Sunday, May 31, 2020

আমার শরীরের জন্য প্রতিদিন কত ক্যালরি দরকার?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক কর্মক্ষম পুরুষ মানুষ যার বয়স সীমা ( ৩১-৫৩ ) প্রতিদিন ২৮০০-৩০০০ ক্যালােরি খাবার দরকার।  আর একজন প্রাপ্ত বয়স্কা কর্মক্ষম মহিলার যার বয়সের সীমা ( ৩১-৫০ ) , তার প্রতিদিন ২২০০ ক্যালরি খাবার দরকার।

এখন কোন খাবারে কি ধরনের ক্যালরি থাকে?

প্রতি বড় আকারের একটা মুরগির ডিমে ৭০-৮০ ক্যালরি থাকে।

প্রতি ১০০ গ্রাম সাদা সিদ্ধ আলুর মধ্যে ৮৭-৯২ ক্যালরি থাকে।

যে কলার সাইজ ৬ ইঞ্চির কম (৮০ গ্রাম) এইরকম প্রতি কলার মধ্যে থাকে ৭০-৭২ ক্যালরি ।

যে কলার সাইজ ৭ ইঞ্চি বা তার বেশি  এইরকম প্রতি কলার মধ্যে থাকে ১০০ ক্যালরি।

একটা  মাঝারি ধরনের আপেলে থাকে ৯৫ ক্যালরি।





বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কি হতে পারে?

আজ ৩১/০৫/১৯ অর্থাৎ মে মাসের শেষে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৪৭,১৫৩, মৃত ৬৫০ আর আজই একদিনে সবচেয়ে  বেশি মৃত্যুর রেকর্ড ৪০ জন।       
 আমার এক ভাইয়ের আশা হল করোনাভাইরাস বাংলাদেশ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে বিদায় হয়ে যাব।কিন্তু আমি তা মনে করি না,  কারন এই ভাইরাসকে চালাইতেছেন আল্লাহ আর আল্লাহ কখনো মানুষের বানানো গানিতিক সমীকরণ এর ধার ধারেন না, তিনি নিজেকে মানুষের বানানো পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন না বরঞ্চ মানুষকে বা সবাইকে তার পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে দেন, তা তার ভালো লাগুক আর না লাগুক  যা ভেদ করে বের হয়ে যাওয়ার সাধ্য কারো নেই।

 আর আল্লাহর  সাথে কারো আত্নীয়তার সম্পর্ক নেই যে তিনি কাউকে বা কারো মন জুগিয়ে চলবেন। আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক হল ঈবাদতের। যে বা যারা ঈবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করতে পারবে আল্লাহ তাদের কথা শুনেন। করোনাভাইরাস এ বাংলাদেশের কয়জন মারা যাবে আর কতজন আক্রান্ত হবে এবং কতজন আক্রান্ত হওয়ার পরে ভালো হয়ে যাবে তা নির্ধারিত যার এক চুল পরিমান নড়চড় হবে ন। মানুষের কাজ হল আল্লাহর সাহায্য চাইতে থাকা আর সতর্ক থাকা উনি চাইলে বাচবেন অন্যথায় মারা যাবে।           

প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা আর জ্ঞান দিয়ে সবকিছু মোকাবেলা করা গেলে আমেরিকার এই দশা হয় না, সে এখনো রেংকিংয়ে ১ নম্বরে আছে।   


Quora তে আমার একটা লেখা যা নিচে দেয়া হলঃ

       

Thursday, May 28, 2020

মুরসি উপজাতি এত বিপজ্জনক কেন?

আফ্রিকা এক বৈচিত্র্যময় মহাদেশ। বিচিত্র তার প্রাণী, পরিবেশ, ভুবৈচিত্র‍্য এবং মানুষের জীবনধারা। মুরসি উপজাতিরা দক্ষিণ ইথিওপিয়া এবং দক্ষিণ সুদান সীমান্তের ওমো উপত্যকায় বসবাস করে। এদের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৯-১০ হাজার।

মুরসি উপজাতির লোকেরা বিশ্বাস করে, "কাউকে হত্যা না করে বেঁচে থাকার কোনও অর্থ নেই " তাদের এই চিন্তা ভাবনাই তাদেরকে আফ্রিকার এক ভয়ংকর উপজাতি হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। বিনা অনুমতিতে কেউ তাদের এলাকায় ঢুকে পড়লে তাদেরকে মেরে ফেলতে তারা কুন্ঠাবোধ করে না। তাদের অনুমতি ছাড়াই তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে আসা শত শত মানুষকে তারা এ পর্যন্ত হত্যা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাথে ৮-১০ বছর আগে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় এইজন্য যে গাইডরা কাজ করেছিল তাদেরকে তারা মেরে ফেলে।

মুরসি উপজাতির মেয়েরা তাদের চেহারার সৌন্দর্যহানি করার উদ্দেশ্য হল যাতে তারা দাস ব্যবসায়ীদের হাতে পড়ে বিক্রি হয়ে না যায়। এই প্রচলন তাদের শত শত বছর যাবৎ চলে আসছে।

মুরসি উপজাতিরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য এ কে -৪৭ এর মত বন্দুক তারা ব্যবহার করে। এক একটা রাইফেল ক্রয় করার জন্য তারা বিনিময়ে ২৫-৩০ টি ষাড় গরু দেয়।

মুরসি উপজাতির মেয়েরা তাদের অনন্য ঠোঁটের জন্যও বিখ্যাত। তাদের মেয়েরা ও মহিলারা মানুষের মন্দ দৃষ্টি এড়াতে দেহ পরিবর্তন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে তাদের নীচের ঠোঁটে কাঠ বা কাদামাটি দিয়ে তৈরি একটি ডিস্ক পরেন। এই ডিস্ক বা প্লেট পড়ার কাজটি তারা তাদের ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে শুরু করে। মুরসি মহিলারা পরিবারের ভারী কাজগুলো করার ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে থাকে ।


বিঃদ্রঃ কোরা থেকে আমি এই প্রশ্নের উত্তরটি দেয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই লুকিয়ে ফেল।। আমাকে জানানো হয়নি কি আমার অপরাধ ছিল।     




বিমান ধ্বংসের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় সফল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করে আকাশে থাকা যেকোনো বিমান ও ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব।

মার্কিন নৌ বাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ থেকে শুক্রবার (২২ মে) নতুন অস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে মার্কিন নৌ বাহিনী জানায়, ইউএসএস পোর্টল্যান্ড যুদ্ধজাহাজ থেকে শক্তিশালী এই অস্ত্রটির সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে।


সুত্র-১ঃ

Monday, May 25, 2020

আজ ঈদ ছিল, কিন্ত এক অন্যরকম ঈদ, এই অভিজ্ঞতা বারবার না আসুক

আজ ছিল ঈদ উল ফিতর। এই ঈদ নিয়ে ডেইলি ষ্টারে এক ভাই খুব সুন্দর করে লিখেছেন যার কিছু নিচে উল্লেখ করলাম 

 হ্যাঁ  ঠিকই ঈদ এসেছে, খুশি আসেনি
ঈদ আমাদের জীবন, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে এতটাই প্রভাব ফেলে যে, এই দিনটার উপলক্ষে সব কিছুই বদলে যায়। দুই ঈদ আর পহেলা বৈশাখে যে ব্যবসা হয় তা দিয়েই দেশের ব্যবসায়ীরা সারা বছর চলার রসদ পেয়ে থাকেন। দুঃখের বিষয়, এই মহামারির মধ্যে পড়ে গেছে পহেলা বৈশাখ এবং ঈদুল ফিতর। ব্যবসায়ীরা পড়েছেন দুরবস্থায়, আমরা জনগণও। ঈদ এসেছে, তবুও আমাদের সবার ভেতরেই এক বিরাট শূন্যতা বিরাজ করছে।
আজ ঈদ, তাই না?



অথচ ঈদগাহে কোনো জামাত নেই। অল্প কিছু মানুষ মসজিদে গেছেন ঈদের নামাজ পড়তে। তারাও নামাজ শেষে ঈদের সেই চিরচেনা কোলাকুলি আর হাত মেলাননি। একত্রিত হয়েও যেন আমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন। সারা দিন বাসায় কোনো অতিথি নেই, কেউ কাওকে দেখতে কারও বাসায় যাচ্ছেন না। উদযাপনের পরিসর ছোট হতে হতে নিজের ঘর আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।

বাচ্চারা ঈদের চাঁদ দেখতে দৌড়ে বাসার ছাদে যায়নি। কোনো হইহুল্লোড় নেই, আতশবাজি নেই,  ভিতরে, করোনায় ঘরবন্দি মানবের কাটানো আরও একটা দিন।

(ইউরোপের এক দেশে প্রবাসীদের ঈদের নামাজ পড়ার ছব)  

রোমে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত হয় যেখানে, সেখানে এবার জামাত হচ্ছে না। বাঙালি–অধ্যুষিত ভিক্টোরিয়া এবং বড় মসজিদে জামায়াত না হওয়ায় অনেকেই নিজের বাসায় নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সুত্র-১ঃ
সুত্র-২ঃ

বিজ্ঞানীরা বের করলেন কোন দেশ কবে করোনামুক্ত হবে?

ব্যাপারটা খুব হাস্যকর। বিজ্ঞানীরা কিভাবে জানেন কবে বিদায় নিবে করোনাভাইরাস। তারা শুধু অনুমান করতে পার। এইপর্যন্তই ক্ষমতা।       

সারা বিশ্বে মানুষ ঠিক কবে নাগাদ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হবে তা জানিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তিদের তথ্য দিয়ে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের গবেষকরা একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছে যা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশ কবে করোনামুক্ত হবে তার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সুত্র-১ঃ

রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারেও কি ভবিষ্যতে দেখা সম্ভব হবে?

বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সেরকম আশার বানী শোনা যাচ্ছে।   
চোখে আলো পড়লে মানুষ যত দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় এই চোখটি তার চেয়েও দ্রুত সাড়া দেবে। বায়োনিক রেটিনাটি প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ৪৬০ মিলিয়ন ন্যানোসাইজের সেন্সর ধারণ করতে পারে। সেখানে মানুষের রেটিনার প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে থাকে প্রায় ১০ মিলিয়ন ফটোরেসেপ্টর সেল।

চোখটি দিয়ে ছোট বস্তু যেমন বেশি পরিষ্কার দেখা যাবে, তেমনি দূরেও দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার থাকবে।


সুত্র-১ঃ

ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম বঙ্গোপসাগরে হয় কেন?

ভূতাত্ত্বিকদের মত, বঙ্গোপসাগরের ত্রিভুজাকৃতি এবং এর অগভীর তলদেশই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার উৎসস্থল।

আরবসাগরের তুলনায় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হওয়ার হার অন্তত পাঁচগুণ বেশি। বঙ্গোপসাগরের জলতলের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাও ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতক্ষেত্র হিসেবে আদর্শ।


সুত্র-১ঃ

Sunday, May 24, 2020

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হলে কি ধরনের পরিবর্তন হতে পারে?

ইউরোপিয়ান স্পেশ এজেন্সি সাম্প্রতিককালে কিছু ছবি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে  পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আসছে যা খুব ধীরে ধীরে হবে। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ থেকে শুরু করে মহাশূন্য পর্যন্ত বিস্তৃত। এই চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকার কারনে ক্ষতিকর রশ্নি থেকে মানবজাতি রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে হাজার বছর ধরে। এ নিঃসন্দেহে আল্লাহর দান।

যদি চৌম্বকক্ষেত্র দুর্বল হয়ে যায় এর দ্বারা যে ক্ষতিকর প্রভাব  হবে তার মধ্যে  প্রধানত স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবার উপরে প্রভাব পড়বে।


সুত্রঃ
সুত্র-১ঃ

Friday, May 22, 2020

এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্সে (এডিসি) কি?

এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্সে (এডিসি) হল কোন দেশের স্থল ভাগ ও জলভাগের আকাশপথ ব্যবহারের একটা প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত বেসরকারি বিমান কোন দেশে ঢুকে পড়লে সনাক্ত করা যায়। সংশ্লিষ্ট দেশের আকাশপথে কোন বেসামরিক বিমান প্রবেশ করার আগে বা সেদেশে প্লেন অবতরণ করানোর প্রয়োজন হলে তাকে ADC নাম্বার সংগ্রহ করতে হয়। এডিসি নম্বর হচ্ছে একটি সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নম্বর।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ তার আকাশসীমা নির্ধারণের বিষয়ে একটি সার্কুলারে বেবিচক নির্দেশনা দেয় যে, কোনো এয়ারক্রাফট যদি বাংলাদেশের এডিসি জোনে ঢুকতে চায় তাহলে তাকে আগে থেকেই এডিসি নম্বর নিতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ আকাশ প্রতিরক্ষা সনাক্তকরণ অঞ্চল (AIDZ) ঘোষণা করে। পৃথিবীতে প্রায় ২০ টি দেশের আকাশপথ ব্যবহার করার জন্য আগে থেকেই এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্সের (এডিসি) এর নাম্বার নিতে হয়। সেই দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, কানাডা, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, জাপান, যুক্তরাজ্য, চীন, দক্ষিন কোরিয়া, সুইডেন উল্লেখযোগ্য। এই পদ্ধতি প্রথম প্রবর্তন করে আমেরিকা।


সুত্রঃ
সুত্র-১ঃ

new post2

new post2

new post

new post1

Thursday, May 21, 2020

ভারতের করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতির শেষ পর্যন্ত কি হবে?

আমার ধারণা ভারতের করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতি খুব ভালো হবে না। অনেক মানুষ মারা যাবে এবং অনেকে আক্রান্ত হবে। মৃত্যুর সংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পর্যন্ত।           

অসাবধানতাবশত অনেক সময় মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের বিকাশ, রকেট ও নগদ টাকা অন্যের নাম্বারে চলে গেলে কি করবেন?

অসাবধানতাবশত অনেক সময় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক লেনদেনের টাকা ভুল নাম্বারে চলে যায়। বেশির ভাগ ভুক্তভোগীরা ফেরত পান না সে টাকা। এ সমস্যায় কী কী করণীয় তার একটি নির্দেশনা দিয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের বিকাশ, রকেট ও নগদ।


তিন কর্তৃপক্ষ প্রথমেই যে পরামর্শ দিচ্ছে তা হলো, টাকা ভুল নম্বরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন দেবেন না। কারণ ভুলবশত অন্য নম্বরে টাকা চলে গেলে, তা ফেরত দেয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে। তাই তিনি টাকা উঠিয়ে ফেললে ভুক্তভোগীর করার কিছুই থাকবে না।

ভুলবশত কোনো নম্বরে টাকা গেলে প্রথমে কাছের থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেখানে ট্রানজেকশন নম্বর নিয়ে জিডি করে যত দ্রুত সম্ভব সেই জিডি কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

যোগাযোগের পর কর্মকর্তারা জিডি কপি ও মেসেজ খতিয়ে দেখেন। এরপর ভুলে টাকা চলে গেলে ওই ব্যক্তির বিকাশ রকেট বা নগদ অ্যাকাউন্ট টেম্পোরারি লক করে দেয়া হয়। যাতে তিনি কোনো টাকা তুলতে না পারেন।

পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিকাশ কর্মকর্তারা। প্রাপক ফোন ধরে যদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই টাকা নিজের নয় বলে জানান, তখন অফিস থেকেই ওই টাকা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করে কোম্পানিগুলো।

আর যদি ওই ব্যক্তি নিজের টাকা বলে দাবি করেন, তবে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে প্রমাণসহ অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সেই নির্দেশনা না মেনে পরবর্তী ৬ মাসে ব্যক্তি না এলে ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। এর পরবর্তী ৬ মাসেও না এলে অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে অটো ডিজেবল হয়ে যাবে।

Wednesday, May 20, 2020

ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে বাংলাদেশের চট্রগ্রামের নোঙ্গর করা জাহাজ কেন গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়?

আবহাওয়া অফিস বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত দেখালেই বন্দরের জেটিতে থাকা বড় বড় জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে ছোট ছোট জাহাজ, ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়। সাধারণ মানুষের কাছে বড় জাহাজকে বিপদের সময় গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া ‘অমানবিক আচরণ’ মনে হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ এ কাজটি করে জাহাজের নিরাপত্তা ও ক্ষতি কমানোর জন্য।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টা থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।   চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমানজ বড় জাহাজ সাগরে পাঠানো প্রসঙ্গে জানান, অনেকের মনে আছে ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর মাঝখানের একটি অংশ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল একটি বড় জাহাজ। এটি একটি অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি জেটিতে বাঁধা বড় জাহাজগুলো প্রচণ্ড ঝড়ে রশি ছিঁড়ে একটি আরেকটির ওপর আছড়ে পড়লে, ধাক্কা দিলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে। বন্দর চ্যানেলে যদি কোনো জাহাজ ডুবে যায় তবে বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়া বন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। সবচেয়ে বড় কথা মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) হচ্ছে কৃত্রিম বা প্রটেকটেড হারবার না থাকলে বড় জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে আছে ন্যাচারাল হারবার, এটি প্রকৃতির দান।



মেয়েদেরও দাড়ি, গোফ গজানোর কারন কি?

মেয়েদের শরীরে এই  অস্বাভাবিক ঘটনাকে হারসুটিজম (Hirsutism) বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা মেয়েদের শরীরে যে হরমোনের ভারসাম্য দিয়েছেন তা ব্যাহত হলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। মানবদেহে টেসটোসটেরন( Testosteron) নামক এক ধরনের হরমোন রয়েছে যা নারী পুরুষ উভয়ের শরীরেই থাকে, কিন্ত পুরুষের শরীরে বেশি থাকে যার জন্য তার মধ্যে পুরুষালি স্বভাব বিদ্যমান থাকে, কিন্তু যখন মেয়েদের শরীরে এই হরমোনের নিঃসরণের পরিমান বেড়ে গেলে বা বেশি থেকে থাকলে মেয়েদের শরীরে লোম গজানো শুরু করতে পারে।

টেস্টোস্টেরন পুরুষদের সেক্স হরমোন। আর  মহিলাদের সেক্স হরমোন এস্ট্রোজেন। যখন মহিলাদের শরীরে এস্ট্রোজেনের নিঃসরণ কমে তখন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়।

যার ফলে পুরুষদের মতো মেয়েদেরও দাড়ি, গোফ গজানো, উপড়ের ঠোঁট ভারী হওয়া,  হাতে-পায়ে ঘন রোম দেখা দিতে শুরু করে। অনেক সময়ে কিছু মহিলার কণ্ঠস্বরও ভারী হয়ে যায় এই কারণে।

ঘুর্নিঝর আম্পান এর পরবর্তী অবস্থায় বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আজ রাত ৮টার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন। 
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

(ছবি বাংলা নিউজ)  
ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানায়, এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ রাত ৮টার মধ্যে সাগর দ্বীপের পূর্ব পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

রাজশাহী কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ২ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঝড়ের পর এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।


ঝড় আম্পানে রাজশাহীতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। চাষিরা বলছেন, বাগানের এক–তৃতীয়াংশ আম ঝরে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ১০ শতাংশ আমের ক্ষতি হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে। এদিকে ঝড়ের কারণে পড়ে যাওয়া আম কেউ কিনতে চাইছেন না। সব মিলিয়ে ক্ষতির মুখে আমচাষিরা।






https://www.windy.com/?24.504,90.882,6
















সুত্র -১
সুত্র-২

What is difference between Olympic and Paralympic?


The Olympics and Paralympics are two of the biggest sporting events that occur around the world. ... The primary difference between the Olympics and Paralympics is that while most of the participants in the Olympics are able-bodied, the participants in the Paralympics are affected by some form of physical disability.

What is parasports?


Parasports are sports played by people with a disability, including physical and intellectual disabilities.Disability exists in four categories: physical, mental, permanent and temporary. At a competitive level, disability sport classifications are applied to allow people of varying abilities to face similar opposition.

Monday, May 18, 2020

why 2

why 2

why

why 1

সম্প্রতি বাংলাদেশের চিকিৎসকরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে কি সফলতা পেয়েছেন?

যেহেতু করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগিদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন স্থায়ীভাবে কার্যকরী ওষুধ আবিস্কার না হওয়ায় সব দেশই তাদের নিজেদের মত করে কিছু চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের চিকিৎসকরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে সেরকম একটি 'Medicine combination 'বের করেছেন যা তাদের কাছে অনেক কার্যকরী মনে হয়েছে এবং তারা সফলতাও পেয়েছেন। তাদের মুখেই শুনা যাক।


বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর মহম্মদ তারেক আলম জানিয়েছেন,

 ‘‌আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি এই ওষুধ কার্যক্ষমতা দেখে। ৬০ জন করোনা আক্রান্তকে আমরা এই ওষুধ দিয়েছিলাম, তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।’‌ চিকিৎসক বলেছেন, একটি Antiprotozoal ওষুধ, ‌যেটির নাম Ivermectin, তার সঙ্গে একটি অ্যান্টিবায়োটিক, নাম Doxycycline, এগুলি প্রয়োগ করে তাঁরা নাকি অসম্ভব এক ফলাফল পেয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘‌যাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, আমার চিকিৎসকদল সেই করোনা আক্রান্তদের ওপর এই দুই ওষুধের প্রয়োগ করে। তারপর দেখা গিয়েছে, চারদিনের মধ্যে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছেন। পরে একাধিকবার টেস্ট করে দেখা গিয়েছে, করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। ফলে আমাদের মধ্যে হচ্ছে, এই ওষুধগুলির কোনও সাইড এফেক্টও নেই, এবং দ্রুত সুফল দিয়ে সমস্যা মেটাতে পারে এটি। আমরা এটির কর্মক্ষমতা নিয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী।’‌ এরপর তাঁরা সরকারি পদ্ধতিতে এগোবেন বলেও জানিয়েছেন। যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁদের ওষুধের কম্বিনেশনকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়।


লিংক -১
লিংক-২




Sunday, May 17, 2020

why YOUnot1

why YOUnot1

why YOUnot

why YOUnot

ভারত মহাসাগরে ভারতের নৌঘাঁটি সম্পর্কে কেউ কিছু জানাবেন কি?

ভারতীয় নৌবাহিনী চারটি আঞ্চলিক কমান্ডে বিভক্ত। এই চারটি আঞ্চলিক কমান্ডের অধীনে তাদের ৭০টির মত নৌবাহিনী ঘাটি আছে। যেখান থেকে তারা আরব সাগর থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরে অপারেশন পরিচালনা করতে পারে।

‌এই আঞ্চলিক কমান্ডগুলো হলঃ
 ১) পশ্চিমাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড
২) পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড
৩) দক্ষিনাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড
৪) আন্দমান এবং নিকোবর কমান্ড।


(পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ড এর সদর দফতর, উৎসঃঃউউইকিপিডিয়া)
  
ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতি নিয়ে চীনের সাথে ভারতের উত্তেজনা লেগে থাকে।
চীনের তৈলবাহী বানিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তার জন্য তারা এডেন উপসাগর পর্যন্ত নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠায়। চীন যেরকম বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরে তাদের নৌবাহিনীর জাহাজ নজরদারির জন্য পাঠায় ঠিক সেরকম ভারতীয় যুদ্ধজাহাজও দক্ষিণ চীন সাগরে যাতায়াত করে। যেহেতু তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকে তাই জাহাজ চলাচলে বাধা দেওয়া আইনবিরুদ্ধ বলেই দুই নৌবাহিনীরই আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ থাকে না।


লিংক ১

'প্লাজমা থেরাপি' কী? এর মাধ্যমে কি করোনা রোগী সুস্থ হতে পারবে?

প্লাজমা থেরাপি' চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি।

 কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে যাঁরা সুস্থ  হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন  তাঁদের দেহে একটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যার মাধ্যমে তারা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়। এখন অন্য কোনো আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি সুস্থ হওয়া ব্যক্তির প্লাজমা দেওয়া হয় তবে সুরক্ষা মেলে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ  কোন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই রক্ত সঞ্চালিত করা হয় একই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের শিকার রোগীর দেহে।

সেই অ্যান্টিবডি যুক্ত প্লাজমা সংগ্রহ করে করোনা আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে ঢুকিয়ে ভাইরাসটিকে মেরে ফেলা হয়। তবে সব রোগীর অ্যান্টিবডি সমান নয়। সাধারণত নারীদের শরীর থেকে নেয়া হয় না। তাছাড়া বৃদ্ধ এবং শিশুদের শরীর থেকেও নেয়া হয় না। কারণ শিশু ও বৃদ্ধদের অ্যান্টিবডি দুর্বল থাকে। প্লাজমা নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হল ২০ থেকে ৩৫ বছরের সুস্থ যুবক। কোনো মুমূর্ষু রোগীকে এটা দিতে হলে অবশ্যই কোনো করোনা আক্রান্ত সুস্থ ব্যক্তির রক্ত নিতে হবে।

(ভারতে তাবলীগ জামাত এর মোহাম্মাদ মহসিন নামে একজন তার করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পরে অন্যের জন্য প্লাজমা তৈরির জন্য রক্ত দিচ্ছেন)         

এই পদ্ধতিতে ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুর মহামারি এবং ১৯৩০ এর দশকে হামের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছিল। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলা, সার্স এবং ‌'এইচ-ওয়ান-এন-ওয়ান' এর মতো রোগের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানুষের রক্তের জলীয় অংশকে বলা হয় প্লাজমা। রক্তে প্লাজমা থাকে ৫৫ ভাগ। করোনাজয়ীর অ্যান্টিবডি থাকে রক্তের প্লাজমায়। সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা করোনায় সংক্রমিত অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয় বলে এই চিকিৎসাপদ্ধতির নাম হয়েছে 'প্লাজমা থেরাপি'।

বাংলাদেশে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে প্লাজমা দেয়ার মতো যোগ্য মানুষের সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ জনের বেশি নয়।

লিংক-১
লিংক-২
লিংক-৩


এই কথা বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত যে ইমাম আবু হানিফার বাতানো মাসায়েলসমুহের সব কেন বুখারী আর মুসলিম শরীফ থেকে নেয়া হল না?

প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থগুলোর রচয়িতা মুহাদ্দিসগন প্রায় সবাই ফেকাহ শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ ও অনুসরনীয় ইমামদের পরের যুগের। 


ফুকাহা কেরামের মধ্যে যারাঃ

 ইমাম আবু হানীফা (রঃ)এর জন্য ৮০ হিজরীতে , মৃত ১৫০ হিজরী
 ইমাম মালেক(রঃ)জন্ম ৯৩ হিজরীতে , 
মৃত্যু ১৭৯ হিজরী
ইমাম শাফেয়ী(রঃ)এর জন্ম ১৫০ হিজরীতে , মৃত্যু ২০৪ হিজরী
 ইমাম আহমদ (রঃ)  এর জন্ম ১৬৪ হিজরীতে , মৃত ২৪১ হিজরী

অপরপক্ষে মুহাদ্দিসীনে কেরামের মধ্যে

 ইমাম বুখারী(রঃ) এর জন্ম ১৯৪ হিজরীতে ,মৃত্যু  ২৫৬হিজরী
ইমাম আবু দাউদ (রঃ) এর জন্ম ২০২ হিজরীতে ,মৃত্যু  ২৭৫হিজরী 
ইমাম মুসলিম (রঃ) এর জন্ম ২০৪ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৬১হিজরী 
ইমাম ইবনে মাজা (রঃ) এর জন্ম ২০৭ হিজরীতে ,মৃত্যু  ২৭৩ হিজরী 
ইমাম তিরমিজি (রঃ) এর জন্ম ২০৯ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৭৯ হিজরী
 ইমাম নাসায়ী (রঃ) এর জন্ম ২১৫ হিজরীতে ,মৃত্যু  ৩০৩হিজরী , 

 
কাজেই পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিসদের কোন গ্রন্থের মন্তব্য দ্বারা ইমামদের প্রতি আপত্তি করা মােটেই সঙ্গত হবে না , বিশেষতঃ ইমাম আবু হানীফা (রঃ) যেহেতু সবার আগের যুগের ছিলেন এবং ইমাম বুখারী ও মুসলিম সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ ছিলেন প্রায় এক শতাব্দী পরের সেহেতু বুখারী ও মুসলিমের কোন সহী হাদীস দেখেই এ মন্তব্য করে দেয়া যাবে না যে , ইমাম আবু হানীফা ইচ্ছাকৃত সহী হাদীসের পরিপন্থী ফতােয়া পেশ করেছেন ।

 অনুরূপ , বুখারী মুসলিমে অথবা সিহা সিত্তায় কোন হাদীস নেই বলেই এ মন্তব্য করা যাবে না যে , হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয় অথবা দুর্বল । কেননা , নিঃসন্দেহে পূর্বযুগের ইমামগণের সংগ্রহে এদের তুলনায় হাদীস সংখ্যা অধিক ছিল এবং তাদের সূত্র ছিল এদের তুলনায় অধিক প্রবল । আল্লামা ইবনে তাইমিয়া বেশ উদারতার সাথে এ বাস্তবতা স্বীকার করে লিখেছেন , 

"বরং এসব হাদীসগ্রন্থ সংকলিত হওয়ার পূর্ববর্তী যুগের লােকেরা এদের তুলনায় সুন্নতে রাসূল সম্পর্কে অনেক বেশী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন । কেননা , এমন অনেক হাদীস তাদের কাছে পৌছেছে এবং সহী বলে প্রমাণিত হয়েছে যা আমাদের নিকট মােটেই পৌছেনি কিংবা অপরিচিত বা মুনকাতি (মধ্য সুত্র বিচ্ছিন্ন) সনদে পৌছেছে।"

(রাফউল মালাম  আনিল আইম্মাতিল আ'লাম , পৃষ্ঠা- ১২ দারুল কুতুব বইরুত কর্তৃক দ্বিতীয় সংস্করণ )

উৎস কিতাবঃমাযহাব কি ও কেন 

Saturday, May 16, 2020

শবে বরাত সম্পর্কে বিশিষ্ট উলামাদের ঐকমত্য কি?

প্রথম অভিমতঃ আল্লামা মুবারকপুরী।  একারণেই হাফিয মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনু আব্দুর রহিম আল মুবারকপুরী বলেছেন 

 اسلم انه قد ورد في فسيلة ليلة النصف من شعبان عدة أحاديت مجموعها يدل على أن لها أصلا ، فمنها حديث الباب ، ومنها حديث عائشه و منها حديث معاد ومنها حديث عبد الله بن عمرو منها حديت عمي اه اه احا د ست بمجمع منها حجة علی من زعم أنه لم يتبت می ثقيلة من شمعیال شي ( تحفة الأذی لا حافظ عبد الرحمان أمجار کبری ۱۳۵۳ )) 44۲۳ بل : در ادی ) 


অর্থাৎ জেনে রাখাে যে , শবে বরাতের ফজীলত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের হাদীস এসেছে। যার ফলে শরীয়তে তার ভিত্তি আছে বলে বুঝা যায় । তন্মধ্য থেকে  আয়শা (রাঃ) এর হাদিছ মুআয় (রাঃ) এর হাদীছ , আব্দুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ) এর হাদীছ এবং আলী (রাঃ) হাদিস। 

 সুতরাং এসব হাদীসের সমষ্টি তাদের বিরুদ্ধে  সুস্পষ্ট প্রমাণস্বরূপ যাত্রা শরীয়তের মধ্যে শবে বরাতের কোন ভিত্তি নেই বলে মনে করে।

দ্বিতীয় আতিমতঃ আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহঃ) বলেনঃ

: إن منه الليلة ليلة البراءة ومع الروايات في فضل ليلة البراءة زالو في الشتی ، شرح جاميع الترددی ۱۵۹ )* 

অর্থ এ রাতটি বরাতের রাত । রাতটির ফজিলত সম্পর্কে সহি হাদীছসমূহে এসেছে । 

তৃতীয় অভিমতঃ
নাসির উদ্দীন আলবানী নাসিরুদ্দীন আলবানী শবে বরাত সম্পর্কীয় সকল হাদীছ এক সাথ করে সেগুলাের সনদ নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছেন এবং পর্যালোচনার শেষে তার সার নির্যাস পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেছেন এভাবেঃ

 : وجملة القول إن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريبه والمساحة تثبت بأقل منها عددا مادامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشعان في هذا الحديث فما نقله القاسمي في إصلاح المساحد عن أهل التعديل و التجريح أنه یه فی فضل ليلة النصف من شعبان حيث يقدح فليس مما ينبع الاعتماد عبية ( مملسلة الأحاديث الصحيحة للشيخ ناصر الدين الألبای ۱۸۳/۳ ) 


অর্থাৎ সারকথা হলো এ সকল সুত্রের সমষ্টির কারণে (শবে বরাত সম্পকীয় ) হাদীছ নিঃসন্দেহে সহীহ । কোন হাদীছ অত্যধিক দুর্বলতা থেকে নিরাপদ হলে এর চেয়ে কম সুত্রের মাধ্যমে সহী প্রমাণিত হয় । যেমনটি আয়শা (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীছটি যা অত্যধিক দুর্বলতা থেকে নিরাপদ। 

 সুতরাং কাসেমী হাদীছ পর্যালােচক ও সমালোচকদের থেকে নকল ইসলাহুল মাসজিদ গ্রহে যা উল্লেখ করেছেন যে , শবে বরাতের  ফযীলত সম্পর্কে কোন সহীহ হাদিস নেই । তার এ বক্তব্যের উপরে আস্থা রাখা উচিত  নয়। 

future post2

future post2

future post1

About Us

In this blog we want to share and care knowledge .And a make community for Bangladeshis.

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লি...