Sunday, May 19, 2024

অ্যান্টিবায়োটিক কম বা বেশি খেলে দেহের কি ধরনের ক্ষতি হয়?

 পৃথিবীতে শত শত কোটি ব্যাকটেরিয়া আছে যা সব আমাদের জন্য ক্ষতিকারক না এবং ব্যাকটেরিয়ারা আমাদের শরীরের ভিতরে বাইরে সব জায়গায় থাকে। এরকম হাজারো ব্যাকটেরিয়ার  মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের  ক্ষতি করে এরা  বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে যেমন বাতাস, পানি, শারীরিক স্পর্শ  ইত্যাদির  মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন সৃষ্টি করে।//



ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ইনফেকশন দমন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক একমাত্র ব্যাকটেরিয়া দমনের জন্য ব্যবহার করা হয়, ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কোন অসুস্থতার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক  ব্যবহার করা হয় না । //


ডাক্তাররা রোগের  ধরন,রোগ এবং রোগীর বয়স ও তার  অবস্থার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন মাত্রার এন্টিবায়োটিক বিভিন্ন  দিনের সংখ্যার উপর নির্ধারণ করে দেন। অর্থাৎ  রোগীদের জন্য  প্রেসক্রিপশনে লেখেন যে এই রোগের জন্য এই রোগীকে এই এন্টিবায়োটিক  ৫ দিন ৭ দিন ১০ দিন বা ১৪ দিন করে খেতে হবে। অর্থাৎ ডাক্তাররা একটা অপটিমাল ডোজ নির্ধারণ করে দেন যে  এই অসুস্থতার জন্য সর্বোচ্চ এই কয়টা  এন্টিবায়োটিক খেতে হবে।   //




এন্টিবায়োটিক যেহেতু একটা রাসায়নিক উপাদান এবং কৃত্রিমভাবে তৈরি  করা হয় এবং চিকিৎসা  বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকটা  এন্টিবায়োটিকের সর্বোচ্চ এবং  সর্বনিম্ন সেবনের  মাত্রা ঠিক  করে দেন যে কতদিন এবং কত মাত্রা ব্যবহার করলে রোগীর শরীর থেকে সম্পূর্ণ ব্যাকটেরিয়ার  জীবাণু মারা যাবে বা আর রোগের বৃদ্ধি হবে না।//



এখন কোন রোগীকে ডাক্তার যদি প্রেস্ক্রিপশন করে যে এই এন্টিবায়োটিক আপনি  দুই বেলা করে  সাতদিন খাবেন সে  ৫ দিন যাওয়ার পরে  দেখল যে তার অসুখ আগের চেয়ে  ভালোর দিকে এবং সুস্থতা বোধ করছে এবং সে যদি  পুরা কোর্সটা  শেষ না করে এর দ্বারা দেখা যাবে যে রোগীর শরীরের মধ্যে  যে ব্যাকটেরিয়ার থাকার কারণে সে অসুস্থ ছিল, সম্পূর্ণ ডোজ শেষ না করার কারণে  সেই ব্যাকটেরিয়াগুলি মারা নাও যেতে পারে।  তখন তার শরীরের মধ্যে   অবশিষ্ট ব্যাকটেরিয়া গুলি অলস বসে না থেকে  এমন একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করবে যাতে রোগী পরবর্তীতে ওই একই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে  ব্যাকটেরিয়াকে আর মারা যাবেনা বা কাবু করা যাবে না বা প্রতিরোধ করা যাবে না। কারণ ব্যাকটেরিয়া ইতিমধ্যে তার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে ফেলেছে যার কারণে পুরনো এন্টিবায়োটিক  ওই  ব্যাকটেরিয়ার উপর  কোন কাজ করবে না এবং অনুজীবগুলো  কে ধ্বংস করতে পারবে না। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার নামই এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স বা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। //


এন্টিবায়োটিক যেহেতু একটা রাসায়নিক উপাদান তাই

ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন করা কোর্সের বেশি এন্টিবায়োটিক যদি কেউ খেয়ে ফেলে তাহলে  এন্টিবায়োটিক এর  অতিরিক্ত রাসায়নিক উপাদানগুলো শরীরে  থেকে যায়  তার মাধ্যমে পাকস্থলী,ফুসফুস, কিডনি, লিভার সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা  দিতে পারে। //


এন্টিবায়োটিক সেবনের জন্য টাইমিং একটা বড় ইস্যু অর্থাৎডাক্তার যে  সময় নির্ধারণ করে  দেন  ১২ ঘণ্টা পর বা ৮ ঘন্টা পরে ওষুধ সেবন করতে হবে রোগী  যদি তা না করে অর্থাৎ কখনো আটঘন্টা পর ওষুধ সেবন করলো আবার  কখনো ১২ ঘণ্টা পরে সেবন করলো তখন  রক্তের মধ্যে ওষুধের ঘনত্বের তারতম্য হওয়ার কারণে অ্যান্টিবায়োটিক  রক্তের ভিতরের জীবানুর সাথে প্রতিরোধ করতে পারে না  অর্থাৎ রক্তের মধ্যে  যে পরিমাণ ওষুধ  থাকা দরকার ছিল  সে পরিমাণ ওষুধ না থাকার কারণে  জীবনুরা শক্তিশালী হয় এবং  এন্টিবায়োটিকের অ্যাকশন নষ্ট হয় যার ফলে এন্টিবায়োটিক সেবন করার পরেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না বা রোগী সুস্থ হয় না। 


এজন্য আমাদের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মেনে চলতে হবে,ঔষধ সেবনে সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে  এবং ভালো ফলাফল  পাওয়ার জন্য এন্টিবায়োটিক সেবন  কম বা বেশি করা যাবে না । 


 


আজ এই পর্যন্তই!


এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন  প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।











No comments:

Post a Comment

আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ে...