পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন স্ট্রোকে। এতে মৃত্যুহারও সর্বোচ্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে দ্বিতীয় প্রধান মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক। অসংক্রামক ব্যাধির মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে হৃদরোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান এবং শারীরিক অক্ষমতার জন্য স্ট্রোক সবচেয়ে বেশি দায়ী।
আমরা ইদানিং হিট স্ট্রোক সম্পর্কে খুব শুনছি, পত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণায় আর হার্ট ও ব্রেন স্ট্রোক তো আমরা আগে থেকেই জানি। ডাক্তাররা নতুন আরেকটা স্ট্রোকের কথা বলছেন তা হল আই স্ট্রোক,যার ক্ষতি এবং লক্ষণ সমূহের ব্যাপারে আমরা খুব কম জানি। //
চোখের গুরুত্ব কতখানি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কিছু ভুলের কারণে আপনার চোখেও স্ট্রোক হতে পারে। কিভাবে জানেন কি? চোখের স্ট্রোকের প্রধান ভিলেন হলো আমাদের অতি পরিচিত কোলেস্টেরল। চোখের পিছন দিকে একটা সরু টিস্যু থাকে যাকে রেটিনা বলা হয় যাতে রক্ত পৌঁছয় রেটিনা ধমনী এবং শিরার মাধ্যমে । চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এই রেটিনা। কিন্তু যখন এই রেটিনার শিরাগুলো ব্লক হয়ে যায় রক্ত তখন রেটিনা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। রেটিনার শিরাগুলি যখন ব্লক হয়ে যায় তখনই হয়ে থাকে আই স্ট্রোক। এই সকল রক্তনালীগুলিতে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ না হলে সেগুলিতে ব্লকেজ দেখা দেয়। আসলে চোখের রেটিনার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মস্তিষ্কের। তাই রেটিনার মধ্যে হঠাৎ করে যদি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তখনই ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে একেবারেই দৃষ্টি শক্তি চলে যেতে পারে।
এই রোগটি সাধারণত যাঁদের বয়স ৫০ বছরের বেশি মূলত তাঁদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
যাদের আই স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা বেশি তারা হলো :
১) যাদের উচ্চ রক্তচাপ ভুগছেন ।
২) যাদের বয়স ৫০ অতিক্রম করেছে।
৩) এবং যাদের ডায়াবেটিস আছে।
আই স্ট্রোক হবার লক্ষনগুলো হল :
১) চোখে অসম্ভব যন্ত্রণা হবে।
২) চোখে সব কিছু ঝাপসা দেখবেন ।
৩) চোখের সামনে লম্বা লম্বা লাইন দেখতে পাবেন।
৪) একটা চোখের দৃষ্টি খারাপ হয়ে যাবে।
৫) এরকম মনে হতে পারে যে আপনার দেখার সময় চোখের সামনে কিছু একটা ভাসছে।
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment