আমরা অনেকেই হয়তো মনে করে থাকি যে বিমানে তেলের ট্যাঙ্ক বা ফুয়েল ট্যাংক বিমানের পেটের মধ্যে কোথাও বা ককপিঠের আশেপাশে থাকে যেহেতু ওই অংশগুলো বাহ্যিকভাবে বড় দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে বিমানের তেলের ট্যাংক তার পাখার মধ্যে এবং ইঞ্জিনের কাছাকাছি থাকে, আর বিমানের ইঞ্জিনও পাখার মধ্যেই থাকে।
ইঞ্জিন এবং তেলের ট্যাংকি পাশাপাশি থাকার উদ্দেশ্যে এটাই যাতে খুব সহজে দ্রুত তেলের টাংকি থেকে তেল নিতে পারে, আর দুই পাখার তেলের ট্যাংকের সাথে পরস্পর যোগাযোগ থাকে যদি কোন কারনে এক পাখার তেলের টাংকির তেল শেষ হয়ে যায় সেযেন দ্রুত আরেক পাখা থেকেও তেল নিতে পারে এই কারণে দুই পাখার তেলের টাংকির সাথে পরস্পর সংযোগ থাকে ।
ফুয়েল ট্যাংক সাধারণত তিন ধরনের হয়।
আর ফুয়েল ট্যাংক বিমানের সাইজ অনুযায়ী বড় ছোট হয় বিমান যত বড় তার ফুয়েল ট্যাংক তত বড় হবে এবং তাতে বেশি জ্বালানিও নিতে পারবে।
একটা বিমানের ফুয়েল ট্যাংকে সর্বোচ্চ ৩, ২৪,০০০ লিটার তেল নেয়া যায় আর পৃথিবীর সর্বোচ্চ বড় বিমান Antonov AN – 225 যা রাশিয়ার তৈরি , সর্বোচ্চ ৩,৭৪,০০০ লিটার তেল তার ফুয়েল ট্যাংকে ধারণ করতে পারে।
একটা বোরিং ৭৪৭ বিমানের ফুয়েল ট্যাংকের তেল যদি শুন্য হয়ে যায় তা পুনরায় আবার রিফিল করার জন্য ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট এর মত সময় লাগে। কাজটি খুব দ্রুতই হয়। আমরা একটু চিন্তা করি ১০০০ লিটারের একটা পানির ট্যাংকি ভরার জন্য একটা ১.৫ ঘোড়া সাবমারসিবল মোটরের ৮-১০ মিনিট সময় লাগে সেখানে তিন লাখ ২৫ হাজার লিটার তেল ভরার জন্য বিমানের ৪০-৪৫ মিনিটের মতো সময় লাগা বেশি সময় না, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তুলনামূলকভাবে কাজটা করা হয়। আজ এই পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment