Sunday, September 8, 2024

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে "জাতীয় নাগরিক কমিটি"র আত্মপ্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে "জাতীয় নাগরিক কমিটি"র আত্মপ্রকাশ। কি তাদের উদ্দেশ্য? তারা কি চায়? আন্দোলন পরবর্তীতে ফেয়ার ইলেকশন করে তারা কতটুকু সফল হতে পারবে?  



কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে গতকাল ৮ ই সেপ্টেম্বর   সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয়। সংগঠনটির  ৫৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক হলেন মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখপাত্র সামান্থা শারমিন। বাকি ৫৩ জন হলেন সদস্য। কমিটির প্রাথমিক কাজ হিসেবে আটটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।


সংগঠনটির নেতারা বলেন, খুব শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।//


মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত এই কমিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা ছাত্র অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করব এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করব।’


কমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির প্রাথমিক কাজ কী হবে সে সম্পর্কে জানানো হয়েছে।//

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কমিটির প্রাথমিক কাজ আটটি। সেগুলো হলো-


১। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা।


২। ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা।


৩। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা।


৪। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা।


৫। দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা।


৬। জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা।


৭। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।


৮। গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কাজের পরিধি ও পদ্ধতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে নিজ নিজ এলাকায় সংঘবদ্ধ থাকার আহ্বান করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন, share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

No comments:

Post a Comment

আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ে...