Wednesday, June 26, 2024

বিমানে জ্বালানি তেলের ট্যাংক কোথায়  থাকে?

আমরা অনেকেই হয়তো মনে করে থাকি যে বিমানে তেলের ট্যাঙ্ক বা ফুয়েল ট্যাংক   বিমানের পেটের মধ্যে কোথাও বা  ককপিঠের আশেপাশে থাকে যেহেতু ওই অংশগুলো বাহ্যিকভাবে বড় দেখা যায়।  কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে  বিমানের তেলের ট্যাংক  তার পাখার মধ্যে   এবং ইঞ্জিনের কাছাকাছি থাকে,  আর বিমানের ইঞ্জিনও পাখার মধ্যেই থাকে। 



ইঞ্জিন এবং তেলের ট্যাংকি পাশাপাশি থাকার উদ্দেশ্যে এটাই যাতে খুব সহজে দ্রুত তেলের টাংকি থেকে তেল নিতে পারে, আর দুই পাখার   তেলের ট্যাংকের সাথে পরস্পর  যোগাযোগ থাকে  যদি কোন কারনে এক পাখার তেলের টাংকির তেল শেষ হয়ে যায় সেযেন দ্রুত আরেক পাখা থেকেও তেল নিতে পারে  এই কারণে দুই পাখার তেলের টাংকির সাথে পরস্পর সংযোগ থাকে । /

ফুয়েল  ট্যাংক সাধারণত তিন ধরনের হয়। 

আর ফুয়েল ট্যাংক বিমানের সাইজ অনুযায়ী  বড় ছোট হয় বিমান যত বড় তার ফুয়েল ট্যাংক তত বড় হবে এবং তাতে বেশি জ্বালানিও নিতে পারবে। 

একটা বিমানের ফুয়েল ট্যাংকে  সর্বোচ্চ ৩, ২৪,০০০ লিটার তেল নেয়া যায় আর পৃথিবীর  সর্বোচ্চ বড় বিমান Antonov AN – 225 যা রাশিয়ার তৈরি , সর্বোচ্চ ৩,৭৪,০০০  লিটার তেল তার ফুয়েল ট্যাংকে ধারণ করতে পারে। 

একটা বোরিং ৭৪৭ বিমানের ফুয়েল ট্যাংকের তেল যদি শুন্য হয়ে যায় তা  পুনরায়  আবার রিফিল করার জন্য ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট এর মত সময় লাগে। কাজটি খুব দ্রুতই হয়। আমরা একটু চিন্তা করি ১০০০ লিটারের একটা পানির ট্যাংকি  ভরার জন্য একটা ১.৫ ঘোড়া  সাবমারসিবল মোটরের ৮-১০ মিনিট সময় লাগে সেখানে  তিন লাখ ২৫ হাজার লিটার  তেল ভরার জন্য বিমানের ৪০-৪৫  মিনিটের মতো সময় লাগা বেশি সময় না, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তুলনামূলকভাবে কাজটা করা হয়। 

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে একটি  লাইক দিলে নতুন ভিডিও বানানোর জন্য আমাদের উৎসাহ বাড়বে  এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ

Tuesday, June 25, 2024

অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের ৬ মাস না যেতেই ছাদ ফেটে বৃষ্টির পানি ঝরঝর করে পড়া শুরু করে মন্দিরের ভিতরে

অযোধ্যায় যেখানে বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির তৈরি করা হয় উদ্বোধনের ৬ মাস পরের   প্রথম দিনের বৃষ্টিতেই মন্দিরের ছাদ চুইয়ে ঝরঝর করে  পানি পড়া শুরু করে। বৃষ্টি গত শনিবার গভীর রাতে শুরু হয়। 

পানি পড়া শুরু হয় সেখানে থেকেই  যেখানে পূজারিদের বসার জায়গা এবং ভিআইপি ব্যক্তিরা যেখান এসে পুজা দেখেন। সাধারণ লোকজনও যেখান থেকে পুজা দেখেন সেখানেও পানি  পড়ছিল।



ভক্তদের আক্ষেপ হলো যে সারা ভারত থেকে সেরা সেরা প্রকৌশলীরা রাম মন্দির তৈরির কাজে সামিল হয়েছিলে।এবং এরজন্য হাজার কোটি টাকা খরচও করা হয়। কংগ্রেসে এবং নেটিজেনদের অভিযোগ হলো মন্দির নির্মান কাজে যে দুর্নীতি আছে বুঝা যায়। please like and subscribe the channel। 

Saturday, June 22, 2024

নবী করিম (সা:) এর এরশাদ যারা হজ্জে মারা যায় তাদের ব্যাপারে

তারগীব কিতাবের একটি হাদিস,

নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হজ্বে রওয়ানা হয়ে পথে ইন্তেকাল করে, কেয়ামত পর্যন্ত সে হজ্বের ছওয়াব পেতে থাকবে আর যে ব্যক্তি ওমরাহ করার জন্য বাহির হয়ে ইন্তেকাল করে, সে কেয়ামত পর্যন্ত  ওমরার ছওয়াব পেতে থাকবে। আর যে জেহাদের জন্য বাহির হয়ে মারা যায় কেয়ামত পর্যন্ত সে জেহাদের ছওয়াব পেতে থাকবে। (তারগীব)/



এ বছর বাংলাদেশ থেকে  মোট ৮৫,২৫২ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন। এবং  হজ্জ করতে গিয়ে ২১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।  এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা।  এর মধ্যে মক্কায়  মারা গেছেন ১৬ জন, মদিনায় ৪ জন এবং মিনায় ১ জন। আল্লাহ তাদের সবার জন্য জান্নাতের ফায়সালা করুন। আমিন

Friday, June 21, 2024

বাংলাদেশ থেকে এ বছর কতজন মানুষ হজ্জে যায় এবং কতজন  মারা যায়?

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং দরুদ ও সালাম আমার নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য।  

নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এরশাদ করেন, আল্লাহ্ পাক আরাফাতের দিনের মত অন্য কোন দিন এত অধিক লোককে জাহান্নামের আগুন থেকে  নাজাত দেন না। আল্লাহ পাক সেদিন দুনিয়ার নিকটবর্তী হন এবং ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করেন যে, দেখ এরা কি চায়?"


নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হজ্বে রওয়ানা হয়ে পথে ইন্তেকাল করে, কেয়ামত পর্যন্ত সে হজ্বের ছওয়াব পেতে থাকবে আর যে ব্যক্তি ওমরাহ করার জন্য বাহির হয়ে ইন্তেকাল করে, সে কেয়ামত পর্যন্ত  ওমরার ছওয়াব পেতে থাকবে। আর যে জেহাদের জন্য বাহির হয়ে মারা যায় কেয়ামত পর্যন্ত সে জেহাদের ছওয়াব পেতে থাকবে। (তারগীব)/



এক হাদীছে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি মক্কা শরীফ যাওয়ার পথে বা আসার পথে মারা যাবে তার কোন হিসাব নিকাশ নাই। অন্যত্র আছে যে হজ্বের পরে ফিরে আসার সময় মারা গেল সে সওয়াব ও গনিমত নিয়ে ফিরল। 

“নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,' হাজী কখনও ফকীর হতে পারে না । ' অন্য হাদীছে আছে, বেশী করে হজ্ব ও ওমরা করলে মানুষ আর গরীব থাকে না।  অন্য হাদীছে আছে, বেশী বেশী করে হজ্ব ও ওমরা করা অপমৃত্যু থেকে রক্ষা  করে এবং অভাব দূর করে।


আর আমরা অনেক আহাম্মকরা মনে করি হজ্জ ও উমরাহ করলে অনেক টাকা চলে যাবে এবং আমরা আর্থিক সংকটের মধ্যে পরব। এইজন্য সামর্থ্য থাকা সত্বেও গরিমষী করে। 


অন্য হাদীছে আছে, হজ্ব কর, ধনী হয়ে যাবে, ছফর কর স্বাস্থ্যবান হবে। এটা পরীক্ষিত যে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে স্বাস্থ্য ভালো হয়ে যায়, অন্য হাদীছে আছে ক্রমাগত হজ্ব ও ওমরা করা অভাব ও গোনাহকে এভাবে দূর করে, যেমন লোহা গলানোর চুল্লী  লোহার ময়লা দূর করে। "/


আসলে শয়তান কখনো চায় না মানুষ হজ্জ উমরাহ  করুক, মক্কা মদিনায় যাক। কারণ মক্কা মদিনায় গিয়ে হজ্জ উমরাহ করার পরিবর্তে শয়তান আমাদেরকে সারা পৃথিবী ঘুরে দেখার উৎসাহ যোগাবে,ও-ই দেশে যাও ঘুরে দেখ। হজ্জ উমরাহ করলে যে গুনাহ মাফ হয় শয়তান কি তা চায়? শয়তান চায় মানুষ সব জাহান্নামি হয়ে তার সাথে একত্রে জাহান্নামে থাকুক। যাহোক, 

হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৫,২৫২ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন।  এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।  বাংলাদেশ থেকে মোট ২১৮ টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরবে পৌঁছান। 


বাংলাদেশের হজ্জ পোর্টালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর হজ করতে গিয়ে ২১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।  এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা।  এর মধ্যে মক্কায় ১৬ জন, মদিনায় ৪ জন এবং মিনায় ১ জন মারা গেছেন।


ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল অনুযায়ী, ২০ শে জুন থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট আসতে শুরু করেছে এবং হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি ২২ জুলাই দেশে পৌঁছাবে।

আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটি  লাইক দিলে নতুন ভিডিও বানানোর জন্য আমাদের উৎসাহ বাড়বে  এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Tuesday, June 18, 2024

হার্টে রিং পড়ানোর পরে আমাদের  করনীয় ১৩ টি কাজ কি?

যদি কারো একটু হাটলে বা পরিশ্রম করলে বুক ধড়ফড় করে বুকে  চাপ লাগে, সিঁড়ি ব্যবহার করলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাবে, তা হলে ঐ ব্যক্তির অবশ্যই একজন  হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের  পরামর্শ নেওয়া দরকার।হার্টের রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টি হওয়ার কারনেই হার্টে রিং পরানো হয়। যার হার্টে রিং পরানো হয়েছে এ থেকে বুঝতে হবে যে তার  হার্টে ব্লক পাওয়া গিয়েছিল।

যাহোক  রিং পরালেই একজন রোগী ভালো হয়ে যাবে তা না রিং পড়ানো বা স্টেন্টিং এর পরে আসল চিকিৎসা শুরু হয়। কারণ রিং পড়ানোর পরে যদি রোগীর জীবনে শৃঙ্খলা না আসে তাহলে এত ব্যবহুল চিকিৎসা করে  রিং পড়ানো বৃথা। হৃদযন্ত্রের যে স্থানে ব্লক ধরা পড়ে  চিকিৎসকরা সেখানে রিং বসিয়ে  রক্ত চলাচলের জন্য একটা রাস্তা করে দেন।//



রিং পরানোর পর চিকিৎসক রোগীকে কিছু ওষুধ দিয়ে থাকেন তার রক্তকে পাতলা রাখার জন্য।

কিন্তু রোগী  যদি সেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন, তা হলে রক্ত জমাট বেঁধে রিং দিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।এবং পুনরায় রিং পড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। এইসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 


হার্টে রিং পড়ানোর পরে আমাদের  করনীয় ১৩ টি কাজ ://

ধূমপান থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত রাখতে  হবে।কারন হার্টের রোগের জন্য ধুমপান অনেকাংশে দায়ী। 


যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ব্লাড সুগার সকালে খালি পেটে ৬-৮-এর মধ্যে ও ব্লাড প্রেসার ১২০/৮০ এর মধ্যে থাকলে ভালো হয়।

নিয়মিতভাবে কমপক্ষে আধাঘন্টা হাঁটলে ভালো , যা হার্টের ছোট ছোট রক্তনালিকে খুলে দিতে সাহায্য করে।নিয়মিত হাটার অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে, ক্যালোরিকে পোড়ায় এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।/


রক্ত তরল রাখার ওষুধ ও চর্বি যাতে বেশি না বাড়ে এই জাতীয় ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে  খেতে হবে।


ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ সম্পুর্ন  নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।


প্রথম প্রথম প্রতি ২ সপ্তাহে একবার ডাক্তারের পরামর্শ ও পরীক্ষা করার জন্য আসা উচিত,সব ঠিক থাকলে মাসে একবার, তারপর প্রতি ৩ মাসে একবার,  তারপর প্রতি ৬ মাস পরপর ডাক্তারের পরামর্শের ও পরীক্ষা করার জন্য আসা উচিত।//


হার্টের রোগীদের চর্বিজাতীয় খাবার অবশ্যই  পরিহার করা উচিত । যেমন গরুর গোশত , খাসির গোশত ,ঘি, মাখন, কেক, ডিমের কুসুম,  পুডিং এবং বেশি তেল দিয়ে রান্না করা খাবার।সেইসাথে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কমিয়ে দিতে হবে। 


 অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বাদ দিতে হবে।অতিরিক্ত লবন খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের দিকে ধাবিত করে এবং হার্ট অ্যাটাক এর ঝুকি বাড়ায়।  ৮


পুর্ব থেকে কোন রোগ থেকে থাকলে তার জন্যও নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।/৯


পরিশোধিত চিনি এবং চিনি দিয়ে তৈরি খাবার পরিহার করা উচিত কারন চিনি ওজন বৃদ্ধি করে এবং হার্ট  এর রোগের ঝুকি বাড়ায়।   ১০


যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি তাদের প্রতি বছর কমপক্ষে একবার করে তাদের কোলেস্টেরল পরিমাপ করা উচিত।কারণ কোলেস্টেরল রক্তনালি ব্লক করে দেয়। ১১


যেইসমস্থ অমুসলিম মদ পান করেন তাদের উচিত হার্টকে ভালো রাখার জন্য মদ কম পান করা বা পারলে ত্যাগ করা,কারন মদ পান অনেক অবাঞ্চিত স্বাস্থ্যসমস্যার সৃষ্টি করে। আর কোন মুসলিম যদি মদ পান করার অভ্যাস  করে সে কখনো দুনিয়া এবং আখেরাতে শারিরীক ও মানসিক  শান্তি পাবে না। ১২


ফাস্ট ফুড এবং বেশি বেশি ভাজা খাবার  খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ এরা কোলেস্টেরলের ঝুকি বাড়ায়। এবং আমাদের ছোট ছেলে মেয়েদেরকেও ফাস্ট ফুড থেকে বিরত রাখা উচিত। ১৩


আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে একটি  লাইক দিলে নতুন ভিডিও বানানোর জন্য আমাদের উৎসাহ বাড়বে  এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Monday, June 17, 2024

সৌদি আরবের কারণে কি মার্কিন ডলারের পতন আসন্ন?

 এই মাসের ৯ ই জুন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য  একটা যুগান্তকারী ঘটনা  ঘটে গেছে। 


বিশ্বব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ৫০ বছরের পেট্টোডলার চুক্তিটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব। গত ৯ জুন রোববার চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।



নতুন কোনো সমঝোতা না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌদি আরবের ৫০ বছরের পুরনো পেট্রোডলার চুক্তিটি শেষ হয়ে গেছে।'/



১৯৭৪ সালের ৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং সৌদি আরবের প্রিন্স ফাহদ ইবনে আব্দুল আজিজ চুক্তিটি করেন। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা হিসেবে চুক্তিটি হয়।চুক্তিটিতে নিশ্চিত করা হয় যে ওপেক সদস্যরা তেল বিক্রি করবে মার্কিন ডলারে। এর বিনিময়ে সৌদি আরবকে সামরিক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।


সৌদি আরব এখন থেকে কেবলমাত্র মার্কিন ডলার ছাড়াও  চীনা আরএমবি, ইউরো, ইয়েন, বিটকয়েন এবং ইউয়ানসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রায় তেল বিক্রি করতে পারবে যার খারাপ প্রভাব আমেরিকার অর্থনীতিতে গিয়ে পড়বে।/


এখন এই চুক্তির অবসানের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা বদলে যেতে পারে।

এবং বিশ্বের রিজার্ভ কারেন্সিতে মার্কিন ডলারের আধিপত্য দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। যার ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের চাহিদা কমে যেতে পারে।


সৌদি আরব চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, সুদের হার আকাশচুম্বি হতে পারে, মার্কিন বন্ড এর বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।


এই ঘটনার ফলে বিশ্বে নতুন সমীকরণের সৃষ্টি হতে পারে। সৌদি আরব এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে চীন,রাশিয়া এবং ব্রিকস দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে পারবে। /



বিশেষজ্ঞরা সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তের পিছনের কারণগুলিকে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বলেন এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়া   ব্রিকস জোটের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ছিল  ডলারের উপর তার এবং ব্রিকস দেশগুলোর নির্ভরতা হ্রাস করা। এবং  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এর বিরুদ্ধে লড়াই করার সীমিত বিকল্প আছে। ডলারের আধিপত্যের সম্ভাব্য পতনের ফলে মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলির আর্থিক ব্যবস্থাগুলির পুনর্মূল্যায়ন করতে  হতে পারে।



  এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ফলে আমেরিকার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, জাতীয় বাজেট ঘাটতি এবং ফেডারেল বাজেটের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে উচ্চ করের দিকে নিয়ে যেতে পারে। উপরন্তু, ডলারের মূল্য কমে যাওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী আমেরিকানদের  ভ্রমণ এবং অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য ক্রয় করাকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলতে পারে। 


যাহোক সামনের বছরগুলোতে  আমরা দেখতে পাবো সৌদি আরব এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী আমেরিকান ডলারের কি পরিবর্তন হয়। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 









Wednesday, June 12, 2024

বিষাক্ত গরুতে সয়লাব গরুর হাট। বিষাক্ত গরুগুলো কিভাবে চিনবেন?

কোরবানি খুব সন্নিকটে ৪,৫ দিনের মত বাকি আছে । সবাই-ই চায় ভালো দেশি গরু কিনতে যা কেমিক্যাল ছাড়া হবে,বিষাক্ত হবে না এবং কোরবানির গোশত খাবার পরে আমাদের কিডনি, লিভার ইত্যাদি নষ্ট হবে না। কিন্তু কোরবানির গরুর ক্রেতাদেরকে ধোকা দেবার জন্য শত শত অসাধু  ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত বিষাক্ত ইনজেকশন ও ট্যাবলেট নিয়ে, যা গরুকে খাইয়ে ওজন ২০ থেকে ২৫ কেজি বাড়িয়ে ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করে    কিভাবে বেশি লাভ করা যায় সেই ধান্দা। বিষে ভরা সেই গোস্ত খাওয়ার পরে আমাদের শরীরের ভিতর খারাপ কিছু রোগের উপসর্গ সৃষ্টি হবে যা হয়তো আগে ছিলই না। 



  আমাদের দেশে কোরবানির কিছুদিন  আগে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ করে যাদের মধ্যে অনেক গরু হাড্ডিসার থাকে। এছাড়া আমাদের দেশের কিছু দুর্বল গরু এর সাথে কম স্বাস্থ্যবান কিছু গরুকে বিষাক্ত ইনজেকশন ও ট্যাবলেট খাইয়ে ওজন বাড়ানো হয়। 


অতি লাভের  আশায় আসাধু ব্যবসায়ীরা কিছু  ভারতীয়  ওষুধ ডেক্সামেথাসন বা ডেকাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন জাতীয় স্টেরয়েড ব্যবহার করে ভারতীয় গরু এবং সাথে দেশি দুর্বল গরু মোটাতাজা করে থাকেন।কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করার জন্য গরুর মাংসপেশীতে ভারতীয় ডেক্সামেথাসন ইনজেকশন দেয়া  হয় এবং খাওয়ানো হয় স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট।


ক্ষতিকর এ সব বিষাক্ত ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে কোরবানির অনুপযোগী অল্পবয়স্ক, অস্বাস্থ্যবান ও চিকন গরুকে অতি দ্রুত স্বাস্থ্যবান করে তোলা হয়।এই সমস্থ ওষুধ শুধু পশুর জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং মানবদেহের জন্যও স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 



ক্ষতিকর এ সব বিষাক্ত ওষুধ  প্রয়োগ করার ফলে গরুর উরু অনেক বেশি মাংসল মনে হয়। অতিরিক্ত হরমোন প্রয়োগ করার ফলে গরুর  পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখায়।স্টেরয়েড গ্রুপের ট্যাবলেট খাওয়ালে গরুর প্রস্র্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রস্র্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে শরীরে পানি জমতে শুরু করে। যার ফলে হাড্ডিসার গরুও মোটাতাজা দেখায়।

ওষুধের ক্রিয়াক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে একটা  নির্দিষ্ট সময়  পরে  গরু  মারা যেতে পারে এবং  শরীরের পানি কমে গিয়ে গরুর স্বাস্থ্য আবার পুর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে।  অর্থাৎ পানি জমে যে স্বাস্থ্যবান দেখাইতেছিল তা কমে যায়। এরকম গরুর গোস্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক  ক্ষতিকর।


হরমোন বা স্টেরয়েড গ্রুপের ট্যাবলেট  গরুর রক্তের সঙ্গে মিশে গরুর কিডনি, ফুসফুস, যকৃতে ছড়িয়ে পড়ে সেগুলোতে পচন ধরিয়ে দেয়। একই সঙ্গে গরুর শরীরে পানি জমে যায়। স্টেরয়েড মিশে যায় গরুর গোশতের সঙ্গেও। ক্ষতিকারক বিষাক্ত ওষুধ খাওয়ানো হলে গরুর গোশত রান্নার পরও তার অবশেষ গরুর গোশতের মধ্যে রয়ে যায়।পরে এসব গরুর গোশত খেলে মানুষের দেহেও ওই স্টেরয়েড ঢুকে পড়ে এবং একই প্রক্রিয়ায় মানুষের কিডনি দ্রুত নষ্ট করে দেয়।  মানুষের বিপাক ক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায়।  রক্ত বিষাক্ত করে। শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সিরাজগঞ্জের সদর, শাহজাদপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া; বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রাণীগ্রাম বাজারের ওষুধ ও মুদি দোকানেও এসব ট্যাবলেট  বিক্রি করা হয়। দোকানগুলোতে এসব বড়ির গোপন নাম ‘লাল-সাদা ট্যাবলেট’।কোরবানি উপলক্ষে শুধু শাহজাদপুরেই হাজার হাজার গরু মোটাতাজা করা হয়েছে।


বিষাক্ত গরুগুলো কিভাবে চিনবেন? 


কোরবানির পশুর হাটের অস্বাভাবিক রকমের মোটাতাজা, বিশালদেহী গরুগুলোই সবসময়  নজর কাড়ে মানুষের। ক্ষতিকর এ সব বিষাক্ত ওষুধ  প্রয়োগ করার ফলে গরু খুব শান্ত, নীরব ও নির্জীব হয়। আসলে গরু খুব অসুস্থ থাকে যার কারণে  বাহির থেকে বুঝা যায় না এবং গরু ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে আঙ্গুল  ভিতরে দেবে যাবে। কারণ বাইরে থেকে গোশত মনে হলেও আসলে  গোশতের সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে পানি থাকে। 


কৃত্রিম উপায়ে মোটা বানানো এসব গরু নির্জীব থাকার ফলে সেইসব গরুকে  চটপটে করতে বিভিন্ন  ট্যাবলেট, টনিক আর উদ্দীপক উপাদান মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। 


গরুর মুখে অতিরিক্ত লালা বা ফেনা লেগে থাকাও কৃত্রিম উপায়ে গরুকে মোটা করার আরেকটি লক্ষণ।


গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দেখেও গরুকে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে কি না-তা নিশ্চিত করা সম্ভব। ট্যাবলেট খাওয়ানো হলে গরু দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ফেলে। গরুকে খুব ক্লান্ত দেখা যায় আর সারাক্ষণ হাঁপাতে থাকে। 



এজন্য বেশি বা অতিরিক্ত মোটাতাজা নাদুস নুদুস গরুর পরিবর্তে দেশি কম স্বাস্থ্যের হাড্ডিসার গরুই অনেক ভালো। হয়তো একসময় সে রকম গরুর চাহিদা বাড়বে। আর আমাদের অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা ইনেজেকসন দিয়ে  আর ট্যাবলেট খাইয়ে নাদুস নুদুস গরূকে হালকা-পাতলা বানিয়ে ফেলবে।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটি লাইক দিয়ে আমাদের উৎসাহ দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 


Sunday, June 2, 2024

মঙ্গা কি? বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলকে মঙ্গাপীড়িত এলাকা বলা হয় কেন?

দরিদ্র্যতা ও ক্ষুধার অবস্থাকে প্রকাশ করার জন্য মঙ্গা শব্দটা ব্যবহার করা হয়।'মঙ্গা’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে উত্তরাঞ্চলে।  মঙ্গা বলতে উত্তর অঞ্চলের বাৎসরিক দারিদ্র্যতা ও ক্ষুধার অবস্থাকে বোঝায়। এটি "মরা কার্তিক" নামেও পরিচিত , যার অর্থ "মৃত্যু এবং দুর্যোগের মাস"।


উত্তরাঞ্চলের কৃষিভিত্তিক মানুষের জীবনের সঙ্গে এখনো জড়িয়ে আছে মঙ্গা শব্দটি। এখন বাহ্যিকভাবে উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা নেই, মঙ্গা হয় না। কিন্তু মঙ্গার স্মৃতি তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়, আবার কখন মঙ্গারূপী  দারিদ্র্যতা তাদের সামনে এসে হাজির হয়।


বৃহত্তর  রংপুর অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ  এর বেশি কৃষিশ্রমিক। যাদের নিজেদের জায়গাজমি নেই। অন্যের জমিতে কাজ করে যে পারিশ্রমিক পান, তা দিয়েই পরিবারের ক্ষুুধা নিবারণ হয়। 



মঙ্গা বছরের যে সময়টিতে হতো  তা হলো প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ  আমন ফসল রোপণ করার পরে বাংলা মাস হিসেবে সময়টা হলো বছরের আশ্বিন-কার্তিক -অগ্রাহায়ন মাস। মঙ্গার সময়  প্রত্যেক বছর উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২০ থেকে ২৪  লাখ মানুষ , এক বেলা খেয়ে বা না খেয়েই বেঁচে থাকেন। এ সময়  উত্তর অঞ্চলের মানুষ খাবারের অভাবে তাদের গ্রাম ছেড়ে ঢাকা, কুমিল্লা এবং দক্ষিন পচশিমঞ্চলে কাজের  অনুসন্ধান করত। যারা অন্য কোথাও কাজের জন্য যেত না তাদেরকে  নিজেদের এলাকায় বেকার বসে থাকতে হত।  কৃষি শ্রমিক বা কৃষিজীবী মানুষগুলো  ঘরে সঞ্চিত খাদ্য শেষ হয়ে এলে তারা মহাজন, জোতদার কিংবা দাদন ব্যবসায়ীর দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াত শস্য কিংবা নগদ অর্থ কর্জের জন্য। মহাজন, জোতদার বা দাদন ব্যবসায়ীরাও এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করত কিভাবে লাভবান হওয়া যায়।  একবার মহাজন, জোতদার বা দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করলে দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক শ্রম বা ফসলের ভাগ দিয়ে ঋণ শোধ করতে হতো। ফলে এই কৃষিনির্ভর দরিদ্র মানুষেরা ক্রমেই দুর্বিষহ অবস্থায় পতিত হতো। উত্তরাঞ্চলে এই নীরব দুর্ভিক্ষই ‘মঙ্গা’ নামে খ্যাতি পায়।


 উত্তরাঞ্চল বাংলাদেশের শস্যভাণ্ডার হিসেবে  পরিচিত এখানেই সবচেয়ে বেশি চাল ও সজ্বি উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। যমুনা নদীর উপর সেতু হওয়ার পরে সবাই মনে করেছিল  উত্তরাঞ্চলের মানুষেরা অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি পাবে। এই সেতু তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে কিন্তু সেখানে  উৎপাদিত শস্য ও সবজির  সুযোগ নিয়ে যায় মধ্যস্বত্বভোগীরা। তারা অনেক কম মূল্যে উত্তরাঞ্চলে উৎপাদিত শস্য ও সবজি কিনে চড়া দামে ঢাকাসহ বড় বড় শহরের পাইকারি আড়তগুলোতে বিক্রি করে।

আসলে  যেই সেতু  তাদের অর্থনৈতিকজীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হয়েছিল তা এখন পর্যন্ত আশানুরূপ তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।

উত্তর অঞ্চলে ইপিজেড হওয়ার কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, এবং তারা আগে  তাদের এলাকার বাইরে চাকরি করতে যেতে ভয় পেত বা অনীহা প্রকাশ করত এখন তারা অনেকেই  ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি  করছে। সেই সাথে  যোগাযোগ ব্যবস্থারও তুলনামূলক  উন্নতি হয়েছে, আগে যেখানে উত্তরাঞ্চলের জমিগুলোতে  সাধারণত সারা বছর একটা ফসলের আবাদ হতো  এখন একের অধিক শস্য  এবং সবজির চাষ হয়।  


তারপরও উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা পরিস্থিতির ওপর পরিচালিত গবেষণায় বলা হচ্ছে, কয়েক দশকের সরকারি ও বেসরকারি নানা ধরণের কর্মসূচি সত্ত্বেও সার্বিক পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি উত্তরাঞ্চলের মানুষের।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। 


আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ে...