প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে প্রত্যর্পণের জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের ইন্টারপোল শাখার পুলিশ পরিদর্শক আশিকুর রহমান মালয়েশিয়ায় পাঠানো চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে টেলিফোনে ব্লুমবার্গকে নিশ্চিত করেছেন । বাংলাদেশ সরকারের অপর একজন সিনিয়র কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও মানব পাচারের অভিযোগ পুরোনো। বিগত সরকারের সময়ে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। উপরন্তু এসব সিন্ডিকেট ও অনিয়মের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন জড়িত ছিল বলে প্রমাণ মেলে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুলিশ অভিবাসী শ্রমিকদের পাঠানোর আড়ালে অর্থ পাচার, সিন্ডিকেট করে অভিবাসন ব্যয় বাড়ানো এবং মানব পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। //
গত ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশের ইন্টারপোল শাখা থেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হচ্ছেন আমিনুল ইসলাম ও রুহুল আমিন। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সাথে জড়িত থেকে বিভিন্ন অপকর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তারা দুজন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে জোরপূর্বক অর্থ আদায় ও তাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনে সাথে জড়িত।
চিঠিটির একটি অনুলিপি যাচাই করেছে ব্লুমবার্গ। তবে অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিঠি আদান-প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা আমিনুল, মালয়েশিয়ায় আমিন নামেই পরিচিত, প্রায় এক দশকের বেশি সময় আগে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব পান তিনি।
আমিনুলের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি বেস্টিনেটের সরবরাহকৃত একটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করতে মালয়েশিয়া সরকারকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সাল থেকে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা— হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিকদের অভিবাসন প্রক্রিয়াকরণ ও তাঁদের মনিটর করেছেন মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা।//
এদিকে আমিনের প্রতিষ্ঠান বেস্টিনেট এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের সফটওয়্যারের ব্যবহার বন্ধ করতে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধ করার বিষয়ে- তারা জানে না।
আরেক অভিযুক্ত ব্যবসায়ী রুহুলের আমিনের মন্তব্য কি জানতে তার প্রতিষ্ঠান ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ব্লুমবার্গ। ঢাকা-ভিত্তিক এই রিক্রুটিং এজেন্সির স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন রুহুল আমিন । ক্যাথারসিসের একজন প্রতিনিধি ইমেইলে ব্লুমবার্গকে জানান, রুহুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তিনি সবসময় ‘আইন মেনে, বৈধভাবে ও নৈতিকতার সাথে’ ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।
এব্যাপারে ব্লুমবার্গ মালয়েশিয়ার পুলিশ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথেও যোগাযোগ করে, তবে কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি।
আবার কথা হবে নতুন ভিডিওতে
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment