Tuesday, September 10, 2024

বেক্সিমকোতে এত বিক্ষোভ কেন?

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সালমান এফ রহমান ও সোহেল এফ রহমান মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রায় ৮০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। বেক্সিমকোতে  বেতন দেয়ার কিছু অনিয়ম আগে থেকেই আছে। 


১০ ই সেপ্টেম্বর বেক্সিমকোতে আগস্ট মাসের বেতন ও ছুটির ভাতা পরিশোধ করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিকাল হলেও বেতন না দেওয়া শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। পরে শ্রমিকরা কারখানার কাছেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধের করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এবং সন্ধ‍্যার দিকে শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে  ভাংচুর চালায়।



গত রবিবার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা ৪ দফা দাবিতে  বিক্ষোভে করেছে। ১ নং দাবি ছিল সময় মতো বেতন প্রদান,২ নং দাবি শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, ৩ নং দাবি যারা চাকরি ছেড়েছে তাদের পে ফান্ডের সঠিক অর্থ প্রদান , ৪ নং দাবি ছুটির টাকা পাওয়ার  যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আন্দোলনের প্রক্ষিতে কতৃপক্ষ জানিয়েছিল যে ১০ ই সেপ্টেম্বর  তাদের পাওনাদি পরিষোধ করা হবে,কিন্তু তা করে নি,  বেতন-ভাতা না পেয়ে শ্রমিকরা এই আন্দোলন শুরু করেন।


অনেক আগে থেকেই  বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি  নিয়ে বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল  যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয় এবং কাজের অর্ডার অন্য দেশে চলে যায়, বাংলাদেশ  একটা সংকটে পড়ে, বেকারত্ব বাড়ে এবং দেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার পরিবর্তনের সুযোগে সেই পুরানো ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়েছে। এবং ইতিমধ্যেই গার্মেন্টস মালিকেরা  অনেকগুলো গার্মেন্টস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশ ও তার জনগণের অর্থনৈতিক স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই সংকটের দ্রুত সমাধান করলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। এবং সেই সাথে যারা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ধব্বংশ করতে চায় তাদের খুজে বের করা হোক। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন, share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

No comments:

Post a Comment

আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ে...