এই মাসের ৯ ই জুন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য একটা যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে গেছে।
বিশ্বব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ৫০ বছরের পেট্টোডলার চুক্তিটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব। গত ৯ জুন রোববার চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
নতুন কোনো সমঝোতা না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌদি আরবের ৫০ বছরের পুরনো পেট্রোডলার চুক্তিটি শেষ হয়ে গেছে।'/
১৯৭৪ সালের ৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং সৌদি আরবের প্রিন্স ফাহদ ইবনে আব্দুল আজিজ চুক্তিটি করেন। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা হিসেবে চুক্তিটি হয়।চুক্তিটিতে নিশ্চিত করা হয় যে ওপেক সদস্যরা তেল বিক্রি করবে মার্কিন ডলারে। এর বিনিময়ে সৌদি আরবকে সামরিক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদি আরব এখন থেকে কেবলমাত্র মার্কিন ডলার ছাড়াও চীনা আরএমবি, ইউরো, ইয়েন, বিটকয়েন এবং ইউয়ানসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রায় তেল বিক্রি করতে পারবে যার খারাপ প্রভাব আমেরিকার অর্থনীতিতে গিয়ে পড়বে।/
এখন এই চুক্তির অবসানের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা বদলে যেতে পারে।
এবং বিশ্বের রিজার্ভ কারেন্সিতে মার্কিন ডলারের আধিপত্য দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। যার ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের চাহিদা কমে যেতে পারে।
সৌদি আরব চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, সুদের হার আকাশচুম্বি হতে পারে, মার্কিন বন্ড এর বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
এই ঘটনার ফলে বিশ্বে নতুন সমীকরণের সৃষ্টি হতে পারে। সৌদি আরব এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে চীন,রাশিয়া এবং ব্রিকস দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে পারবে। /
বিশেষজ্ঞরা সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তের পিছনের কারণগুলিকে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বলেন এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়া ব্রিকস জোটের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ছিল ডলারের উপর তার এবং ব্রিকস দেশগুলোর নির্ভরতা হ্রাস করা। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এর বিরুদ্ধে লড়াই করার সীমিত বিকল্প আছে। ডলারের আধিপত্যের সম্ভাব্য পতনের ফলে মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলির আর্থিক ব্যবস্থাগুলির পুনর্মূল্যায়ন করতে হতে পারে।
এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ফলে আমেরিকার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, জাতীয় বাজেট ঘাটতি এবং ফেডারেল বাজেটের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে উচ্চ করের দিকে নিয়ে যেতে পারে। উপরন্তু, ডলারের মূল্য কমে যাওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী আমেরিকানদের ভ্রমণ এবং অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য ক্রয় করাকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলতে পারে।
যাহোক সামনের বছরগুলোতে আমরা দেখতে পাবো সৌদি আরব এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী আমেরিকান ডলারের কি পরিবর্তন হয়।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment