মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি কম বেশি আমাদের সবারই আসক্তি আছে।কিন্তু সুগার ফেইস বা মিষ্টি মুখ কথাটি বেশি চিনি খাওয়ার ফলস্বরূপ চেহারার দুরবস্থার কথা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ সুগার ফেইস বাক্যটি শুনতে ভালো লাগলেও আমরা যারা চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ করি তাদের জন্য দু:সংবাদ।
আমরা যে চিনি খাই তার রাসায়নিক নাম হলো সুক্রোজ। চিনি হল সুক্রোজ যা দুটি শর্করা গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ দিয়ে তৈরি।আখ, সুগার বিট, সুগার ম্যাপল স্যাপ,খেজুর, মধু, সমস্ত সবুজ উদ্ভিদ,ফলমূল ইত্যাদিতে প্রাকৃতিকভাবে সুক্রোজ পাওয়া যায়। বাণিজ্যিকভাবে সুক্রোজ উৎপাদন করা হয় আখ এবং চিনির বীট থেকে।
আমাদের দেহের বেঁচে থাকার জন্য শর্করা বা গ্লুকোজ নামক এক ধরনের চিনির প্রয়োজন যা আমাদের শরীরের জ্বালানি এবং মস্তিষ্কের এক নম্বর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সহযে প্রাপ্ত কার্বোহাইড্রেট, যেমন পরিশোধিত চিনি, সাদা রুটি এবং সোডা, আমদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়, যা সারা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে।প্রদাহ পরিবর্তিতে , এনজাইম তৈরি করে যা কোলাজেন এবং ইলাস্টিনকে ভেঙে দেয়, যা ছিল অত্যাবশ্যক প্রোটিন যা ত্বককে দৃঢ় এবং স্থিতিস্থাপক রাখত। কোলাজেন এবং ইলাস্টিনকে ভেঙে দেয়ার ফলে গালের নিচের অংশে চামড়া ঝুলে যায়, মুখে বলিরেখা সৃষ্টি হয়,মুখে বিভিন্নরকম গোল গোল রঙিন দাগ বা হাইপারপিগমেন্টেশনও সৃষ্টি হয়, বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে অর্থাৎ দ্রুত মুখে বয়সের ছাপ ভেসে উঠে , মুখে ব্রন সৃষ্টি হয় ত্বকের পৃষ্ঠ শক্ত এবং তেল তেলে দেখায়,রিংকেল, ডার্ক সার্কেল, বিভিন্নরকম ক্রচহ্যাচ রেখা উপরের ঠোঁট বরাবর দেখা যায়, গভীর ফাটল দেখা দেয় বিশেষ করে হাসির লাইনের চারপাশে।
চেহারার এইসমস্থ ক্ষতি থেকে বাচতে লাইলে
আমাদের চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে। খাওয়া যাবে কিন্তু বেশি পরিমাণে না।
আজ এইপর্যন্তই। ভিডিওটি ভালো লাগলে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথে থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment