প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থগুলোর রচয়িতা মুহাদ্দিসগন প্রায় সবাই ফেকাহ শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ ও অনুসরনীয় ইমামদের পরের যুগের।
ফুকাহা কেরামের মধ্যে যারাঃ
ইমাম আবু হানীফা (রঃ)এর জন্য ৮০ হিজরীতে , মৃত ১৫০ হিজরী
ইমাম মালেক(রঃ)জন্ম ৯৩ হিজরীতে ,
মৃত্যু ১৭৯ হিজরী
ইমাম শাফেয়ী(রঃ)এর জন্ম ১৫০ হিজরীতে , মৃত্যু ২০৪ হিজরী
ইমাম আহমদ (রঃ) এর জন্ম ১৬৪ হিজরীতে , মৃত ২৪১ হিজরী
অপরপক্ষে মুহাদ্দিসীনে কেরামের মধ্যে
ইমাম বুখারী(রঃ) এর জন্ম ১৯৪ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৫৬হিজরী
ইমাম আবু দাউদ (রঃ) এর জন্ম ২০২ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৭৫হিজরী
ইমাম মুসলিম (রঃ) এর জন্ম ২০৪ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৬১হিজরী
ইমাম ইবনে মাজা (রঃ) এর জন্ম ২০৭ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৭৩ হিজরী
ইমাম তিরমিজি (রঃ) এর জন্ম ২০৯ হিজরীতে ,মৃত্যু ২৭৯ হিজরী
ইমাম নাসায়ী (রঃ) এর জন্ম ২১৫ হিজরীতে ,মৃত্যু ৩০৩হিজরী ,
কাজেই পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিসদের কোন গ্রন্থের মন্তব্য দ্বারা ইমামদের প্রতি আপত্তি করা মােটেই সঙ্গত হবে না , বিশেষতঃ ইমাম আবু হানীফা (রঃ) যেহেতু সবার আগের যুগের ছিলেন এবং ইমাম বুখারী ও মুসলিম সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ ছিলেন প্রায় এক শতাব্দী পরের সেহেতু বুখারী ও মুসলিমের কোন সহী হাদীস দেখেই এ মন্তব্য করে দেয়া যাবে না যে , ইমাম আবু হানীফা ইচ্ছাকৃত সহী হাদীসের পরিপন্থী ফতােয়া পেশ করেছেন ।
অনুরূপ , বুখারী মুসলিমে অথবা সিহা সিত্তায় কোন হাদীস নেই বলেই এ মন্তব্য করা যাবে না যে , হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয় অথবা দুর্বল । কেননা , নিঃসন্দেহে পূর্বযুগের ইমামগণের সংগ্রহে এদের তুলনায় হাদীস সংখ্যা অধিক ছিল এবং তাদের সূত্র ছিল এদের তুলনায় অধিক প্রবল । আল্লামা ইবনে তাইমিয়া বেশ উদারতার সাথে এ বাস্তবতা স্বীকার করে লিখেছেন ,
"বরং এসব হাদীসগ্রন্থ সংকলিত হওয়ার পূর্ববর্তী যুগের লােকেরা এদের তুলনায় সুন্নতে রাসূল সম্পর্কে অনেক বেশী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন । কেননা , এমন অনেক হাদীস তাদের কাছে পৌছেছে এবং সহী বলে প্রমাণিত হয়েছে যা আমাদের নিকট মােটেই পৌছেনি কিংবা অপরিচিত বা মুনকাতি (মধ্য সুত্র বিচ্ছিন্ন) সনদে পৌছেছে।"
(রাফউল মালাম আনিল আইম্মাতিল আ'লাম , পৃষ্ঠা- ১২ দারুল কুতুব বইরুত কর্তৃক দ্বিতীয় সংস্করণ )
উৎস কিতাবঃমাযহাব কি ও কেন
No comments:
Post a Comment