পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পাথর হলো ডায়মন্ড বা হীরা । আর সেই ডায়মন্ড যদি হয় কাল তাহলে সেই ডায়মন্ডের দাম আরো বেড়ে যায়।
এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে জীবনে কয়লার ব্যবহার দেখে নাই বা কয়লার সাথে সম্পর্ক নাই । আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন এই কয়লা ব্যবহার করছি।রান্নার সময়ে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ালে যে ছাই হয় তাই কয়লা। কাঠ কয়লা আমরা কাঠ হতে পাই এবং খনিজ কয়লা খনিতে হতে পাওয়া যায়।
কয়লা কার্বনের একটি রূপ যা মূলত একটি দাহ্য পাললিক শিলা। কয়লা আপাতদৃষ্টিতে শক্তির সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।এটি সাধারণত কালো বা বাদামী-কালো রঙের হয় এবং ভূগর্ভে তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর সময় লাগে। কয়লা মূলত ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া দ্বারা গঠিত এক ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি যা বহু বছর আগে মৃত উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ থেকে তৈরি হয়েছিল।//
কয়লা হীরার মতোই মূল্যবান।
কয়লাকে কালো হীরা বলার মূল কারণ হলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়লার বহুল ব্যবহার। কয়লা কখনোই অবহেলার বস্তু না,কয়লা থেকে আমরা যে ধরনের উপকার পাই এবং তা থেকে যত ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি হয় তা জানলে আমরা বিস্মিত হব।এটি রান্নাঘরের জ্বালানী থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্প কারখানায় কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কয়লা, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মৌলিক কাঁচামাল। //
সিমেন্ট উৎপাদন, কার্বন ফাইবার, ফোম, ওষুধ, আলকাতরা,সার, সিন্থেটিক পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক জ্বালানি এবং গৃহস্থালির জ্বালানি সহ কয়লার অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে।
১) কয়লা তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, গুঁড়ো কয়লাকে পুড়িয়ে পানিকে বাষ্পে পরিণত করা হয়। এই বাষ্প দিয়ে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রে উচ্চ গতিতে টারবাইন ঘুরানো হয় যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
২) ইস্পাত তৈরিতে কয়লা ব্যবহার করা হয়। কয়লা থেকে কয়লার কোক তৈরি করে লোহার আকরিকের সাথে গলিয়ে ইস্পাত তৈরি করা হয় ।
৩) কয়লাকে গ্যাস এবং তরলে রূপান্তরিত করা যায় যা গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং জাহাজের জ্বালানিতে ব্যবহার করা যায়।
৪) কয়লাকে ভেঙ্গে কার্বন মনোক্সাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাসে পরিণত করে, হাইড্রোজেন নাইট্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে
অ্যামোনিয়া সার তৈরি করে, হাইড্রোজেন গ্যাস থেকে ইউরিয়া, মিথানল পাওয়া যায় এবং প্রাপ্ত হাইড্রোজেন গ্যাস হতে আরও অনেক কিছুতে রূপান্তর করা যায়।
৫) কয়লা প্রক্রিয়াকরনের সময়ে byproduct বা উপজাত থেকে অনেক রাসায়নিক পণ্য পাওয়া যায় যেমন আলকাতরা , ন্যাপথলিন, ফেনল, বেনজিন ইত্যাদি। কয়লার উপজাত থেকে যে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায় তা থেকে অ্যাসপিরিন, দ্রাবক, সাবান, রং, প্লাস্টিক এবং বিভিন্ন রকম ফাইবার রয়েছে যা দিয়ে কৃত্রিম ভাবে নাইলন এবং রেয়ন তৈরি হয়।
৬) কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সিমেন্ট কারখানা চালু রাখা যায় । এবং কয়লা পোড়ানো থেকে উৎপন্ন উপজাতগুলিও সিমেন্ট উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
৭) স্যাকারিন চিনির চেয়ে ৫০০ গুন বেশি মিষ্টি যা কয়লা থেকে তৈরিই।কিন্তু আজ অনেক দেশ স্যাকারিন এর ব্যবহার কে নিষিদ্ধ করেছে।
৮) কয়লা থেকে রাস্তা তৈরির বিটুমিন তৈরি হয়।
সরাসরি কয়লা থেকে এবং কয়লার উপজাত থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর কথা বলতে থাকলে এই ভিডিও শেষ করা যাবেনা। কয়লা এবং তার উপজাতের শত শত ব্যবহার মানুষ প্রতিদিন করছে তার প্রতিদিনের কাজে কর্মে।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment