পৃথিবীতে শত শত কোটি ব্যাকটেরিয়া আছে যা সব আমাদের জন্য ক্ষতিকারক না এবং ব্যাকটেরিয়ারা আমাদের শরীরের ভিতরে বাইরে সব জায়গায় থাকে ।এরকম হাজারো ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের ক্ষতি করে এরা বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে যেমন বাতাস, পানি, শারীরিক স্পর্শ ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন সৃষ্টি করে।
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ইনফেকশন দমন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক একমাত্র ব্যাকটেরিয়া দমনের জন্য ব্যবহার করা হয়, ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কোন অসুস্থতার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় না ।
ডাক্তাররা এন্টিবায়োটিক এর ধরন,রোগ এবং রোগীর বয়স ও তার অবস্থার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন মাত্রার এন্টিবায়োটিক বিভিন্ন দিনের সংখ্যার উপর নির্ধারণ করে দেন। অর্থাৎ রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশনে লেখেন যে এই রোগের জন্য এই রোগীকে এই এন্টিবায়োটিক ৫ দিন ৭ দিন ১০ দিন বা ১৪ দিন করে খেতে হবে। অর্থাৎ ডাক্তারের একটা অপটিমাল ডোজ নির্ধারণ করে দেন যে এই অসুস্থতার জন্য এই কয়টা এন্টিবায়োটিক খেতে হবে।
এন্টিবায়োটিক যেহেতু একটা রাসায়নিক উপাদান এবং কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকটা এন্টিবায়োটিকের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সেবনের মাত্রা ঠিক করেন করে দেন যে কতদিন এবং কত মাত্রা ব্যবহার করলে রোগীর শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়ার সম্পূর্ণ জীবাণু মারা যাবে বা আর রোগের বৃদ্ধি হবে না।
এখন কোন রোগীকে ডাক্তার যদি প্রেস্ক্রিপশন করে যে এই এন্টিবায়োটিক আপনি দুই বেলা করে সাতদিন খাবেন সে ৫ দিন যাওয়ার পরে দেখল যে তার অসুখ আগের চেয়ে ভালোর দিকে এবং সে যদি পুরা কোর্সটা শেষ না করে এর দ্বারা দেখা যাবে যে তার শরীরের মধ্যে যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সে অসুস্থ ছিল, সম্পূর্ণ ডোজ শেষ না করার কারণে সেই ব্যাকটেরিয়াগুলি মারা নাও যেতে পারে। তখন তার শরীরের মধ্যে অবশিষ্ট ব্যাকটেরিয়া গুলি অলস বসে না থেকে এমন একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করবে যাতে রোগী পরবর্তীতে ওই একই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়াকে আর মারা যাবেনা বা প্রতিরোধ করা যাবে না। কারণ ব্যাকটেরিয়া তার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে ফেলেছে যার কারণে পুরনো এন্টিবায়োটিক ওই ব্যাকটেরিয়ার উপর কোন কাজ করবে না এবং অনুজীবগুলো কে ধ্বংস করতে পারবে না। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার নামই এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স বা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী।
No comments:
Post a Comment