Tuesday, January 23, 2024

BV100 ব্যাটারি কি?

 বেইজিংয়ের বেটাবল্ট কোম্পানি 3v এর একটা নিউক্লিয়ার ব্যাটারী উৎভাবন করেছে যাতে  শক্তির উৎস হিসেবে নিকেল -৬৩ তেজস্ক্রিয়  আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়  এবং এনার্জি কনভার্টার হিসেবে ডায়মন্ডের  সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়।

  বেটাবল্ট এই ব্যাটারির নাম দিয়েছে BV100।  বেটাবল্ট চেয়ারম্যান এবং সি ইউ  জাং উই বলেন এই ব্যাটারি প্রথম প্রথম ৩ ভোল্ট এর  হবে এবং ১০০ মাইক্রো ওয়াট  পাওয়ার সাপ্লাই দিবে। এই জন্যই এর নাম BV100 দেয়া হয়েছে।  এই ব্যাটারির সাইজ হলো ১৫x১৫x৫ মি.মি. যা ছোট একটা কয়েনের চেয়েও ছোট হবে। 



নিউক্লিয়ার ব্যাটারীকে radioisotope thermoelectric generator বলা হয়। অর্থাৎ  তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ তার নিউক্লিয়ার ক্ষয় বা nuclear decay  এর মাধ্যমে যে  তাপমাত্রা রিলিজ  করে বা নির্গত করে  সেই  তাপমাত্রার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা  হয়। 

বেটা  ভোল্টের বিজ্ঞানীরা নিউক্লিয়ার ব্যাটারি তৈরি করার জন্য তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হিসাবে নিকেল -৬৩ ব্যবহার করেন যেই তেজস্ক্রিয়  আইসোটোপটি এনার্জির প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে এবং সেখানে ডায়মন্ডের অর্থাৎ হীরকের দুটি সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়   energy কনভার্টার হিসেবে।


বেটাবল্ট ২০২৫ সালের মধ্যে  এই ব্যাটারি বাজারে আনতে চায়।  এই ব্যাটারি কোন চার্জ করা  ছাড়াই ৫০ বছর চলবে, অর্থাৎ স্মার্টফোনে একবার এই ব্যাটারি  ব্যবহার হলে ৫০ বছরের মধ্যে আর কখনো চার্জ দিতে হবে না,  এই ব্যাটারি ব্যবহৃত ড্রোনগুলো  সব সময় উড়তে থাকবে কিন্তু  কোন  চার্জ দিতে হবে না।  অবিশ্বাস্য ঘটনা । 


এই ব্যাটারির  সুবিধা হলো 

সাধারণ ব্যাটারি গুলি   যেরকম  কম বা বেশি  তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু BV100  ব্যাটারি যেমন  অনেক নিম্ন তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে আবার অনেক উচ্চ তাপমাত্রাও সহ্য করতে পারবে। অর্থাৎ  তাপমাত্রার তারতম্যে কোন ক্ষতি হবে না ।  বেটা ভোল্ট দাবি করে যে তাদের এই ব্যাটারি সর্বনিম্ন  -60° c তাপমাত্রা থেকে  সর্বোচ্চ ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হবে না।  এই ব্যাটারীতে আগুন ধরবেনা বিস্ফোরণ ঘটবেনা এমনকি বন্দুকের গুলিতেও এর থেকে কোন তেজস্ক্রিয়তা বের হবে না । অর্থাৎ হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিরাপদ 


বেটা ভোল্ট এর বক্তব্য তাদের এই ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী  হবে  যা বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার করা যাবে  যেমন মহাকাশ গবেষণায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইকুইপমেন্টএ,  চিকিৎসা জাতীয় যন্ত্রপাতিতে,  মাইক্রোপ্রসেসর এর মধ্যে, বিভিন্ন রকমের সেন্সরে, ছোট ড্রোনে এবং পানির নিচে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি বা ছোট ড্রোনেও এই ব্যাটারি পানির নিচে ব্যবহার করা যাবে  ।  BV100 ব্যাটারি  মানবদেহের কোন ক্ষতি করবে না এবং মানুষের শরীরের ভিতরেও ব্যবহার করা যাবে যেহেতু এ থেকে কোন রেডিয়েশন নির্গত হবে না। তাই পেসমেকার এর মধ্যে এই ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে। বেটা ভোল্টের নিউক্লিয়ার ব্যাটারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স  এর ব্যবহারে  যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটাবে। 


BV100 ব্যাটারিগুলো পূর্বের নিউক্লিয়ার ব্যাটারী থেকে   অনেক উন্নত হবে ,কারণ সে সময়ের নিউক্লিয়ার ব্যাটারী আকারে অনেক বড় ছিল,ওজন ছিল অনেক বেশি,ব্যবহারে বিপদজনক ছিল,ব্যবহারের সময় গরম হত এবং সর্বোপরি অনেক ব্যয়বহুল ছিল। সে ব্যাটারীতে তেজস্ক্রিয় ধাতু হিসেবে plutonium ব্যবহার করা হতো স্বাভাবিকভাবেই প্লুটোনিয়াম  অনেক তেজস্ক্রিয় একটা ধাতু কিন্তু betavolt এর ব্যবহৃত  আইসোটোপ হলে নিকেল ৬৩ যা প্লটোনিয়ামের মত অত বেশি তেজস্ক্রিয় না। 


 বেটা  ভোল্টের বিজ্ঞানীরা বলেন তাদের ব্যাটারি গুলি পরিবেশবান্ধব হবে কেননা কেননা এই নিকেল ৬৩ তেজস্ক্রিয়  আইসোটোপ ক্ষয় হতে হতে  এক সময় স্টেবল আইসোটোপ হিসেবে কপার এ রুপান্তরিত হবে যা পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না কেননা কপার বা তামা অতেজস্ক্রিয় ধাতু  । ভবিষ্যতে বেটা  ভোল্টের bv100  ব্যাটারি  ব্যবহারের 

   ফলে বিভিন্ন  যন্ত্রপাতিতে  চার্জ দেওয়ার ঝামেলা থাকবে না, দামও কম হবে  এবং   কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ  সামনের  যে যুগ আসতেছে সেই যুগ হবে নিউক্লিয়ার ব্যাটারির যুগ।  


Sunday, January 21, 2024

বাংলাদেশি টাকার সাথে ভারতীয় রুপির বিনিময় হার কত?

 বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় ভারতের সাথে বাংলাদেশী মুদ্রার পার্থক্য প্রায় সমান ছিল । যেহেতু আমরা পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়েছি তাই পাকিস্তানের সাথে ভারতীয় মুদ্রার বিনিময়ে হার  সম্পর্কে একটু জেনে নেই।   ১৯৪৭ এর পরে পাকিস্তানি রুপি র সাথে ভারতীয় রুপির পার্থক্য খুব সামান্য ছিল।কখনো  আমেরিকান ডলারের সাথে তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রা এগিয়ে থাকতে বা কখনো ভারতীয় মুদ্রা এগিয়ে থাকতো। এমনকি ১৯৯২ সালেও ১ আমেরিকান ডলার ক্রয় করতে পাকিস্তানের খরচ হতো  ২৬.৪৩ পাকিস্তানি রুপি আর সঠিক সেই সময়  ১ আমেরিকান ডলার ক্রয় করতে ভারতের  খরচ হতো ৩২.৪০ রুপি।কিন্তু এখন ভারতের তুলনায় পাকিস্তানি রুপির অনেক অধঃপতন হয়েছে। 



স্বাধীনতার পর পর ভারতের সাথে বাংলাদেশী মুদ্রার পার্থক্য প্রায় সমান    থাকলেও  দিনদিন পড়তে থাকে বাংলাদেশি টাকার দাম।
২০১৫ সালের ২৪ শে আগষ্ট  এ  ১০০ ভারতীয় রুপি  ক্রয় করতে বাংলাদেশের মুদ্রায় ১১৫ টাকা দিতে হতো। 

২০১৯ সালের ২৭ শে আগষ্ট  এ  ১০০ ভারতীয় রুপি  ক্রয় করতে বাংলাদেশের মুদ্রায় ১১৫ টাকা দিতে হতো। আর ১০০ বাংলাদেশি টাকার বিনিময়ে পাওয়া যেত ভারতীয় ২৬ রুপি।

এবছরের প্রথম দিকে অর্থাৎ ২০২৪ এর ১৩ই জানুয়ারি ১ ভারতীয়  রুপী ক্রয় করার জন্য বাংলাদেশী টাকায় খরচ করতে হবে ১টাকা  ৩২ পয়সা আর এক বাংলাদেশি টাকার বিনিময় পাওয়া যাবে ভারতীয় ০.৭৫ পয়সা।
আমরা যদি এক থেকে দশ হাজারের মধ্যে  কিছু সংখ্যা দেখি যে এক  বাংলাদেশী টাকার বিনিময় কত ভারতীয় রুপি পাওয়া যাবে?
আগেই বলেছি ১ টাকার বিনিময় পাওয়া যাবে ৭৫ ভারতীয় পয়সা। ১০ টাকার বিনিময় পাওয়া যাবে ৭.৭৫ ভারতীয় রুপি। ৫০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে ৩৭.৭৯ ভারতীয় রুপি । বাংলাদেশী ১০০ টাকার বিনিময় পাওয়া যাবে ৭৫.৫৮ ভারতীয় রুপি। ৫০০ টাকার বিনিময় পাওয়া যাবে ৩৭৭.৯৪
ভারতীয় রুপি। বাংলাদেশী ১০০০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে ৭৫৫.৮৮  ভারতীয় রুপি। বাংলাদেশী ১০,০০০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে ৭৫৫৮.৮১  ভারতীয় রুপি।

আর যদি আপনি  ভারতীয় রুপি বিক্রি করতে চান এবং বাংলাদেশি টাকা ক্রয় করতে  চান তাহলে আপনি অতিরিক্ত যে টাকা পাবেন তা হলো ১ ভারতীয় রুপি বিক্রি করলে আপনি বাংলাদেশী টাকায় পাবেন ১ টাকা ৩২ পয়সা। ১০ ভারতীয় রুপীর বিনিময়ে পাওয়া যাবে ১৩ টাকা  ২২ পয়সা।
৫০ ভারতীয় রুপীর বিনিময়ে পাওয়া যাবে ৬৬ টাকা  ১৪ পয়সা। ১০০ ভারতীয় রুপীর বিনিময়ে পাওয়া যাবে ১৩২ টাকা  ২৯ পয়সা।
৫০০ ভারতীয় রুপীর বিনিময়ে পাওয়া যাবে ৬৬১ টাকা  ৪৮ পয়সা। ১০০০ ভারতীয় রুপীর বিনিময়ে পাওয়া যাবে ১৩২২ টাকা  ৯৬ পয়সা। ১০,০০০ ভারতীয় রুপীর বিনিময়ে পাওয়া যাবে বাংলাদেশি টাকায় ১৩,২২৯ টাকা  ৬০ পয়সা। অর্থাৎ ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশি টাকার মান কমতেছে  ভারতীয় ভারতীয় রুপির তুলনায়। যেহেতু  আমেরিকান ডলারের বিনিময়  হার  বাংলাদেশি টাকায় বাড়তেছে সেই সাথে ভারতের রুপির বিপরীতে   বাংলাদেশী  টাকার মান দিন দিন  কমতেছে।  যার ফলে ভারত থেকে আমদানি ব্যয়  বৃদ্ধি পাইতেছে প্রতিনিয়ত।

Monday, January 15, 2024

মোবাইল একবার চার্জেই চলবে কমপক্ষে ৫০ বছর

 বারবার মোবাইল চার্জ দেওয়ার যে ঝামেলা এখন তা শীঘ্রই শেষ  হইতে যাইতেছে। মোবাইলে আর  চার্জ দিতে হবে না। আশ্চর্য হলেও সত্য ঘটনা। 

চীনের একটা টেকনোলজি কোম্পানি যার নাম বেটা ভোল্ট, তার একটা  নতুন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে গবেষণা করতেছে যা নিউক্লিয়ার ব্যাটারী নামে পরিচিত।  এই ব্যাটারি  ছোট একটা কয়েনের মতো সাইজ হবে যাতে আইসোটোপ বসানো থাকবে। এই ব্যাটার  কোন চার্জ করা  ছাড়াই ৫০ বছর চলবে, অর্থাৎ স্মার্টফোনে একবার এই ব্যাটারি  ব্যবহার হলে ৫০ বছরের মধ্যে আর কখনো চার্জ দিতে হবে না,  এই ব্যাটারি ব্যবহৃত ড্রোনগুলো  সব সময় উড়তে থাকবে কোন  চার্জ দিতে হবে না।  অবিশ্বাস্য ঘটনা । আশা করা যায়  তাদের এই  ব্যাটারি বাজারে  পাওয়া যাবে ২০২৫ সাল নাগাদ। 




এই ব্যাটারির কি সুবিধা? 


সাধারণ ব্যাটারি গুলি   যেরকম  কম বা বেশি  তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু এই ব্যাটারি অনেক নিম্ন তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে আবার অনেক উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে। অর্থাৎ  তাপমাত্রার তারতম্যে কোন ক্ষতি হবে না ।  বেটা ভোল্ট দাবি করে যে তাদের এই ব্যাটারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -60° c তাপমাত্রা থেকে  সর্বোচ্চ ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হবে না।  এই ব্যাটারীতে আগুন ধরবেনা বিস্ফোরণ ঘটবেনা এমনকি বন্দুকের গুলিতেও এর কোন ক্ষতি করবে না। 


বেটা ভোল্ট এর বক্তব্য তাদের এই ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী  হবে যাদের যা বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার করা যাবে  যেমন মহাকাশ আকাশ গবেষণায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইকুইপমেন্ট, চিকিৎসার চিকিৎসা জাতীয় যন্ত্রপাতিতে,  মাইক্রোপ্রসেসর এর মধ্যে, বিভিন্ন রকমের সেন্সর, ছোট ড্রোনে এবং পানির নিচে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি বা ছোট ড্রোনে এই ব্যাটারি পানির নিচে ব্যবহার করা যাবে যেহেতু পানি তার কোনো ক্ষতি  করবে না । এই ব্যাটারি মানবদেহের কোন ক্ষতি করবে না এবং মানুষের শরীরের ভিতরে ব্যবহার করা যাবে যেহেতু এ থেকে কোন রেডিয়েশন নির্গত হবে না। তাই পেসমেকার এর মধ্যে এই ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে। বেটা ভোল্টের নিউক্লিয়ার ব্যাটারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স  এর মধ্যে যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটাবে। 


বেটা ভোল্ট এর মতে তাদের এই ব্যাটারি প্রথম প্রথম ৩ ভোল্ট এর  হবে এবং ১০০ মাইক্রো ওয়াট  পাওয়ার সাপ্লাই দিবে।  ২০২৫ সালের মধ্যে তারা এক ওয়াটের ব্যাটারি বাজারে আনতে চায়। 


এই ব্যাটারি কিভাবে কাজ করে? 

Saturday, January 6, 2024

অ্যান্টিবায়োটিক কম বা বেশি খেলে কি ধরনের ক্ষতি হয়?

 পৃথিবীতে শত শত কোটি ব্যাকটেরিয়া আছে যা সব আমাদের জন্য ক্ষতিকারক না এবং ব্যাকটেরিয়ারা আমাদের শরীরের ভিতরে বাইরে সব জায়গায় থাকে  ।এরকম হাজারো ব্যাকটেরিয়ার  মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের  ক্ষতি করে এরা  বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে যেমন বাতাস, পানি, শারীরিক স্পর্শ  ইত্যাদির  মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন সৃষ্টি করে।


ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ইনফেকশন দমন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক একমাত্র ব্যাকটেরিয়া দমনের জন্য ব্যবহার করা হয়, ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কোন অসুস্থতার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক  ব্যবহার করা হয় না । 



 ডাক্তাররা এন্টিবায়োটিক এর ধরন,রোগ এবং রোগীর বয়স ও তার  অবস্থার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন মাত্রার এন্টিবায়োটিক বিভিন্ন  দিনের সংখ্যার উপর নির্ধারণ করে দেন। অর্থাৎ  রোগীদের জন্য  প্রেসক্রিপশনে লেখেন যে এই রোগের জন্য এই রোগীকে এই এন্টিবায়োটিক  ৫ দিন ৭ দিন ১০ দিন বা ১৪ দিন করে খেতে হবে। অর্থাৎ ডাক্তারের একটা অপটিমাল ডোজ নির্ধারণ করে দেন যে  এই অসুস্থতার জন্য এই কয়টা  এন্টিবায়োটিক খেতে হবে।   


এন্টিবায়োটিক যেহেতু একটা রাসায়নিক উপাদান এবং কৃত্রিমভাবে তৈরি  করা হয় এবং চিকিৎসা  বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকটা  এন্টিবায়োটিকের সর্বোচ্চ এবং  সর্বনিম্ন সেবনের  মাত্রা ঠিক করেন  করে দেন যে কতদিন এবং কত মাত্রা ব্যবহার করলে রোগীর শরীর থেকে  ব্যাকটেরিয়ার সম্পূর্ণ  জীবাণু মারা যাবে বা আর রোগের বৃদ্ধি হবে না। 


এখন কোন রোগীকে ডাক্তার যদি প্রেস্ক্রিপশন করে যে এই এন্টিবায়োটিক আপনি  দুই বেলা করে  সাতদিন খাবেন সে  ৫ দিন যাওয়ার পরে  দেখল যে তার অসুখ আগের চেয়ে  ভালোর দিকে এবং সে যদি  পুরা কোর্সটা  শেষ না করে এর দ্বারা দেখা যাবে যে তার শরীরের মধ্যে  যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সে অসুস্থ ছিল, সম্পূর্ণ ডোজ শেষ না করার কারণে  সেই ব্যাকটেরিয়াগুলি মারা নাও যেতে পারে।  তখন তার শরীরের মধ্যে   অবশিষ্ট ব্যাকটেরিয়া গুলি অলস বসে না থেকে  এমন একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করবে যাতে রোগী পরবর্তীতে ওই একই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে  ব্যাকটেরিয়াকে আর মারা যাবেনা বা প্রতিরোধ করা যাবে না। কারণ ব্যাকটেরিয়া তার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে ফেলেছে যার কারণে পুরনো এন্টিবায়োটিক  ওই  ব্যাকটেরিয়ার উপর  কোন কাজ করবে না এবং অনুজীবগুলো  কে ধ্বংস করতে পারবে না। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার নামই এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স বা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। 

৯৫০ সিলভার বা রূপা কি । What is 950 silver?

রৌপ্য চকচকে, উজ্জ্বল একটি ধাতু যা ৬০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। মানুষ সৌন্দর্য এবং কোন ব্যবহার্য কিছুকে স্থায়িত্ব দেয়ার জন্য রুপার ব্যবহার করে যেহেতু এই ধাতুর মধ্যে যেগুলোতে ভেজাল খুব অল্প থাকে  এবং তাদের রঙ পরিবর্তন হয় না।  রুপার ব্যবহার শুরু হয় তুরস্কের আনাতোলিয়া এবং গ্রীস থেকে। বাজারে অনেক ধরনের রুপা পাওয়া যায় কিন্তু খাদের পরিমানের উপর  নির্ভর করে রুপার গুনাগুন এবং মুল্যের মধ্যে তারতম্য হয়।



৯৫০ সিলভার বা রূপার দ্বারা বুঝানো হয়, যে এতে ৯৫ শতাংশ রূপা এবং ৫ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে। জুয়েলারি তৈরির জন্য এটাই সর্বোচ্চ গ্রেডের রুপা জুয়েলারি তৈরির জন্য তাতে কিছু খাদ মিশাতে হয় কারণ একেবারে খাঁটি নিখাদ  রুপা দিয়ে জুয়েলারি  তৈরি করা সম্ভব না কারণ নিখাদ রূপা একেবারে নরম থাকে।  সাধারণত দুই বা ততোধিক সংকর ধাতু হিসেবে তামা, নিকেল বা জিংক ধাতু মেশানো হয়। এই মিশ্রণের রুপাকে  Artisian silver ও বলে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লি...