ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের জন্য একটি অপরিহার্য খনিজ যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে কর্মক্ষম রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শক্তিশালী হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কাজ করে। ক্যালসিয়াম খনিজের ঘাটতি দেহের জন্য ভালো নয়। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে,আর বেশি ক্ষয় হতে থাকলে হাড় ভেঙে যেতে পারে।
বয়সের সাথে সাথে আমাদের দেহের প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের পরিমাণের মধ্যে পরিবর্তন হয়।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা যার বয়স ১৮-৫০ বছর এর মধ্যে তার প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা যার বয়স ৫১-৭০ বছর এর মধ্যে তার প্রতিদিন প্রায় ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার।
একজন বৃদ্ধ পুরুষ বা মহিলা যার বয়স ৭১ বছরের বেশি তার প্রতিদিন প্রায় ১২০০ থেকে ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার।
শিশুদের জন্য প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২০০ থেকে ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। কারণ তাদের বাড়ন্ত শরীরের জন্য বেশি ক্যালসিয়াম দরকার। শৈশব, বয়ঃসন্ধিকালে এবং যারা প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় উন্নীত হতে যাচ্ছে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে হাড়ের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা পরবর্তী জীবনে অস্টিওপোরোসিস এবং হাড়ের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা হয়তো অনেকে মনে করি যে এই ক্যালসিয়াম পেতে হলে আমাদেরকে প্রতিদিন দামি দামি আমিষ খাবার খেতে হবে, যেমন দুধ ডিম মাছ ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে অনেক সাধারণ খাবার থেকেও প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করা যায় এরকম কিছু খাবারের বর্ণনা সামনে আসতেছে। অল্প খরচে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমরা আমাদের প্রতিদিনের শাকসবজি, ডাল, ফল ইত্যাদি থেকে পেতে পারি।
কিছু কম দামের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল হল
পেপে,কলা,কালোজাম, আনারস,পেয়ারা, লিচু, কমলা ইত্যাদি।
মাছের নরম কাঁটার মধ্য ক্যালসিয়াম থাকে। এজন্য আমরা ছোট মাছ খেতে পারি।
বিভিন্ন ধরনের ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। যেমন মুগ, মুসুর, মটর, ছোলার ডাল- ইত্যাদি। এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকার ফলে এইসব ডাল হজমশক্তি ভাল রাখে ও দেহে শক্তি যোগায়।
বিভিন্ন শস্য দানা যেমন- চাল, গম, মিলেটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এইসব খাবারে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা হজমশক্তি ভাল করে ।
সবুজ রঙের বিভিন্ন ধরনের শাকপাতা জাতীয় খাবার সবসময়েই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী । যেমন পালং শাক, বাঁধাকপি, সীম, সাজনা, লাউশাক,কলমি শাক,পটল আরও অনেক সবুজ শাকপাতা জাতীয় খাবারে ক্যালসিয়াম ছাড়াও রয়েছে আয়রন।
ডুমুর যা আমাদের দেশের ঝোপ জঙ্গলে হয়ে থাকে। একটা কাপ শুকনো ডুমুরে প্রায় ৩৫০ মিলি গ্ৰাম ক্যালসিয়াম থাকে।বিদেশে এই ফলটা ফিগ নামে পরিচিত।
ক্যালসিয়ামের আরেকটি সমৃদ্ধ উৎস হল বিভিন্ন ধরনের বাদাম।যেমন : আমন্ড,কাজুবাদাম,আমাদের দেশী বাদাম যাকে আমরা চীনাবাদাম বলি। অনেকে বলেন আমন্ডে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ দুধের থেকেও বেশি।আমন্ড একটি বাদাম এটা বিদেশে হয় কিন্তু আমন্ড বেশি খাওয়া যাবে না কম খেতে হবে বেশি খেলে ক্ষতি হবে ।
তিল বীজেও আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিল বীজে দুধের থেকেও বেশি ক্যালসিয়াম আছে।এজন্য তিলের নাড়ু বা তিল দিয়ে তৈরি খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটানো সহজ।
এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে comments করে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে একটা like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং এরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি subscribe করুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment