Sunday, May 17, 2020

'প্লাজমা থেরাপি' কী? এর মাধ্যমে কি করোনা রোগী সুস্থ হতে পারবে?

প্লাজমা থেরাপি' চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি।

 কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে যাঁরা সুস্থ  হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন  তাঁদের দেহে একটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যার মাধ্যমে তারা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়। এখন অন্য কোনো আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি সুস্থ হওয়া ব্যক্তির প্লাজমা দেওয়া হয় তবে সুরক্ষা মেলে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ  কোন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই রক্ত সঞ্চালিত করা হয় একই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের শিকার রোগীর দেহে।

সেই অ্যান্টিবডি যুক্ত প্লাজমা সংগ্রহ করে করোনা আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে ঢুকিয়ে ভাইরাসটিকে মেরে ফেলা হয়। তবে সব রোগীর অ্যান্টিবডি সমান নয়। সাধারণত নারীদের শরীর থেকে নেয়া হয় না। তাছাড়া বৃদ্ধ এবং শিশুদের শরীর থেকেও নেয়া হয় না। কারণ শিশু ও বৃদ্ধদের অ্যান্টিবডি দুর্বল থাকে। প্লাজমা নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হল ২০ থেকে ৩৫ বছরের সুস্থ যুবক। কোনো মুমূর্ষু রোগীকে এটা দিতে হলে অবশ্যই কোনো করোনা আক্রান্ত সুস্থ ব্যক্তির রক্ত নিতে হবে।

(ভারতে তাবলীগ জামাত এর মোহাম্মাদ মহসিন নামে একজন তার করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পরে অন্যের জন্য প্লাজমা তৈরির জন্য রক্ত দিচ্ছেন)         

এই পদ্ধতিতে ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুর মহামারি এবং ১৯৩০ এর দশকে হামের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছিল। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলা, সার্স এবং ‌'এইচ-ওয়ান-এন-ওয়ান' এর মতো রোগের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানুষের রক্তের জলীয় অংশকে বলা হয় প্লাজমা। রক্তে প্লাজমা থাকে ৫৫ ভাগ। করোনাজয়ীর অ্যান্টিবডি থাকে রক্তের প্লাজমায়। সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা করোনায় সংক্রমিত অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয় বলে এই চিকিৎসাপদ্ধতির নাম হয়েছে 'প্লাজমা থেরাপি'।

বাংলাদেশে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে প্লাজমা দেয়ার মতো যোগ্য মানুষের সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ জনের বেশি নয়।

লিংক-১
লিংক-২
লিংক-৩


No comments:

Post a Comment

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলে কি হবে?

সৌদি আরবে আজ রবিবার ইদুল ফিতির। আর আমাদের দেশে ইনশাল্লাহ সোমবার ঈদ উদযাপিত  হবে।  আজ বাংলাদেশের কিছু এলাকায় ঈদ উদযাপিত হবে। তারা সৌদি আরবের ...