Friday, May 17, 2024

নিম্নচাপ কি? নিম্নচাপ কেন হয়?নিম্নচাপের সময়ে বৃষ্টি কেন হয়?

নিম্নচাপের সময় আমাদের দেশে প্রচুর বৃষ্টি হয় কখনো কখনো একটানা তিন চার দিন ধরে বৃষ্টি হতে থাকে কিন্তু কি কারণে নিম্নচাপের সময় বৃষ্টি হয় হয়তো আমরা সবাই তা জানি না। পুরো ভিডিওটা আপনি না দেখলে ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন না এজন্য পুরো ভিডিওটা দেখার জন্য অনুরোধ রইলো।

এবং ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। //


নিম্নচাপ আর উচ্চচাপ আবহাওয়ার পরিবর্তনের একটা প্যারামিটার হিসেবে কাজ করে। নিম্নচাপ হলে আবহাওয়া অস্থির হয়ে যায়।




নিম্নচাপের একটা বড় কারণ হলো তাপমাত্রা। কোনো বস্তুর ঘনত্ব যত বেশি, তার তাপ ধারণক্ষমতাও তত বেশি। অর্থাৎ  সেই বস্তু গরম হয় তত বেশি।  মাটি, পানি আর বাতাস—পরিবেশের এই তিন উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব হলো মাটির। তাই সমান তাপে পানি আর বাতাসের চেয়ে মাটি বেশি উতপ্ত হয়। দিনের বেলা এই উষ্ণ মাটি ভূপৃষ্ঠের উপরের বাতাসের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি অতটা উষ্ণ হতে পারে না, তাই সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরের বায়ুমণ্ডল ভূপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের সমান উষ্ণ হয় না। যার ফলে  ভূপৃষ্ঠের আর সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের মধ্যে উষ্ণতার একটা  পার্থক্য তৈরি হয়। //


যে বস্তু যত উষ্ণ হয় তার তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকে , যার ফলে  বস্তুগুলোর ভেতরের অণুদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ফলে সে বস্তুর ঘনত্ব কমতে শুরু করে। ভূপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডল বেশি উত্তপ্ত হয় বলে এদের অণুগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়, ফলে কমতে থাকে ভূপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব। বাতাস তখন এখানে অনেক হালকা হয়ে যায়। হালকা বাতাস তাই স্বাভাবিক নিয়মেই বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে উঠে যাওয়ার প্রবণতা দেখায়। নিচের দিকে তখন অনেকটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। 


অন্যদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়ে না বলে ঘনত্ব ও চাপ একই থাকে। তাই ভূপৃষ্ঠ আর সমুদ্রপৃষ্ঠের চাপের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেড়ে যায়। ভূপৃষ্ঠে তৈরি হয় নিম্নচাপ

। //


দিনের বেলা সমুদ্রপৃষ্ঠ তুলনামূলক শীতল, তাই সেখানকার বায়ুমণ্ডলের চাপ বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বিশাল  খোলা জায়গায় চাপ ও তাপের ভারসাম্য থাকতে হবে অর্থাৎ সমান থাকতে হবে। 

 কিন্তু যখন কোথাও চাপ কমে যায়, বাতাসের ভেতর ফাঁকা জায়গা সৃষ্টি হয় সেখানে আর চাপের ভারসাম্যটা থাকে না। তখন বেশি চাপের অঞ্চল থেকে শীতল বায়ু দ্রুত গিয়ে সেই ফাঁকা জায়গার দখল নেয়। এভাবেই তৈরি হয় ভারসাম্য। আর এই ভারসাম্য তৈরি করতে গিয়ে দ্রুত সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়মুণ্ডল ভূপৃষ্ঠের দিকে ধেয়ে আসে। ফলে তৈরি হয় ঝোড়ো হাওয়া ও ঘুর্নিপাক।//


দ্রুত যখন কোনো স্থানে শূন্যতা তৈরি হয়, হুড়াহুড়ি করে সেখানে বাতাস এসে শূন্যতা পূরণ করে, তখন সেখানে ঘূর্ণি তৈরি হয়। নিম্নচাপের জায়গায় চাপ যত কম, তত বেশি জায়গা ফাঁকা হয়, ছুটে আসা বাতাসের বেগ তত বেশি হয়। অর্থাৎ ঝড় তত শক্তিশালী হয়। 

 উষ্ণ বাতাস ও শীতল বাতাসের  মিশ্রনের ফলে যে ঘুনি পাকের সৃষ্টি হয় তখন এই উষ্ণ ও আদ্র বাতাস উপরে যেতে থাকে এবং আস্তে আস্তে ঠান্ডা হতে থাকে আর ছড়িয়ে থাকা পানির অণুগুলোর সাথে জমাট বেধে ঘনীভূত হতে থাকে আর  মেঘের সৃষ্টি হতে থাকে। আর এই মেঘমালা থেকেই আকাশকে মেঘলা করে প্রচুর বৃষ্টিপাত  পৃথিবীর দিকে নেমে আসে।  


সর্বশেষ এই কথা বলতেই হয় যে,ঝর বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, ভুমিকম্প, খরা  অর্থাৎ  আবহাওয়াকে আল্লাহই নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানতে চাই তাই কিছু কথা বলা হলো।



আজ এই পর্যন্তই!


এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার মতামত  comments  করে জানাবেন। 


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ।


No comments:

Post a Comment

আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ে...