আশ্চর্য হলেও সত্য প্রাচীন মিশরে সোনার চেয়ে রুপার দাম বেশিছিল এবং মিশরে সোনার চেয়ে রুপার ব্যবহারই আগে শুরু হয়। পৃথিবীর প্রথম ধাতব মুদ্রাও রুপা থেকেই তৈরি হয়। আমেরিকাতে ১৯৬৫ সালের পূর্বে রুপা দিয়ে তৈরি ধাতব মুদ্রায় ৯০% রুপা থাকতো এবং ১৯৬৫ সালের পরে তারা যে মুদ্রাগুলো তৈরি করে তাতে ৪০% পার্সেন্ট রুপা থাকতো ।
রৌপ্য চকচকে, উজ্জ্বল একটি ধাতু যা ৬০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। মানুষ সৌন্দর্য এবং কোন ব্যবহার্য কিছুকে স্থায়িত্ব দেয়ার জন্য রুপার ব্যবহার করে যেহেতু এই ধাতুর মধ্যে যেগুলোতে ভেজাল খুব অল্প থাকে এবং তাদের রঙ পরিবর্তন হয় না। রুপার ব্যবহার শুরু হয় তুরস্কের আনাতোলিয়া এবং গ্রীস থেকে। বাজারে অনেক ধরনের রুপা পাওয়া যায় কিন্তু খাদের পরিমানের উপর নির্ভর করে রুপার গুনাগুন এবং মুল্যের মধ্যে তারতম্য হয়।
৯৫০ সিলভার বা রূপার দ্বারা বুঝানো হয়, যে এতে ৯৫ শতাংশ রূপা এবং ৫ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে। জুয়েলারি তৈরির জন্য এটাই সর্বোচ্চ গ্রেডের রুপা জুয়েলারি তৈরির জন্য তাতে কিছু খাদ মিশাতে হয় কারণ একেবারে খাঁটি নিখাদ রুপা দিয়ে জুয়েলারি তৈরি করা সম্ভব না কারণ নিখাদ রূপা একেবারে নরম থাকে। সাধারণত দুই বা ততোধিক সংকর ধাতু হিসেবে তামা, নিকেল বা জিংক ধাতু মেশানো হয়।
৯২৫ সিলভার বা রূপার দ্বারা বুঝানো হয়, যে এই মিশ্রনে ৯২.৫ শতাংশ রূপা এবং ৭.৫ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে।
৯০০ সিলভার বা রূপার দ্বারা বুঝানো হয়, যে এই মিশ্রনে ৯০ শতাংশ রূপা এবং ১০ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে।
৮০০ সিলভার বা ৮০০রূপা দ্বারা বুঝানো হয়, যে এই মিশ্রনে ৮০ শতাংশ রূপা এবং ২০ শতাংশ সংকর ধাতু বা খাদ মেশানো আছে।
৯০০ সিলভার এবং ৮০০ সিলভার এর রুপাকে "কয়েন সিলভার" ও বলে। কারণ এই মিশ্রনের রুপা দিয়ে ধাতব রৌপ্য মুদ্রা তৈরি করা হয়।
"স্টার্লিং সিলভার" বা ৯২৫ সিলভার এর মধ্যে রুপা ও সংকর ধাতুর মিশ্রণ একই থাকে অর্থাৎ ৯২.৫ শতাংশ রূপা এবং ৭.৫ শতাংশ সংকর ধাতু। এই মিশ্রণের রূপাকে স্টারলিং সিলভার বা ৯২৫ সিলভারও বলে। আশা করি আমরা বিভিন্ন মানের রুপার পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছি।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment