সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং দরুদ ও সালাম আমার নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য।
নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, আল্লাহ্ পাক আরাফাতের দিনের মত অন্য কোন দিন এত অধিক লোককে জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত দেন না। আল্লাহ পাক সেদিন দুনিয়ার নিকটবর্তী হন এবং ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করেন যে, দেখ এরা কি চায়?"
নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হজ্বে রওয়ানা হয়ে পথে ইন্তেকাল করে, কেয়ামত পর্যন্ত সে হজ্বের ছওয়াব পেতে থাকবে আর যে ব্যক্তি ওমরাহ করার জন্য বাহির হয়ে ইন্তেকাল করে, সে কেয়ামত পর্যন্ত ওমরার ছওয়াব পেতে থাকবে। আর যে জেহাদের জন্য বাহির হয়ে মারা যায় কেয়ামত পর্যন্ত সে জেহাদের ছওয়াব পেতে থাকবে। (তারগীব)/
এক হাদীছে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি মক্কা শরীফ যাওয়ার পথে বা আসার পথে মারা যাবে তার কোন হিসাব নিকাশ নাই। অন্যত্র আছে যে হজ্বের পরে ফিরে আসার সময় মারা গেল সে সওয়াব ও গনিমত নিয়ে ফিরল।
“নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,' হাজী কখনও ফকীর হতে পারে না । ' অন্য হাদীছে আছে, বেশী করে হজ্ব ও ওমরা করলে মানুষ আর গরীব থাকে না। অন্য হাদীছে আছে, বেশী বেশী করে হজ্ব ও ওমরা করা অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে এবং অভাব দূর করে।
আর আমরা অনেক আহাম্মকরা মনে করি হজ্জ ও উমরাহ করলে অনেক টাকা চলে যাবে এবং আমরা আর্থিক সংকটের মধ্যে পরব। এইজন্য সামর্থ্য থাকা সত্বেও গরিমষী করে।
অন্য হাদীছে আছে, হজ্ব কর, ধনী হয়ে যাবে, ছফর কর স্বাস্থ্যবান হবে। এটা পরীক্ষিত যে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে স্বাস্থ্য ভালো হয়ে যায়, অন্য হাদীছে আছে ক্রমাগত হজ্ব ও ওমরা করা অভাব ও গোনাহকে এভাবে দূর করে, যেমন লোহা গলানোর চুল্লী লোহার ময়লা দূর করে। "/
আসলে শয়তান কখনো চায় না মানুষ হজ্জ উমরাহ করুক, মক্কা মদিনায় যাক। কারণ মক্কা মদিনায় গিয়ে হজ্জ উমরাহ করার পরিবর্তে শয়তান আমাদেরকে সারা পৃথিবী ঘুরে দেখার উৎসাহ যোগাবে,ও-ই দেশে যাও ঘুরে দেখ। হজ্জ উমরাহ করলে যে গুনাহ মাফ হয় শয়তান কি তা চায়? শয়তান চায় মানুষ সব জাহান্নামি হয়ে তার সাথে একত্রে জাহান্নামে থাকুক। যাহোক,
হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৫,২৫২ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। বাংলাদেশ থেকে মোট ২১৮ টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরবে পৌঁছান।
বাংলাদেশের হজ্জ পোর্টালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর হজ করতে গিয়ে ২১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা। এর মধ্যে মক্কায় ১৬ জন, মদিনায় ৪ জন এবং মিনায় ১ জন মারা গেছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল অনুযায়ী, ২০ শে জুন থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট আসতে শুরু করেছে এবং হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি ২২ জুলাই দেশে পৌঁছাবে।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটি লাইক দিলে নতুন ভিডিও বানানোর জন্য আমাদের উৎসাহ বাড়বে এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment