শত শত বছর ধরে টক দই আমাদের দেশের মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। যেমন খাওয়ার জন্য,পেট ঠাণ্ডা রাখার জন্য, খাবার হজমের জন্য এবং রুপ চর্চ্চায়। ব্রণের সমস্যা দূর করতে, ত্বকের বিভিন্ন ময়লা দাগ পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই টক দই ব্যবহার করেন।
Friday, May 31, 2024
Wednesday, May 29, 2024
How a Nuclear reactor work? একটা পারমাণবিক চুল্লী কিভাবে কাজ করে?
Nuclear reactors operate on the principle of nuclear fission. Nuclear fission occurs when a neutron bombardment happened with a larger atom, forcing it to excite and split into two smaller atoms—also known as fission products. Additional neutrons are also released that can initiate a chain reaction. When each atom splits, a tremendous amount of energy is released.The kinetic energy produced during the fission reaction is converted into thermal energy.Fission releases a tremendous amount of energy in the form of heat.Uranium is the fuel most widely used in nuclear reactors at power plants. //
At the center of a nuclear reactor is the core, which contains fuel fabricated from uranium ore. Uranium ore is mined and processed to be eventually formed into ceramic pellets.
Nuclear power reactors use heat to boil water and produce pressurized steam.
The water in the core is heated by nuclear fission and then pumped into tubes inside a heat exchanger. Those tubes heat a separate water source to create steam. The steam is routed through the reactor steam system to spin large turbines blades that drive magnetic generators to produce electricity. The core water cycles back to the reactor to be reheated and the process is repeated.//
Any nuclear reactor that produces power via the fission of uranium (U-235) or plutonium (Pu-239) by bombardment with neutrons must have at least some key components: nuclear fuel consisting of fissionable material, The Core,a nuclear moderator, reactor coolant, control rods, The Cooling Tower, and a shield or containment system.//
Fissile materials are materials that can undergo the fission reaction. They are the key component of nuclear weapons or other nuclear explosive devices. Those mostly used in nuclear weapons are highly enriched uranium (U-235 isotope of uranium) and plutonium (Pu-239 isotope of plutonium
The Core: It contains all the fuel and generates the heat required for energy production.
The Coolant: It passes through the core, absorbing the heat and transferring into turbines.
Control rods are used in nuclear reactors to control the rate of fission of the nuclear fuel– uranium or plutonium.
The Turbine: Transfers energy into the mechanical form..
⦁ The Cooling Tower: It eliminates the excess heat that is not converted or transferred.
⦁ The Containment: The enveloping structure that separated the nuclear reactor from the surrounding environment.
Nuclear fission is nearly 8,000 times more efficient at producing energy than traditional fossil fuels: oil, gas and coal.
Thanks for watching
please like the video and subscribe the channel.
Saturday, May 25, 2024
ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত ১ থেকে ১১ এর অর্থ কি? ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কি?
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি রবিবার (২৬ মে) দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ রূপ নিতে পারে। এটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও ভারতের কিছু অংশের ওপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০ নং মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করেছে।
এই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বলতে মূলত কী বোঝানো হয় বা ১ থেকে ১১ নং সংকেতের কী অর্থ তা আমরা অনেকেই জানি না। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ১ নম্বর হচ্ছে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত, ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত, ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত, ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত, ৫, ৬ ও ৭ বিপদ সংকেত, ৮, ৯ ও ১০ মহাবিপদ সংকেত এবং ১১ নম্বর ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ডতার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে দেয়া হয়।//
১ নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত:
বাতাসের গতিবেগের ভিত্তিতে সাগরে বায়ুচাপ ও ঝড়ের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে বেশি হলে ঘূর্ণিঝড় ধরা শুরু করা হয়। সমুদ্রবন্দরের জন্য সঙ্কেতগুলো ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত : বঙ্গোপসাগরে দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা পরিণত হতে পারে সামুদ্রিক ঝড়ে।
২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত:
স্থলভাগ থেকে দূরে গভীর সাগরে ঝড় সৃষ্টি হলে এবং সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার হলে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়া হয়। এই সংকেত থেকে বোঝা যায়, বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।
৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত:
৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেয়া হয় বন্দর ও বন্দরের বাইরে নোঙর করা জাহাজগুলো দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে। এক্ষেত্রে বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হতে পারে।//
৪ নং স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত:
বন্দর ঘূর্ণিঝড়কবলিত হলে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১-৬১ কিলোমিটার হয়ে থাকে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনও আসেনি।
৫ নং বিপদ সংকেত:
৫ নম্বর বিপদসংকেত দেয়া হয় বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ার আশংকা থাকলে। এক্ষেত্রে ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে বাঁদিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে এমন আশংকা থেকে এ সংকেত দেয়া হয়।
৬ নং বিপদ সংকেত:
এই পরিস্থিতিতে ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে এমন আশংকা থেকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়া হয়। এবং বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.।
৭ নং বিপদ সংকেত:
ঝড়টি বন্দরের ওপর বা এর কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে এমন আশংকা থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়া হয়ে থাকে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। অর্থাৎ বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে।
৮ নং মহাবিপদ সংকেত:
৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে এমন আশংকা থেকে দেয়া হয়। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।//
৯ নং মহাবিপদ সংকেত:
বন্দর সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার বা তার ঊর্ধ্বে হতে পারে।
ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করার পূর্বাভাস থাকলে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়।
১০ নং মহাবিপদ সংকেত:
ঝড়টি বন্দরের ওপর বা এর কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে এমন আশংকা থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরের ওপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি.বা তার বেশি হতে পারে।
১১ নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত:
১১ নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সঙ্কেত।অর্থাৎ আবহাওয়ার বিপদ সঙ্কেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। //
Wednesday, May 22, 2024
মরিচা কি এবং সোনায় মরিচা ধরে না কেন?why gold does not rust?
হাজার বছর ধরে মানুষ তার ব্যক্তিগত সাজসজ্জা এবং ব্যবহার্য জিনিসের মধ্যে সোনা ব্যবহার করে আসছে। এক একটা অলংকার যুগের পর যুগ ব্যবহার করার পরেও তাতে মরিচা ধরে না। কিন্ত কেন মরিচা ধরে না আজকের এই ভিডিও তে তাই আলোচনা করব। //
লোহা জারন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাতাসের অক্সিজেন এবং আর্দ্রতার সাথে বিক্রিয়া করে ফেরিক অক্সাইড তৈরি করে যাকে আমরা মরিচা বলি। //
সোনা অন্যতম নিস্ক্রিয় ধাতু হওয়ার কারনে সোনা বাতাসের অক্সিজেন ও জলীয়বাষ্প এর সাথে বিক্রিয়া করে কোন যৌগিক পদার্থ তৈরি করতে পারে না যার ফলে সোনায় মরিচা ধরে না। এমনকি বাতাসের কোন রাসায়নিক পদার্থই সোনার সাথে বিক্রিয়া করে না। অধিকাংশ এসিডেই স্বর্ন অবিকল আগেরমতই থাকে যার ফলে সোনার কোন ক্ষয় হয় না এবং মরিচাও ধরে না যুগ যুগ ধরে অবিকল একইরকম থাকে। এই কারনেই অলংকার সামগ্রী হিসেবে হাজার বছর ধরে সোনার ব্যবহার চলে আসছে এবং আজও এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
Sunday, May 19, 2024
অ্যান্টিবায়োটিক কম বা বেশি খেলে দেহের কি ধরনের ক্ষতি হয়?
পৃথিবীতে শত শত কোটি ব্যাকটেরিয়া আছে যা সব আমাদের জন্য ক্ষতিকারক না এবং ব্যাকটেরিয়ারা আমাদের শরীরের ভিতরে বাইরে সব জায়গায় থাকে। এরকম হাজারো ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের ক্ষতি করে এরা বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে যেমন বাতাস, পানি, শারীরিক স্পর্শ ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন সৃষ্টি করে।//
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ইনফেকশন দমন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক একমাত্র ব্যাকটেরিয়া দমনের জন্য ব্যবহার করা হয়, ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কোন অসুস্থতার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় না । //
ডাক্তাররা রোগের ধরন,রোগ এবং রোগীর বয়স ও তার অবস্থার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন মাত্রার এন্টিবায়োটিক বিভিন্ন দিনের সংখ্যার উপর নির্ধারণ করে দেন। অর্থাৎ রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশনে লেখেন যে এই রোগের জন্য এই রোগীকে এই এন্টিবায়োটিক ৫ দিন ৭ দিন ১০ দিন বা ১৪ দিন করে খেতে হবে। অর্থাৎ ডাক্তাররা একটা অপটিমাল ডোজ নির্ধারণ করে দেন যে এই অসুস্থতার জন্য সর্বোচ্চ এই কয়টা এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। //
এন্টিবায়োটিক যেহেতু একটা রাসায়নিক উপাদান এবং কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকটা এন্টিবায়োটিকের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সেবনের মাত্রা ঠিক করে দেন যে কতদিন এবং কত মাত্রা ব্যবহার করলে রোগীর শরীর থেকে সম্পূর্ণ ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু মারা যাবে বা আর রোগের বৃদ্ধি হবে না।//
এখন কোন রোগীকে ডাক্তার যদি প্রেস্ক্রিপশন করে যে এই এন্টিবায়োটিক আপনি দুই বেলা করে সাতদিন খাবেন সে ৫ দিন যাওয়ার পরে দেখল যে তার অসুখ আগের চেয়ে ভালোর দিকে এবং সুস্থতা বোধ করছে এবং সে যদি পুরা কোর্সটা শেষ না করে এর দ্বারা দেখা যাবে যে রোগীর শরীরের মধ্যে যে ব্যাকটেরিয়ার থাকার কারণে সে অসুস্থ ছিল, সম্পূর্ণ ডোজ শেষ না করার কারণে সেই ব্যাকটেরিয়াগুলি মারা নাও যেতে পারে। তখন তার শরীরের মধ্যে অবশিষ্ট ব্যাকটেরিয়া গুলি অলস বসে না থেকে এমন একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করবে যাতে রোগী পরবর্তীতে ওই একই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়াকে আর মারা যাবেনা বা কাবু করা যাবে না বা প্রতিরোধ করা যাবে না। কারণ ব্যাকটেরিয়া ইতিমধ্যে তার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে ফেলেছে যার কারণে পুরনো এন্টিবায়োটিক ওই ব্যাকটেরিয়ার উপর কোন কাজ করবে না এবং অনুজীবগুলো কে ধ্বংস করতে পারবে না। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার নামই এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স বা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। //
এন্টিবায়োটিক যেহেতু একটা রাসায়নিক উপাদান তাই
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন করা কোর্সের বেশি এন্টিবায়োটিক যদি কেউ খেয়ে ফেলে তাহলে এন্টিবায়োটিক এর অতিরিক্ত রাসায়নিক উপাদানগুলো শরীরে থেকে যায় তার মাধ্যমে পাকস্থলী,ফুসফুস, কিডনি, লিভার সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। //
এন্টিবায়োটিক সেবনের জন্য টাইমিং একটা বড় ইস্যু অর্থাৎডাক্তার যে সময় নির্ধারণ করে দেন ১২ ঘণ্টা পর বা ৮ ঘন্টা পরে ওষুধ সেবন করতে হবে রোগী যদি তা না করে অর্থাৎ কখনো আটঘন্টা পর ওষুধ সেবন করলো আবার কখনো ১২ ঘণ্টা পরে সেবন করলো তখন রক্তের মধ্যে ওষুধের ঘনত্বের তারতম্য হওয়ার কারণে অ্যান্টিবায়োটিক রক্তের ভিতরের জীবানুর সাথে প্রতিরোধ করতে পারে না অর্থাৎ রক্তের মধ্যে যে পরিমাণ ওষুধ থাকা দরকার ছিল সে পরিমাণ ওষুধ না থাকার কারণে জীবনুরা শক্তিশালী হয় এবং এন্টিবায়োটিকের অ্যাকশন নষ্ট হয় যার ফলে এন্টিবায়োটিক সেবন করার পরেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না বা রোগী সুস্থ হয় না।
এজন্য আমাদের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মেনে চলতে হবে,ঔষধ সেবনে সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এন্টিবায়োটিক সেবন কম বা বেশি করা যাবে না ।
আজ এই পর্যন্তই!
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
দুবাই কেন পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্বর্ণের চেইন তৈরি করেছিল?
আমরা সবাই জানি, মানুষ গলায় যে স্বর্ণের চেইন পরে তা সাধারণত দুই ফুট থেকে বড়জোর সাড়ে তিন ফুট লম্বা হতে পারে।এটাও অনেক বেশি। কিন্তু দুবাই এরকম একটা স্বর্ণের চেইন তৈরি করেছে যা সারে ৫ কিলোমিটারের বেশি লম্বা। //
আরব আমিরাত সব সময়ে রেকর্ড এর পিছনে দৌড়ায়। তাদের চিন্তা চেতনা কিভাবে অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করে রেকর্ড বইয়ে নাম উঠানো যায়। এজন্য টাকা খরচ করাকে তারা অপচয় মনে করে না। এর আগে ১৯৯৯ সালে তারা একটি স্বর্নের চেইন তৈরি করে যা মেশিন দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল এবং চেইনটির দৈর্ঘ্য ছিল ৪.২ কিলোমিটার এবং সেটাও একটা বিশ্ব রেকর্ড ছিল এবং গিনেসওয়ার্ল্ড রেকর্ড ছিল। এবার তারা তাদের সেই পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করে আবার গিনেসওয়ার্ল্ড রেকর্ড বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করে, হাতে তৈরি বিশ্বের দীর্ঘতম এই সোনার চেইন যা ২২ ক্যারেট স্বর্ন দিয়ে তৈরি। দুবাই শপিং ফেস্টিভ্যাল (DSF) এর ২০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুবাই গোল্ড অ্যান্ড জুয়েলারি গ্রুপ এই চেইন তৈরির আয়োজন করে। //
২৫৬ কেজি ওজনের ৫.৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ ২২-ক্যারেটের সোনার চেইনটি তৈরি করতে তাদের ৪৫ দিন সময় লেগেছিল। ১০০ জন মানুষ প্রতিদিন ১০ ঘন্টা পরিশ্রম করে ৪৫ দিনে ৫.৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ চেইন তৈরি করে। ৪০ লক্ষ ছোট ছোট চেইনের পৃথক অংশকে জোড়া দিয়ে তারা এই দীর্ঘ চেইন তৈরি করে এবং সম্পুর্ণ কাজটিই তারা হাতে করে কোন মেশিন ব্যবহার করে তৈরি করে নি। সম্পুর্ণ কাজটি শেষ করতে তাদের ২৫৬ কেজি স্বর্ন লেগেছিল। //
আজ এই পর্যন্তই!
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার মতামত comments করে জানাবেন।
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।//
Friday, May 17, 2024
নিম্নচাপ কি? নিম্নচাপ কেন হয়?নিম্নচাপের সময়ে বৃষ্টি কেন হয়?
নিম্নচাপের সময় আমাদের দেশে প্রচুর বৃষ্টি হয় কখনো কখনো একটানা তিন চার দিন ধরে বৃষ্টি হতে থাকে কিন্তু কি কারণে নিম্নচাপের সময় বৃষ্টি হয় হয়তো আমরা সবাই তা জানি না। পুরো ভিডিওটা আপনি না দেখলে ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন না এজন্য পুরো ভিডিওটা দেখার জন্য অনুরোধ রইলো।
এবং ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। //
নিম্নচাপ আর উচ্চচাপ আবহাওয়ার পরিবর্তনের একটা প্যারামিটার হিসেবে কাজ করে। নিম্নচাপ হলে আবহাওয়া অস্থির হয়ে যায়।
নিম্নচাপের একটা বড় কারণ হলো তাপমাত্রা। কোনো বস্তুর ঘনত্ব যত বেশি, তার তাপ ধারণক্ষমতাও তত বেশি। অর্থাৎ সেই বস্তু গরম হয় তত বেশি। মাটি, পানি আর বাতাস—পরিবেশের এই তিন উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব হলো মাটির। তাই সমান তাপে পানি আর বাতাসের চেয়ে মাটি বেশি উতপ্ত হয়। দিনের বেলা এই উষ্ণ মাটি ভূপৃষ্ঠের উপরের বাতাসের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি অতটা উষ্ণ হতে পারে না, তাই সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরের বায়ুমণ্ডল ভূপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের সমান উষ্ণ হয় না। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের আর সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের মধ্যে উষ্ণতার একটা পার্থক্য তৈরি হয়। //
যে বস্তু যত উষ্ণ হয় তার তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকে , যার ফলে বস্তুগুলোর ভেতরের অণুদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ফলে সে বস্তুর ঘনত্ব কমতে শুরু করে। ভূপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডল বেশি উত্তপ্ত হয় বলে এদের অণুগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়, ফলে কমতে থাকে ভূপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব। বাতাস তখন এখানে অনেক হালকা হয়ে যায়। হালকা বাতাস তাই স্বাভাবিক নিয়মেই বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে উঠে যাওয়ার প্রবণতা দেখায়। নিচের দিকে তখন অনেকটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়।
অন্যদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়ে না বলে ঘনত্ব ও চাপ একই থাকে। তাই ভূপৃষ্ঠ আর সমুদ্রপৃষ্ঠের চাপের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেড়ে যায়। ভূপৃষ্ঠে তৈরি হয় নিম্নচাপ
। //
দিনের বেলা সমুদ্রপৃষ্ঠ তুলনামূলক শীতল, তাই সেখানকার বায়ুমণ্ডলের চাপ বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বিশাল খোলা জায়গায় চাপ ও তাপের ভারসাম্য থাকতে হবে অর্থাৎ সমান থাকতে হবে।
কিন্তু যখন কোথাও চাপ কমে যায়, বাতাসের ভেতর ফাঁকা জায়গা সৃষ্টি হয় সেখানে আর চাপের ভারসাম্যটা থাকে না। তখন বেশি চাপের অঞ্চল থেকে শীতল বায়ু দ্রুত গিয়ে সেই ফাঁকা জায়গার দখল নেয়। এভাবেই তৈরি হয় ভারসাম্য। আর এই ভারসাম্য তৈরি করতে গিয়ে দ্রুত সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়মুণ্ডল ভূপৃষ্ঠের দিকে ধেয়ে আসে। ফলে তৈরি হয় ঝোড়ো হাওয়া ও ঘুর্নিপাক।//
দ্রুত যখন কোনো স্থানে শূন্যতা তৈরি হয়, হুড়াহুড়ি করে সেখানে বাতাস এসে শূন্যতা পূরণ করে, তখন সেখানে ঘূর্ণি তৈরি হয়। নিম্নচাপের জায়গায় চাপ যত কম, তত বেশি জায়গা ফাঁকা হয়, ছুটে আসা বাতাসের বেগ তত বেশি হয়। অর্থাৎ ঝড় তত শক্তিশালী হয়।
উষ্ণ বাতাস ও শীতল বাতাসের মিশ্রনের ফলে যে ঘুনি পাকের সৃষ্টি হয় তখন এই উষ্ণ ও আদ্র বাতাস উপরে যেতে থাকে এবং আস্তে আস্তে ঠান্ডা হতে থাকে আর ছড়িয়ে থাকা পানির অণুগুলোর সাথে জমাট বেধে ঘনীভূত হতে থাকে আর মেঘের সৃষ্টি হতে থাকে। আর এই মেঘমালা থেকেই আকাশকে মেঘলা করে প্রচুর বৃষ্টিপাত পৃথিবীর দিকে নেমে আসে।
সর্বশেষ এই কথা বলতেই হয় যে,ঝর বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, ভুমিকম্প, খরা অর্থাৎ আবহাওয়াকে আল্লাহই নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানতে চাই তাই কিছু কথা বলা হলো।
আজ এই পর্যন্তই!
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার মতামত comments করে জানাবেন।
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
Monday, May 13, 2024
১ আউন্স ও ১ ট্রয় আউন্স এর মধ্যে পার্থক্য কি? সোনা কেন ট্রয় আউন্সে ওজন করা হয়?
আমেরিকা সহ সারা পৃথিবীর স্পট মার্কেট গুলোতে স্বর্ন পরিমাপের জন্য একক হিসেবে আউন্স ব্যবহার করা হয় এবং তাহল ট্রয় আউন্স। আমরা সচারচর যে আউন্সের নাম শুনি, তার এক আউন্স হলো ২৮.৩৫ গ্রাম এর সমান।
১৬ শতকে ফ্রান্সের ট্রয়েস শহর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল যেখান থেকে সর্বপ্রথম ট্রয় আউন্স এর প্রচলন শুরু হয়।
সেই সময়ে ফ্রান্সের ট্রয়েস থেকে আসা বণিকরা ইংল্যান্ডে এসে একটা আদর্শ পরিমাপ হিসাবে ট্রয় আউন্স প্রবর্তন করে। এবং ১৫২৭ সাল নাগাদ, ইংল্যান্ডে ট্রয় আউন্সকে স্বর্ণ ও রৌপ্য ওজনের জন্য সরকারী স্বীকৃত মান হিসেবে গ্রহণ করে নেয়। ১৮২৮ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটা আদর্শ পরিমাপ হিসাবে ট্রয় আউন্স প্রবর্তন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেই ঐতিহ্যটিই বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এবং আজও, ট্রয় আউন্স হল একমাত্র প্রাচীন পরিমাপ যা এখনও সোনা ও রূপার মতো মূল্যবান ধাতুর ওজন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সোনা, রূপা, প্ল্যাটিনাম এবং প্যালাডিয়াম সহ সমস্ত মূল্যবান ধাতু ট্রয় আউন্সে পরিমাপ করা হয়। তাহলে এক ট্রয় আউন্স সমান কত গ্রাম? ১ ট্রয় আউন্স সমান = ৩১.১০ গ্রাম।যাকে সংক্ষেপে বলা হয় "oz t" বা "t oz"। যখন আপনি কোন শস্য দানা ওজন করবেন তখন ১ আউন্স ও ১ ট্রয় আউন্স এর মধ্যে সামগ্রিক কোন পার্থক্য নেই, কিন্তু যখন সোনা,রুপার মত মূল্যবান ধাতুর ওজনের জন্য ব্যবহৃত হবে তখন এর মধ্যে ২.৭৫ গ্রাম পার্থক্য হবে। অর্থাৎ আপনি যদি সোনা ক্রয় করেন এবং স্বর্ণ ট্রয় আউন্স এ না কিনে শুধু আউন্সে কিনেন তাহলে ২.৭৫ গ্রাম কম সোনা পাবেন যার মুল্য অনেক বেশি। কিন্তু গম বা শস্যদানা কিনতে গেলে আমি যদি ২.৭৫ গ্রাম কম পাই তা কিছুই না। ১ আউন্স ও ১ ট্রয় আউন্স এর মধ্যে পার্থক্য হলো ১০%
অর্থাৎ ট্রয় আউন্স ওজনে ১০% বেশি আউন্স থেকে বা ১ আউন্স ওজনে ১ ট্রয় আউন্স থেকে ১০% কম। //
সোনা কেন ট্রয় আউন্সে ওজন করা হয়?
ট্রয় আউন্স বিশ্বস্ত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিমাপ বজায় রাখার জন্য শত শত বছর ধরে স্বর্ণ এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতুগুলির পরিমাপের একক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই পরিমাপের ক্ষেত্রে একাধিক মান ব্যবহার করার পরিবর্তে সোনার পরিমাপের জন্য একটি সাধারণ এবং সর্বজনীন মান বা পরিমাপ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইজন্য মূল্যবান ধাতুগুলির পরিমাপের জন্য আউন্স এর পরিবর্তে ট্রয় আউন্সের ব্যবহার হয়।
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুগন। আল্লাহ হাফেজ।
Friday, May 10, 2024
দুবাইয়ের কিছু আজব তথ্য, দুবাই কেন বিখ্যাত?
না জানার কারণে অনেকে দুবাইকে আলাদা দেশ মনে করে আসলে দুবাই কোন আলাদা দেশ না দুবাই আরব আমিরাতের একটা প্রদেশ। আরব আমিরাতের রাজধানী হল আবুদাবি। ঢাকা থেকে আকাশ পথে দুবাইয়ের দূরত্ব প্রায় ৩৫৪৩ কি.মি বিমানে যেতে আনুমানিক সাড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে ছয় ঘন্টা লাগতে পারে।
দুবাইয়ের সম্পূর্ণ জনসংখ্যার মধ্যে ১৭ থেকে ২০ পার্সেন্ট হল স্থানীয় নাগরিক আর বহিরাগসতদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশ পাকিস্তানসহ আরো বিভিন্ন দেশের লোকজন সেখানে থাকে। //
দুবাইয়ের কিছু বিখ্যাত তথ্য যা হয়তো আমরা সব জানি না।
দুবাইয়ে ব্যবসায়ী মানুষদের জন্য বড়লোক হওয়া খুব সহজ কারণ সেখানে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় না। পৃথিবীতে এমন কোন দেশ পাওয়া যাবে কি যেখানে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় না। দুবাইতে যত খুশি উপার্জন করুন না কেন কিন্তু কোন ট্যাক্স দিতেয হবে না। কেননা আরব আমিরাত সরকার এ ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ করে না কারো আয়ের উপর। এজন্য সারা দুনিয়ার ব্যবসায়ীরা এখানে ভিড় করছে। //
দুবাই হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম প্রধান ট্রাভেল হাব। লন্ডন বিমানবন্দর কে পিছনে ফেলে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা নবমবারের মতো বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছিল দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দুবাই থেকে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই যাওয়ার জন্য সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায়। ২০২২ সালে দুবাই বিমানবন্দর ব্যবহার করে প্রায় সাত কোটির মত যাত্রী। //
দুবাইকে জিরো ক্রাইম সিটি বলা হয় অর্থাৎ
দুবাই শহরে কোন অপরাধ সংঘটিত হয় না বললেই চলে। এটিকে পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ শহর মনে করা হয়। দুবাইয়ের আইন কানুন ব্যবস্থা খুবই কড়া যার কারণে সেখানকার অপরাধ শূন্য শতাংশ। দুবাইতে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানো প্রায় অসম্ভব। কারণ, দুবাইএর পুলিশ অপরাধী ধরার জন্য ল্যাম্বরগিনি, বেন্টলি এবং ফেরারির মতো ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস গাড়ি ব্যবহার করে। দুবাইয়ের রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে ফেরারি ও ল্যাম্বরগিনির মতো গাড়ি দেখা যায়। //
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মোট প্রবাহের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই আসে দুবাই থেকে। ক্রমান্বয়ে দুবাই স্বর্ণের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ, দুবাইয়ের স্বর্ণের একটি বিশেষত্ব আছে, এখানকার স্বর্ণের তৈরি জিনিসপত্র নিঃসন্দেহে নির্ভেজাল। এখানে সবচেয়ে কম দামে স্বর্ণের সেরা জিনিস পাওয়া যায়।দুবাইয়ের স্বর্ণের বাজার এতোটাই বড় যে এক গবেষণায় দেখা গেছে এখানে বছরে প্রায় ১০০ টন স্বর্ণ বিক্রি হয়।
//
পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ এবং সবচেয়ে ওজনদার স্বর্ণের আংটি তৈরি করেছে দুবাই।
সেই আংটিতে স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে ৫৮ কেজি এবং দামি পাথর ব্যবহার করা হয়েছে ৬ কেজি, স্বর্ণ এবং পাথরসহ আংটির ওজন ৬৪ কেজি। //
আপনি যদি পৃথিবীর দীর্ঘতম স্বর্ণের চেইন দেখতে চান তাহলে তা অবশ্যই দুবাইতে পাওয়া যাবে । এই স্বর্ণের চেইনটি ১৯৯০ সালে তৈরি করা হয় যা লম্বায় প্রায় ৪ কিলোমিটার। এই চেইনটি ৯ হাজার মানুষের মালিকানায় আছে। //
দুবাইয়ে আছে গোল্ড এটিএম। সেই এটিএম-এ টাকা ঢোকালেই মিলবে দামি গয়না ও সোনার ঘড়ির মতো জিনিস।এর দ্বারা স্বর্ণ শপিং করার ঝামেলা অনেক কমে যায় //
দুবাইয়ে ২২ হাজার ৪০০ স্কয়ার মিটার জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল আকাশ। চারিদিকে তারায় পরিপূর্ণ এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। //
এ পর্যন্ত পৃথিবীর সবথেকে বড় টাওয়ারগুলো দুবাইতে অবস্থিত। তার মধ্যে সবচেয়ে উঁচু হল বুর্জ খলিফা। ১৬০ তলা বিশিষ্ট বুর্জ খলিফার মোট উচ্চতা ২৭১৭ ফুট।
। এখানেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, হোটেল-মোটেল ও ফান ক্লাবসহ নানা ধরনের আয়োজন । ভবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হচ্ছে ১২৪ তালা উঁচুতে প্রকৃতি দর্শনের পর্যবেক্ষণ ডেক। এখানে উঠলে দেখা যায় আরব আমিরাতের বৃহৎ একটি অংশকে। বুর্জ খলিফার উচ্চতা এতটাই বেশি যেখানে মানুষ দিনে দুইবার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পারে। টাওয়ার এর নিচে দাঁড়িয়ে আপনি একবার সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন এবং তাৎক্ষণিক টাওয়ারের উপরে চললেও আবার একই দৃশ্য দেখতে পারবেন। উপরে উঠলে আপনি দেখতে পারবেন সূর্য তখনো অস্ত যায়নি। আরব আমিরাতের এক আলেমের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উচ্চতম বিল্ডিং বুর্জ খলিফার ৮০ তলার উপরে যাঁরা বাস করেন তাঁদের রমজানের সময় অতিরক্তি ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় ইফতারের জন্য। কারণ, উঁচুতে সূর্যকে বেশ কিছুক্ষণ দেখতে পান তাঁরা।//
পৃথিবীর একমাত্র বিলাসবহুল সাত তারকা হোটেল বুর্জ আল আরব এখানে অবস্থিত। ৩২১ মিটার লম্বা এই ভবনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে পালতোলা জাহাজের মত। যা জমেরিয়া সৈকত এর পাশে সমুদ্রের উপর একটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর অবস্থিত। উচ্চতার দিক থেকে এই হোটেলটি বিশ্বের চতুর্থ সুউচ্চ ভবন। //
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বিল্ডিং তৈরি করা হয় দুবাইয়ে। তাই ধারণা করা হয় পৃথিবীর ২৫ শতাংশ ক্রেন এই দুবাইয়ে ব্যবহার করা হয়। //
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
Tuesday, May 7, 2024
Monday, May 6, 2024
দেহের ইউরিক এসিড শরীরের যে ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে?
ইউরিক অ্যাসিড শরীরের বর্জ্য পদার্থ যা প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। পিউরিন একটি রাসায়নিক পদার্থ যা ভেঙে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলেই দেহে ইউরিক এসিডের পরিমান বাড়তে থাকে আর সাথে সাথে শারিরীক সমস্যাও সৃষ্টি হতে থাকে।
ইউরিক এসিড আমরা যে খাবার খাই তা থেকে তৈরি হয় এবং কম বা বেশি আমাদের সবার শরীরে থাকে। রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকলে কিডনি তা পরিশুদ্ধ করতে পারে না এবং শরীরের বাইরে বেরও করে দিতে পারে না। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার এই সমস্যাকে হাইপারইউরেসেমিয়া বলা হয়।তখন সেই ইউরিক এসিড কিডনিতে এবং শরীরের হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে জমতে থাকে।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তা হাড়ের জয়েন্টে কেলাস বা ক্রিস্টাল হিসাবে জমে। হাড়ের সংযোগে ক্রিস্টাল জমার কারণে অস্থিসন্ধি ফুলে উঠে লাল হয়ে যায় তখন প্রচণ্ড ব্যথা হয়। যেই জায়গাই এই সমস্যা হয় সেই জায়গাটি নাড়ানোও যায় না। পায়ে হলে হাঁটা-চলা করা যায় না। হাতে হলে হাত নড়ানোও সম্ভব হয় না।এই সমস্যার নাম গাউট আর্থ্রাইটিস (Gout Arthritis)।
ইউরিক এসিড সবার প্রথম যে অংগের ক্ষতি করে সে হলো কিডনি। কিডনির মারাত্নক ক্ষতি করে কিডনিতে পাথর জমায়। কিডনিতে ইনফেকশন সৃষ্টি করে,এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির প্রস্রাবের সাথে রক্ত পড়তে পারে এবং প্রস্রাবের সময় খুব জ্বালাপোড়াও করতে পারে। এছাড়া ক্রমান্বয়ে লিভার ও হৃদপিণ্ডও ইউরিক এসিডের কারণে আক্রান্ত হতে পারে।
এমনটা ঘটলে আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। //
১) ইউরিক এসিড বাড়তে থাকলে এবং রক্তে জমতে থাকলে গাউট বা বাতের ব্যাথা নামক সমস্যার সৃষ্টি হয় ।
২) রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে দেহের কিডনি ঠিক মত কাজ করে না যার ফলে ইউরিক এসিড ও অন্যান্য বর্জ্য শরীর থেকে বের হতে পারে না। কিডনিতে পাথর হয়, কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কিডনি ড্যামেজ হয়।
৩) রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে পায়ের গোড়ালিতে বেশ ব্যথা হয় এবং হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়।//
৪) ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ হওয়া ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ার লক্ষন।
৫) পেশিতে টান ধরা এবং ব্যাথা অনুভব করা।
৬) উঠতে বসতে অসুবিধে হওয়া হারের জোড়ায় ব্যথা অনুভব করা।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার দ্বারা ইউরিক অ্যাসিড অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেমন, পেঁপে, আনারস, লেবু, কমলালেবু, মাল্টা ইত্যাদি। এই সব ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে।
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
Friday, May 3, 2024
আমাদের দেহের জন্য প্রতিদিন কতটুকু ক্যালসিয়াম দরকার?কম খরচে গরিব কিভাবে ক্যালসিয়াম এর অভাব পুরন করবে?
ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের জন্য একটি অপরিহার্য খনিজ যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে কর্মক্ষম রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শক্তিশালী হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কাজ করে। ক্যালসিয়াম খনিজের ঘাটতি দেহের জন্য ভালো নয়। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে,আর বেশি ক্ষয় হতে থাকলে হাড় ভেঙে যেতে পারে।
বয়সের সাথে সাথে আমাদের দেহের প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের পরিমাণের মধ্যে পরিবর্তন হয়।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা যার বয়স ১৮-৫০ বছর এর মধ্যে তার প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা যার বয়স ৫১-৭০ বছর এর মধ্যে তার প্রতিদিন প্রায় ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার।
একজন বৃদ্ধ পুরুষ বা মহিলা যার বয়স ৭১ বছরের বেশি তার প্রতিদিন প্রায় ১২০০ থেকে ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার।
শিশুদের জন্য প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২০০ থেকে ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। কারণ তাদের বাড়ন্ত শরীরের জন্য বেশি ক্যালসিয়াম দরকার। শৈশব, বয়ঃসন্ধিকালে এবং যারা প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় উন্নীত হতে যাচ্ছে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে হাড়ের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা পরবর্তী জীবনে অস্টিওপোরোসিস এবং হাড়ের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা হয়তো অনেকে মনে করি যে এই ক্যালসিয়াম পেতে হলে আমাদেরকে প্রতিদিন দামি দামি আমিষ খাবার খেতে হবে, যেমন দুধ ডিম মাছ ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে অনেক সাধারণ খাবার থেকেও প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করা যায় এরকম কিছু খাবারের বর্ণনা সামনে আসতেছে। অল্প খরচে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমরা আমাদের প্রতিদিনের শাকসবজি, ডাল, ফল ইত্যাদি থেকে পেতে পারি।
কিছু কম দামের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল হল
পেপে,কলা,কালোজাম, আনারস,পেয়ারা, লিচু, কমলা ইত্যাদি।
মাছের নরম কাঁটার মধ্য ক্যালসিয়াম থাকে। এজন্য আমরা ছোট মাছ খেতে পারি।
বিভিন্ন ধরনের ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। যেমন মুগ, মুসুর, মটর, ছোলার ডাল- ইত্যাদি। এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকার ফলে এইসব ডাল হজমশক্তি ভাল রাখে ও দেহে শক্তি যোগায়।
বিভিন্ন শস্য দানা যেমন- চাল, গম, মিলেটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এইসব খাবারে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা হজমশক্তি ভাল করে ।
সবুজ রঙের বিভিন্ন ধরনের শাকপাতা জাতীয় খাবার সবসময়েই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী । যেমন পালং শাক, বাঁধাকপি, সীম, সাজনা, লাউশাক,কলমি শাক,পটল আরও অনেক সবুজ শাকপাতা জাতীয় খাবারে ক্যালসিয়াম ছাড়াও রয়েছে আয়রন।
ডুমুর যা আমাদের দেশের ঝোপ জঙ্গলে হয়ে থাকে। একটা কাপ শুকনো ডুমুরে প্রায় ৩৫০ মিলি গ্ৰাম ক্যালসিয়াম থাকে।বিদেশে এই ফলটা ফিগ নামে পরিচিত।
ক্যালসিয়ামের আরেকটি সমৃদ্ধ উৎস হল বিভিন্ন ধরনের বাদাম।যেমন : আমন্ড,কাজুবাদাম,আমাদের দেশী বাদাম যাকে আমরা চীনাবাদাম বলি। অনেকে বলেন আমন্ডে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ দুধের থেকেও বেশি।আমন্ড একটি বাদাম এটা বিদেশে হয় কিন্তু আমন্ড বেশি খাওয়া যাবে না কম খেতে হবে বেশি খেলে ক্ষতি হবে ।
তিল বীজেও আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিল বীজে দুধের থেকেও বেশি ক্যালসিয়াম আছে।এজন্য তিলের নাড়ু বা তিল দিয়ে তৈরি খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটানো সহজ।
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
Wednesday, May 1, 2024
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?
কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লিভার বা যকৃত থেকে তৈরি হয়। কোলেস্টেরল পানিতে দ্রবীভূত না হওয়ার কারণে শরীরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত নিজে নিজে চলাচল করতে পারে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। যেমন : হরমোন তৈরিতে, চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিনগুলোর পরিপাকে, কোষের মেমব্রেন এবং ভিটামিন ডি তৈরিতে।
ভালো কোলেস্টেরল রক্তনালির পুষ্টি জোগায়, রক্তনালির দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা দেয়। আর খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে তা রক্তনালীর দেয়ালে জমতে থাকে। কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়,শরীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
যেই ১০ টা লক্ষণ দেখলে আপনি নিজে বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বেধেছে
১) জিভের ওপর ছোট ছোট দানার মতো আস্তরণ যখন সারা জিভে ছড়িয়ে পড়ে ও রং পরিবর্তন করে বিবর্ন করে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২) উচ্চ কোলেস্টেরলের প্রভাব সবার আগে চোখেই পড়ে। চোখের কর্নিয়ার পাশে ধুসর দাগ দেখা দিলে বা সাদা বা হলুদ রঙের ছোট ছোট আচিলের মত দানা চোখের চারপাশে ভরে গেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
৩) খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘাড় ও মাথার পেছনে ভীষণ ব্যথা হয় যা অস্বস্তিকর।
৪) নিয়মিত হাত–পায়ের আঙুলে ঝিঁঝিঁ ধরলে বা অল্প হাঁটলেই পা যন্ত্রণা করলে,অবশ লাগলে, রাতে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হলে, এই উপসর্গ খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
দীর্ঘ দিন ধরে কোলেস্টেরল জমার ফলে হৃদযন্ত্রের ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। ফলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বিশেষ করে দেহের নীচের অংশে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে পায়ে ঝিঁঝি ধরার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
৫) কোলেস্টেরল বাড়লে তার প্রভাব নখেও পড়ে।নখের উজ্জ্বলতা হারিয়ে হলুদ হয়ে যায়। কখনো কখনো নখের নীচের দিকে কালো ও বাদামি রঙের রেখাও চোখে পড়ে।
৬) শরীরে তলপেটে মেদ জমতে শুরু করলে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৭) খারাপ কোলেস্টেরল বেশি থাকা মানেই বুকে চাপ অনুভব করা, শ্বাসের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়া। অর্থাৎ অনেক সময় স্বাস নিতে কষ্ট হবে।
৮) এছাড়াও শিরা ধমনীর ক্ষতি করে দেয় এই রোগ যা আপনার চোখে, মুখে ছাপ ফেলে দেয়।মাড়িতে ব্যথা হওয়া, হাতের অসারতা এবং হাতে ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি।
৯) শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হবে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীর high blood pressure নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।
১০) বুকের বাম দিকে ব্যথা ও হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি। রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমে তৈরি হয় ব্লক। এ ব্লকের জন্য রক্তচাপ বাড়ে, দিনের পর দিন রক্তে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের শ্বাসকষ্ট হয় এবং হৃৎস্পন্দনের অস্বাভাবিক গতি তৈরি হয়।
আপনার শরীরে কোলেস্টেরল খুব বেশি কিনা তা জানার একমাত্র উপায় হল রক্ত পরীক্ষা। এবং রক্তে যদি কোলেস্টেরল এর মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম পার ডেসিলিটার এর বেশি থাকে তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন আপনার বয়স ২০ বছর হওয়ার পরে একজন ডাক্তারকে দিয়ে আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান। তারপর প্রতি ৪ থেকে ৬ বছর পর পর আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান।
কারো যদি পারিবারিকভাবে উচ্চ কোলেস্টেরলের ইতিহাস থাকে এবং আপনি ৩ টি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন তাহলে বছরে ১-২ বার করে আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের পরীক্ষা করা উচিত। ঝুঁকি ৩ টি হলো :
১) উচ্চ রক্তচাপ বা high blood pressure
২) অতিরিক্ত ওজন।
৩) ধুমপানের অভ্যাস।
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলে কি হবে?
সৌদি আরবে আজ রবিবার ইদুল ফিতির। আর আমাদের দেশে ইনশাল্লাহ সোমবার ঈদ উদযাপিত হবে। আজ বাংলাদেশের কিছু এলাকায় ঈদ উদযাপিত হবে। তারা সৌদি আরবের ...
-
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আজ রাত ৮টার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বল...
-
বিগত সংসদ নির্বাচনে জামাত ইসলামের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করব। তরুন ভোটারদের অনেকেই মনে করেন নির্বাচন হলে এবার বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি সরকার ...
-
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে পঙ্গপালের আক্রমণ তীব্রতর হচ্ছে, এই করোনাভাইরাস এর প্রকোপের মধ্যে পঙ্গপাল ভারতের জন্য আরেক মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাড়িয়ে...