দেশটি হলো আমেরিকা। যাদের ১৪ হাজারের উপর এয়ারপোর্ট আছে।
কি কারনে এত এয়ারপোর্ট?
আমেরিকা দেশ বড় এটা প্রকৃত উত্তর না। রাশিয়া, চীন,ভারত এরাও অনেক বড় দেশ কিন্তু তাদের আমেরিকার মতো এতো এয়ারপোর্ট নেই। হ্যাঁ জিওগ্রাফি একটা বড় ফ্যাক্টর তার সাথে যদি থাকে আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং প্রযুক্তি তাহলে অনেক কিছুই সহজ হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে যাত্রীবাহী বিমান কোম্পানিগুলি আমেরিকাতে যার মালিক আমেরিকা এবং শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমানো তারাই তৈরি করেন এবং ভালো হেলিকপ্টার ও তারাই তৈরি করে। আমেরিকার আড়াই লক্ষ(২,৫০,০০০) এর বেশি যাত্রীবাহী বিমান আছে এবং প্রায় আট হাজার (৮,০০০)চার্টার বিমান আছে । এই হিসাব তাদের কমার্শিয়াল প্লেন এবং সামরিক বিমান ছাড়াই। এই কারণেই আমেরিকাতে বুলেট ট্রেন নেই, দরকার পড়ে না।
আমেরিকার বড় বড় শহর গুলি একটা থেকে আর একটার দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি। এ কারণে দ্রুত ভ্রমণ জন্য, ব্যবসার জন্য, এবং ছুটি কাটানোর জন্য তাদের দেশে এত বিমান, এয়ারপোর্ট,এবং এয়ারলাইন্স কোম্পানি গুলো গড়ে উঠেছে। আমেরিকায় বছরে অভ্যন্তরীণভাবে প্রায় 2 কোটি ফ্লাইট চলাচল করে। হ্যাঁ ভাই এলাহী কাণ্ড।
আমেরিকার পরে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল যাদের ৪০০০ এর উপর এয়ারপোর্ট আছে। তৃতীয় হলো মেক্সিকো যাদের ১৮০০ এর কাছাকাছি এয়ারপোর্ট আছে । কানাডার আছে ১৫০০ রাশিয়ার প্রায় ১৩০০। চীনের আছে ৫১০ এয়ারপোর্ট, ভারতের প্রায় ৩৫০ সাড়ে তিনশ। পাকিস্তানের ১৫১ টা। নেপালের ৪৮ টা । নেপাল আর্থিকভাবে অত উন্নত দেশ না হওয়ার পরেও তাদের এয়ারপোর্টে বেশি হওয়ার কারণ হলো নেপালের ভৌগোলিক অবস্থান নেপালের বেশি এলাকাই পার্বত্য এবং দুর্গম। আর এয়ারপোর্ট গুলির অধিকাংশই অত বড় বিশাল কোন এয়ারপোর্ট না ছোটখাটো এয়ারপোর্ট। বাংলাদেশের ১৯ টা এয়ারপোর্ট। শ্রীলংকার ১৮ টা। মালদ্বীপের ৯ টা এবং ভুটানের ২ টা।
No comments:
Post a Comment