আমরা ছোটবেলা থেকেই আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো দেখতে অভ্যস্ত এবং তার সাথে বজ্রপাতের শব্দের সাথে পরিচিত।
সব বজ্রপাত মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয় যেগুলো আকাশেই থেকে যায় সেগুলো দ্বারা মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না কিন্তু যেগুলো মাটিতে নেমে আসে তা মানুষের জন্য অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়।
একটা বিদ্যুৎ চমকানো বজ্রপাতের স্থায়িত্ব সময় কাল হলো ৩০ মাইক্রো সেকেন্ড। এক মাইক্রো সেকেন্ড হলো এক সেকেন্ডের ১০ লক্ষ ভাগের একভাগ। এক সেকেন্ড কে ৩৩ হাজার ৩৩৩ দিয়ে ভাগ করলে যা হয় তাই ৩০ মাইক্রো সেকেন্ড। এবং বজ্রপাত একটি বুলেটের চেয়ে প্রায় ৩০,০০০ গুণ দ্রুত চলে।এজন্য কোন চলমান প্রাণীর উপর যদি বজ্রপাত হয় তার দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
সারা বিশ্বে প্রতি বছর বজ্রপাতে প্রায় ২৫,০০০ মানুষ বজ্রপাতে মারা যায় এবং ২,৫০,০০০ আহত হয়।শুধু আমেরিকাতেই প্রতিবছর দুই কোটির বেশি বজ্রপাত হয়। পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে লক্ষ লক্ষ বজ্রপাত সৃষ্টি হয়।
একটি বজ্রপাতের দ্বারা যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় তা সূর্যপৃষ্টের উৎপন্ন তাপমাত্রার পাঁচ গুন।
এক একটি বজ্রপাতের ফলে বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। মেঘ থেকে ভূমিতে হওয়া একটি সাধারণ বজ্রপাতে প্রায় ১ এক বিলিয়ন ওয়াট বা ১ বিলিয়ন জুল বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ হল ডিসি কারেন্ট। আমরা বাসাবাড়িতে ২২০ ভোল্ট এর বিদ্যুৎ ব্যাবহার করি। সাধারণ হিসাবে বজ্রপাতের দ্বারা সৃষ্ট এই বিদ্যুৎ একটি ছোট শহরের পুরো দিনের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। আমেরিকাতেই প্রতিবছর এরকম দুই কোটির বেশি বজ্রপাত হয়। আর বাংলাদেশে প্রতিবছর সাত আট লক্ষ বজ্রপাত হয়। এর মধ্যে যে বজ্রপাত গুলো সরাসরি মাটিতে নেমে আসার পরে মানুষের উপর পতিত হয় তাতেই আমাদের দেশে প্রতি বছর গড়ে ৩২০ থেকে ৩৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। যেটা পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি।
ইনশাআল্লাহ বজ্রপাত নিয়ে আরো কিছু ভিডিও দিব।
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment