মৎস্য উপদেষ্টা ভারতকে সাফ জানিয়ে দিলেন ইলিশ মাছ এবার বাংলাদেশের মানুষ খাবে। সাবাশ মৎস্য উপদেষ্টাকে।
বছরের পর বছর আমরা এই অবস্থা দেখতেছিলাম যে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ চড়া দামের কারনে ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারত না আর পশ্চিম বংগে ইলিশ মাছ বাংলাদেশের চেয়ে সস্তায় পাওয়া যেত যদিও প্রায় ৯০% ইলিশ মাছ বাংলাদেশে উৎপন্ন হতো।
হাসিনা না থাকায় এবার ভারতের ব্যবসায়ীরা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে ইলিশ রফতানির আবেদন জানালেও কোনো ইলিশ যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ। আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি।এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ মাছ খেতে পারেন, সেজন্য ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে তিনি জানান সেই সাথে আমাদের জনগণও এটি উপভোগ করতে পারবে।’
বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ থেকে ৫ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করলে, উপদেষ্টা হাসিনার সেই উদ্যোগের সমালোচনা করেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, `ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার পানি বন্টনের সমস্যার সমাধার করা উচিত।’
মৎস উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ বিদেশে রফতানি করা হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রফতানি হবে, সেটা হতে পারে না। ফলে এবার দুর্গাপূজায়ও ভারতে যাতে কোনো ইলিশ না যায়, তার জন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটি লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment