উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব ধরণের জ্বালানী তেলের দাম কামানোর ঘোষণা দিয়েছে। ৩১ শে আগষ্ট রাত ১২ টার পর থেকে গ্রাহকরা বর্তমানের তুলনায় কম দামে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেন ক্রয় করা শুরু করেছেন।
বিশ্ব বাজারের সঙ্গে 'সামঞ্জস্য রেখে' দেশে জ্বালানি তেলের নতুন এই দাম নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, সরকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বা বিপিসির মুনাফাও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ দফায় পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটার-প্রতি ছয় টাকা কমানো হয়েছে। অপর দিকে ডিজেলের দাম লিটার-প্রতি কমেছে এক টাকা ২৫ পয়সা। তবে ডিজেল ও কেরোসিনের তুলনায় পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমবে বেশি। কারণ বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত অকটেনের তুলনায় ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেলে তিন থেকে সাড়ে তিন ডলার বেশি। সেই কারণে ডিজেলের দাম তুলনামুলক কম কমানো হবে।
ফলে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে কমে ১২৫ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে কমে ১২১ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে কমে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, “আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে দেশেও দাম কমানো হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান ফর্মুলা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে বিপিসির জন্য যতটা মুনাফা রয়েছে, সেটাও কমানো হয়েছে”।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত অনুযায়ী এ পদ্ধতি চালু করা হয়। ৩৮টি শর্ত বাস্তবায়নের শর্তে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়। এরমধ্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ অন্যতম।
আশা করি জ্বালানি তেলের দাম কমার সাথে সাথে বাস ভাড়াও কিছু কমবে। পুর্ব অভিজ্ঞতায় দেখা যায় আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করতে সময় লাগে না।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment