed.The ends of the jewelry are soldered together while you're wearing them, creating a seamless look.



Popular metals are available in permanent jewelry include solid gold, gold-filled, 14 karat Yellow Gold, White Gold, Rose Gold,solid silver, sterling silver,titanium, platinum and stainless steel. 


Many permanent bracelets are made of 14-karat gold. This material is durable, doesn't tarnish, and can be enough to avoid a skin reaction.Or 18-karat gold can be other options  which typically contains a smaller amount of nickel. This two glamorous metal is durable and needs little maintenance. 


Solid silver, 14-karat gold and 18-karat gold are great hypoallergenic option, making it ideal for people with sensitive skin.


For those who want the look of gold without the cost, gold-filled jewelry is affordable for them without losing much of the durability of solid gold. Though it may lose its luster over many years, it keeps a beautiful shine with proper maintenance.


Most finished bracelets range from 6-7 inches, anklets from 8-11 inches, and necklaces 14 inches and up.


You can clean your permanent jewelry with warm water, a soft toothbrush and mild dish soap. Jewelry polishing cloths also work great to get them polished up and back to their super shiny look.


For anyone who wants a constant reminder of their love permanent jewelry can be a great choice.


Thanks for watching.Please do like and subscribe the channel.


Tuesday, March 19, 2024

২২ ক্যারেট সোনা কি এবং ৯১৬ সোনা কি?

 সোনা পৃথিবীতে বহুলব্যবহৃত ধাতুসমুহের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো যা হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সোনা একটি ঘন,  নরম এবং নমনীয় মূল্যবান ধাতু যার উজ্জ্বল হলুদ রংঙের আভা রয়েছে। সোনা তাপ এবং বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। খাঁটি সোনা এতই  নরম এবং  নমনীয় হয় যে এক ট্রয় আউন্স বা ৩১.১ গ্রাম সোনা দিয়ে পাতলা শীট বানিয়ে  ১৫৬ বর্গফুট জায়গা সম্পুর্ন  ঢেকে দেয়া যাবে। 



সোনা  এমন একটি পণ্য যাতে ভেজাল  মিশ্রণ করা অনেক সহজ সেই সাথে মানুষের দৃষ্টির অগোচরে  সোনার বিশুদ্ধতাও সহজেই পরিবর্তিত হয়ে যায়। এজন্য আমাদের সবসময় হলমার্কিং দেখে সোনা  কিনা উচিত এছাড়া  প্রতারিত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে। হলমার্কিং কি এই নিয়ে একটা ভিডিও আমার এই চ্যানেলে দেয়া আছে সুযোগ পেলে দেখে নিবেন। ডেসক্রিপশন বক্সে দিয়ে দিলাম।



২২ ক্যারেট স্বর্ণ এবং ৯১৬ স্বর্ণ এর মধ্যে  পার্থক্য কি? এটা জেনে নেয়ার আগে আমাদের আর একটা জিনিস জানতে হবে তাহল  ক্যারেট কি। মনে করুন  আপনি একটি আংটি বানাতে চান এবং তা ২০ ক্যারেটের স্বর্ণ হোক তা আপনি চান। এখন আপনি স্বর্ণকারকে কিভাবে বলবেন যে এই আংটির সাথে কতটুকু খাদ মেশাতে হবে এই হিসাবটা যদি আপনার জানা থাকে তাহলেত ভালো হয় । হিসাব বের করার জন্য যা করতে হবে স্বর্ণ সাধারণত  ২৪ ক্যারেটের বেশি হয় না তাই ১০০ কে ২৪ দিয়ে ভাগ দিলে যে ভাগফল আসে তার সাথে আপনি যত ক্যারেট বানাতে চান তার গুন দিতে হবে। এখন আপনি আংটিটা ২০ ক্যারেটের বানাতে চান তাই ১০০ কে ২৪ দিয়ে ভাগ দিলে ভাগফল  আসে ৪.১৬ এর সাথে ২০ গুন করলে হয় ৮৩.২ শতাংশ। অর্থাৎ আপনি স্বর্ণকারকে বলবেন যে আমার ২০ ক্যারেটের আংটির মধ্যে ৮৩.২ শতাংশ সোনা থাকবে অর্থাৎ যে ওজনেরই হোক ৩ আনা হোক বা ৪ আনা  তাতে ১৬.৮% খাদ থাকবে ৮৩.২ শতাংশ সোনা থাকবে । এখন স্বর্ণকার যদি  ১৬.৮% এর চেয়ে বেশি খাদ বা ভেজাল মিশায় তখন আপনার ঐ আংটিটা আর ২০ ক্যারেটের সোনার হবে না তারচেয়ে কম হবে।


ফিরে আসা যাক আমাদের আজকের আলোচনায় যে  ২২ ক্যারেট স্বর্ণ এবং ৯১৬ স্বর্ণ এর মধ্যে  পার্থক্য কি? আগের আলোচনার কারণে এখন আপনি সহজে বুঝতে পারবেন ১০০ কে ২৪ দিয়ে ভাগ দিলে ভাগফল  আসে ৪.১৬ এর সাথে ২২ গুন করলে হয় ৯১.৫২ বা ৯১.৬ ধরি। অর্থাৎ ৯১৬ সোনা মানে হল যেই স্বর্ণের মিশ্রণের মধ্যে ৯১.৬ শতাংশ সোনা  এবং ৮.৪  শতাংশ খাদ মিশ্রিত থাকবে তাই  হলো ৯১৬  সোনা বা ২২ ক্যারেট সোনা। এখন আপনি যদি  এরকম কোন সোনার গহনা কিনে থাকেন যাতে ৯১৬ লেখা থাকে, ইউরোপ, আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে  এরকম হলমার্কিং করা বা খোদাই করে লেখা থাকে  তাহলে বুঝতে হবে এই সোনার গহনায় ৯১.৬ শতাংশ সোনা  এবং ৮.৪  শতাংশ খাদ মিশ্রিত আছে। 

সুতরাং ৯১৬  সোনা বা ২২ ক্যারেট সোনা একই। এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই শুধু নামের পার্থক্য সোনার পরিমান সোনা ও খাদের পরিমাণ একই থাকে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 


Monday, March 18, 2024

গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড কি? কিভাবে তৈরি হয়? কিভাবে চিনব গোলাপি সোনা?

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী রোমান্টিক এবং আধুনিক মেয়েদের ও মায়েদের কাছে রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনা খুব জনপ্রিয়। এই সোনার গহনা সহজে  উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেন না,  দীর্ঘ সময়ের জন্য এর দীপ্তি এবং সৌন্দর্য বজায় রাখে।


যাহোক স্বর্ণ ব্যবহারের কিছু ইতিহাস আলোচনা করা যাক :


মানুষের স্বর্ণ ব্যবহারের ইতিহাস ৭ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো । ১৯৭০ সালে বুলগেরিয়ার এক কবরস্থানে কবর খনন  করার সময় সেখানে  সোনার একটি আংটি এবং নেকলেস পাওয়া যায়। গবেষকরা গবেষণা করে দেখেন যে ওই স্বর্ণের অলংকারের বয়স খ্রিস্টপূর্ব ৪২০০ থেকে ৪৬০০ বছরের আগের যা মিশরীয় এবং রোমান  সাম্রাজ্য শুরু হওয়ার কয়েকশো বছর আগের ছিল। এ থেকে বুঝা যায় যে মানুষ কত আগে থেকে  সোনা ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল। বর্তমান জামানায়ও সোনা কিনে রাখা কে উত্তম বিনিয়োগ মনে বলে মনে করা হয় যার দাম দিন দিন বাড়তেই থাকে যাকে ইংরেজিতে বলে heaven of investment. এক সপ্তাহ আগেই  চীনের ব্যাপারে একটা খবর এরকম ছিল  যে, "  চীনের তরুণদের মধ্যে সোনার তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখে তাঁদের মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণদানা বা গোল্ড বিনস কিনে রাখার প্রবণতা বাড়ছে। মুখে খাওয়া বড়ির মতো স্বর্ণের এসব দানার ওজন এক গ্রাম করে। এগুলোর দাম স্থানীয় মুদ্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ হাজার  টাকা থেকে ৯ হাজার  টাকা"। সবাই স্বর্ণকে ভবিষ্যতের জন্য একটা নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করে।  কিন্তু আপনি যদি মুসলমান হন অবশ্যই আপনাকে এসব গহনার যাকাত দিতে হবে তা না হলে আখেরাতে  অনেক সমস্যা আছে । আর পরিপূর্ণ ভাবে  যাকাত দেয়ার দ্বারা সোনা  কমবেনা বরঞ্চ পবিত্র হবে এবং  চুরি হয়ে যাওয়া ও নষ্ট হওয়া থেকে আল্লাহতালা হেফাজত করবেন।//




সোনা একটি ঘন,  নরম এবং নমনীয় মূল্যবান ধাতু যার উজ্জ্বল হলুদ রংঙের আভা রয়েছে। সোনা তাপ এবং বিদ্যুত সুপরিবাহী। খাঁটি সোনা এতই  নরম এবং  নমনীয় হয় যে এক ট্রয় আউন্স বা ৩১.১ গ্রাম সোনা দিয়ে পাতলা শীট বানিয়ে  ১৫৬ বর্গফুট জায়গা সম্পুর্ন  ঢেকে দেয়া যাবে। 


 স্বর্ণ বিভিন্ন রঙের হতে পারে যেমন হলুদ, লাল, গোলাপী,  সাদা ইত্যাদি,সবই খাদ ধাতুর কারসাজি । সোনা, রঙ এবং উজ্জ্বলতায় আকর্ষণীয়,তুলনা মূলকভাবে বিশুদ্ধ আকারে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।কিন্তু  খাদ যোগ করার পরে  সোনার রং এবং বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পরিবর্তন আসে। //


কিভাবে গোলাপী স্বর্ণ তৈরি হয়? 


রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনার প্রথম প্রচলন হয় রাশিয়ায় ১৮০০ শতকের শেষের দিকে তখন তার নাম ছিল 'রাশিয়ান গোল্ড' এবং বিংশ শতাব্দীতে এসে এই সোনা বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে তখন তার নাম হয় রোজ গোল্ড বা  গোলাপি সোনা।


প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত হলুদ সোনাকে গোলাপের সুন্দর আভা দেয়ার জন্য তাতে খাদ হিসেবে  কপার বা তামা যোগ করা হয়।খাঁটি তামা দেখতে কিছুটা লালচে গোলাপি হয়। ৭৫% খাঁটি সোনার সাথে ২৫% তামা যোগ করে গোলাপি সোনা তৈরি করা হয়।   যদি বেশি গোলাপি হয়ে যায় তখন এর সাথে কিছু রুপা যোগ করে সামঞ্জস্য বজায় রাখা হয়। অর্থাৎ গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড হলো ৭৫%  খাঁটি সোনা এবং ২৫% তামা যোগ করা একটা মিশ্রণ। এই পার্সেন্টেজের স্বর্ণকে ১৮ ক্যারেট সোনাও বলা হয়।খাঁটি সোনার সাথে কপার বা তামার পার্সেন্টেজ যত যোগ করা হবে ততই  এর মধ্যে গোলাপি বা লাল আভা সৃষ্টি হবে । //


গোলাপি সোনার সুবিধা :


গোলাপি সোনার সুবিধা হল এটি কখনই তার আসল রঙ হারিয়ে ফেলে না, স্ক্র্যাচ পরে না এবং সহজে বিকৃতি হয় না। রোমান্টিক এবং আধুনিক মেয়েরা ও মায়েরা এই ধরনের গোলাপি  সোনা খুঁজে থাকেন।  এই সোনা বর্তমানে  মেয়েদের মাঝে বিশ্বব্যাপী খুব জনপ্রিয় হইতেছে। এই সোনার গহনা সহজে  উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেন না,  দীর্ঘ সময়ের জন্য এর দীপ্তি এবং সৌন্দর্য বজায় রাখে।//


   রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনার গহনার কিভাবে যত্ন নিব? 


গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড এর গহনার  বিশেষ কোন যত্নের প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র মাঝে মাঝে পরিষ্কার এবং পালিশ করে নিবেন। 


আরো কিছু উপায় হলো:


রোজ গোল্ড  বা গোলাপি সোনার গহনা গুলোকে দাগ পড়া থেকে অন্য গহনার সাথে একসাথে না রেখে আলাদা রাখা যেতে পারে এর দ্বারা  দাগ পড়া থেকে  বা স্ক্র্যাচ  পড়া থেকে রক্ষা পাবে। 


এ গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড এর গায়ে যদি কোন রকমের ময়লা বা দাগ লেগে থাকে সেগুলা  মসৃণ কাপড়  দিয়ে মুছে ফেলতে হবে এবং যে ধরনের রাসায়নিক উপাদান এই গহনার সাথে বিক্রিয়া  করতে পারে সেই সমস্ত রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার থেকে নিজেকে  দূরে  রাখতে হবে। 


 ক্লোরিন যুক্ত সুইমিং পুল বা খারাপ আবহাওয়ায় অর্থাৎ খুব আদ্র, অত্যন্ত গরম বা অনেক বেশি বৃষ্টিপাত এরকম অবস্থায় রোজ গোল্ড এর গহনা পরে না বের হওয়া  ভালো এছাড়া  ব্যায়াম  করার সময় বা বাগানে কাজ করার সময় এই গহনা ব্যবহার না করা ভালো।//


আমরা কিভাবে চিনব রোজ গোল্ড?


প্রথম যে পদ্ধতিটির কথা বলবো তা হলো বিশ্বস্বীকৃত হলমার্কিং পদ্ধতি, সারা বিশ্বে ১৪ এবং ১৮ ক্যারেটের সোনাই হলো rose gold.অর্থাৎ আপনি যদি এরকম স্বর্ণ পান যে স্বর্ণের গহনার গায়ে  ১৪ বা ১৮ ক্যারেট লেখা আছে সেগুলো rose gold কারণ ১৪ বা ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ তৈরি করতে যে যে অনুপাতে সোনা এবং খাদ মিশানো হয় তাই রোজ গোল্ড।  আমেরিকায় রোজ গোল্ড হিসেবে 14  ক্যারাটের স্বর্ণ ব্যবহার হয় আর ইউরোপের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণকে রোজগোল্ড বলে। এখন  আপনাকে যদি কোন  স্বর্ণকার ২৪ ক্যারেট লেখা কোন স্বর্ণকে দেখিয়ে  বলে যে এটাই রোজ গোল্ড তাহলে অবশ্যই বুঝে নিবেন যে ওই গহনাটি রোজ গোল্ডের না কেননা রোজ গোল্ড  কখনোই  ২৪ ক্যারেট এর হবে না,  রোজ গোল্ড হবে ১৪ বা  ১৮ ক্যারেটের যাতে সোনার পরিমাণ ২৪ ক্যারেটের চেয়ে  কম হবে এবং ভেজাল হিসেবে বেশি খাদ মিশ্রিত থাকবে । 


২৪ ক্যারেটের সোনা দেখতে সম্পুর্ন হলুদ হবে আর গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড দেখতে কিছুটা লালের মধ্যে গোলাপি আভা থাকবে। পাশাপাশি ধরলে বুঝতে পারবেন। একটা হলুদ আর একটা লালচে হবে যা  হলুদ বা গোলাপি আভাযুক্ত।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 



Saturday, March 16, 2024

প্লাটিনাম কি কি কাজে ব্যবহার হয়?

প্ল্যাটিনাম দেখতে ধূসর-সাদা রঙের। এটি একটি ভারী ধাতু। ধাতুটির গলনাঙ্ক ১৭৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্লাটিনামের স্ফুটনাঙ্ক ৩৮২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্লাটিনাম এর পারমাণবিক সংখ্যা ৭৮, যার প্রতীক হলো Pt.প্লাটিনাম স্বর্ণের চেয়ে অনেক মজবুত এবং অনেক স্থায়ী হয় এবং প্লাটিনাম কম ক্ষয়প্রাপ্ত ধাতু যেহেতু তারা পরিবেশের আলো, তাপ, পানি ও বাতাসের সাথে কোন বিক্রিয়া করে না যার ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।  ঠিক এই কারনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে  platinum এর  ব্যবহার দিন দিন  বিশ্বব্যাপী বাড়ছে।




প্লাটিনাম এর কিছু ব্যবহার উল্লেখ করা হলো


১) পরীক্ষাগারের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার আছে। 

২) ক্যাটালাইসড বা অনুঘটক হিসেবে প্লাটিনাম কাজ করে বিভিন্ন বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করার জন্য বা কোন কিছুর ভিতরে পরিবর্তন আনার জন্য প্লাটিনাম ব্যবহার হয়। 

যেমন বিভিন্ন ধরনের গাড়ির মধ্যে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার হিসেবে প্লাটিনাম ব্যবহার হয়,এই কনভার্টার  বিষাক্ত গ্যাসকে পরিশুদ্ধ  করে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনে। 

৩) বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারির মধ্যে প্লাটিনাম অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। 

৪) বৈদ্যুতিক যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন ধরনের  কম্পনেন্ট তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার হয় । 

৫) মানুষের শরীরের জন্য pacemaker  তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার আছে। 

৬) বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের   ইলেক্ট্রোড এর প্রয়োজন হয় এই ইলেকট্রোড তৈরিতে প্লাটিনাম এর ব্যবহার হয়। 

৭) দাঁতের চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে প্লাটিনাম এর ব্যবহার আছে। 

৮) বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং ব্যয়বহুল গহনা তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার হয়। 

৯)কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক তৈরির জন্য প্লাটিনামের ব্যবহার আছে। 

১০) প্লাটিনাম নিষ্কাশনের সময়  by product  হিসাবে Ni, এবং  তামা  পাওয়া যায়। 

১১) রাসায়নিক শিল্পে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল উৎপাদনের জন্য  যেমন নাইট্রিকে এসিড,বেনজিন,  সিলিকন উৎপাদনে  অনুঘটক হিসেবে প্লাটিনাম ব্যবহার করা হয়। 

১২) ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি  এর ওষুধ তৈরি করার জন্য প্লাটিনাম ব্যবহার করা হয়। 

১৩) এলসিডি তৈরি, টারবাইন ব্লেড, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, 

১৪) Thermo electrical thermometer তৈরিতে প্লাটিনামের ব্যবহার আছে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

Wednesday, March 13, 2024

কালো হীরা বা ব্ল্যাক ডায়মন্ড কি?ব্ল্যাক ডায়মন্ড কি কি কাজে ব্যবহার হয়?

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পাথর  হলো ডায়মন্ড বা হীরা । আর সেই  ডায়মন্ড যদি হয় কাল তাহলে সেই ডায়মন্ডের দাম আরো বেড়ে যায়। 

এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে জীবনে কয়লার ব্যবহার  দেখে নাই বা কয়লার সাথে সম্পর্ক নাই । আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন এই কয়লা ব্যবহার করছি।রান্নার সময়ে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ালে যে ছাই হয় তাই কয়লা। কাঠ কয়লা আমরা  কাঠ হতে পাই এবং খনিজ কয়লা খনিতে হতে পাওয়া যায়।



কয়লা কার্বনের একটি রূপ যা মূলত একটি দাহ্য পাললিক শিলা। কয়লা আপাতদৃষ্টিতে শক্তির সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।এটি সাধারণত কালো বা বাদামী-কালো রঙের হয় এবং ভূগর্ভে  তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর সময়  লাগে।  কয়লা মূলত ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া দ্বারা গঠিত এক ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি যা বহু বছর আগে মৃত উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ থেকে তৈরি হয়েছিল।//

  

কয়লা হীরার মতোই মূল্যবান।  

কয়লাকে কালো হীরা বলার মূল  কারণ হলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়লার বহুল  ব্যবহার। কয়লা কখনোই অবহেলার বস্তু না,কয়লা  থেকে আমরা  যে ধরনের উপকার পাই এবং তা  থেকে যত ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি হয় তা জানলে আমরা বিস্মিত হব।এটি রান্নাঘরের জ্বালানী থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্প কারখানায় কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।  কয়লা, কয়লাভিত্তিক  বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মৌলিক কাঁচামাল। // 


সিমেন্ট উৎপাদন, কার্বন ফাইবার, ফোম, ওষুধ, আলকাতরা,সার, সিন্থেটিক পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক জ্বালানি এবং গৃহস্থালির জ্বালানি  সহ কয়লার অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে।



১) কয়লা  তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, গুঁড়ো কয়লাকে পুড়িয়ে পানিকে বাষ্পে পরিণত করা হয়। এই বাষ্প দিয়ে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রে উচ্চ গতিতে টারবাইন ঘুরানো হয় যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।



২) ইস্পাত তৈরিতে  কয়লা ব্যবহার করা হয়। কয়লা থেকে  কয়লার কোক তৈরি করে লোহার আকরিকের সাথে গলিয়ে ইস্পাত তৈরি করা হয় ।  


৩) কয়লাকে গ্যাস এবং তরলে রূপান্তরিত করা যায় যা গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং জাহাজের জ্বালানিতে ব্যবহার করা যায়।


৪) কয়লাকে ভেঙ্গে কার্বন মনোক্সাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাসে পরিণত করে, হাইড্রোজেন নাইট্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে

 অ্যামোনিয়া সার  তৈরি করে, হাইড্রোজেন গ্যাস থেকে  ইউরিয়া, মিথানল পাওয়া যায় এবং প্রাপ্ত  হাইড্রোজেন গ্যাস হতে আরও অনেক কিছুতে রূপান্তর করা যায়। 


৫) কয়লা প্রক্রিয়াকরনের সময়ে byproduct  বা উপজাত থেকে অনেক রাসায়নিক পণ্য পাওয়া যায় যেমন  আলকাতরা , ন্যাপথলিন, ফেনল,  বেনজিন ইত্যাদি। কয়লার উপজাত থেকে যে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায় তা থেকে  অ্যাসপিরিন, দ্রাবক, সাবান, রং, প্লাস্টিক এবং বিভিন্ন রকম ফাইবার রয়েছে যা দিয়ে কৃত্রিম ভাবে  নাইলন এবং রেয়ন তৈরি হয়।


৬) কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সিমেন্ট কারখানা চালু রাখা যায় । এবং  কয়লা পোড়ানো থেকে উৎপন্ন উপজাতগুলিও সিমেন্ট  উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।


৭) স্যাকারিন চিনির চেয়ে ৫০০ গুন বেশি মিষ্টি যা কয়লা থেকে তৈরিই।কিন্তু  আজ অনেক দেশ স্যাকারিন এর ব্যবহার কে নিষিদ্ধ করেছে। 


৮) কয়লা থেকে রাস্তা তৈরির বিটুমিন তৈরি হয়।  


 সরাসরি কয়লা থেকে এবং কয়লার উপজাত থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর কথা বলতে থাকলে এই ভিডিও শেষ করা যাবেনা। কয়লা এবং তার উপজাতের শত শত ব্যবহার মানুষ প্রতিদিন করছে তার প্রতিদিনের কাজে কর্মে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

Tuesday, March 12, 2024

হলমার্কিং কি? কেন করা হয়?

ভেজালের এই দুনিয়া ক্রেতারা সবাই আতংকিত  তারা যেন প্রতারিত না হয় আর অসাধু  বিক্রেতারা ব্যস্ত কিভাবে ভেজাল সামগ্রী বিক্রি করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আর সেই পন্যটি যদি হয়  সোনা,রুপার মত মূল্যবান ধাতু যা বিক্রি হয় গ্রাম ওজনে অর্থাৎ বিক্রেতারা  ১ গ্রাম বা আধা গ্রাম ভেজাল করলেই  ক্রেতারা  ঠকবে হাজার হাজার টাকা । গ্রাহকরা যাতে প্রতারিত না হন তা সমাধান করার জন্যই চালু করা হয়েছে হলমার্কিং পদ্ধতি। কারণ সারা পৃথিবীর উন্নত ব্যবস্থার সরকার গুলো  তাদের জনগণ সোনা,রুপার মত মূল্যবান ধাতু কেনাকাটার সময় যাতে না ঠকে এবং  যাতে তাদের স্বার্থ রক্ষা হয় এজন্য কাজ করে।  



হলমার্ক হল বিভিন্ন গহনা এবং মুল্যবান ধাতুর উপর লেজার দিয়ে খোদাই করা

 এক ধরনের চিহ্ন,প্রতীক বা  স্ট্যাম্প যা তার  বিশুদ্ধতার পরিমাণ  এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিবরণ  নির্দেশ করে এবং এই কাজগুলো কোন স্বীকৃত  মূল্যায়নকারী সংস্থা দ্বারা   নিশ্চিত করা হয় যা ঐ দেশের সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা হতে পারে। 


হলমার্কিং কেন করা হয়?


হলমার্কিং ক্রেতাদেরকে গহনা বা মুল্যবান ধাতুটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয় এবং আসল না নকল তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।


বিভিন্ন গহনা এবং মুল্যবান ধাতুর উপর 

সাধারণত খোদাই করা দুই ধরণের চিহ্ন দেখা যায়। অর্থাৎ দুই ধরনের হলমার্কিং থাকে। 


 প্রথমটি হল গহনা বা মুল্যবান ধাতুটির ধরন অর্থাৎ ধাতুটি  কোন ধরনের স্বর্ণের,রুপার,  না প্লাটিনাম বা অন্য কোন ধাতু এবং সাথে  বিশুদ্ধতার মাত্রা লেখা থাকে অর্থাৎ কত শতাংশ খাদ এবং কত শতাংশ আসল ধাতু। 


দ্বিতীয় হলমার্কিংটি হল গহনা বা মুল্যবান ধাতুটির   নির্মাতা বা উৎসের নাম।অর্থাৎ  নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম বা  কোন দেশের তৈরি। 


 একটি সত্যিকারের হলমার্কিংর জন্য, তাতে অবশ্যই বিশুদ্ধতা উল্লেখ করা থাকতে হবে।  যদি শুধুই  নির্মাতার  নাম উল্লেখ থাকে কিন্তু বিশুদ্ধতার পরিমাণ উল্লেখ  না  থাকে সেটি 

প্রকৃত হলমার্কিং হবে না । 


যেমন, 24-ক্যারেট সোনার একটি বারে যদি  "৯৯৯"হলমার্কিং করে লেখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে  এতে ৯৯.৯% খাঁটি সোনা আছে।

একেক দেশের হলমার্কিং সিস্টেম একেক রকম। যেমন , ইংল্যান্ডের  হলমার্কিং সিস্টেমটি Goldsmith company এর  অ্যাসেড Assayed Office,অফিস এর তত্ত্বাবধানে করা হয়।তারা ১৩০০ সাল থেকে ৭০০ বছর যাবৎ বিভিন্ন মূল্যবান ধাতুর উপরে হোল মার্কিং করছে।   ইংল্যান্ডের, হলমার্কে সাধারণত চারটি তথ্য  থাকে:১) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ,২)বিশুদ্ধতার পরিমাণ, ৩)অ্যাসে অফিস এর নাম,এবং ৪) হল তারিখ।  


বাংলাদেশে হলমার্কিং আছে কিনা?


হলমার্কিং করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের  কোনো প্রতিষ্ঠান নেই এবং কোন নির্দেশনা নেই। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি তাদের নিজেদের মধ্যে হলমার্কিং করার জন্য ২০০৭ সালে ক্যাডমিয়াম পদ্ধতি চালু করে।  তবে ঢাকা, চট্টগ্রামের  নামীদামি প্রতিষ্ঠান এর জুয়েলারি ব্র্যান্ড গুলো নিয়মটি কিছু  মানলেও অন্যরা মানছে না। তাতে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতারা প্রতারিত হন।



বাংলাদেশে দুটি প্রতিষ্ঠান শুধু সোনার অলংকারে হলমার্ক করে। সেগুলো হল বাংলা গোল্ড ও ঢাকা গোল্ড। জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো  অলংকার তৈরির পর তা বাংলা গোল্ড বা ঢাকা গোল্ডে পাঠায়। তারা সেগুলো পরীক্ষা করে অলংকারে লেজার দিয়ে ২১ বা ২২ ক্যারেট খোদাই করে দেয়। তার সঙ্গে অনেক সময় অলংকারের গায়ে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের পুরো নাম বা আদ্যাক্ষরও থাকে।


হলমার্কের উদ্দেশ্য হল মূলত ভোক্তাদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করা এবং গহনা বা মুল্যবান ধাতুটির  গুণমান ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা। আশা করি তা বাংলাদেশ এক সময় বাস্তবায়িত হবে এবং ভোক্তা বা ক্রেতারা প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে পারবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 






Sunday, March 10, 2024

ফাইন সিলভার বা ৯৯৯ সিলভার (999 silver) কি?

রৌপ্য মূল্যবান ধাতুগুলির মধ্যে একটি যা সুন্দর রূপালী আভা দেয় এবং যার ক্ষয় হয় না, মরিচা ধরে না ও দামে সস্তা যার ফলে তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য ধাতুর তুলনায় গহনা তৈরিতে রুপার ব্যবহার ব্যাপক। প্রশ্ন হলো ভালো মানের রুপা কোনটা যা দিয়ে অলংকার তৈরি করলে টেকসই হবে এবং উজ্জ্বলতা ও গুনা গুন বজায় থাকবে বছরের পর বছর। বাজারে অনেক ধরনের রুপা পাওয়া যায় কিন্তু খাদের পরিমানের উপর  নির্ভর করে রুপার গুনাগুন এবং মুল্যের মধ্যে তারতম্য হয়। আমরা আজকে আলোচনা করব কোন ধরনের রূপায় আপনি  বিনিয়োগ করতে পারবেন যার ফলে  তাৎক্ষণিকভাবে বিক্রি করা যাবে এবং আবার লাভবান হওয়াও যাবে অর্থাৎ ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য  কোন গ্রেড এর রুপা ভালো হবে। 



ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড সিলভার হলো 99.9% সিলভার বা ট্রিপল ৯৯৯ সিলভার (999)।  এই ধরনের সিলভারকে সুক্ষ্ম  সিলভার বা ফাইন সিলভারও বলে।  এত বিশুদ্ধ সিলভার "বুলিয়ান বার" তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এই ধরনের রুপা তুলনামূলকভাবে নরম, নমনীয় এবং সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করা হয়। কারণ এর percentage   99.99% হওয়ার কারণে খাদ মিশ্রত না থাকার কারণে এই ধরনের রুপা দিয়ে অলংকার তৈরি করলে তা  দুর্বল হবে, ক্ষণস্থায়ী হবে এবং সহজেই ব্যবহারের সময়  দাগ পড়বে। 


সিলভার বুলিয়ন বার সাধারণত ১-আউন্স, ৫-আউন্স, ১০-আউন্স এবং ১০০-আউন্স আকারের হয। 


যেহেতু ট্রিপল ৯৯৯  রুপা দিয়ে অলংকার তৈরি করলে তা  দুর্বল হবে, টেকসই হবে  না এবং সহজেই ব্যবহারের সময়  দাগ পড়বে। তারপরও কেউ যদি 999 সিলভার দিয়ে অলংকার তৈরি করতে চায় তাহলে এই ট্রিপল ৯৯৯  সিলভারের কিছু সুবিধা অসুবিধা  আছে। সুবিধা হল :


 ১) ট্রিপল 999 সিলভার বিক্রি করা সহজ যেহেতু এর বিশুদ্ধতা  জানা আছে। 


 ২) এর  ট্রিপল 999 রুপায় স্টার্লিং রুপার চেয়ে ধীরে ধীরে রং বিবর্ণ হয়।  

৩) উচ্চমাত্রার বিশুদ্ধ হওয়ার কারণে নিনিয়োগ কারি খুব সহজেই এখানে বিনিয়োগ  করতে পারে। 


 অসুবিধা হল:


ট্রিপল ৯৯৯  রুপা দিয়ে কেউ যদি কখনো গহনা  তৈরি করে সেগুলোতে  সহজেই দাগ পড়বে  এবং গর্ত  হয়ে ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।  ট্রিপল ৯৯৯ সিলভার দিয়ে অলংকার তৈরি করলে সব সময় ব্যবহার করা যাবে না মাঝে মাঝে ব্যবহার করা যাবে।  


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 


Wednesday, March 6, 2024

Why New York is called Big Apple?

 New York City is 400 years older and one of the world's most populous megacities.As many as 800 languages are spoken in New York, making it the most linguistically diverse city in the world.New York City has many nicknames, but its most popular one is "The Big Apple."

Some other nicknames  are "The City That Never Sleeps," "Empire City," "Gotham" and "The City So Nice They Named It Twice.



Firstly In 1909, Edward Martin's book 'The Wayfarer in New York' called the city the  Big Apple. Gradually  this name became popular later.
John J. FitzGerald, (জন জে ফিটজ জেরাল্ড) was a horse-racing writer for The Morning Telegraph in the 1920's and was the first to popularize the term "The Big Apple."
While on assignment in New Orleans, FitzGerald overheard African-American stablehands refer to New York City race-courses as "The Big Apple." FitzGerald loved the term so much that he named his racing column "Around The Big Apple." The title to the column became synonymous with the New York City racing scene.

A decade later many jazz musicians began calling the City "The Big Apple" to refer to New York City . Soon the nickname became synonymous with New York City and its cultural diversity.

To boost tourism in 1971, the city initiated a campaign led by Charles Gillett, president of the New York Convention and Visitors Bureau, according to the New York Times.

The campaign, with help from Phillips, showcased red apples to attract visitors, intending to present a vibrant and cheerful image in contrast to the prevailing perception of the city as plagued by crime and poverty.

Consequently, the city enthusiastically invited tourists to "take a bite out of the Big Apple.

The corner on which John J. FitzGerald resided from 1934 to 1963, be designated "Big Apple Corner."

Today, "The Big Apple" name is used exclusively to refer to New York City, and is used with regularity by journalists and news headline writers across the English-speaking world.

Thanks for watching. To support me Please like,share & subscribe the channel.

সাদা সোনা কি? What is white gold?

সত্য কথা বলতে গেলে  সাদা সোনার কোনো  খনি হয় না।যেহেতু সাদা সোনার কোন খনি হয় না তাই সাদা সোনা কৃত্রিমভাবে তৈরি করতে হবে।  সাধারণত সোনার সাথে খাদ মিশ্রণ করে সাদা সোনা তৈরি করা হয়। সাদা সোনা তৈরি করতে গেলে  base মেটাল হিসেবে অবশ্যই স্বর্ণ ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ সাদা সোনা তৈরি করতে গেলে অবশ্যই সোনা লাগবে এবং সোনাকে সাদা রূপ দেওয়ার জন্য খাদ হিসাবে প্লাটিনাম,প্লাডিয়াম, রুপা,নিকেল,দস্তা ইত্যাদি ধাতু খাদ হিসেবে যোগ করতে হবে। 




সাদা সোনার মিশ্রনে সাধারণত ৭৫% স্বর্ণ এবং ২৫% খাদ হিসেবে মুল্যবান  প্লাটিনাম, প্লালাডিয়াম,রুপা, নিকেল ও দস্তা ব্যবহার করা হয়। 


দুটি কারণে সাদা সোনার অলংকার তৈরিতে সংকর ধাতু ব্যবহার করা হয়।  প্রথমত, সোনাকে সাদা রং দেখানোর জন্য তাকে সাদা বানাতে হবে এই সাদা বানানোর কাজ সংকর ধাতু যোগ করে করা হয়, সংকর ধাতু যোগ করার কারণে হলুদ  সোনা সাদা ধাতুতে পরিণত হয়। ।  সাধারণত, এই সংকর ধাতুগুলি "সাদা রঙের" ধাতু যেমন প্ল্যাটিনাম, প্যালাডিয়াম এবং রূপা।


দ্বিতীয়ত, খাদ ধাতু সাদা সোনার স্থায়িত্বে অবদান রাখে।  প্রকৃতপক্ষে,  সকল সোনার গহনায় সংকর ধাতু ব্যবহার করা হয়।  কারণ খাঁটি সোনা খুবই নরম ধাতু।  শংকর ধাতু গুলো যেরকম সোনাকে শক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনি স্বর্ণকে উজ্জল দীপ্তিময়, চকচকে সাদা দেখানোর জন্য রুথেনিয়াম  নামক একটা মূল্যবান ধাতু দ্বারা প্রলেপ বা পোলিশ করা হয়।  রুথেনিয়াম এর প্রলেপ দেওয়ার কারণে ধাতুটি উজ্জ্বল,দীপ্তিময়, চকচকে সাদা  দেখায়।


 তাই সবার শেষে বলতে হবে যে সাদা সোনা কোন খনিতে পাওয়া যায় না তাকে তৈরি করে নিতে হয় এবং এর প্রধান উপাদান হিসেবে সোনা ব্যবহার করা হয় এবং খাদ হিসাবে মূল্যবান কিছু ধাতু ব্যবহার করা হয়।   


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

Monday, March 4, 2024

Bab el-Mandeb Strait:An important waterway

Nowadays the place which names we hear everyday is gaza and bab el-Mandeb.Bab el-Mandeb Strait, a key waterway linking the Red Sea and the Gulf of Aden.

Bab-el-Mandeb strait between Arabia  and Africa that connects the Red Sea with the Gulf of Aden and the Indian Ocean .The strait is 20 miles /32 km) wide and is divided into two channels by Perim Island; the western channel is 16 miles /26 km) across, and the eastern is 2 miles /3 km) wide.This channel separates Africa and Asia and connects the Indian Ocean and the Red Sea.



The Bab al-Mandeb Strait also known as the "Gate of Tears"or “Gate of Grief” "Gate of lamentation". In Arabic,  “bab” meaning is “gate” and “mandeb” or “mandab” meaning “lamentation.” Its name appears to refer to the perils of navigating the narrow waterway, which is rife with crosscurrents, unpredictable winds, reefs, and shoals.

The strait has great strategic and economic importance, forming a vital link between the Mediterranean Sea and East Asia.

After beginning of Gaza war a name come with Bab el-Mandeb Strait is Houthi.The Houthis, who rule the most populated areas of Yemen.Houthis attack on usa,uk & Israeli vessels using missiles and drones when they enter in the Strait. They claim that they are attacking in support of the Palestinian people in response to Israel's attacks on Gaza.

container volumes through the Red Sea region fell by around 78 percent from expected values , affecting 15% percent of all globally shipped goods.
Major shipping companies have mostly abandoned the vital commerce route in favour of lengthier routes around Africa due to the rising unrest in the Red Sea.

Transportation   Costs have gone up as a result, adding to concerns about worldwide inflation and depriving Egypt of vital foreign exchange earnings from shippers travelling via the Suez Canal to and from the Red Sea.

Thanks for watching. To support me Please like,share & subscribe the channel.


Sunday, March 3, 2024

৯২৫ ইতালি বা ৯২৫ ইতালি সিলভার কি?সহজে আসল বা নকল রুপার সনাক্ত করার উপায় কি?

আশ্চর্য হলেও সত্য প্রাচীন মিশরে সোনার চেয়ে রুপার  দাম বেশিছিল এবং মিশরে সোনার চেয়ে রুপার ব্যবহারই আগে শুরু হয়। পৃথিবীর প্রথম ধাতব মুদ্রাও রুপা থেকেই তৈরি হয়। রূপা আবিষ্কৃত প্রথম পাঁচটি ধাতুর মধ্যে একটি যা হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। 


রৌপ্য মূল্যবান ধাতুগুলির মধ্যে একটি, যা গয়নাতে তৈরিতে  ব্যবহার করার সময় সুন্দর রূপালী আভা দেয় এবং রুপার ক্ষয় হয় না, মরিচা ধরে না ও দামে সস্তা যার ফলে তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য ধাতুর তুলনায় গহনা তৈরিতে রুপার ব্যবহার বেড়েই চলছে। প্রশ্ন হলো ভালো মানের রুপা কোনটা যা দিয়ে অলংকার তৈরি করলে টেকসই হবে এবং উজ্জ্বলতা ও গুনা গুন বজায় থাকবে বছরের পর বছর। বাজারে অনেক ধরনের রুপা পাওয়া যায় কিন্তু খাদের পরিমানের উপর  নির্ভর করে রুপার গুনাগুন এবং মুল্যের মধ্যে তারতম্য হয়।গহনা বানানোর জন্য ভালো মানের রুপা হলো ৯২৫ লিখে সিলমোহর বা স্ট্যাম্পকৃত রুপা। এখন আমাদের জানা দরকার ৯২৫ রুপা কি?



৯২৫ সিলভার বা রূপার দ্বারা বুঝানো হয়, যে এই মিশ্রনে ৯২.৫ শতাংশ রূপা এবং ৭.৫ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে।

 ৯২৫ রূপা যাকে স্টার্লিং সিলভারও বলা হয় কারন তাতে খাদের পরিমাণ ৭.৫ শতাংশ। 


এখন প্রশ্ন হলো "৯২৫ ইতালি রুপা" কি? "৯২৫ সিলভার বা রূপা" এবং "৯২৫ ইতালি রুপা" এর মধ্যে পার্থক্য হলো তার উৎপত্তিস্থলে। অর্থাৎ কোন গহনাতে যদি "৯২৫ ইতালি"  খোদাই করে  লেখা থাকে তখন বুঝতে হবে যে এই রুপার গহনাটি ইতালিতে তৈরি এবং তাতে মাত্র ৭.৫ শতাংশ খাদ মেশানো আছে।  


এখন আমরা আসল বা নকল ৯২৫ ইতালি রুপা কিভাবে চিনব? সহজ কয়েকটি পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি সহজেই  "৯২৫ ইতালি" রুপা  আসল না নকল তা শনাক্ত করতে পারবেন।  


 ১) যদি গহনাতে ৯২৫ ইতালি লেখা সিলমোহর করা থেকে থাকে বা শুধু ৯২৫ লেখা বা ৯২৫ সিলভার লেখা থাকে। তাহলে বুঝতে পারব এটা আসল রুপা।  


 ২) সিলমোহর করা রুপার গহনাটি আসলেই আসল কিনা তা জানার জন্য আমরা রুপার গন্ধ পরিক্ষা করতে পারি। ৯২৫ ইতালি লেখা  সিলভারটি আপনার নাকের কাছে ধরুন যদি   গন্ধ না থাকে তাহলে আসল রুপা আর যদি   পিতলের মতো বা অন্য কোন ধাতব গন্ধ থাকে তাহলে  বুঝতে হবে আপনার  রূপার গহনাটি আসল নয়।  


৩) আরেকটা সহজ পদ্ধতি হলো সিলভার পলিশ করা কাপড়ের টুকরো দিয়ে "৯২৫ ইতালি "লেখা গহনার উপরে ঘষা। যদি কাপড়ের উপর কালো দাগ আসে তাহলে রূপাটি আসল।   


৪) আপনার " ৯২৫ ইতালি "গয়না খাঁটি কিনা তা জানার আর একটি সহজ উপায় হলো  চুম্বকের কাছে আপনার রূপার গহনা রাখার পরে  এটি চুম্বককে আকর্ষণ করে কিনা। যেহেতু  খাঁটি রুপা বা ৯২৫ রুপা অ-চৌম্বকীয় তাই এটি চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হবে না। ভেজাল হলে আকৃষ্ট হবে। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 




Saturday, March 2, 2024

৯৫০,৯২৫,৯০০,৮০০ এবং স্টার্লিং সিলভার এর মধ্যে পার্থক্য কি?

আশ্চর্য হলেও সত্য প্রাচীন মিশরে সোনার চেয়ে রুপার  দাম বেশিছিল এবং মিশরে সোনার চেয়ে রুপার ব্যবহারই আগে শুরু হয়। পৃথিবীর প্রথম ধাতব মুদ্রাও রুপা থেকেই তৈরি হয়। আমেরিকাতে ১৯৬৫  সালের পূর্বে রুপা দিয়ে তৈরি  ধাতব মুদ্রায় ৯০% রুপা থাকতো  এবং ১৯৬৫ সালের পরে  তারা যে মুদ্রাগুলো তৈরি করে তাতে ৪০% পার্সেন্ট রুপা থাকতো । 


রৌপ্য চকচকে, উজ্জ্বল একটি ধাতু যা ৬০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। মানুষ সৌন্দর্য এবং কোন ব্যবহার্য কিছুকে স্থায়িত্ব দেয়ার জন্য রুপার ব্যবহার করে যেহেতু এই ধাতুর মধ্যে যেগুলোতে ভেজাল খুব অল্প থাকে  এবং তাদের রঙ পরিবর্তন হয় না।  রুপার ব্যবহার শুরু হয় তুরস্কের আনাতোলিয়া এবং গ্রীস থেকে। বাজারে অনেক ধরনের রুপা পাওয়া যায় কিন্তু খাদের পরিমানের উপর  নির্ভর করে রুপার গুনাগুন এবং মুল্যের মধ্যে তারতম্য হয়।



৯৫০ সিলভার বা রূপার দ্বারা বুঝানো হয়, যে এতে ৯৫ শতাংশ রূপা এবং ৫ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে। জুয়েলারি তৈরির জন্য এটাই সর্বোচ্চ গ্রেডের রুপা জুয়েলারি তৈরির জন্য তাতে কিছু খাদ মিশাতে হয় কারণ একেবারে খাঁটি নিখাদ  রুপা দিয়ে জুয়েলারি  তৈরি করা সম্ভব না কারণ নিখাদ রূপা একেবারে নরম থাকে।  সাধারণত দুই বা ততোধিক সংকর ধাতু হিসেবে তামা, নিকেল বা জিংক ধাতু মেশানো হয়। 



৯২৫ সিলভার বা রূপার দ্বারা বুঝানো হয়, যে এই মিশ্রনে ৯২.৫ শতাংশ রূপা এবং ৭.৫ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে।


৯০০ সিলভার বা রূপার দ্বারা বুঝানো হয়, যে এই মিশ্রনে ৯০ শতাংশ রূপা এবং ১০ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে।


৮০০ সিলভার বা ৮০০রূপা দ্বারা বুঝানো হয়, যে এই মিশ্রনে ৮০ শতাংশ রূপা এবং ২০ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে।


৯০০ সিলভার এবং ৮০০ সিলভার এর রুপাকে "কয়েন সিলভার" ও বলে। কারণ এই মিশ্রনের  রুপা দিয়ে ধাতব রৌপ্য মুদ্রা তৈরি করা হয়। 


"স্টার্লিং সিলভার" বা ৯২৫ সিলভার এর মধ্যে রুপা ও সংকর ধাতুর মিশ্রণ একই থাকে  অর্থাৎ ৯২.৫ শতাংশ রূপা এবং ৭.৫ শতাংশ সংকর ধাতু।  এই মিশ্রণের রূপাকে  স্টারলিং সিলভার বা ৯২৫ সিলভারও বলে।  আশা করি আমরা বিভিন্ন মানের রুপার পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছি। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লি...