যদি কারো একটু হাটলে বা পরিশ্রম করলে বুক ধড়ফড় করে বুকে চাপ লাগে, সিঁড়ি ব্যবহার করলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাবে, তা হলে ঐ ব্যক্তির অবশ্যই একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।হার্টের রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টি হওয়ার কারনেই হার্টে রিং পরানো হয়। যার হার্টে রিং পরানো হয়েছে এ থেকে বুঝতে হবে যে তার হার্টে ব্লক পাওয়া গিয়েছিল।
যাহোক রিং পরালেই একজন রোগী ভালো হয়ে যাবে তা না রিং পড়ানো বা স্টেন্টিং এর পরে আসল চিকিৎসা শুরু হয়। কারণ রিং পড়ানোর পরে যদি রোগীর জীবনে শৃঙ্খলা না আসে তাহলে এত ব্যবহুল চিকিৎসা করে রিং পড়ানো বৃথা। হৃদযন্ত্রের যে স্থানে ব্লক ধরা পড়ে চিকিৎসকরা সেখানে রিং বসিয়ে রক্ত চলাচলের জন্য একটা রাস্তা করে দেন।//
রিং পরানোর পর চিকিৎসক রোগীকে কিছু ওষুধ দিয়ে থাকেন তার রক্তকে পাতলা রাখার জন্য।
কিন্তু রোগী যদি সেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন, তা হলে রক্ত জমাট বেঁধে রিং দিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।এবং পুনরায় রিং পড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। এইসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
হার্টে রিং পড়ানোর পরে আমাদের করনীয় ১৩ টি কাজ ://
ধূমপান থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত রাখতে হবে।কারন হার্টের রোগের জন্য ধুমপান অনেকাংশে দায়ী।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ব্লাড সুগার সকালে খালি পেটে ৬-৮-এর মধ্যে ও ব্লাড প্রেসার ১২০/৮০ এর মধ্যে থাকলে ভালো হয়।
নিয়মিতভাবে কমপক্ষে আধাঘন্টা হাঁটলে ভালো , যা হার্টের ছোট ছোট রক্তনালিকে খুলে দিতে সাহায্য করে।নিয়মিত হাটার অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে, ক্যালোরিকে পোড়ায় এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।/
রক্ত তরল রাখার ওষুধ ও চর্বি যাতে বেশি না বাড়ে এই জাতীয় ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খেতে হবে।
ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
প্রথম প্রথম প্রতি ২ সপ্তাহে একবার ডাক্তারের পরামর্শ ও পরীক্ষা করার জন্য আসা উচিত,সব ঠিক থাকলে মাসে একবার, তারপর প্রতি ৩ মাসে একবার, তারপর প্রতি ৬ মাস পরপর ডাক্তারের পরামর্শের ও পরীক্ষা করার জন্য আসা উচিত।//
হার্টের রোগীদের চর্বিজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিহার করা উচিত । যেমন গরুর গোশত , খাসির গোশত ,ঘি, মাখন, কেক, ডিমের কুসুম, পুডিং এবং বেশি তেল দিয়ে রান্না করা খাবার।সেইসাথে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কমিয়ে দিতে হবে।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বাদ দিতে হবে।অতিরিক্ত লবন খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের দিকে ধাবিত করে এবং হার্ট অ্যাটাক এর ঝুকি বাড়ায়। ৮
পুর্ব থেকে কোন রোগ থেকে থাকলে তার জন্যও নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।/৯
পরিশোধিত চিনি এবং চিনি দিয়ে তৈরি খাবার পরিহার করা উচিত কারন চিনি ওজন বৃদ্ধি করে এবং হার্ট এর রোগের ঝুকি বাড়ায়। ১০
যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি তাদের প্রতি বছর কমপক্ষে একবার করে তাদের কোলেস্টেরল পরিমাপ করা উচিত।কারণ কোলেস্টেরল রক্তনালি ব্লক করে দেয়। ১১
যেইসমস্থ অমুসলিম মদ পান করেন তাদের উচিত হার্টকে ভালো রাখার জন্য মদ কম পান করা বা পারলে ত্যাগ করা,কারন মদ পান অনেক অবাঞ্চিত স্বাস্থ্যসমস্যার সৃষ্টি করে। আর কোন মুসলিম যদি মদ পান করার অভ্যাস করে সে কখনো দুনিয়া এবং আখেরাতে শারিরীক ও মানসিক শান্তি পাবে না। ১২
ফাস্ট ফুড এবং বেশি বেশি ভাজা খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ এরা কোলেস্টেরলের ঝুকি বাড়ায়। এবং আমাদের ছোট ছেলে মেয়েদেরকেও ফাস্ট ফুড থেকে বিরত রাখা উচিত। ১৩
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটি লাইক দিলে নতুন ভিডিও বানানোর জন্য আমাদের উৎসাহ বাড়বে এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment