Saturday, August 17, 2024

জাতিসংঘের প্রতিবেদন মতে ৬৫০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।

 বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ শিগগিরই তদন্ত শুরু করবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে  এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।


ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তের জন্য খুব শিগগিরই  জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি তদন্ত শুরু করা হবে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল শিগগিরই তদন্ত শুরু করতে বাংলাদেশ সফর করবে।”

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস

১৫ ই আগষ্ট  গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনভাবেই কাজ করবে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। তার অর্থায়নও করবে জাতিসংঘ। এর কর্মপ্রক্রিয়া ও পরিধি ঠিক করতে কাজ করছে সংস্থাটি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের ফোনালাপের উদ্ধৃতি দিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, তদন্ত দলকে সহায়তা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।


কারণ, এ সরকারের অবস্থান খুবই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ। যারা এ অপরাধগুলো করেছে এবং যারা হুকুম দিয়েছে তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে এবং এ কাজে জাতিসংঘ সহায়তা করুক, এটা নিয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ সরকার চায় একটা স্বচ্ছ তদন্ত হোক এবং তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শাস্তি দেওয়া হোক। কাউকে  ঢালাওভাবে বা সামরিক ট্রায়ালের চিন্তা  সরকারের নেই। আমরা পুরোপুরি আইন অনুযায়ী কাজটা করতে চাই ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের এক প্রতিবেদনে ১৬ ই আগষ্ট বলা হয়েছে


গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও আন্দোলনকারীদের দেয়া তথ্য অনুসারে, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে ৬০০’ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।


এর মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে বিক্ষোভের সময় প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছে।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেই সময় থেকে প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহতদের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। ৭ থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে বেশ কিছু প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, যারা সহিংসতায় আহত।


জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ প্রাণহানি ও আহত হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনকে।


তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা চাইব অবশ্যই যেন একটা নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। অবস্থাটা এমন যে, কোনো কিছু করতে গেলে একটা সমালোচনা আসতে পারে। সেজন্য আমরা চাইব, এটা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে হোক এবং এতে যা যা সহায়তা করা লাগবে সেটা আমরা করব।

অর্থাৎ  জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্ত করার উদ্দেশ্য হলো, এই তদন্ত নিয়ে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী  দল বা কোন রাষ্ট্র যেন কোন প্রশ্ন তুলতে না পারে। তদন্ত নিরপেক্ষ হলে বিচার এবং শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে কোন সমালোচনার পথ তৈরি হবে না। যারা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হতাহত করার জন্য হুকুম দিয়েছে এবং যারা বিভিন্নভাবে তাদের হত্যার জন্য সাহায্য সহোযোগিতা করেছে সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।



জাতিসংঘের প্রতিবেদন মতে  ৬৫০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।


ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারী হত্যাকান্ডের তদন্ত জাতিসংঘ  করবে কেন?

No comments:

Post a Comment

আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ে...