Thursday, April 18, 2024

যাত্রীবাহী বিমানগুলি সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ হাজার ফুট এর মাঝখান দিয়ে কেন কেন চলাচল করে?

আমরা যে পৃথিবীতে থাকি  এই পৃথিবী পাঁচটি বায়ুমণ্ডলের স্তর দ্বারা গঠিত। এই পাঁচটি স্তরকে সম্মিলিতভাবে বায়ুমণ্ডল বলে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের  প্রধান ভূমিকা পালন করে ট্রপোমণ্ডল ও স্ট্রাটোমণ্ডল। এই   পাঁচ স্তর বিশিষ্ট বায়ুমন্ডল এর নাম হলো    যথা - ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, তাপমণ্ডল ও এক্সোমণ্ডল।


আমাদের ঠিক মাথার উপরের স্তরটার নাম হলো ট্রপো মন্ডল। এই স্তরে আমরা বাতাস থেকে শ্বাস প্রশ্বাস নেই এবং আকাশে মেঘ ভেসে বেড়ায় ।পৃথিবীর ৫ স্তরের বায়ুমণ্ডলের মধ্যে  এই সর্বনিম্ন স্তরের বায়ু সবচেয়ে ঘন।  প্রকৃতপক্ষে, ট্রপোস্ফিয়ার সমগ্র বায়ুমণ্ডলের ওজনের  তিন-চতুর্থাংশ ধারণ করে।  এখানের বায়ুতে ৭৮% পার্সেন্ট নাইট্রোজেন এবং  ২১% পার্সেন্ট অক্সিজেন বিদ্যমান। বায়ুমণ্ডলের এই স্তরের মধ্যে  ঝড়ো হাওয়া,  ঝড় বৃষ্টি, ঘুর্নিঝড়, উচ্চচাপ, নিম্নচাপ ইত্যাদি বিদ্যমান থাকে। এজন্য যাত্রীবাহী বিমানগুলি চলার  সময় এই স্তর এড়িয়ে চলে  কিন্তু বিমান  ওঠা নামার  সময় এই স্তরে তাকে ফিরে আসতে হয়। 




বিমানগুলি স্ট্রাটোমণ্ডল বা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার দিয়ে চলাচল করে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৫০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা এই স্ট্র্যাটোমন্ডল বলে।স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ২০ - ৩৫ কিমি. উচ্চতার মধ্যে ওজোন গ্যাসের আধিক্য দেখা যায় বলে এই স্তরটিকে ওজোন স্তর বলে ।

এই মন্ডলের কোন কোন জায়গায় বায়ুর ঘনত্ব সমুদ্র বৃষ্টির বায়ুর তুলনায়  ১০০০ গুণ কম। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের বায়ু  শুষ্ক থাকে এবং সামান্য জলীয় বাষ্প ধারণ করে। এই স্তরে সামান্য কিছু  মেঘ দেখা  যায়। জলীয় বাষ্পহীন এই স্তরে ঝড়-বৃষ্টি হয় না বলে একে শান্তমন্ডলও বলে। আবহাওয়া শুষ্ক ও শান্ত থাকায় এ অঞ্চল দিয়ে জেট বিমান চলাচল করে থাকে ।//



একটা বিমান যাতে সর্বোচ্চ কার্যকরীভাবে চলাচল করে  সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে সেভাবেই বিমানের নকশা করা হয়। এজন্য বাতাসের  ঘনত্ব এবং ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতার সাথে  জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহারের দিকে খেয়াল রাখা হয়।  এজন্য বাণিজ্যিক জেটগুলো  ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০  ফুটের মধ্যে চলাচল করে। বায়ুমণ্ডলের এই স্তরের নাম হল স্ট্রাটোমণ্ডল বা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার যেখান দিয়ে বাণিজ্যিক বিমান  চলাচল করে। এই স্তর দিয়ে চলার আরও সুবিধা হলো এখানে জ্বালানি খরচ কম হয় প্লেন দ্রুত পথ অতিক্রম করতে পারে এবং যেহেতু বাতাস কম থাকে তাই বাতাসের সাথে বিমানের ঘর্ষণ কম হওয়ার কারণে  বিমান দ্রুত যেতে পারে এবং জ্বালানি খরচ কম হয় এবং এই স্তরে কোন ঝড় আবহাওয়া নাই, ঝড় বৃষ্টি, ঘুর্নিঝড় নাই এসব না থাকার কারণে বিমানগুলো  মসৃণ ভাবে চলাচল করতে পারে এবং এবং যাত্রীরা খুব আরাম অনুভব করে কারণ বিমান  বেশি নড়াচড়ার কারণে যে শারীরিক অসুবিধা হয় সে অসুবিধা এখানে অনুভব করে না । যেমন, বোয়িং 747 এবং এয়ারবাস Airbus A380 এর মতো বাণিজ্যিক বিমানগুলো  ৩৫,০০০ ফুট থেকে ৪০,০০০ ফুট এর মধ্যে দিয়ে   চলাচল  করতে পারে। আবার কনকর্ড বিমান গুলো ৬০,০০০ হাজার ফুটেরও বেশি উপর দিয়ে চলাচল করে এজন্য ঐ সমস্ত বিমানের ইঞ্জিন এবং আকৃতি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। 


এই ভিডিওর ব্যাপারে আপনার কোন মন্তব্য এবং কোন প্রশ্ন থাকলে comments  করে জানাবেন। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে একটা  like দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন  এবং এরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে অনুগ্রহ করে চ্যানেলটি  subscribe  করুন। আল্লাহ হাফেজ

No comments:

Post a Comment

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাসা বাধার ১০ টি লক্ষন কি?

 কোলেস্টেরল দেখতে অনেকটা মোমের মতো নরম এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান,আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল লি...