পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ এবং সূর্য পৃথিবীর দুই পাশে ঠিক সরলরেখায় অবস্থান করে, চন্দ্রগ্রহণের সময় আমরা চাঁদের পিঠে পৃথিবীর ছায়া দেখি।পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাটিকে চন্দ্রগ্রহণ বলে।
সূর্যগ্রহণ আদৌ দেখা যাবে কি যাবে না সেটা নির্ভর করে আমার আপনার ভৌগলিক অবস্থানের ওপর। কিন্তু চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে তা হয় না । পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গা থেকেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে যদি গ্রহণের সময় চাঁদ আমাদের মাথার উপর উঠে আসে। চাঁদ দিগন্তের উপর না আসলে এবং রাত না থাকলে চন্দ্রগ্রহণ বুঝা যাবে না।
পূর্ণিমার সময়ে সাধারণত চন্দ্রগ্রহণ ঘটে ।
চাঁদে পৌঁছনর জন্য ওই সূর্যরশ্মিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এই যাবার পথে সূর্যের নীল রশ্মির অধিকাংশই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। যার ফলে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদকে লাল দেখায় এবং এই রক্তিম চাঁদকে অনেকসময় "ব্লাড মুন" (blood moon) বলে ডাকা হয়। কেউ কেউ আবার এই রংকে কমলা বলে থাকেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, "চাঁদের ব্যাসের চেয়ে পৃথিবীর ব্যাস চারগুণ বড়, ফলে পৃথিবীর ছায়ার পরিধিও অনেক বেশি। তাই পুরো চন্দ্রগ্রহণের প্রক্রিয়া অনেক লম্বা সময় ধরে চলে - ১০৪ মিনিট পর্যন্ত এটা চলতে পারে।"কখনও কখনও এই ঘটনা কয়েক ঘন্টা ধরে চলতে থাকে।
চন্দ্রগ্রহণ তিন প্রকার হয়।
পূর্ণ গ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ,খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ এবং পেনাম্ব্রা চন্দ্রগ্রহণ।
নাসা এর মতে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বিরল, কিন্তু খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বছরে অন্তত দুইবার ঘটে।
পৃথিবী যদি সূর্যকে আংশিক ঢেকে রাখে অর্থাৎ পৃথিবী থেকে চাঁদের অর্ধ অংশে ছায়া পড়ে তখন পৃথিবী থেকে চাঁদের অর্ধাংশ বা আংশিক দেখা যায় না একে খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে। আর পৃথিবী যদি সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নেয় তখন পৃথিবীর সম্পূর্ণ ছায়া চাঁদের উপরে পড়ার কারণে পৃথিবী থেকে চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না একে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে।
পেনাম্ব্রা চন্দ্রগ্রহণ ( penumbral) তখন ঘটে
যখন পৃথিবীর হালকা ছায়াচ্ছন্ন অংশের ছায়া চাঁদের উপর পড়ে যার ফলে চাঁদকে ম্লান দেখায় এর ফলে এই গ্রহণ সাধারণ মানুষের চোখে সেভাবে ধরা পড়ে না। ল্যাটিন ভাষায় যাকে পেনাম্ব্রা চন্দ্রগ্রহণ বলে।
সুপারমুন কি?
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার তথ্যমতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের এক পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখায়। এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের স্বাভাবিকের চাইতে বড় হওয়া ও উজ্জল হয়ে যাওয়াকেই সুপারমুন বলে।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment