আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বিমানে বাস,ট্রাক মোটরসাইকেলে যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয় বিমানে তারচেয়েও কম দামি জ্বালানি ব্যবহার করা হয়।
অধিকাংশ বিমানে সাধারণত দুই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা হয় জেট A ( Jet A) এবং জেট A 1( Jet A-1) Jet A-1 কে আবার JP-1A বলা হয়। জেট A1 ( Jet A-1) এ প্রধান জ্বালানি হিসেবে আমাদের সবার পরিচিত কেরোসিন ব্যবহার করা হয়। একসময় বিমানের জ্বালানি হিসেবে গ্যাসোলিন ব্যবহৃত হত। কিন্তু গ্যাসোলিন অনেক ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে এখন আর ব্যবহার করা হয় না। গ্যাসোলিনের বদলে এখন প্রায় সব বিমান চলে কেরোসিনে।এই কেরোসিন উচ্চ মাত্রায় পরিশুদ্ধ করে তাতে কিছু additive যোগ করা হয় যা ইঞ্জিন কে বিকল হওয়া থেকে বাচায় এবং তার কর্মক্ষমতা ধরে রাখে।
জেট A এবং জেট A1 এর পার্থক্য তার ফ্রিজিং পয়েন্টে জেট A1 এর ফ্রিজিং পয়েন্ট -৪৭ ডিগ্রি। অর্থাৎ এই তাপমাত্রায় এই জ্বালানি হিমায়িত হয়। অন্যদিকে, জেটA এর ফ্রিজিং পয়েন্ট -৪০ ডিগ্রি। যেহেতু জেট A1 সবচেয়ে কম তাপমাত্রায় জমে যায় তাই জ্বালানি হিসেবে এই জ্বালানিই বিমানে বেশি ব্যবহৃত হয়।
জেট বি (Jet B) নামে আর এক ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা হয় যা ৬৫% গ্যাসোলিন এবং ৩৫% কেরোসিনের একটা মিশ্রন। এই জ্বালানির ফ্রিজিং পয়েন্ট -৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করে বিমান আরও নিম্ন তাপমাত্রায় চলাচল করতে পারে যা জেট A1 ফুয়েল ব্যবহার করে সম্ভব না।
যদিও কেরোসিন কিংবা গ্যাসোলিন দুইটিই আসলে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।তাই বিজ্ঞানীরা অবিরাম গবেষণা করে যাচ্ছেন যাতে পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর কোন জ্বালানির ব্যবস্থা করা যায়।
No comments:
Post a Comment